উত্তর : লুঙ্গি ও পায়জামা দু’টোই পরা জায়েয। তবে শর্ত হ’ল তা ঢিলাঢালা ও সতর আবৃতকারী হ’তে হবে (ফাৎহুল বারী ১০/২৭২)। আর রাসূল (ছাঃ) নিজের জন্য পায়জামা ক্রয় করেছেন এবং ছাহাবীদের ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন (নাসাঈ হা/৪৫৯২; ইবনু মাজাহ হা/২২২০)।
একবার ছাহাবীগণ আহলে কিতাবদের পায়জামা পরিধান করার কথা উল্লেখ করলে রাসূল
(ছাঃ) বলেন, তোমরা পায়জামা পর এবং লুঙ্গি পর। আর আহলে কিতাবদের বিরোধিতা কর
(আহমাদ হা/২২৩৩৭, সনদ ছহীহ)। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, আমার নিকট পায়জামা অধিকতর পসন্দনীয়। কারণ এটি পর্দার জন্য অধিক সহায়ক। যদিও লুঙ্গি অধিকাংশ লোকের পোষাক (ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ২/৩৮৯)।
উল্লেখ্য, ‘আমি সফরে, বাড়িতে, দিনে-রাতে পায়জামা পরিধান করি। আল্লাহ আমাকে
পর্দা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর পায়জামায় অধিক পর্দা রয়েছে’- মর্মে রাসূল
(ছাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছটি জাল ও মুনকার (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৬৫৯৪; আলবানী, যঈফাহ হা/৮৯)।
রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী ইহূদী-নাছারাদের ও মুশরিকদের বিপরীত পোষাক পরা আবশ্যক। দ্বিতীয়তঃ যে অঞ্চলে যে পোষাকটি সুন্দর হিসাবে বিবেচিত, সেটাই পরিধান করা উত্তম। তিনি বলেন, আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্যকে পসন্দ করেন (মুসলিম হা/৯১)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ছালাতের সময় সর্বোত্তম পোষাক পরিধান কর’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। বাংলাদেশে পায়জামা উত্তম পোষাক হিসাবে বিবেচিত এবং লুঙ্গি সাধারণ পোষাক হিসাবে গণ্য। অতএব এদেশে পায়জামা পরাই উত্তম।