উত্তর : ‘সূদ’ ফারসী শব্দ। যার অর্থ ঋণ দিয়ে সেই টাকার উপর আদায়কৃত লভ্যাংশ। আরবীতে একে রিবা (الربا) বলা হয়। যার অর্থ হ’ল, বৃদ্ধি। শারঈ পরিভাষায় كل قرض جر نفعا فهو ربوا ‘প্রত্যেক ঋণ যা লাভ আনয়ন করে, সেটাই রিবা’। এটি জাহেলী আরবে চালু ছিল। ইসলাম এসে যা হারাম করে। সূদ হ’ল পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার। পৃথিবীর আদিকাল থেকে সূদী প্রথা চলে আসছে। যার মনদ প্রেরণা হ’ল ঋণ গ্রহীতাকে বাগে পেয়ে শোষণ করা। এর ফলে বিপদগ্রস্ত মানুষকে ঋণ দিয়ে উপকার করার মানবিক তাকীদ ধ্বংস হয়ে যায়। সূদ দ্বারা ঋণ গ্রহিতার প্রতি যুলুম করা হয়। আর যুলুম ইসলামে নিষিদ্ধ। এছাড়া সূদ মানুষকে নিষ্কর্মা করে। অথচ ইসলাম মানুষকে কর্ম করতে উৎসাহিত করেছে (ছহীহ আত-তারগীব হা/১৭০২)। ইসলাম বিনা স্বার্থে ঋণ দেয়ার ব্যাপারে যে উৎসাহ দিয়েছে সূদ তাতে  বাধা প্রদান করে। এছাড়া সাধারণত সূদ গ্রহণকারী আরো ধনী হয়, আর সূদ দাতা আরো দরিদ্র হয়। এ সব কারণে সূদ হারাম। সূদ বিগত সকল ইলাহী ধর্মে নিষিদ্ধ ছিল। ইসলামী শরী‘আতের দৃষ্টিতে সূদ এমন এক পাপ, যার ৭০টি স্তরের সর্বনিম্ন স্তর হ’ল মায়ের সাথে যেনা করা (ইবনু মাজাহ হা/২২৭৪)। অন্য হাদীছে এসেছে ছত্রিশ বার যেনা করার চেয়েও বড় পাপ (আহমাদ, দারাকুৎনী, মিশকাত হা/২৮২৫)। অতঃপর সূদের ২৫টি কুফল জানার জন্য পাঠ করুন হা,ফা,বা, প্রকাশিত বই ‘সূদ’ (২য় সংস্করণ ২০১০) পৃঃ ১৭-৩৭






প্রশ্ন (২৫/২৫) : ইদানিং অনেক লোক হজ্জ করতে গিয়ে ইহরাম বাঁধার পর জেদ্দা বিমান বন্দর থেকে সরাসরি মদীনায় যান এবং মদীনা থেকে ফিরে এসে মক্কায় হজ্জের কাজ সমাধা করেন। এতে হজ্জের কোন ত্রুটি হয় কি? - -মাহমূদুল ইসলামরিয়াদ, সঊদী আরব।
প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : ছালাতুত তাসবীহ পড়া যাবে কি? - -রাসেল মিয়াঁ, পালবাড়ী, নরসিংদী।
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : গভীর সমুদ্রে ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে চল্লিশ দিন অবস্থান করেন। অতঃপর এক দ্বীপে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে ক্ষুধার্ত ও অচেতন অবস্থায় মাছ উগরে ফেলে দেয়। আল্লাহ সেখানে একটি লাউ গাছ সৃষ্টি করেন এবং সুস্বাদু লাউ ফলান। এক পর্যায়ে একটি বকরী এসে তাঁর পাশে দাঁড়ালে তিনি প্রাণ ভরে দুধ পান করলেন। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩১/৭১) : কুমিল্লার মুরাদনগরে আল্লাহর ৯৯টি নাম সম্বলিত একটি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে আল্লাহর নাম লেখা জায়েয হবে কি? - -শহীদুযযামান, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/৮০) : সালাফী বিদ্বানগণ বলেন, আগে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম নয় বরং আগে মানুষের আক্বীদা-আমল শিরক-বিদ‘আতমুক্ত করতে হবে। কিন্তু শরী‘আতে কোন বিধান আগে বাস্তবায়ন করতে হবে, কোনটি পরে করতে হবে, এরূপ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (১০/২৫০) : রাজমিস্ত্রি হিসাবে হিন্দুদের মন্দির তৈরী করা যাবে কি? - আউয়াল আলম মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : বজ্রপাতের সময় কোন দো‘আ আছে কি? - আছিফ, কমলাপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৮/৩০৮) : আমার স্ত্রী পাইল্সে আক্রান্ত। আমার যেলায় অভিজ্ঞ কোন মহিলা সার্জন নেই। অন্য যেলায় নিয়ে দেখানোও আমার সাধ্যের বাইরে। এক্ষণে পুরুষ চিকিৎসক দেখানো জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২৭/২৭) : শালা-শ্যালিকা, তাদের স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানেরা কোন পর্যায়ের আত্মীয়? তাদের সাথে সাধারণ মুসলিম ভাইয়ের মত আচরণ করলেই যথেষ্ট হবে কি? - -এস. আহমাদ, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমি নানীর দুধ পান করে বড় হয়েছি। বড় হয়ে বড় মামার মেয়েকে বিয়ে করেছি এবং একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমাদের বিবাহ কি শুদ্ধ ছিল? শুদ্ধ না হ’লে আমাদের সন্তানের কি হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - - মাহবূব আলম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/২৭৩) : সফর অবস্থায় তাহাজ্জুদের ছালাত আদায়ের পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : অনেক সময় দেখা যায় যে, টেলিভিশনে বক্তা মুনাজাত করছেন। এক্ষণে আমি দর্শক হয়ে আমীন আমীন বলতে পারব কি? - -রিয়াযুল ইসলাম, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও
আরও
.