উত্তর : ‘ইজতেমা’ অর্থ সম্মেলন, সমাবেশ, বৈঠক, একত্রিত হওয়া ইত্যাদি। ‘তাবলীগী ইজতেমা’ অর্থ দা‘ওয়াতী সমাবেশ। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ প্রতিবছর রাজশাহীর নওদাপাড়ায় ‘তাবলীগী ইজতেমা’র আয়োজন করে থাকে। সর্বস্তরের জনগণের নিকট অহিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার উদাত্ত আহবান জানানোর লক্ষ্যেই এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই ইজতেমার শুরু থেকে শেষ অবধি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ থেকেই বক্তব্য পেশ করা হয়ে থাকে। যেন শ্রোতাগণের হৃদয়ে বিষয়টি বদ্ধমূল হয় এবং আল্লাহ প্রেরিত অহীর বিধান অনুযায়ী তারা নিজেদের আমলী যিন্দেগী সমৃদ্ধ করতে পারেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র আল্লাহ প্রেরিত ‘অহি’-র আলোকে পরিচালনার উদাত্ত আহবান জানানো হয় এই তাবলীগী ইজতেমায়। আহবান জানানো হয়, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের একটিমাত্র প্লাটফরমে সমবেত হয়ে বৃহত্তর মুসলিম সমাজ গঠনের।

পক্ষান্তরে ঢাকার তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশ্ব ইজতেমা’। দেশ-বিদেশের অনেক ওলামায়ে কেরাম উক্ত ইজতেমায় সমবেত হ’লেও পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসরণের আহবান জানাতে তারা কুণ্ঠাবোধ করে থাকেন। ‘রাসূলের তরীকায় শান্তি’ কথাটি বারবার মুখে বললেও কর্মে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। বরং সুন্নাতবিরোধী আমলে তারা তাদের কর্মীদের অভ্যস্ত করে তোলে। এতদ্ব্যতীত উক্ত ইজতেমায় তাদের রচিত ‘তাবলীগী নেছাব’ বই-এর আলোকে অধিকাংশ বক্তব্য পেশ করা হয়ে থাকে। যা অসংখ্য জাল ও যঈফ হাদীছে ভরপুর। যে বইয়ের মাধ্যমে মিথ্যা ফাযায়েল ও উদ্ভট কল্পকাহিনীসমূহ বর্ণনা করে মানুষকে দ্বীনের প্রতি আহবান জানানো হয়। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কড়া হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জেনে শুনে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে তার ঠিকানা জাহান্নামে করে নেয়’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৯ ‘ইলম’ অধ্যায়)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার নামে এমন হাদীছ বর্ণনা করে, যে বিষয়ে সে জানে যে, এটি মিথ্যা, সে হবে অন্যতম মিথ্যুক’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৯)। উপরোক্ত আলোচনা থেকেই দুই ইজতেমার মৌলিক পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে  যায়।






প্রশ্ন (১৯/১৯): হজ্জের সামর্থ্য বলতে কি গচ্ছিত টাকা না জমিজমা বুঝায়? বর্তমান সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাদের ১০ শতাংশ জমির মূল্য ৫ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এসব ব্যক্তিদের উপর কি হজ্জ ফরয নয়?
প্রশ্ন (৫/২৮৫) : হায়েয শেষ হওয়ার আলামত বুঝার পর গোসল না করে স্বামীর সাথে মিলিত হওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : স্থিতিশীল বাজারে কোন পণ্যের ঘাটতির কারণে কোন বিক্রেতা দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রয় করলে তা বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আমার কবরপূজারী জনৈক আত্মীয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এক পীরের মুরীদ হিসাবে কবরপূজায় লিপ্ত ছিলেন। এক্ষণে তার জানাযা পড়া বা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয হবে কি? - -জালালুদ্দীন, ধুনট, বগুড়া।
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব বেশী, না আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব বেশী? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন। - তানভীর আহমাদ বয়রা, খুলনা।
প্রশ্ন (১৯/৪১৯) : আমার পিতা কিছুদিন পূর্বে মারা গেছেন। আমার দাদা আমার পিতার আক্বীক্বা দেননি। তিনি নিজেও নিজের আক্বীক্বা করেননি। এক্ষণে আমরা তার আক্বীক্বা দিতে পারব কি? - -আশরাফুল ইসলাম, লালমাটিয়া, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : জেনে-শুনে মসজিদ সোজা করার উদ্দেশ্যে ক্বিবলা থেকে কিছুটা বিচ্যুত হয়ে ছালাত আদায় করা যাবে কী?
প্রশ্ন (৩৩/৩১৩) : ছিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস ব্যতীত সবকিছু করা যাবে কি? এতে যদি মযী নির্গত হয় তাহ’লে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে কি?
প্রশ্ন (৫/৪৪৫) : শিখা চিরন্তনে গিয়ে মাথা নত করা ও সেখানে নীরবতা পালন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩৯১) : আমাদের সমিতি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ফ্যান ক্রয়ের জন্য কোম্পানীতে অগ্রিম টাকা জমা দেয়া হয়। অতঃপর করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা সময়মত তা ডেলিভারী না দিয়ে অন্যত্র বিক্রয় করে দেয়। এখন তারা মাল না থাকায় পূর্বে গৃহীত প্রত্যেক ফ্যানের সাথে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে লাভ দিয়ে অগ্রিম প্রদত্ত টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছে। উক্ত লভ্যাংশ সহ টাকা নেওয়া যাবে কি? এটা টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা নেওয়ার নামান্তর হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে লোন দিতে চাচ্ছি ১০/২০ হাযারের মতো। এখন হিসাব করে দেখছি লোন দিতে হ’লে ৩/৪ লাখ টাকা লোন নিচ্ছে গ্রামের লোক। এখন এই লোন আদায় ও বিতরণের জন্য একজন লোক দরকার। তার সম্মানী, অফিস ভাড়া, কারেন্ট বিল, লোনের বিভিন্ন ধরনের কাগজ প্রিন্ট, ফটোকপি ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ফী হিসাবে যারা লোন নিবে এদের কাছ থেকে কোন ফী নেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৬/৬) : আমার হজ্জে যাওয়ার সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমার প্রতিবেশী অসুস্থ। এক্ষণে আমি হজ্জে না গিয়ে প্রতিবেশীকে সাহায্য করলে হজ্জের ছওয়াব পাব কি?
আরও
আরও
.