ভূমিকা : পৃথিবীর সবকিছুর চাইতে এমনকি নিজের, নিজ পরিবারের ও সন্তান-সন্ততির চাইতেও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সর্বাধিক ভালবাসা প্রত্যেক মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য। আর রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসার দাবী হ’ল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল প্রদত্ত সকল বাণী ও বিধানকে মেনে নেওয়
দুনিয়াতে মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আমাদের আদি পিতা-মাতা আদম ও হাওয়া (আঃ)। তাঁদের থেকেই দুনিয়াতে মানুষ বিস্তার লাভ করেছে (নিসা ৪/১)। সে হিসাবে পৃথিবীর সকল মানুষ ভাই ভাই। আদর্শিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে মুসলমানরা ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধর (হজ্জ ২২/৭৮)। স
উত্তর : ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল’-অংশটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। ইবরাহীম (আঃ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হ’লে এবং রাসূল (ছাঃ) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দো‘আটি পাঠ করেন (বুখারী হা/৪৫৬৩; আলে ইমরান ৩/১৭৩)। অন্যত্র
মানব জীবনে পারিবারিক বন্ধন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বামী ও স্ত্রীর মাধ্যমে এই পরিবার গড়ে ওঠে। বিবাহের মাধ্যমেই এ সম্পর্কের সূত্রপাত। আবার কখনো যদি সম্পর্কের টানাপোড়নে একত্রে বসবাস সম্ভব না হয়, তাহ’লে তালাকের মাধ্যমেই তার পরিসমাপ্তি ঘটে। তাই তা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।দাড়ি পুরুষের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দাড়ি রাখার যেমন দুনিয়াবী উপকারিতা রয়েছে তেমনি এটি রেখে সুন্নাত পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর লক্ষ লক্ষ ছাহাবীর কেউ দাড়ি মুন্ডন বা শেভ ক
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُوا إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا- وَاخْفِضْ لَهُمَ
উত্তর : পরহেযগার ও সত্যবাদী মানুষের স্বপ্ন সত্য হ’তে পারে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হবে, তখন (খাঁটি) মুসলিমের অধিকাংশ স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের মধ্যকার অধিক সত্যবাদী লোক সর্বাধিক সত্য স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। তিনি
উত্তর : উক্ত মর্মে হাদীছটি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়নি (যঈফাহ হা/৫২৮৬)। তবে সূরা তওবার শেষ আয়াত ও গুরুত্বপূর্ণ দো‘আ হওয়ায় তা সংখ্যা নির্দিষ্ট না করে পাঠ করা যেতে পারে (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ২/৩৭,৩৪২; বিন বায, মাজমূ‘ ফা
সূচনা : করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু। প্রশংসার মালিক কেবলই তিনি। অনুকম্পা ও শান্তি বর্ষিত হোক তার রাসূল, মানবজাতির মহান শিক্ষক মুহাম্মাদ (ছাঃ) এবং তাঁর পরিবার ও ছাহাবীদের উপর। শিক্ষকতাকে একটি মহৎ ও মানবিক পেশা হিসাবে গণ্য করা হ’লেও শিক্ষণ-
উত্তর : গৃহ পালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম। তবে বন্য গাধার গোশত খাওয়া হালাল। ঘোড়ার গোশত খাওয়া হালাল। জাবের (রাঃ) বলেন, খায়বারের যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ) গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/৫৫২০; মিশকাত হা/৪১০৭)।
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ : جَاءَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ، عِشْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ، وَأَحْبِبْ مَنْ أَحْبَبْتَ فَإِنَّكَ مَفَارِقُهُ، وَاعْمَلْ مَا شِ
ভূমিকা :হজ্জ ইসলামের অন্যতম রুকন ও ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। এটি একটি ফরয ইবাদত। যা সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের উপর ফরয। এর গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমনি ফযীলতও সীমাহীন। পৃথিবীতে যত নেক আমল রয়েছে তন্মধ্যে হজ্জ শ্রেষ্ঠতম। রাসূল (ছাঃ) অন্য সকল আমলের উপর হজ্জ
ভূমিকা :মহান আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। এই প্রচার ও প্রসারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দাওয়াত। সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে দাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তা‘আলার দ্ব্যর্থহীন
ভূমিকা : পবিত্র কুরআন একটি চিরন্তন, শাশ্বত, মহাগ্রন্থ ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। এটি মহাসত্যের সন্ধানদাতা, সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক ইলাহী কিতাব। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য জ্ঞান ও হেদায়াত লাভের উৎসমূল। রাসূল (ছাঃ) বলেন,عَلَي
যিনি শিক্ষা দান করেন, তিনিই শিক্ষক। কিন্তু সবাই আদর্শ শিক্ষক হন না। একজন আদর্শ শিক্ষকের মাঝে কি কি মৌলিক গুণাবলী থাকা দরকার সেটাই আলোচ্য নিবন্ধে উপস্থাপন করা হ’ল।-আদর্শ শিক্ষকের পরিচয় :শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিত মানুষকে আমরা শিক্ষক বলে জানি। আন
ভূমিকা : বৃক্ষ ও প্রাণীকুল একে অপরের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণীদের বেঁচে থাকার প্রধান ও মূল উপকরণ হ’ল অক্সিজেন, যা বৃক্ষ থেকেই উৎপন্ন ও নির্গত হয়। প্রত্যেক নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে প্রাণীজগৎ কার্বনডাই অক্সাইড বর্জন করে। এটি এক ধরনের বিষাক্ত পদার্
পর্ব ১ । শেষ পর্ব । একে অন্যের প্রতি ভালবাসা একটি স্বভাবজাত বিষয়। মানুষ নিজের প্রয়োজনে, ভবিষ্যতে কারো সাহায্য পাওয়ার জন্য, অতীতে কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার কারণে একে অপরকে ভালবেসে থাকে। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার কোন স্বার্
ভূমিকা :মহান আল্লাহর নিকট ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন (আলে ইমরান ১৯)। আর এই দ্বীনে মহান আল্লাহ নারীর মর্যাদাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। নর-নারীর সমন্বয়েই মানব জাতি। নারী জাতি হ’ল মহান আল্লাহর এক বিশেষ নে‘মত। আল্লাহ তা‘আলা নারীকে পুরুষের জীবন সঙ্গিনী হিসা
উত্তরঃ যিনা বিভিন্ন প্রকার হ’তে পারে। নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যৌনাঙ্গের যিনা বলে। এছাড়া চোখের যেনা হচ্ছে মাহরাম ব্যতীত অন্য মহিলার দিকে কামনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। মুখের বা জিহবার যেনা হচ্ছে কামভাবে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে এ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে একমাত্র তাঁরই ইবাদতের নিমিত্তে সৃষ্টি করেছেন (যারিয়াত ৫৬)। যুগে যুগে তিনি অসংখ্য নবী ও রাসূলকে প্রেরণ করেছেন, কিতাবসমূহ অবতরণ করেছেন যাতে মানবজাতি তাঁর স্পষ্ট পরিচয় লাভ করতে সক্ষম হয় এবং তাঁর ইবাদ
১০ম হিজরী সনে রাসূল (ছাঃ)-এর বিদায় হজ্জ অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষাধিক ছাহাবী উপস্থিত ছিলেন। যে কোন আদর্শিক নেতার জীবনের সর্বশেষ কর্মী সম্মেলনে দেওয়া ভাষণ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) কেবল নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন শেষনবী ও ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদ নির্মাণের ফযীলত : ইসলামে মসজিদ নির্মাণের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন- (১) মসজিদ নির্মাণ নবীদের কাজ : নবী
ইসলাম একটি শাশ্বত, সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ জীনব ব্যবস্থা। সৃষ্টি জগতে এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যেখানে ইসলাম নিখুঁত ও স্বচ্ছ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেনি। মহান আল্লাহ বলেন, مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ‘আমরা এ কিতাবে কোন কিছুই অবর্ণিত রাখিনি’
রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসায় ছাহাবায়ে কেরামের অনন্য দৃষ্টান্ত(১) হিজরতের সময়কার ঘটনা : মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের প্রাক্কালে আবুবকর (রাঃ) সঙ্গী হওয়ার আবেদন করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لاَ تَعْجَلْ، لَعَلَّ اللهَ يَجْعَلُ لَكَ صَاحِبًا- ‘ব্যস্ত হয়ো না। অবশ্
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : لاَ تَبَاغَضُوْا وَلاَ تَحَاسَدُوْا وَلاَ تَدَابَرُوْا وَلاَ تَقَاطَعُوْا وَكُوْنُوْا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا، رواه البخاري-অনুবাদ : হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলু
আভিধানিক অর্থে ‘খারেজী’ শব্দটি আরবী ‘খুরূজ’ (الخروج) শব্দ হ’তে নির্গত, যার অর্থ ‘বের হওয়া বা বেরিয়ে যাওয়া’। বহুবচনে ‘খাওয়ারিজ’ ব্যবহৃত হয়। পারিভাষিক অর্থে শাহরাস্তানী (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ) এর মতে খারেজী হ’ল- ‘প্রত্যেক এমন ব্যক্তি যে এমন হক ইমামের (শাসক) বিরু
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মানুষ পরস্পর একতাবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বাড়ীর পাশাপাশি বসবাসকারী আত্মীয় বা অনাত্মীয় লোকজনই প্রতিবেশী। মানুষের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে এরাই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসে এবং সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করে। কাজেই এই প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُوْنَ- (سورت الحجرات ১৫)-‘প্রকৃত মুমিন তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
উপক্রমণিকা : অন্যান্য মহৎ গুণের পাশাপাশি একজন মুসলিমকে যে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা হ’ল মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। সুধারণা সমাজে কল্যাণ বয়ে আনে, ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখে। সুচিন্তা-সুধারণা আমাদেরকে বিবেকবান উন্নত মানুষে পরিণত করে। প্রত
إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوا عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ- (الأعراف 40)-‘নিশ্চয়ই যারা আমাদের আয়া
