উত্তর : হালাল পন্থায় উপার্জন করেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কারণ হারাম পন্থায় উপার্জন করা আরেক বড় হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে মানবজাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত ভক্ষণ কর। আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু (বাক্বারাহ ২/১৬৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জিব্রীল আমার হৃদয়ে প্রক্ষিপ্ত করেছেন যে, কোন আত্মাই তার ভাগ্যে নির্ধারিত সর্বশেষ আয়ু ও রুযী পূর্ণ না করা পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং রুযী সন্ধানে মধ্যবর্তী পন্থা (সুন্দর ও স্বাভাবিক বৈধ পথ) অবলম্বন কর। রুযী আসতে দেরী দেখে তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর অবাধ্য হয়ে তার সন্ধানে উদ্বুদ্ধ না হয়। যেহেতু (রুযী আল্লাহর হাতে আর) তা তাঁর অবাধ্য হয়ে অর্জন করা যায় না (ইবনু মাজাহ হা/২১৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/২৮৬৬)। আর ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা থাকলে বৈধ উপার্জনের মাধ্যমে সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে লোক পরিশোধের নিয়তে অপর লোকের মাল (ঋণরূপে) গ্রহণ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার ঋণ পরিশোধ করে দেন। আর যে লোক বিনষ্ট করার নিয়তে ঋণদাতার মাল গ্রহণ করে আল্লাহ তাকে ধ্বংস করে দেন (বুখারী হা/২৩৮৭; মিশকাত হা/২৯১০)। তবে বিভিন্ন দাতা সংস্থা কিংবা ধনী ব্যক্তিদের নিকট থেকে যাকাত বা অন্য কোন খাত থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য সহায়তা নেওয়া যাবে।
প্রশ্নকারী : হাবীব, রাজশাহী।