উত্তর:
উক্ত হাদীছটি কোন দ্বীনী কারণ ব্যতীত পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নতার ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য। কিন্তু দ্বীনের ত্রুটির কারণে শিক্ষা দেয়ার স্বার্থে সম্পর্ক
ছিন্ন করা যাবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাবুকের যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে থাকা
তিন ব্যক্তির সাথে পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে রেখেছিলেন (বুখারী হা/৪৪১৮; মুসলিম হা/৭১৯২)। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) তাঁর ছেলে বেলালের সাথে হাদীছ প্রত্যাখ্যান করার কারণে আজীবন কথা বন্ধ রেখেছিলেন (মুসলিম হা/১০১৭, মিশকাত হা/১০৮৪; সনদ ছহীহ, আহমাদ হা/৪৯৩৩)।
তবে সাক্ষাতে অবশ্যই সালাম ও কুশল বিনিময় এবং সম্ভবপর উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা
করতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে ঐ ব্যক্তি বিদ‘আত ছেড়েও দিতে পারে। ইসলাম
সর্বদা মানবীয় সম্পর্ককে উজ্জীবিত করে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা
মানুষকে সুসংবাদ দাও, তাড়িয়ে দিও না। মধ্যপন্থী হও ও আল্লাহর নৈকট্য
অনুসন্ধান কর’ (বুখারী হা/৩৯, ৬৯)।