উত্তর : বিসমিল্লাহ নীরবে পাঠ করাই রাসূল (ছাঃ), আবুবকর, ওমর ও ওছমান (রাঃ)-এর সুন্নাত (আহমাদ হা/১২৮৬৮)। তবে কেউ যদি বিসমিল্লাহ সরবে পাঠ করে তাহ’লে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২২/২৬৮-৬৯, ৪৩৬-৩৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১০৯)। অনুরূপভাবে রুকূর পরে বুকে হাত বাধার বিষয়ে জমহূর বিদ্বানগণের মত হ’ল, রুকূর পর হাত ছেড়ে দেয়াই সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) রুকূ থেকে মাথা উঠিয়ে এমনভাবে দাঁড়াতেন যেন মেরুদন্ডের জোড়সমূহ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসে (বুখারী হা/৮২৮; মিশকাত হা/৭৯২)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, যতক্ষণ না অস্থিসমূহ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসে’ (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৮০৪ দ্র. ছালাতুর রাসূল ১০৭ পৃ.)। তবে পূর্বযুগে হায়তামী, ইবনু হাযম এবং সমকালীন যুগে ইবনু বায, ইবনুল উছায়মীনসহ হাদীছের আম ব্যাখ্যার ভিত্তিতে কিছু বিদ্বান পুনরায় হাত বাঁধার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন (ইবনু হাজার হায়তামী, আল-ফাতাওয়াল ফিকহিয়া আল-কুবরা ১/১৩৯; ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৩/২৯; উছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ৮/২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৪৫)। সর্বোপরি প্রথম মতটিই অগ্রাধিকারযোগ্য। তবে ব্যাখ্যাগত ভিন্নতার কারণে কেউ হাত বাঁধলে ছালাতের ক্ষতি হবে না।
-আতীকুল ইসলাম, বরিশাল।