উত্তর : প্রথমে খাওয়ার দো‘আ পড়বে। অতঃপর মেযবানের জন্য দো‘আ পড়বে। খাবার পরে একাধিক দো‘আ রয়েছে। যেমন- আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন্ গাইরি হাওলিম্ মিন্নী ওয়া লা কুউওয়াহ। অর্থাৎ ‘সেই আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমাকে পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা ছাড়াই খাওয়ালেন ও রূযী দান করলেন’। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান খাদ্য ভক্ষণের পর অথবা পানীয় পানের পর যদি দো‘আটি পড়ে, তবে তার পূর্বের গোনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়’ (তিরমিযী হা/৩৪৫৮; মিশকাত হা/৪৩৪৩)। এরপর মেযবানের জন্য বর্ণিত অন্যতম দো‘আ- আল্লা-হুম্মা বা-রিক্ লাহুম ফীমা রাঝাক্বতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ার হাম্হুম অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছ তাতে তুমি বরকত দান কর, তাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং তাদের উপর রহমত বর্ষণ কর’ (মুসলিম হা/২০৪২; মিশকাত হা/২৩১৫) পাঠ করবে।
প্রশ্নকারী : শেরশাহ, মান্দা, নওগাঁ।