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির মানুষ ছিলেন; নূরের তৈরী নন। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) ‘তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র। (পার্থক্য হ’ল) আমার নিকট ‘অহি’ করা হয় ...’ (কাহ্ফ ১৮/১১০)। এটা কেবল আমাদের নবীই নন, বরং বিগত সকল নবীই স্
عَن أبي هُرَيْرَةَ قَالَ : بَيْنَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُ إِذْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ : مَتَى السَّاعَةُ؟ قَالَ : إِذَا ضُيِّعَتِ الْأَمَانَةُ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ. قَالَ : كَيْفَ إِضَاعَتُهَا؟ قَالَ : إِذَ
উত্তরঃ কুরআনের মোট আয়াত সংখ্যা কত সে সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যায় না। এ জন্য আয়াত সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। কেউ হয়ত কোন এক আয়াতকে দু’আয়াত হিসাবে গণনা করেছেন আবার কেউ এক আয়াত হিসাবে গণ্য করেছেন। আয়াতের সংখ্যা যায় হোক
ভূমিকা :ইসলামী অর্থব্যবস্থা স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত। যা মানুষকে সৎ পথে জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য পথনির্দেশ করে। এ অর্থ ব্যবস্থায় সম্পদের মালিকানা একমাত্র আল্লাহর। মানুষ তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে সম্পদের আমানতদার। এক্ষেত্রে সম্পদ উপার্জন, উৎপাদন ও
উত্তর : আল্লাহ বলেন, জন্মদাত্রী মাতাগণ তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধপানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায় (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। অর্থাৎ পূর্ণ দুই বছর শিশুর শরীর গঠনে মায়ের দুধ যরূরী। তবে এরপরেও যদি মা শিশুর কল্যাণের জন্য দুধ পান করায়
উত্তর : ‘গাযওয়াতুল হিন্দ’ নামে এক যুদ্ধের বর্ণনা বিভিন্ন হাদীছে রয়েছে, যার মধ্যে একটিমাত্র ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের দু’টি দল রয়েছে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে
উত্তরঃ গান শোনা হারাম। গান শুনলে কাবীরা গুনাহ হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা গান-বাজনা খেল-তামাশা ক্রয় করে... তদের জন্য অপমানজনক শাস্তি রয়েছে’ (লুক্বমান ৬)। নবী করীম (ছাঃ) গান-বাজনা নিষিদ্ধ করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৬৫২)। নবী করীম (ছাঃ) গান-বা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ঈমান ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ঈমান ব্যতীত মানুষ তার কোন সৎ আমলের প্রতিদান পরকালে লাভ করতে পারবে না। আবার ঈমানহীন মানুষ জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে চিরকাল। তাই ঈমানকে ইসলামের ম
কপটতা মানব মনের এক দুষ্টু ক্ষত। এর ফলে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কখনো এর ফলে নিরপরাধ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুনাফিক্ব সরদার আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনে সুলূলের মুনাফিক্বীর শিকার হয়েছিলেন নবীপত্নী নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারিণী মা আয়েশা (রাঃ)। যে কার
বিনয় ও নম্রতা মানুষের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বিনয় মানুষকে উচ্চাসনে সমাসীন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করতে সহায়তা করে। বিনয়ীকে মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। যে যত বেশী বিনয়ী ও নম্র হয় সে তত বেশী উন্নতি লাভ করতে পারে। এ পৃথিবীতে যারা
উত্তর : মুহাম্মাদ (ছাঃ) মোহরানা স্বরূপ খাদীজা (রাঃ)-কে বিবাহের মোহর স্বরূপ ২০টি উট প্রদান করেন। এ সময় খাদীজা ছিলেন মক্কার শ্রেষ্ঠ ধনী ও সম্ভ্রান্ত মহিলা এবং সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারিণী হিসাবে ‘তাহেরা’ (পবিত্রা) নামে খ্যাত। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০ এবং মু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানব সমাজের ভিত্তি পরিবার। স্বামী-স্ত্রীকে কেন্দ্র করে যা শুরু হয়। আদম-হাওয়া (আঃ)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম মানব পরিবার গড়ে ওঠে। সৃষ্টির স
ঢাকা :হাদীছ ফাউণ্ডেশন বই বিক্রয় কেন্দ্র, ২২০ বংশাল, মোবাইল : ০১৮৩৫-৪২৩৪১১প্রগ্রেসিভ লাইব্রেরী, বাংলাবাজার, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭৮৪ ০১২৯৬৪আনোয়ার হোসেন, আনোয়ার বুক ডিপো, ৫০, বাংলাবাজার, মোবাইল : ০১৯২৪-৭৩৩৮১৫মীযানুর রহমান, মুহাম্মাদপুর, মোবাইল : ০১৭৩৬-৭০০২
ভূমিকা : হালাল জীবিকা উপার্জন করা ইসলামে অত্যাবশ্যকীয়। হালাল জীবিকা আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম উপায়। পক্ষান্তরে হারাম উপার্জনে মানবজাতির ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত প্রশান্তি দূরীভূত হয়। ফলে কারূণী অর্থনীতির ধনকুবেররা টাকার বিছানা-বালিশে শয়ন করেও অশা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।দুনিয়ার মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে যেসব নবী-রাসূলকে প্রেরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল।[1] আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সমগ্র বিশে^র জন্য রহমত করে পাঠিয়েছেন (আম্বিয়া ২১/১০৭)। ত
ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-এ অংশগ্রহণের জন্য https://amis.edu.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পুরণ করুন!প্রসপেক্টাস ও সিলেবাস উক্ত ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করুন!মাদ্রাসা সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী দেশের অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি ঐতিহ্যবাহ
ভূমিকা :ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ’ল ছালাত। সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণকে হৃদয়ে জাগ্রত রাখার প্রক্রিয়া হিসাবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। ছালাত এমন একটি ইবাদত, কালেমায়ে শাহাদতের পরেই যার স্থান। কেউ মুসলম
ভূমিকা : মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর পৃথিবী হচ্ছে কষ্ট-ক্লেশের স্থান। কষ্টের অন্যতম দিক হ’ল রোগ-ব্যাধি। মানব জীবনে রোগ-শোক নিত্যকার ঘটনা। রোগ এমন এক ভয়াবহ জিনিস, যাতে আক্রান্ত হয়ে অহংকারী ব্যক্তিও শক্তিহীন হয়ে পড়ে। এ
উত্তর : হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম (বাক্বারা ২/২২২)। ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কেউ করে, তবে তাকে খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে এবং কাফফারা স্বরূপ এক দীনার বা অর্ধ দীনার গরীব-মিসকীনকে দান করতে হবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ হা/২৬৪; ইরওয়া হা/১৯৭; মিশকাত হা/৫৫৩)।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। একে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া মানুষ একদিনও চলতে পারে না। তাই সামাজিক জীবনে পরস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম সমাজকল্যাণমূলক ধর্ম। মানব কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ ইসলামের
জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করা এবং সম্পদ ভোগ করার অনুমতি ও নির্দেশ প্রত্যেক ধর্ম ও সভ্যতায় রয়েছে। কিন্তু অন্য কোন ধর্ম বা সভ্যতায় ইসলামের মত আয়-ব্যয়কে নিয়ম-নীতির ফ্রেমে আবদ্ধ করা হয়নি। ইসলাম একদিকে যেমন হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জনের নির্দেশ
উত্তর : যেকোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য জান্নাতের উঁচু মাকাম কামনা করা যায়। আর জান্নাতের উঁচু মাকাম হ’ল জান্নাতুল ফেরদাউস। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে, তখন জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করবে। কারণ তা জান্নাতের মধ্
উত্তর : এ বিষয়ে আবুদাঊদের আরবী ভাষ্যকার শামসুল হক আযীমাবাদী বলেন, কোন কোন বিদ্বান রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতাকে জীবিতকরণ, ঈমান আনয়ন ও নাজাত প্রাপ্তি সম্পর্কে কিছু দলীল পেশ করার চেষ্টা করেছেন, যার অধিকাংশই মুহাদ্দিছ ওলামায়ে কেরামের নিকটে মিথ্যা ও
উত্তর : তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলা যায়- কথাটি সত্য। সে তিনটি ক্ষেত্র হ’ল- দু’ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসার জন্য, (২) যুদ্ধক্ষেত্রে, (৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের নিকট (আবুদাঊদ হা/৪৯২১; তিরমিযী হা/১৯৩৭; মিশকাত হা/৫০৩১, ৫০৩৩; ছহীহাহ হা/৫৪৫)। এছাড়া কল্যাণকর ক
উত্তর : ৩৫ হিজরীর যিলহজ্জ মাসে ওছমান (রাঃ) বিদ্রোহীদের হাতে শাহাদত বরণ করলে লোকেরা আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করে। বিদ্রোহীরাও আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত নেয়। আলী (রাঃ) প্রথমে রাষ্ট্রীয় শৃংখলা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনায় এবং বিদ্রোহীদের সংখ্যাধিক্যের কা
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাঃ)-কে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন (ছাফফাত ৩৭/৯, ফাতহ ৪৮/২৮)। তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ
উত্তর : সর্বপ্রথম অবতীর্ণ আয়াত হ’ল সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত- (১) ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’ (২) ‘সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে’ (৩) ‘পড় এবং তোমার প্রভু বড়ই দয়ালু’ (৪) ‘যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দান করেছেন’ (৫) ‘তি
উত্তর : জান্নাত একটি। এর দরজা ৮টি (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৭)। যেমন রাইয়ান, আদন, জান্নাতুল ফেরদাউস ইত্যাদি। জাহান্নাম একটি। যার দরজা ৭টি (হিজর ১৫/৪৩)। যেমন হুত্বামাহ, সাঈর, সাক্বার ইত্যাদি।
হিজামা (حِجَامَة) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়।
