উত্তর : হযরত আবু আওফা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, الْخَوَارِجُ كِلاَبُ النَّارِ ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৩, সনদ ছহীহ)

হাদীছটির ব্যাখ্যায় ফায়যুল ক্বাদীর শরহ ছহীহুল জামে‌‘-এর প্রণেতা আল্লামা মানাভী বলেন, খারেজীদের ‘জাহান্নামের কুকুর’ বলার কারণ হ’ল, তারা ইবাদতে অগ্রগামী ও তৎপর। কিন্তু তাদের অন্তর বক্রতাপূর্ণ। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে তারা দ্বীন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। এমনকি তাওহীদের অনুসারীদেরকে বড় কোন অপরাধ করলেই তারা ‘কাফের’ ঘোষণা করে। তারা পবিত্র কুরআনের আয়াতগুলোকে যথেচ্ছ অপব্যাখ্যা করে। অপরদিকে মুমিনের বৈশিষ্ট্য হ’ল, তারা অপরের দোষ-ক্রটি গোপন রাখে, মানুষের প্রতি দয়া করে, মানুষের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। অথচ বিভ্রান্ত খারেজীরা মানুষের মর্যাদাহানি করে, লজ্জিত করে, অবশেষে নিজেরাও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটা কুকুরের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ। যেহেতু তারা আল্লাহর বান্দাদের উপর কুকুরের মত আগ্রাসী হয় এবং তাদের প্রতি তুচ্ছজ্ঞান ও শক্রতার ভাব নিয়ে তাকায়, তাই তারা তাদের কৃতকর্মের দরুণ জাহান্নামে প্রবেশকালে কুকুরের মত আকৃতি লাভ করবে, যেমনভাবে তারা ছিল দুনিয়ার বুকে আহলে সুন্নাতের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণে কুকুরের স্বভাববিশিষ্ট’ (ঐ, ৩/৫০৯; মিরক্বাত ১১/১৪১ পৃঃ)

একইভাবে আবু গালিব বলেন, একদা আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) দামেশক মসজিদের সদর রাস্তায় খারেজীদের কতগুলো ঝুলন্ত মাথা দেখলেন। তখন তিনি বললেন, এরা হ’ল জাহান্নামের কুকুর। আসমানের নীচে এরা সবচেয়ে মন্দ নিহত। আর যারা এদের হত্যা করেছে তারা সবচেয়ে উত্তম। অতঃপর তিনি কুরআনের এ আয়াতটি পড়লেন, يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوْهٌ ‘সে দিন কতক মুখ হবে সাদা আর কতক মুখ হবে কালো’ (আলে ইমরান ১০৬)। এ সময় আবু উমামাকে বলা হল, আপনি কি কথাগুলো আল্লাহর রাসূল হ’তে শুনেছেন? তিনি বললেন, একবার দু’বার তিন বার নয়, বরং গুণে গুণে সাত বার শুনেছি। আমি তাঁর নিকট হতে না শুনলে আপনাদের বলতাম না’ (তিরমিযী হা/৩০০০; ইবনে মাজাহ হা/১৭৬; মিশকাত হা/৩৫৫৪, সনদ ছহীহ)

উল্লেখ্য যে, বিদ‘আতীরা জাহান্নামের কুকুর বলে যে বর্ণনা এসেছে, তা যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৭৯২)






প্রশ্ন (৪০/৩৬০) : নবী করীম (ছাঃ) কদরের রাত দেখেছেন কি? কদরের রাত কিভাবে বুঝা যাবে?
প্রশ্ন (২৫/১৪৫) : কাউকে ধন্যবাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে থ্যাংক ইউ বা ওয়েলকাম বলায় শারঈ কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৫/৩২৫) : মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কুরআন খতম করে দো‘আর অনুষ্ঠান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : মাযারে জমাকৃত অর্থ দিয়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করা হয়েছে। এক্ষণে উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি? - -নূরে আলম ছিদ্দীকী, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : আল্লাহ কুরআনকে ‘শিফা’ বা আরোগ্য বলেছেন। এক্ষণে দ্রুত কল্যাণ লাভের জন্য কুরআনের বিভিন্ন আয়াত যেমন ‘রবিব ইন্নী বিমা আনঝালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাক্বীর’ ৪০ বার, পাগলামী থেকে আরোগ্যের জন্য ‘ইন্নাকা লামিনাল মুরসালীন’ ১৩১ বার ইত্যাদি পাঠ করা যাবে কি? - -আবু তালেব, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৪/৪৪৪) : সূর্য হেলে যাওয়ার পরপরই যে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করা হয় হাদীছের পরিভাষায় ঐ ছালাতের নাম কি? এই ছালাত আদায় করলে যোহরের পূর্বের চার রাক‘আত সুন্নাত ছালাতের হক আদায় হয়ে যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/১৩৬) : জাপানে অনেক প্রবাসী ভাইকে দেখা যায় জাল কাবিননামা, শিক্ষা সনদ, সন্তান জন্মসনদ ইত্যাদি বানিয়ে সেদেশের নানা রকম সরকারী সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। এটা কতটুকু হালাল হচ্ছে? এভাবে জালিয়াতির আশ্রয় কুফল সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৬/৫৬) : বয়স ও অসুস্থতার কারণে যদি কাতারের মধ্যখানে চেয়ার নিয়ে দাঁড়ান তবে চেয়ারটি পিছনের কাতারে চলে যাওয়ায় পিছনের মুছল্লীদের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে তাদের জন্য করণীয় কি হবে? তারা কি কাতার সোজা রাখতে বসেই ছালাত আদায় করবেন, যাতে চেয়ার পিছনের কাতারে না ঠেলে দিতে হয়? - -আব্দুর রহমান, সোনাবাড়িয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (২৬/২২৬) : আর-রাহীকুল মাখতূম গ্রন্থের ২৬৭ পৃঃ বলা হয়েছে, ‘আমার পূর্বে এমন এক যুবককে নবী হিসাবে পাঠানো হয়েছে যার উম্মতের সংখ্যা আমার উম্মতের তুলনায় অধিক হবে’। এখানে যুবক বলে কোন নবীকে বুঝানো হয়েছে?
প্রশ্ন (৩০/২৭০) : মূসা (আঃ)-এর লাঠি কি তার নিজস্ব ব্যবহৃত লাঠি ছিল? না আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল?
প্রশ্ন (১৮/৪১৮) : কেউ যদি নিজ স্ত্রীর বোনকে কামনার সাথে স্পর্শ করে বা তার দিকে দৃষ্টিপাত করে তাহ’লে তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যায়- একথার কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৮/৫৮) : মৃত ব্যক্তির সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করার যে রীতি সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তা শরী‘আতসম্মত কি? - -ফারূক হোসাইন, মান্দা, নওগাঁ।
আরও
আরও
.