উত্তর : কন্যা সন্তান প্রোথিতকারিণী মাতা জাহান্নামে যাবে তার উক্ত অপরাধ ও কুফরীর কারণে। কিন্তু উপরোক্ত হাদীছ অনুযায়ী প্রোথিত সন্তান জাহান্নামে কেন যাবে তার ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণ বলেন, হাদীছটি একটি নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। আর তা হ’ল মুলায়কা নাম্নী জনৈকা মহিলার দুই ছেলে এসে তার মা সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করেন যে, আমার মা জাহেলী যুগে মারা গেছেন। কিন্তু তিনি আত্মীয়তা সম্পর্ক রক্ষাকারীণী, অতিথিপরায়ণা এবং বিভিন্ন সৎকর্মে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি আমাদের একটি বোনকে প্রোথিত করার মাধ্যমে হত্যা করেন। এমতাবস্থায় তার সৎকর্মসমূহ তার উক্ত পাপের কাফফারা হবে কি? জবাবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, প্রোথিতকারিণী ও প্রোথিত কন্যা উভয়ে জাহান্নামী হবে। তবে যদি প্রোথিতকারিণী ইসলাম কবুল করত তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করতেন’ (আহমাদ হা/১৫৯৬৫)। একই মর্মে আবুদাঊদে (হা/৪৭১৭, মিশকাত হা/১১২) হাদীছ এসেছে। এ বিষয়ে ছাহেবে মির‘আত বলেন, এটি একটি বিশেষ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। হয়তবা ঐ প্রোথিত কন্যা সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) অহীর মাধ্যমে তার জাহান্নামী হওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছিলেন (মির‘আত হা/১১২-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। কেননা ইসলামী শরী‘আতে নাবালকের উপর কোন বিধান প্রযোজ্য হয় না। অতএব অপরাধী মাতার কারণে তার প্রোথিত সন্তান জাহান্নামী হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘একজনের পাপ অন্যজনে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) প্রোথিত সন্তানকে জান্নাতী বলেছেন (আবুদাঊদ হা/২৫২১, মিশকাত হা/৩৮৫৬, সনদ ছহীহ)। অতএব অত্র হাদীছ দ্বারা পূর্বের হাদীছটি ‘মানসূখ’ হ’তে পারে। জীবন্ত প্রোথিত কন্যা জিজ্ঞাসিত হবে মর্মে কুরআনেও বর্ণিত হয়েছে (তাকভীর ৮১/৮৯)। বিস্তারিত- তাফসীরুল কুরআন ৩০ তম পারা, উক্ত আয়াতের আলোচনা দ্রঃ।

-আশরাফ হোসাইন, লালমাটিয়া, ঢাকা।






প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : আমি অল্প বেতনে সরকারী চাকুরী করি এবং পরিবার নিয়ে কোন রকম দিনাতিপাত করি। পিতা-মাতা অনেক সহায়-সম্পত্তির মালিক। কিন্তু আমি তাদের কোন আর্থিক সহযোগিতা করতে পারি না বলে আমার প্রতি অসন্তুষ্ট। আমার বোনদেরও বিবাহ হয়ে গেছে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে নিয়মিত আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য আমাকে চাপ দেন। কিন্ত আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৬/৪৭৬) : পরহেযগারিতা সহ কাংখিত সদগুণাবলী সম্পন্ন স্বামী বা স্ত্রী পাওয়ার জন্য বিশেষ কোন দো‘আ বা আমল আছে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩৯১) : কোন সৎ উদ্দেশ্যে পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৮/৮) : মূসা (আঃ) যখন আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করলেন তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ! আমি যত আপনার নিকটবর্তী হয়েছি আর কেউ কি এতো নিকটবর্তী হতে পারবে। আল্লাহ বললেন, মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত ইফতারের সময় এর চেয়েও বেশী নিকটবর্তী হবে। উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : অহি লেখকগণ কে কে ছিলেন? - -মুছত্বফা কামাল, যশোর।
প্রশ্ন (৩৭/৭৭) : আহলে বায়েত বলতে কি বুঝায়? তারা কারা? - -মুহাম্মাদ, কিষানগঞ্জ, ভারত।
প্রশ্ন (৩৩/৪৭৩) : অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান পিতা-মাতার সাথে হজ্জ করলে তার ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে কি? - -আব্দুল্লাহ নাজীব, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১২/৪৫২) : বর্তমানে বাজারে প্রায় ৪০টি রোগের প্রতিষেধক চেইন পাওয়া যাচ্ছে। যার দাম ৪/৫ হাযার টাকা। উক্ত চেইন ব্যবহার করা কিংবা ব্যবসা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ইহরাম অবস্থায় শাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে কি? - -আবুল কালামমাকলাহাট, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩/২০৩) : জামা‘আতে ছালাতরত অবস্থায় মুক্তাদী স্বীয় ভুলের কারণে সহো সিজদা দিতে পারবে কি? - মুফাছছিল হুসাইন বড়লেখা, মৌলভীবাজার।
প্রশ্ন (৫/১২৫) : অনেকের মুখে শুনা যাচ্ছে কুরআনের মধ্যে আল্লাহর রাসূলের দাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এটা কি কোন অলৌকিক ঘটনা?
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : আমরা যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি সেখানে অনেক বিধর্মীও চাকুরী করে। আসন্ন রামাযানে খৃষ্টান সহকর্মীরা প্রস্তাব দিয়েছে যে, তারা আমাদের ইফতারে আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং আমাদের সাথে ইফতার করবে। এখন প্রশ্ন হ’ল ইফতার যেহেতু একটি ইবাদত, তাই এতে কি বিধর্মীদের শরীক করা জায়েয হবে?
আরও
আরও
.