উত্তর : বান্দার হক বিনষ্টকারীগণ ক্বিয়ামতের দিন সর্বাধিক অসহায় ও নিঃস্ব হিসাবে গণ্য হবে। তাদের ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ ও অন্যান্য ইবাদত কবুল হবে। তবে তার ইবাদতগুলোর ছওয়াব যেসব মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (ছা
(১১০ كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللهِ، (آل عمرانঅনুবাদ : ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, যাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে মানবজাতির কল্যাণের জন্য। তোমর
ভূমিকা :আল্লাহ রাববুল আলামীন যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন মানবজাতিকে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ প্রদর্শনের জন্য। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাধ্যমে যার ধারাবাহিকতা শেষ হয়েছে। অতঃপর যুগের পরম্পরায় নবীগণের উত্তরাধিকার হিসাবে ওল
উত্তর : কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে পঠিতব্য কোন দো‘আ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। সুতরাং কেবল বিসমিল্লাহ বলাই যথেষ্ট (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৮/৯২)। এ সময় ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম ওয়া ফীহা নু‘ঈদুকুম ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তা-রাতান উখরা’ (ত্বোয়াহা ২০/৫৫) পড়ার ব্যাপারে বর
(৩য় কিস্তি) প্রশ্ন : ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’-এর ব্যাখ্যা কি? উত্তর : أهل السنة শব্দটি مركب বা যৌগিক শব্দ। যার একটি أهل (আহল), অপরটি السنة (আস-সুন্নাহ)।أهل শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল صاحب বা মালিক, অধিকারী, ওয়ালা ইত্যাদি। আর السنة শব্দটি একব
মাসিক আত-তাহরীক ১৯৯৭ থেকে ২০১৯ pdf download মাসিক আত-তাহরীক ১ম বর্ষ ক্র. বর্ষ সংখ্যা মাস বছর read download ০১ ১ম
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ- إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاء فِي
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার এবং একে অাঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ এমন কাজ না করে, যা তাকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। এ ব্যাপারে দাওয়াত দেওয়ার জন্যই আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা‘
উত্তর : ‘আযল’ হ’ল, স্ত্রীমিলনের সময় বাইরে বীর্যপাত করা। যার উদ্দেশ্য স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা। শারীরিক অসুস্থতা অথবা দুই সন্তানের মাঝে প্রয়োজনীয় ব্যবধান রাখার ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে আযল করা শরী‘আতে বৈধ। জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি কৌ
পৃথিবীতে মানবজাতি মহান আল্লাহ তা‘আলার এক অনন্য সৃষ্টি। শ্রেষ্ঠ কাজ করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। মহাজ্ঞানী আল্লাহ তাঁর একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেন। অতঃপর শ্রেষ্ঠত্বের এক সম্মানজনক আনুষ্ঠানিকতা পালনের ইচ্ছ
উত্তর : যারা সম্মানার্থে দাঁড়ানোর পক্ষে মতামত পেশ করেন, তারা সা‘দ ইবনু মু‘আযের উক্ত হাদীছটি দলীল হিসাবে পেশ করে থাকেন। তারা উক্ত হাদীছের শেষ অংশ قُوْمُوْا إِلَى سَيِّدِكُمْ -এর অর্থ করেন, ‘তোমরা তোমাদের নেতার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাও’। উ
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও ছহীহ হাদীছ সমূহে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে। যেমন আল্লাহর চেহারা (আর-রহমান ২৭), তাঁর দুই হাত (ছোয়াদ ৭৫; মায়েদাহ ৬৪), তাঁর চোখ (তূর ৪৮) আছে বলে কুরআন মজীদে উল্লেখিত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছে এসেছে, আল
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا- وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا- (الشمس 9-10)‘সফল হয় সেই ব্যক্তি যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে’। ‘এবং ব্যর্থ হয় সেই ব্যক্তি যে তার আত্মাকে কলুষিত করে’ (শাম্স ৯১/৯-১০)।ইতিপূর্বে বর্ণিত সূর্য, চন্দ্র, দিবস, রাত্রি, আকাশ, পৃথিবী
উত্তর : পবিত্র কুরআনে সিজদার আয়াত সমূহ ১৫টি। যথা : আ‘রাফ ২০৬, রা‘দ ১৫, নাহ্ল ৫০, ইস্রা/বনু ইস্রাঈল ১০৯, মারিয়াম ৫৮, হজ্জ ১৮, ৭৭, ফুরক্বান ৬০, নমল ২৬, সাজদাহ ১৫, ছোয়াদ ২৪, ফুছছিলাত/হামীম সাজদাহ ৩৮, নাজম ৬২, ইনশিক্বাক্ব ২১, ‘আলাক্ব ১৯ (দারাকুৎন
ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাধ্যমে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি মুমিনদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন পরিপূর্ণভাবে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করতে এবং নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন অন্য দ্বীন অন্বেষণ করতে। সুতরাং কোন মুমিনের সুয
ভূমিকা :গীবত একটি ভয়াবহ পাপ। সমাজে যেসব পাপের প্রচলন সবচেয়ে বেশী তন্মধ্যে গীবত অন্যতম। এই পাপটি নীরব ঘাতকের মতো। বান্দার অজান্তেই এটা তার নেকীর ভান্ডার নিঃশেষ করে দেয় এবং তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে ছাড়ে। এটি চুরি-ডাকাতি, সূদ-ঘুষ, যিনা-ব্যভিচা
যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি মানুষকে আশরাফুল মাখলূকাত বা সৃষ্টির সেরা করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি মানব জাতিকে একে অপরের কল্যাণ সাধনের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং সর্
ধূমপান একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপদজনক অভ্যাস। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতকর’। তারপরও অনেকেই দেদার
মসজিদ আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক প্রিয় স্থান।[1] সেখানে কেবল তাঁরই ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلاَ تَدْعُوا مَعَ اللهِ أَحَدًا- ‘আর মসজিদগুলো কেবলমাত্র আল্লাহরই জন্য, কাজেই তোমরা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে ডেক ন
ভূমিকা :ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন বেঁচে থাকে। বিশ্বের দিগ্দিগন্তে ইসলামের অমিয় বাণী পৌঁছিয়ে দেওয়ার পিছনে আল্লাহর ত্যাগী বান্দাদের অবদান অনস্বীকার্য। নবী-রাসূল এবং তাদের সনিষ্ঠ অনুসারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় চিরভাস্বর হয়ে আছে। তারা
উপস্থাপনা : মৃত্যু অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)। তিনি আরো বলেন, ‘কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং জানে না কোন্ মাটিতে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সকল বিষয়ে
আল্লাহ তা‘আলা কিছু মাস, দিন ও রাতকে ফযীলতপূর্ণ করেছেন। যেমন রামাযান মাসকে অন্য সকল মাসের উপর মহিমান্বিত করেছেন। আরাফাতের দিন ও ঈদের দিনকে অন্য দিনের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্বদরের রাতকে অন্যান্য রাতের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত করেছেন। আসন্ন যিলহজ্জ মাস অনুর
মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদবকে ইসলামের সারবস্ত্ত বললেও হয়তো অত্যুক্তি হবে না। আদর্শ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তম চরিত্র, ভাল ব্যবহার ও সুসভ্য জাতি গঠনের সর্বোত্তম উপায় ও উপকরণ রয়েছে পবিত্র
উত্তর : দো‘আ ইউনুস দ্বারা ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। কারণ দো‘আ দুই প্রকার-প্রশংসা মূলক ও প্রার্থনা মূলক। আর দো‘আ ইউনুসের মধ্যে দু’টোই রয়েছে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/২৪৪)। যেমন আল্লাহ বলেন, অতঃপর সে (মাছের পেটে) ঘন অন্ধকা
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। তবে স্ত্রী যেকোন সময়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকার রাখে। যাকে শরী‘আতে ‘খোলা’ বলে। এ সময় স্ত্রী তার মোহরানা স্বামীকে ফেরৎ দিবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাবেত ইবনু ক্বায়েস
উত্তর : নবী ও রাসূল দু’টি শব্দের অর্থই বার্তাবাহক। তারা সকলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বাণী প্রচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এক্ষণে উভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় সূরা হজ্জের ৫২ আয়াতে। তবে সে পার্থক্যের স্বরূপ নিয়ে মতভে
উত্তর : আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করাকে শিরক বলা হয়। সেটা একক স্রষ্টার মর্যাদার সাথে হোক, তাঁর গুণাবলী ও তাঁর ইবাদত সমূহের সাথে হোক। এমনটিা মনে করা যে আল্লাহ ছাড়া অন্যরাও আহারদাতা, জীবন ও মৃত্যর মালিক, ধনদৌলত, সন্তানাদী, উপকার অপকারের ক্ষম
পৃথিবীর প্রতিটি গৃহে প্রত্যেক ব্যক্তি সন্তান কামনা করে। সন্তানের উপস্থিতি যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি গৃহের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। তাই যে গৃহে নিষ্পাপ শিশুর কল-কাকলি থাকে না, সে গৃহের শোভা ও সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। শিশুর শোভা ও সৌন্দর্য সম্পর্ক
আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নব নব আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ সভ্যতার চরম উৎকর্ষ সাধন করেছে। বিজ্ঞানের প্রসার ও বিকাশ ঘটিয়ে অনেক অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞান মানব জীবন থেকে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, ভোগান্তি দূর করে জীবনকে করেছে সহজ-সাব
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সালমান আল-ফারেসী (রাঃ) নিজে তাঁর কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি একজন পারসিক ছিলাম। আমার জন্মস্থান ছিল ইস্পাহানের অন্তর্ভুক্ত ‘জাই’ নামক গ্রাম। পিতা ছিলেন গ্রামের সর্দার। আর আমি তাঁর নিকট
উত্তর : হ্যাঁ প্রমাণিত। যেমন আল্লাহ বলেন, (১) আল্লাহ মুমিনদেরকে দৃঢ় বাক্য দ্বারা দৃঢ় রাখেন ইহজীবনে ও পরজীবনে (ইবরাহীম ১৪/২৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে কবরের আযাব বিষয়ে। যখন তাকে বলা হবে, তোমার প্রতিপালক কে? সে বলবে, আমার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।স্বামীর নিকটে স্ত্রীর অধিকার : স্বামীর কাছে স্ত্রীর কিছু হক বা অধিকার আছে, যেগুলি আদায় করা স্বামীর জন্য অবশ্য কর
সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- তাদেরকে আর্দশ সন্তান হিসাবে গড়ে তোলা। আর ছেলে-মেয়েকে শিক্ষিত ও আদর্শবান করে গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্য হবে তাদেরকে জাহান্নাম হ’তে রক্ষা করা। মহান আল্লাহ বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا قُ
মহান আল্লাহ মানুষকে জ্ঞানহীন অবস্থায় মায়ের পেট থেকে বের করেছেন (নাহল ১৬/৭৮)। অতঃপর তাকে অল্প ইল্ম দান করা হয়েছে’ (ইসরা ১৭/৮৫)। মানুষের জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম। দুনিয়াতে অনেক ইলম রয়েছে, যা সবার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। তবে দ্বীনি ইল
উত্তর : রুচি হ’লে কচ্ছপ খেতে পারে। কারণ কচ্ছপ জলজ প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কল্যাণার্থে তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৯৬)। আয়াতটির ব্যাখ্যায় হাসান বছরী বলেন, কচ্ছপে কোন দোষ নেই (বুখারী, ত
বর্তমান পৃথিবীতে যত জটিল ও মারাত্মক সমস্যা রয়েছে, তন্মধ্যে মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তি হ’ল সবকিছুর শীর্ষে। যুদ্ধবিগ্রহের চেয়েও এটা ভয়ংকর। কারণ কোন যুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতি-গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে চাইলেও একেবারে তা নির্মূল করা সম্ভব নয়; যা কিনা মাদকতার মাধ্য
উত্তর : হযরত শীছ (আঃ) আদম (আঃ)-এর তৃতীয় পুত্র সন্তান। হাবীলের মৃত্যুর পর আল্লাহ তা‘আলা শীছ (আঃ)-কে (যমজের বদলে) একক সন্তান হিসাবে দান করেন। সেজন্য তার নাম রাখা হয় শীছ। অর্থ আল্লাহর দান। তাঁর বংশধারায় আজকের পৃথিবীর সকল মানুষ বলে একদল বিদ্বান ম
উত্তর : কবুলযোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ্। একই পাপ একাধিক বার করা বড় অন্যায়। তবে তা তওবা কবুলের জন্য প্রতিবন্ধক নয়। যেমন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘এক বান্দা গুনাহ করল। তারপর সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো গুনাহ করে ফেলেছি। তাই আমার গুনাহ মাফ করে দা
ভূমিকা :মানব জীবনে ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কেননা আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে ইহকালীন জীবন যেমন সুন্দর ও সুচারুরূপে পরিচালিত হয়, পরকালীন জীবন তেমনি মঙ্গলময় হয়। আবার ইবাদত না করলে যেমন আল্লাহর
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ اللهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ الْعِبَادِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يُبْق
উত্তর : মুক্বীম অবস্থায় ভাগে কুরবানী করার কোন বিধান নেই। বরং একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই যথেষ্ট। তবে সামর্থ্য থাকলে একাধিক পশুও কুরবানী করতে পারবে। সফর অবস্থায় ভাগা কুরবানী করা সম্পর্কে ছহীহ দলীল রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং ইবাদতের যাবতীয় নিয়ম-পদ্ধতি অহী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন, যা কুরআন ও
উত্তর : হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘এক রাত্রিতে আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বিছানায় না পেয়ে আমার হাত দিয়ে খুঁজতে থাকলাম। অতঃপর আমার হাত তাঁর দু’পায়ের উপর পতিত হয়। তখন তিনি সিজদারত ছিলেন এবং তাঁর পা দু’টি খাঁড়া ছিল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৩,
উত্তর : সোলায়মান (আঃ)-এর স্ত্রীদের সংখ্যার ব্যাপারে ছহীহ হাদীছ সমূহে ৬০, ৭০, ৯০, ১০০ জন বলে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে (বুখারী হা/২৮১৯, ৩৪২৪, ৫২৪২, ৬৬৩৯, ৭৪৬৯; মুসলিম হা/১৬৫৪; মিশকাত হা/৫৭২০)। ইমাম বুখারী (রহঃ) উপরোক্ত সকল সংখ্যাই উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি
عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الأَنْصَارِىِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلاَ فِى غَنَمٍ بِأَفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ الْمَرْءِ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينِهِ-হযরত কা‘ব বিন মা
ভূমিকা :আল-কুরআন আল্লাহর বাণী, যা জিবরাঈল (আঃ) মারফত সুদীর্ঘ ২৩ বছরে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর প্রতি অবতীর্ণ হয়। আল-কুরআনকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির দিশারী বা পথপ্রদর্শক রূপে নাযিল ক
মানুষ কেবল দেহসর্বস্ব জীব নয়। সুন্দর দৈহিক অবয়বের সাথে মহান আল্লাহ মানুষকে সুন্দর একটি ক্বলব বা অন্তর দিয়েছেন। যার মাধ্যমে মানুষ চিন্তা করে জীবনের ভাল-মন্দ বেছে নেয়। মানুষের অন্তরের চিন্তা-ভাবনার উপরই নির্ভর করে তার অন্যান্য অঙ্গের ভাল কাজ বা মন্দ কা
আল্লাহ বলেন,هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ فَمِنْكُمْ كَافِرٌ وَّمِنْكُمْ مُؤْمِنٌ، وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ- ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের ও কেউ মুমিন। আর তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সবই দেখেন
উত্তর : দু’বার রাসূল (ছাঃ)-এর বক্ষবিদারণের ঘটনা ঘটে। (১) দুধমা হালীমার নিকটে ৪ বা ৫ বছর বয়সে (মুসলিম হা/১৬২, আনাস (রাঃ) হ’তে; মিশকাত হা/৫৮৫২)। (২) হিজরতের পূর্বে মেরাজে গমনকালে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৬৪)। এছাড়া আরো কিছু বর্ণনা রয়েছে, যেগুলির সূ
উত্তর : পীর ধরা এবং মুরীদ হওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয কাজ। এটি না ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে, না ছিল ছাহাবী, তাবেঈ ও তাবে তাবেঈদের যুগে। পরবর্তীকালে কিছু লোক অমুসলিমদের অনুকরণে নিজেরা পীর সেজে মূর্খ লোকদের মুরীদ বানিয়ে বিনা পুঁজির ব্যবসা করছে। যদিও তা
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হি.) খোরাসান তথা বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই শহরেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, আলেম, মুজতাহিদ, কবি, সাহিত্যিক, দানশীল এবং একজন সাহসী বীর মুজাহিদ। তিনি ‘আমীরুল মু
হার্টের অসুখে খুব ছোট ছোট কিছু লক্ষণ দেখা যায় যাকে আমরা অধিকাংশ সময়ই এড়িয়ে যাই। যেমন বুকের ব্যথাকে অনেকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যায়। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। একরম কিছু ছোটখাটো লক্ষণ রয়েছে যেগুলিকে মানুষ এড়িয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছেলে
মানুষ অসুস্থ হ’লে অনেক সময় ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি অনেকে পানাহার ছেড়ে দেয়; নিজের তাক্বদীরের প্রতি দোষারোপ করে। কিন্তু এগুলি কোন মুমিনের কাজ নয়। বরং এ অবস্থায় ধৈর্যধারণ করে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করা এবং সাধ্যমত চিকিৎসা করানো কর্তব্য। এ প্রবন্ধে রো
উত্তর : যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর তালাকের নিয়তসহ এরূপ ইঙ্গিতবহ বাক্য উল্লেখ করে তালাক প্রদান করাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। যেমন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
উত্তর : অবিমিশ্র উজ্জ্বল লাল ও হলুদ উভয় রংয়ের কাপড় পরা পুরুষদের জন্য অবৈধ। তবে লাল ও হলুদের সাথে অন্য রং মিশ্রিত থাকলে উক্ত পোষাক পরিধানে কোন বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৩৩৭; আল-মাওসূআতুল ফিক্বহিয়াহ ৬/১৩২-৩৬; ওছায়মীন, আশ-শরহুল মুমতে‘)। আব্দুল্ল
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- قَالَ : قَالَ اللهُ أَنْفِقْ يَا ابْنَ آدَمَ أُنْفِقْ عَلَيْكَ-হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান
মানুষকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। তাদের এই শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ আসমানী কিতাবসহ অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সৃষ্টির সেরা হিসাবে মানুষ তাঁরই ইবাদত করবে এটাই স্বাভাবিক। ইসলাম আল্লাহ মনোনীত জীবন ব
উত্তর : যারা কুরআন মুখস্থ করে ও অর্থ অনুধাবন করে এবং তদনুযায়ী আমল করে তারাই মূলতঃ আহলে কুরআন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কতক লোক আহলে কুরআন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তিনি বলেন, কুরআন তেলাওয়াতকারীগণ আহলে কুরআন এবং তাঁর বিশে
Pornography অর্থ অশ্লীল বৃত্তি। এর উদ্দেশ্য নগ্ন ও অর্ধনগ্ন যৌন অঙ্গভঙ্গিপূর্ণ ছবি দেখিয়ে অন্যকে যৌনতায় প্রলুব্ধ করা। ১৮৯৫ সালে ইউরোপের জনৈক উইজেন পিরো এবং আলবার্ট কার্চনারের মাধ্যমে পর্ণো নির্ভর চলচ্চিত্রের উদ্ভব ঘটে। এতে তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।২৪. অধিক বাজার সৃষ্টি হওয়া : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হ’ল যেখানে-সেখানে বাজার সৃষ্টি হওয়া। ক্বিয়ামতের পূর্বে এমন অবস্থা হবে যে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দোকান থাকবে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, لاَ تَقُومُ ا
উত্তর : আয়াতটির অর্থ : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মাল খরিদ করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে। তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। অতঃপর তারা হত্যা করে অথবা নিহত হয়। এর বিনিময়ে তাদের জন্য (জান্নাত লাভের) সত্য ওয়াদা করা হয়েছে তওরাত,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার ফযীলত :আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার ফযীলত বহুবিধ। তন্মধ্যে কতিপয় দিক এখানে উল্লেখ করা হ’ল।-১. আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমানের পরিচায়ক :আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ঈম
