উত্তরঃ
ছালাতে দাঁড়ানোর সময় সীসাঢালা প্রাচীরের মত একে অপরের সাথে মিলে দাঁড়াতে
হবে। মধ্যে ফাঁকা রাখলে শয়তান প্রবেশ করে এবং মুছল্লী রহমত হ’তে বঞ্চিত হয়।
ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কাতার সোজা করবে,
বাহু সমূহ সমপর্যায়ে রাখবে, ফাঁকা সমূহ বন্ধ করবে এবং তোমাদের ভাইদের সাথে
নরম হয়ে থাকবে। মধ্যখানে শয়তানের জন্য ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারকে
মিলিয়ে দাঁড়ায়, আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমতের সাথে মিলান। আর যে ব্যক্তি কাতারে
ফাঁকা রাখে আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমত হ’তে পৃথক রাখেন (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/১১০২)।
অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি শয়তানকে কাতার
সমূহের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করতে দেখছি, যেন সে কালো ছাগলের বাচ্চা। কাজেই
তোমরা প্রাচীরের মত কাতার মিলিয়ে দাড়াও (নাসাঈ হা/৮১৫; আবূদাঊদ হা/৬৭৩)। অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন (ইবনু মাজাহ হা/৯৯৫, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৯২, ২৫৩২)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার
জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১৮৯২)। অন্য বর্ণনায় আছে, ‘যখন বান্দা কাতার মিলিয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন আর ফেরেশতা তার উপর নেকী ছিটিয়ে দেন (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/৪৫১৬ পৃঃ ১৮৯২ নং হাদীছের অধীনে)। অন্য বর্ণনায় আছে যারা কাতার মিলিয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করেন, আর ফেরেশতাগণ তাদের জন্য ক্ষমা চান (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৫৩২)। অন্য বর্ণনায় আছে যারা কাতারের ফাঁকা বন্ধ করতে যায় তাদের পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশী নেকী হয় (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৫৩৩)।