উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমলে জুম‘আ মসজিদ ব্যতীত ওয়াক্তিয়া মসজিদ ছিল। যেমন মসজিদে বনূ যুরায়েক্ব (বুখারী, মিশকাত হা/৩৮৭০)। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন (আবুদাঊদ হা/৪৫৫; তিরমিযী হা/৫৯৪-৯৬; মিশকাত হা/৭১৭; ছহীহাহ হা/২৭২৪)। ওমর (রাঃ) প্রত্যেক গভর্নরের নিকট পত্র লিখে বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত জামা‘আতে আদায় করার জন্য প্রত্যেক গোত্রের জন্য স্বতন্ত্র মসজিদ নির্মাণ করবে এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রে জুম‘আ মসজিদ নির্মাণ করবে। জুম‘আর দিনে সকলেই উক্ত মসজিদে সমবেত হবে (আত্বিইয়া মুহাম্মাদ সালেম, শরহ বুলূগুল মারাম ৩/৫২)। রাসূল (ছাঃ) মসজিদে নববী ও কা‘বায় ছালাত আদায়ের যে ফযীলত বর্ণনা করেছেন সেটাও প্রমাণ করে যে, রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে অন্যান্য ওয়াক্তিয়া মসজিদ ছিল (বুখারী হা/১১৯০; মিশকাত হা/৬৯২)। আর ওয়াক্তিয়া মসজিদে দান করলে ছওয়াব হবে না এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে গৃহ নির্মাণ করবেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৯৭)। অত্র হাদীছে ওয়াক্তিয়া বা জুম‘আ মসজিদের কথা উল্লেখ নেই। অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পাখির ডিম পাড়ার বাসার ন্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন’ (আহমাদ হা/২১৫৭; ছহীহুত তারগীব হা/২৭২)। সুতরাং যে ব্যক্তি ছওয়াবের আশায় একটি ছোট মসজিদও নির্মাণ করবে, এমনকি নির্মাণকাজে স্বল্প অর্থ বা শ্রম দিয়েও সহযোগিতা করবে, সেও উক্ত মর্যাদা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/২৩৭)।
প্রশ্নকারী : নূরুল ইসলাম, মোহনপুর, রাজশাহী।