ভূমিকা : সমাজে প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে যে, মক্কা-মদীনার আলেমরাই হ’লেন প্রকৃত আলেম। তাঁদের ন্যায় বিজ্ঞ আলেম মক্কা-মদীনা তথা সঊদী আরবের বাইরে নেই। এই ধারণা যথার্থ নয় এবং এটা কুরআন-হাদীছ বিরোধী। এই ধারণা বদ্ধমূল হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি য
মুসলমানদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ হ’লে কিভাবে অভিবাদন জানাবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। সেই সাথে কে কাকে সালাম দিবে এবং কখন, কিভাবে সালাম প্রদান করবে এ সম্পর্কিত সবিস্তার আদব বর্ণিত হয়েছে হাদীছে। এগুলি সাধ্যমত মেনে চললে পাস্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।ভূমিকা :দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এ
উত্তর : কোন মুসলিমকে কাফের বলে অভিহিত করা কবীরা গোনাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (তিরমিযী হা/২৬৩৭; বুখারী হা/৬১০৩)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইক
বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই যে, এটি একটি হাসপাতাল। সব শ্রেণীর মানুষ শারীরিক সমস্যা নিয়ে এখানে হাযির হয় চিকিৎসকদের কাছে। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটির নাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। ১০ টাকায় সব চিকিৎসা, বিশেষ এই খেতাব নিয়ে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে এ স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি কারো উপর যুলুম করেন না। পৃথিবীতে মানুষের কর্মকান্ডের উপরে ভিত্তি করেই তার পরকালীন জীবনের চূড়ান্ত ঠিকানা নির্ধারিত হবে। আল্লাহ মানুষের মধ্যে ফায়ছালা করবে
উত্তর : যিহার হ’ল স্ত্রীর কোন অঙ্গকে মা বা স্থায়ী মাহরামের পিঠ বা অন্য কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করা (নাসাঈ, বুলূগুল মারাম হা/১০৯১ ‘যিহার’ অনুচ্ছেদ)। আর এরূপ যিহারের কাফ্ফারা হ’ল স্বামী একটি গোলাম আযাদ করবে অথবা এক টানা দু’মাস ছিয়াম পালন করবে অথবা ৬০ জন
ভূমিকা :পোশাক-পরিচ্ছদ মানুষের দেহ সজ্জিত করা এবং সতর আবৃত করার মাধ্যম। ইসলামে পেশাকের গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা লজ্জা নিবারণের পাশাপাশি এটা ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। পোশাকের মাধ্যমে ব্যক্তির প্রকৃতি অনুভব করা যায়। আলোচ্য নিবন্ধে এ ব
হালাল জীবিকা মুমিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। শারীরিক ও আর্থিক সকল প্রকার ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হ’ল হালাল জীবিকা। হালালকে গ্রহণ ও হারামকে বর্জনের মধ্যেই রয়েছে মুমিনের দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা। আলোচ্য প্রবন্ধে এ বিষয়ে আলোচনার প্র
উত্তর : রূহ ও নফসের মধ্যে প্রকৃত অর্থে কোন পার্থক্য নেই। যদিও পারিভাষিক অর্থে পার্থক্য আছে। যেমন প্রাণীকে ‘নফস’ বলা হয়। কিন্তু ‘রূহ’ বা আত্মা বলা হয় না। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে (আলে ইমরান ১৮৫)। এতে বুঝা যায় যে, দ
আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। পরকালীন জীবনে স্থায়ী আবাস নির্ধারিত হয় ইহকালীন জীবনের ইবাদত তথা সৎ আমলের মাধ্যমে। ইবাদতের মধ্যে কুরআন তেলাওয়াত অন্যতম। কুরআন তেলাওয়াতের শিষ্টাচার সম্পর্কে ইসলামে বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। যেগুলি
ভূমিকা : ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানব বংশের ধারাবাহিক সংরক্ষণ, মানববংশ বৃদ্ধি, ইসলামের পরিপূর্ণ অনুশীলন ও বৈধভাবে জৈবিক চাহিদা পূরণ ও লজ্জাস্থান হেফাযতের জন্য মহান আল্লাহ পরিবার প্রথা প্রচলন করেছেন। আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহ নিজেই মানব জাতির প
উত্তর : বীর্য অপবিত্র নয়। তাই গাঢ় বীর্য কোন কাপড়ে লেগে শুকিয়ে গেলে তা ঘষে তুলে ফেললে উক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করা জায়েয। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা
উত্তর : কারো মৃত্যুতে বা কোন বিপদে ‘ইন্না লিল্লাহি... রাজেঊন’ বলাই যথেষ্ট (বাক্বারাহ ২/১৫৬)। এছাড়া এক্ষেত্রে ‘আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুছীবাতী...’ দো‘আটিও পাঠ করা যাবে (বাক্বারা ২/১৫৬; মুসলিম হা/৯১৮, মিশকাত হা/১৬১৮)। তবে একটি হাদীছে এসেছে যে, জনৈক ব্
উত্তর : মুসলমান পুরুষের নামের আগে মুহাম্মাদ এবং মেয়েদের নামের আগে মুসাম্মাৎ লেখা বা বলার নিয়ম নবী করীম (ছাঃ), ছাহাবা ও তাবেঈনের যুগে ছিল না। এমনকি আরব দেশগুলোতে এখনও নেই। এই নিয়মটি ভারত উপমহাদেশেই বেশী প্রচলিত। তবে এরূপ করাতে কোন আপত্তি নেই।
উত্তর : স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হলে জাহান্নামে যাবে, এ কথা ঠিক নয়। কারণ স্বামী শরী‘আত বিরোধী কোন নির্দেশ দিলে স্ত্রী তা মানতে বাধ্য নয় (আহমাদ, মিশকাত হা/৩৬৯৬)।স্বামীর উপর স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করা ফরয। যদি সে তার দায়িত্ব পালন না
উত্তর : মসজিদে আযান ব্যতীত অন্য কোন ঘোষণা না দেওয়াই উচিত। যেমন হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ মসজিদে হারানো বিজ্ঞপ্তি শুনলে সে যেন বলে আল্লাহ যেন তোমাকে জিনিষটি ফেরত না দেন। কারণ এ কাজের জন্য মসজিদ বানানো হয়ন
ভূমিকা :মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। তিনি সর্বদা বান্দার জন্য সহজ চান, কঠিন চান না। তিনি কারও উপর যুলুমকারী নন। সর্বদা বান্দার কল্যাণ চান। তিনি চান বান্দার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে তাকে দ্বীনের সঠিক পথে পরিচালিত করতে। মহান আল্লাহ বলেন, يُرِيدُ ال
উত্তর : ইবনুল জাওযী সূরা রহমানের ৫৬ আয়াত ‘সেখানে রয়েছে আনতনয়না রমণীগণ, যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি’-এর ব্যাখ্যায় বলেন, এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, জিনের সাথে মানুষের এবং মানুষের সাথে জিনের শারীরিক মিলন সম্ভব (যাদুল মাসীর ৪/২১
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও সংগঠন সর্বত্র আনুগত্য এক অপরিহার্য বিষয়। এগুলির কোন স্তরে আনুগত্য না থাকলে সেটা ভালভাবে চলবে না, সেখানে নিয়ম-শৃংঙ্খলা থাকবে না। ফলে সেখানে কোন কাজ সুচারুরূপে পরিচালিতও হবে না। তাই সর্বস্তরে আনুগত্যের কোন বিকল্প নেই। নি
উত্তর : ‘আখেরী চাহার সোম্বা’ কথাটি ফার্সী। এর অর্থ ছফর মাসের শেষ বুধবার। ইরান, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এটি দিবস হিসাবে পালিত হয়ে থাকে। এর ভিত্তি হ’ল- মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বুধবার রাসূল (ছাঃ)-এর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে
উপক্রমনিকা :ঈমানের অন্যতম রুকন হচ্ছে তাক্বদীরে বিশ্বাস। জগত সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টিকুলের ভাগ্য নির্ধারণ করে স্বীয় দফতর লাওহে মাহফূযে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এ বিশ্বাসই তাক্বদীরে বিশ্বাস। এর বিপরীত বিশ্বাস বা ধারণা করা হ’ল ঈমান
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। ভূমিকা :অল্পে তুষ্টি মুমিন চরিত্রের ভূষণ। সুখী জীবন লাভের অন্যতম হাতিয়ার। অল্পে তুষ্টির এই অনন্য গুণটি যে অর্জন করতে পারে, জীবনের শত দুঃখ-কষ্ট ও অপূর্ণতায় তার কোন আক্ষেপ থাকে না। আল্ল
উপক্রমণিকা :সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদ অর্থনৈতিক অভিশাপ। সমাজতন্ত্র স্বাধীন মানুষকে পরাধীন, যান্ত্রিক ও ইতর বস্ত্ততে পরিণত করে। পক্ষান্তরে পুঁজিবাদী অর্থনীতি মানুষকে বল্গাহীন স্বাধীন, নিপীড়ক, স্বার্থপর ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলে। আর ইসলামী অর্থনীতি এই
পার্থিব জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষের সাথে কথাবার্তা বলতে হয়। মানুষের পক্ষে সমাজে মুখ বন্ধ করে বসবাস করা সম্ভব নয়। নিজের প্রয়োজন যেমন তাকে অন্যের কাছে ব্যক্ত করতে হয়, তেমনি অন্যের প্রয়োজনে তাকে এগিয়ে আসতে হয়। এক্ষেত্রে কথা বলার কোন বিক
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হ’লেও রোগ বালাই তার সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষকে আক্রমণ করছে। কিন্তু মানুষকে বসে থাকলে চলবে না। প্রতিনিয়ত তাকে একদিকে রোগকে জয় করার চেষ্টা করতে হবে অন্যদিকে রোগ প্রতিরোধেরও চেষ্টা করতে হবে। আর রোগ প্রতিরোধ ক
(অক্টোবর’২১ সংখ্যার পর)৭. কুধারণা করা :কোন মানুষের প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা সমীচীন নয়। কেননা এতে মানুষ কষ্ট পায়। বরং মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা কর্তব্য। আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْض
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের দেহে জিহবা ও দুই ঠোঁট সংযোজন করেছেন (বালাদ ৯০/৯), যাতে তারা কথা বলতে পারে। আর আল্লাহর দেওয়া মুখ ও ঠোঁট দিয়ে আল্লাহর নির্দেশিত সত্য কথা বলবে, সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিবে যদিও তা তার নিজের, নিজ পিতা-মাতার এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে
উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা অবশ্যই মুসলিম না হয়ে মরো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। এখানে তিনটি বিষয় এসেছে, মুমিন, মুত্তাক্বী ও মুসলিম। প্রথম দু’টি হৃদয়ে বিশ্বাসগত কমবেশীর সাথে সম্পর্কিত এবং শেষেরটি
উত্তর : হাদীছের বর্ণনামতে, মুসলমানরাই ৭৩ দলে বিভক্ত হবে (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ হা/৩৯৯২)। যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ما أنا عليه اليوم وأصحابي ‘আজকের দিনে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যে নীতির উপরে আছি, তার অনুসারী দল (হাক
উত্তর : বিভিন্ন হাদীছ, আছার ও বিদ্বানগণের নামকরণের মাধ্যমে অন্যূন ৩০টি নাম বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে ছহীহ হাদীছসমূহে এসেছে ৮টি। যেমন : (১) উম্মুল কুরআন (কুরআনের মূল)। (২) উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল)। (৩) আস-সাব‘উল মাছানী (সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়া
