উত্তর : এটি ৩০ জনের
মধ্যে সীমায়িত নয়। কেননা ভন্ডনবীর সংখ্যা বিভিন্ন হাদীছে বিভিন্ন রকম
এসেছে। যেমন- কোন হাদীছে ২৭ জন যাদের মধ্যে ৪ জন হবে নারী (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৪২৫৮)। কোন হাদীছে ৩০ জন (আবুদাউদ হা/৪৩৩৩)। আবার কোন হাদীছে ৩০ জনের কাছাকাছি বলা হয়েছে (বুখারী হা/৭১২১; মুসলিম হা/১৫৭; মিশকাত হা/৫৪১০)।
উল্লেখ্য যে, এ পর্যন্ত ভন্ডনবীর সংখ্যা ৩০ জন ছাড়িয়ে গেছে। অতএব উল্লিখিত
হাদীছ সমূহে বর্ণিত ভন্ডনবী বলতে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে যাদের অনুসারী হবে
এবং দা‘ওয়াতী কার্যক্রম থাকবে। অর্থাৎ যারা মানুষের মধ্যে শক্তি-সামর্থ্যের
দ্বারা প্রভাব বিস্তার করে অনুসারী বানাতে সক্ষম হয়েছে এবং ধোঁকার মাধ্যমে
কিছুটা হলেও সন্দেহ সৃষ্টি করতে পেরেছে এবং দা‘ওয়াতের দ্বারা প্রসারও লাভ
করেছে। যেমন মুসাইলামা কায্যাব, তুলাইহা আসাদী, মুখতার ইবনু আবী ওবায়েদ
আস-ছাক্বাফী, হারেস ও গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী প্রমুখ। কারণ দাবীকারীদের মধ্যে
অনেকে পাগল ও রোগীও ছিল (শরহ ফাৎহুল মাজীদ ৩/৪০৩ পৃঃ)।