ঘুষ একটি অন্যায় কাজ- একথা সকলে একবাক্যে স্বীকার করেন। অথচ দুঃখজনক যে, এটি দেশের সর্বত্র বহাল তবিয়তে চালু রয়েছে। এতে একজনের প্রাপ্তি এবং অন্যজনের ক্ষতি ও মনঃকষ্ট, মানুষে মানুষে ঘৃণা, ক্ষোভ, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা ইত্যাদি নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্য দি
উত্তর : সাদা চুল কালো করার উদ্দেশ্য না থাকলে দুলহান তেল কালো চুলে ব্যবহার করা যাবে। তবে সাদা চুলকে কোন তেল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কালো করা নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/২১০২; মিশকাত হা/৪৪২৩-২৪)। আর নারীরা সৌন্দয্যবর্ধন, স
ইসলাম সকল প্রকার মাদক তথা নেশাদার দ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’।[1] অথচ এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর
উত্তর : ‘হেযবুত তওহীদ’ বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি ভয়ংকর পথভ্রষ্ট ধর্মীয় সংগঠন। ২০০৮ সালে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ সরকার (উইকিপিডিয়া)। ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের করটিয়ার গ্রামের পন্নী পরিবারের সন্তান মোহাম্মাদ বায়াজিদ খান পন্নী (১৯২৫-২০১২ খ্রি
ভূমিকা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জন্যে উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। আল্লাহর ভয়ে কাঁদা নবী-রাসূল এবং সালাফে ছালেহীনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি হৃদয়ে ঈমান ও আল্লাহর প্রতি ভয়ের নিদর্শন। আমরা কুরআন তেলাওয়াত করি, জাহান্নাম ও আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা শুন
ভূমিকা : ‘সিজদা’ এক অনন্য বা অদ্বিতীয় সম্মাননা, যা শুধু আল্লাহরই প্রাপ্য। মহান আল্লাহ বলেন, وَاسْجُدُوا لِلَّهِ ‘তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর’ (ফুছছিলাত ৪১/৩৭)। সিজদা দ্বারা মানব জাতির পিতা আদম (আঃ)-কে প্রথম অভ্যর্থনা জানান হয়। এর দ্বারা মানুষকে শ্র
উত্তর : আগে খুৎবা হবে, পরে ঈজাব কবুল। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে ছালাতের তাশাহহুদ যেভাবে শিখাতেন, হাজতের তাশাহহুদ সেভাবে শিখাতেন। তারপর তিনটি আয়াত পড়তেন। অতঃপর প্রয়োজনীয় বিষয়ে কথা বলতেন (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মন
ভূমিকা : সিজদায় গমনকালে আগে হাত নাকি হাঁটু রাখতে হবে এ বিতর্ক নতুন কিছু নয়। অনেকে দাবী করেন যে, সিজদায় যাওয়ার সময় আগে হাঁটু রাখা সুন্নাত। হাত আগে রাখা সুন্নাতের খেলাফ। অথচ আগে হাত রাখা সম্পর্কিত হাদীছগুলি অধিকতর গ্রহণযোগ্য। আগে হাঁটু রাখার দা
উত্তর : পুরুষের জন্য সকল প্রকার স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল করা হয়েছে এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৯৫; আবুদাঊদ হা/৪০৫৭; মিশকাত হা/৪৩৯৪)। এক্ষণে কারো
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِيْ مَا أَتَىْ عَلَى بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنَّ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً ل
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধ
উত্তর : মাথার চুল লম্বা ও খাটো উভয়টিই রাখা জায়েয। তবে এটি ‘সুনানুয যাওয়ায়েদ’ বা ব্যবহারগত অতিরিক্ত সুন্নাত সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যার উপর আমল করা উত্তম। তবে ছেড়ে দেওয়া অপসন্দনীয় নয়’ (শরীফ জুরজানী, কিতাবুত তা‘রীফাত, বৈরূত ছাপা ১৪০৮/১৯৮৮ ‘সুন্নাতের বর্ণনা
উত্তর : খরগোশের গোশত খাওয়া জায়েয। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘মাররূয যাহরান’ নামক স্থানে আমরা একটি খরগোশ ধাওয়া করলাম। সাথের লোকজন অনেক চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। অবশেষে আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং আবু ত্বালহার নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি সেটিকে যবহ করলেন ও তা
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর আলী (রাঃ) পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে আরো আট জন মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর অন্যান্য স্ত্রীগণ হ’লেন- (১) উম্মুল বানীন বিনতে হিযাম, (২) লায়লা বিনতে মাসঊদ, ৩. আসমা বিনতে উমায়েস, ৪. উম্মে হাবীবা বিনতে রাব
উত্তর : পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। ওমর (রাঃ) নিজ কন্য
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানুষ কোন না কোন কাজে এক স্থান হ’তে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে থাকে। আধুনিক এই যান্ত্রিক যুগে সফর বা ভ্রমণ মানুষের নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ প্রয়োজনে নানাবিধ এবং আল্লাহর নিদর্শন প্রত্যক্ষ করার জন্য প্রতি
ইসলাম নারীকে বৈধ সাজসজ্জা করতে বাধা দেয় না। বরং বিবাহিত নারীকে তার স্বামীর নিকট সুসজ্জিত ও পরিপাটি হয়ে থাকার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। পক্ষান্তরে অবৈধ সাজসজ্জা তাই, যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করে, মানব আকৃতি ও ছূরতের পরিবর্তন ঘটায় এবং
উত্তর : উক্ত খাবার খাওয়া যাবে। তবে রুচি না হলে খাবে না। তাবেঈ বিদ্বান দাঊদ ইবনু ছালেহ তাঁর মাতা হতে বর্ণনা করেন যে, তাঁর মাতার মুক্তিদানকারিণী মনিব একবার তাঁকে কিছু হারীসা নিয়ে আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালে তিনি তাঁকে ছালাতরত অবস্থায় পেলেন
১৮. যাদু করা :যাদু করা শয়তানের কাজ। এটা কবীরা গোনাহ। মহান আল্লাহ বলেন,وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ‘আর তারা ঐসবের
ভূমিকা :মদীনা ছিল খেজুর বৃক্ষ সমৃদ্ধ অঞ্চল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হিজরতের পর একে ‘মদীনাতুন্নবী’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। মদীনার চতুষ্পার্শেব খেজুর বাগান ও গাছের এত আধিক্য ছিল যে, বৃষ্টির কারণে কোন খেজুর নিচে পড়লে তা নির্ণয় করা কঠিন হত যে, এটা কোন
ভূমিকা :চিরসবুজ-সজীব যৌবনে উদ্দীপ্ত থাকতে চায় প্রতিটি মানুষ। কিন্তু মানুষের জন্য এটি অসাধ্য ও অসম্ভব। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবর্তন আসে তারুণ্যে-যৌবনে। প্রৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য উঁকিঝুঁকি দেয় ক্রমে ক্রমে। ঘনকালো চুলের রং বদলাতে থাকে ধীরে ধীরে। একটি-দু’টি করে
মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে ফিরিয়ে কথিত অন্তর্গুরুর ইবাদতে লিপ্ত করার অভিনব প্রতারণার নাম হ’ল কোয়ান্টাম মেথড। হাযার বছর পূর্বে ফেলে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান পাদ্রী ও যোগী-সন্ন্যাসীদের যোগ-সাধনার আধুনিক কলা-কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেডিটেশন’। হত
এ পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে মোটামুটি তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়। শৈশব, কৈশোর ও বার্ধক্য। শৈশব ও কৈশোর অবস্থায় তেমন কোন সুষ্ঠু চিন্তার বিকাশ ঘটে না। পক্ষান্তরে বার্ধক্য অবস্থায় আবার চিন্তা শক্তির বিলোপ ঘটে। কিন্তু যৌবনকাল এ দুইয়ের ব্যতিক্রম। যৌবনকাল মান
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আর এই সামাজিকতার এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা হচ্ছে কোন মানুষ একা সবসময় নিজের সব প্রয়োজন পূরণে সক্ষম হয় না।
[প্রখ্যাত আহলেহাদীছ আলেম মাওলানা আব্দুল কাদের হিছারী ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের হিছার যেলার গঙ্গা গ্রামে ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা ও পিতা উভয়ে আলেম ছিলেন। পিতা মাওলানা মুহাম্মাদ ইদরীসের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর উচ্চশিক্ষা অর্জনের ন
সুন্নাতের পরিচয়সুন্নাতের শাব্দিক অর্থ : সুন্নাত (سُّنَّةُ) শব্দটি আরবী, যা سَّنَّ)) থেকে নির্গত। এর অর্থ সীরাত ও চলার পথ, তা ভাল হোক অথবা মন্দ। এর ভিত্তি হ’ল যেমন তারা বলে থাকে, আমি রেত দিয়ে কোন কিছুকে আঘাত করলাম অর্থাৎ সেটিকে তার উপর ঘষা দিয়ে অতিক্র
উত্তর : বিনা কারণে জীব-জন্তু হত্যা করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ। কিন্তু যে সকল প্রাণী মানুষের ক্ষতি করে সেগুলো মারার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাপ ক্ষতিকর প্রাণী। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সাপের ভয়ে সাপ হত্যা করল না, সে আমার শরী‘আতের অন্তর্ভুক্
উত্তরঃ বিষয়টি সত্য। কেননা সম্পদের অংশ বণ্টনের বিষয়টি এরূপ যে, একজনের উপস্থিতিতে অন্যজন অংশ হ’তে বঞ্চিত হয়। যেমন ছেলের উপস্থিতিতে ছেলের ছেলে বঞ্চিত হয় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৪/৩৪৪ পৃঃ)। অনেক সময় একজনের উপস্থিতিতে অন্যজন সম্পদ কম পায়। যেমন- স্ত্রী স
‘ক্ষমা’ অর্থ- দোষ-ত্রুটি, অপরাধ মার্জনা করে দেওয়া। আলোচ্য প্রবন্ধে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমাই উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল। পবিত্র কুরআনের এই সুসংবাদ হ’তেই মানুষ তাঁর নিকট বিভিন্নভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তওবা করে, নিজের পিতা-মাতা, পরিবারবর্গ, আ
ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা বার মাসের মধ্যে মুহাররম, রজব, যুলক্বা‘দাহ ও যুলহিজ্জাহ এই চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। এই মাসগুলো ‘হারাম’ বা সম্মানিত মাস হিসাবে পরিগণিত। ঝগড়া-বিবাদ, লড়াই, খুন-খারাবী ইত্যাদি অন্যায়-অপকর্ম হ’তে দূরে থেকে এর মর্যাদ
উত্তর : এরূপ কোন নির্দেশনা শরী‘আতে নেই। বরং সুবিধাজনকভাবে ঘুমাবে। স্মর্তব্য যে, প্রত্যেক নারী-পুরুষের জন্য ডান কাতে ঘুমানো সুন্নাত (বুখারী হা/২৪৭, ৬৩১৪; মুসলিম হা/২৭১০; মিশকাত হা/২৩৮৫)।
উত্তর: কথাটি ভিত্তিহীন। সঠিক বক্তব্য হ’ল, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি যদি কাউকে কারু জন্য সিজদা করার হুকুম দিতাম’ তাহ’লে স্ত্রীকে বলতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য’ (আবুদাউদ হা/২১৪২, তিরমিযী হা/১১৫৯; মিশকাত হা/৩২৫৫)।
ইসলামের অন্যতম রুকন ছালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য ওযূ যরূরী। ওযূ ঠিকভাবে করা না হ’লে ছালাত হয় না। তাছাড়া ওযূ একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে ওযূকারীর শরীর থেকে ছগীরা গোনাহগুলি ঝরে যায়। ছালাত সিদ্ধ হওয়া এবং ওযূর উক্ত ফযীলত লাভের জন্য ওযূ রাসূল (ছাঃ) প্রদর্শিত তরীকায়
উত্তর : এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে যঈফ সনদে কিছু কিছু বর্ণনা এসেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতবাসীকে কুরআন শুনাবেন যাতে লোকেরা মনে করবে তারা কখনো এরূপ শুনেনি (আবুল ফযল রাযী, ফাযায়েলুল কুরআন হা/১৩৩; আলবানী, যঈফাহ হা/১২৪৮)। যেহেতু এটি
উত্তর : আদম (আঃ)-এর ভাষা কি ছিল বা জান্নাতের ভাষা কি হবে সে ব্যাপারে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে স্পষ্ট কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহ আদম (আঃ)-কে জান্নাতে সকল প্রকার নাম ও ভাষা শিখিয়েছিলেন (বাক্বারাহ ২/৩১)। সেমতে তার সন্তানগণ পৃথ
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক নয়। ইবরাহীম (আঃ) কেবল মুসলিম জাতির পিতা নন বরং তিনি ছিলেন ইহূদী-খৃষ্টান-মুসলমান সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পিতা। কারণ আদম (আঃ) হ’তে ইবরাহীম (আঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও রাসূল বাদে পরবর্তী সকল নবী ও রাসূল তার বংশধর’ (হাদীদ ৫৭/২৬;
উত্তর: আকীকা দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাউদ হা/২৮৩৯; ইবনু মাজাহ হা/৩১৬৫; মিশকাত
উত্তর : বিবাহ পড়ানোর সুন্নাতী পদ্ধতি হ’ল, প্রথমে বিবাহের খুৎবা পড়তে হবে (মুগনী ৭/৬২)। কোন বিয়েতে খুৎবা পূর্বে পাঠ করা না হ’লে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) সে বিবাহ অনুষ্ঠান ত্যাগ করতেন (আবুন নাজা, আল-ইক্বনা‘ ৩/১৬২; বাহূতী, কাশশাফুল কেনা‘ ৫/২১)। কারণ
ভূমিকা :শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ব্যাপারে ইসলাম মানুষকে জোর তাকীদ দিয়েছে। অসুস্থ হ’লে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি নিজে অসুস্থ হ’লেও চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। আর চিকিৎসার জন্য স্বভাবতই ডাক্তারদের শরণাপন্ন হ’ত
রাজহাঁস শুধু বাড়ীর শোভাবর্ধন করে না। বাড়ি-ঘর পাহারা দেয়, চোর তাড়ায়, ঘাস সমান করে খেয়ে নেয়। পোকা-মাকড় খেয়ে জায়গা-জমি ঝকঝকে করে দেয়। রাজহাঁসের গোশত খাওয়া হয়। ওর পলক দিয়ে লেপ-তোষক, বালিশ তৈরি হয়। বছরে খুব কম ডিম দেয়। এই কারণে রাজহাঁস পালনকারী তা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । আল্লাহ তা‘আলা পাপিষ্ঠ বান্দাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত করে রেখেছেন। যারা অবাধ্য, অস্বীকারকারী, পাপী তাদেরকে জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুনে পুড়তে হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলার বিধান অনুযায়ী তার নির্দেশিত পথে চললে জাহান্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ইবাদতগুলোর মধ্যে ছালাত হচ্ছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যা ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্
তেঁতুল পসন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। বিশেষ করে তরুণীদের খাবারের তালিকায় উপরের দিকেই পাওয়া যায় এর নাম। তবে অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং তেঁতুলে রয়েছে প্রচু
উত্তর : মাইয়েতকে গোসল দেয়ার সময় পর্দার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পূর্ণ শালীনতা ও পরহেযগারীর সাথে কুলপাতা দেওয়া পানি অথবা সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করাবে। সুন্নাতী তরীকা মোতাবেক গোসল করাতে সক্ষম এমন নিকটাত্মীয় বা অন্য কেউ মাইয়েতকে গোসল করাবে। পুরুষ
আল্লাহ বলেন,مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ وَلَهُ أَجْرٌ كَرِيمٌ- (الحديد 11)-অনুবাদ : ‘কে আছ যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে? অতঃপর তিনি তার জন্য তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন? আর তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার’ (হাদীদ ৫৭/১
মহান আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করে জিবরীল (আঃ)-কে তা পরিদর্শন করতে পাঠান। তিনি দেখে এসে জান্নাত ও জাহান্নামের অবস্থা বর্ণনা করেন। সে সম্পর্কে একটি হাদীছ এবং জাহান্নামের কতিপয় শাস্তি সম্পর্কে একটি হাদীছ নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-আবু হুরায়রা
উত্তর : খাওয়ার সময় সালাম বিনিময় বা প্রয়োজনীয় আলাপ করা যায়। যেসব কথা সাধারণ অবস্থায় জায়েয, তা খাদ্য গ্রহণের সময়ও জায়েয। ‘খাদ্যগ্রহণের সময় কোন কথা বা কোন সালাম দেওয়া যাবে না’ মর্মে যেকথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তার কোন ভিত্তি নেই। রাসূল (ছাঃ) খাবা
عَنْ كَثِيْرِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي الدَّرْدَاءِ فِيْ مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ إِنِّيْ جِئْتُكَ مِنْ مَدِينَةِ الرَّسُوْلِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَدِيْثٍ بَلَغَنِيْ أَن
রংপুরের বদরগঞ্জ উপযেলার ১৪নং বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ছোট হাজীপুর গ্রামে আমার বাড়ী। আশির দশকে কর্মসংস্থানের কারণে চলে আসি রংপুর শহরে। তখন থেকে এ শহরেই আছি। বর্তমানে জাহায কোম্পানী মোড়ের সন্নিকটে গুপ্তপাড়া আবাসিক এলাকায় থাকি।ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে পু
ওযূ হচ্ছে পবিত্র পানি দ্বারা বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। যার মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গের পাপ সমূহ মুছে যায়। ছালাত আদায়ের জন্য ওযূ হচ্ছে শর্ত। ওযূ ব্যতীত ছালাত কবুল হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ،
উত্তর : প্রথমা স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া শর্ত নয়। সামর্থ্য থাকলে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করার অধিকার রাখে (নিসা ৩; বুখারী হা/৪৮৭৮)। তবে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ইনছাফ করতে হবে এবং কারো অধিকার আদায়ে কোনরূপ ত্রুটি করা যাবে না। কারণ আখেরাতে এর পরিণাম হবে অত্
ভূমিকা :পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সকল জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হ’তে’ (আম্বিয়া ২১/৩০)। জীব বিজ্
ভূমিকা : বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে অশ্লীলতার সয়লাব চলছে। এর প্রভাবে সমাজ কলুষিত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে যুবচরিত্র। দাম্পত্য জীবনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ। তাই অশ্লীলতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যরূ
উত্তর : মানুষকে পানি পান করানোর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন একদা সা‘দ বিন ওবাদাহ (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, আপনার নিকট কোন ছাদাক্বা সর্বাধিক পসন্দনীয়? তিনি বললেন, পানি পান করানো’ (আবুদাঊদ হা/১৬৭৯; হাকেম হা/১৫১১)। অ
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে দু’টি (জ্ঞান) পাত্র সংরক্ষণ করেছি। যার একটি তো আমি প্রচার করে দিয়েছি। কিন্তু তার দ্বিতীয়টি যদি প্রচার করতাম, তাহ’লে আমার এই কণ্ঠনালী কাটা যেত’ (বুখারী হা/১২০; মিশকাত হা/২৭১)।
মানব জীবনের অতি প্রয়োজনীয় বস্ত্ত হচ্ছে আহার ও পানীয়। জীবন ধারণের জন্য পানাহারের কোন বিকল্প নেই। খাদ্য-পানীয় মানুষের দেহ-মন সুস্থ ও সতেজ রাখার প্রধান উপকরণ। এগুলির অভাবে মানুষের শরীর ভেঙ্গে যায় এবং দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইবাদতে মন বসে না এব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অর্থ :আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট ও ছিন্ন হওয়ার অর্থ ও তাৎপর্য হচ্ছে জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর সাথে দুর্ব্যবহার করা, তাদের প্রতি অনুগ্রহ, অনুকম্পা পরিহার করা, পূর্ববর্তী আত্মীয়দ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :মানব জীবনে সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সম্পদ বিনে ছোট্ট একটি পরিবার পরিচালনাও দুঃসাধ্য। সেকারণ প্রত্যেক বনু আদমকেই প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য আয়-রোযগারের পথ অবলম্বন করতে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :সকল প্রশংসা সমগ্র সৃষ্টির মালিক মহান আল্লাহর। অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর পরিবার-পরিজন এবং তাঁর ছাহাবীগণের উপর।মুনাফিকী একটি মারাত্মক ব্যাধি। এ ব্যাধি মানুষকে ইসলাম
প্রতিটি দেশের যেমন রাজধানী রয়েছে, তেমনি মানব দেহের রাজধানী হ’ল ক্বলব। দেশের জন্য রাজধানী সুষ্ঠু রাখা যেমন যরূরী, দেহের জন্য ক্বলব সুষ্ঠু রাখা তার চেয়ে কয়েক হাযার গুণ বেশী যরূরী। সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে ক্বলবকে মুক্ত রাখা, অসুস্থতা থেকে নিরাপদ রা
উত্তর : মালাকুল মউত মূসা (আঃ)-এর নিকট আগমন করলে তিনি তাকে থাপ্পড় মেরে চোখ নষ্ট করে দেন মর্মে ঘটনাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। হাদীছটি নিম্নরূপ :আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, মালাকুল মউত মূসা (আঃ)-এর নিকট আসেন তাঁর জা
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সফলভাবে চাষ করার জন্য বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা) ও বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) খুব ভালো। এছাড়াও হলুদ ও লালচে ড্রাগন ফল চাষাবাদ করা যেতে পারে। দেশের সব হর্টিকালচার সেন্টার ও বড় ধরনের নার্সারীতে ড্রাগন ফলের চারা পাওয়া যাবে। ব
ভূমিকা : কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ এলাহী কিতাব। এ কিতাবের মাঝে যেমন মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে, তেমনি এটি তেলাওয়াত করলে এর প্রতিটি বর্ণের বিনিময়ে দশটি করে নেকী পাওয়া যায়।[1]
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ওমরের যবানে ও হৃদয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন (তিরমিযী হা/৩৬৮২, হাদীছ ছহীহ)। এক্ষণে ৬টি বিষয়ে ওমর (রাঃ)-এর প্রস্তাবের সমর্থনে কুরআনে আয়াত নাযিল হয়েছে, যা ছহীহ হাদীছহসমূহ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন (১) বদ
ইসলাম একটি সার্বজনীন পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এতে কোন কিছু সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ নেই। এটা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় পূর্ণতা লাভ করেছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলাম পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেছে। সাথে সাথে তাবীয জাতীয় জিনিস ব্যবহার নিষেধ করেছে
সারা বিশ্বে একই দিনে ছিয়াম ও ঈদ পালন নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একশ্রেণীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ১৯৮৬ সালের ১১-১৬ অক্টোবর ওআইসির অঙ্গ সংগঠন ‘ইসলামী ফিকহ একাডেমী’ জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এ ব্যাপারে একটি স
মূল্যস্ফীতি বলতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন দেশের দ্রব্য বা সেবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বুঝায়। আর মুদ্রাস্ফীতি বলতে অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধিকে বুঝায়। তাতে সীমিত পণ্য ও সেবার পিছনে বিস্তর টাকা ব্যয় হয়।চাহিদা ও যোগানের অসমতার কারণে সাধারণত ম
পৃথিবীতে মানুষের আগমনের স্বাভাবিক মাধ্যম হচ্ছে পিতা-মাতা। এই পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক। তাদের সাথে যেমন সদাচরণ করতে হবে, তেমনি তাদের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। সেই সাথে তাদের সাথে সর্বোচ্চ শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে। আল্লাহ বল
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবল তিনটি আমল ব্যতীত। (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ। (যেমন মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ, অনাবাদী জমিকে আবাদকরণ, সুপেয় পানির ব্যব
উত্তর : শর্ত সাপেক্ষে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। যেমন কেউ তার স্ত্রীকে বলল, তুমি তোমার পিতার বাড়ি গেলে তালাক হয়ে যাবে। অতঃপর সে যদি পিতার বাড়ি যায় তাহ’লে তালাক হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে তুমি আগামী মাসের অমুক তারিখে তালাক,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতিকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং মানুষের কর্তব্য হ’ল ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য হাছিলের চেষ্টা করা। আর ছালাত আল্লাহর নৈকট্য লাভের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এবং
يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ- أُولَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ ‘তবে কি তোমরা আল্লাহর কিতাবের কিছু অংশ বি
উত্তর : সর্বপ্রথম তিন ব্যক্তির ব্যাপারে ফায়ছালা করা হবে। তারা হচ্ছে- শহীদ, আলেম ও ধনী। তাদের সৎকর্ম সমূহ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে না হওয়ার কারণে তাদের দ্বারাই সর্বপ্রথম জাহান্নামকে প্রজ্জ্বলিত করা হবে (তিরমিযী হা/২৩৮২)। তারা সর্বপ্রথ
ভূমিকা : দুনিয়াতে আল্লাহ প্রদত্ত অফুরন্ত নে‘মতরাজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যৌবনের শক্তিমত্তা। মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারার তিনটি স্তর শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্য। এর মধ্যে যৌবনকাল শ্রেষ্ঠ। অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার যুবসমাজই দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। তারা দেশ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানুষ একে অপরের সাথে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িত। মানুষের মাঝের এই সম্পর্কের নাম হচ্ছে ‘আত্মীয়তা’। পরস্পরের সাথে জড়িত মানুষ হচ্ছে একে অপরের ‘আত্মীয়’। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বতোভাবে জড়িত। আ
উত্তর : ওমরা করার পরে চুল ছাটা বা মাথা মুন্ডন করা ওয়াজিব। তার পূর্বে হালাল হওয়া যাবে না। অতএব কেউ যদি ওয়াজিব তরক করে, তাহ’লে তাকে কাফফারা হিসাবে একটি কুরবানী দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩৪২)। আর মক্কায় মাথা মুন্ডন করাই সুন্নাত। তবে দূর
কুরবানীর সংজ্ঞাগুরুত্বউদ্দেশ্যহুকুম, তাৎপর্য, ফাযায়েলযিলহাজ্জ মাসের ১ম দশকের ফযীলতআরাফার দিনের ছিয়াম কুরবানীর ইতিহাসকুরবানীর সংজ্ঞাআরবী ‘কুরবান’ (قربان) শব্দটি ফারসী বা ঊর্দূতে ‘কুরবানী’ রূপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য’। পারিভাষিক অর্থে 
ভোগ্যপ্রাণীর মধ্যে মাছ বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য এবং আমিষের প্রধান উৎস। সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ২৫ হাযার প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মিষ্টি পানিতে ২৬০ প্রজাতির এবং লোনা পানিতে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। নদী-নালার আধিক্য থাকা
উত্তর : মজলিস শেষে এবং কুরআন তেলাওয়াত শেষে রাসূল (ছাঃ) নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তেন سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ (তিরমিযী হা/৩৪৩৩, নাসাঈ কুবরা হা/১০১৪০; সিলসিলা ছহীহাহ হ
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৮১৪)। অতএব যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা
উত্তর : ‘ছয়দিনে’ কথাটি কুরআনে সাত স্থানে এসেছে। যার প্রথম হ’ল সূরা আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত। অত্র আয়াতে ‘দিন’ অর্থ সময়কাল। যার দৈর্ঘ্য হ’ল আখেরাতের হিসাবে হাযার বছর (সাজদাহ ৩২/৫) অথবা পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান (মা‘আরেজ ৭০/৪)। কেননা তখন সূর্য ছিল না। তা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) থেকে উক্ত দো‘আটি পাঠের কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রাসূল (ছাঃ) জিনদের সামনে সূরা রহমান পাঠ করলে উক্ত আয়াতের জওয়াবে জিনেরা প্রতিবার উত্তরটি দিয়েছিল বলে রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে সংবাদ দিয়েছিলেন (তিরমিযী হা/৩২৯১; ছহীহাহ হা/২১৫০)।
উত্তর : বর্তমানে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেও চুল পেকে যাচ্ছে। এর জন্য চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কালো রং দ্বারা কলপ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘শেষ যামানায় একদল লোকের আবির্ভাব হবে যারা কবুতরের বক্ষের ন্য
উত্তর : প্রত্যেক মানুষের হেফাযত ও আমলনামা সংরক্ষণের জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দু’জন ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমলনামা লিপিবদ্ধ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্ত্তত প্রহরী রয়েছ
উত্তর: নবী এবং রাসূলের মধ্যে পার্থক্য হ’ল, আল্লাহ তা‘আলা যাকে নতুন শরী‘আত দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট পাঠান তাঁকে রাসূল বলা হয়। আর যাকে নতুন শরী‘আত না দিয়ে পূর্বের রাসূলের শরী‘আতই প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান তাঁকে নবী বলা হয় (আলোচনা দ্রঃ
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হকপিয়াসী অনেক দ্বীনী ভাই মাযহাবী গোঁড়ামি ও তাক্বলীদে শাখছী তথা অন্ধ ব্যক্তি পূজার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে অভ্রান্ত সত্যের উৎস পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পতাকাতলে সমবেত হচ্ছেন। এতে মাযহাবী ভাইদের অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছ
উত্তর : আত্মহত্যাকারীর জানাযা করা যায়। তবে বুযর্গ আলেম ও মসজিদের ইমাম অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না (যাদুল মা‘আদ ১/৪৯৬)। কারণ এমন ব্যক্তির জানাযা নবী করীম (ছাঃ) নিজে পড়েননি। অন্যকে পড়তে বলেছেন (আবুদাঊদ হা/৩১৮৭; তিরমিযী হা/১০৬৮)।
যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাহ ময়দানে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে অবস্থান করা হজ্জের প্রধান রুকন। এই দিনকেই আরাফার দিন বলা হয়। এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও মর্যাদাপূর্ণ। এ দিনের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে নিম্নে নাতিদীর্ঘ আল
মহান আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে। সুতরাং মানুষ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, এটা তার জন্য ফরয কর্তব্য। কিন্তু মানুষ বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে, তাঁর অবাধ্য হয়। সে আল্লাহর শাস্তির কথা ভুলে গিয়ে ধরাকে সর
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَجُلاً جَاءَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ؟ فَقَالَ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَى اللهِ أَنْفَعُهُمْ لِل
সন্তান জন্ম দেয়া সহজ। কিন্তু সফল ও যোগ্য পিতা-মাতা হওয়া কঠিন। সন্তান মানুষ করা আরও কঠিন। পিতা-মাতার কাছে সন্তান অমূল্য সম্পদ। তাদের ঘিরেই থাকে সব স্বপ্ন। অথচ সফল পিতা-মাতা কি করে হ’তে হয় অধিকাংশ মানুষই তা জানেন না বা জানলেও অনুসরণ করেন না। ফল
মানবতার হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হ’লেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে হেদায়াতের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছেন। হাদীছ বা সুন্নাত হচ্ছে কুরআনের নির্
উত্তর : ছগীরাহ গুনাহ অর্থ ছোট গুনাহ। যে সকল গুনাহের ব্যাপারে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ) সতর্ক করেছেন কিন্তু কোন শাস্তির কথা বলেননি। যা নেক আমল করলেই ক্ষমা হয়ে যায় তওবার প্রয়োজন হয় না। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, এ
উত্তর : গীবত করা হারাম (হুজুরাত ৪৯/১২)।এর ক্ষতিকর প্রভাবে ব্যক্তি থেকে সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে স্রেফ ইছলাহের উদ্দেশ্যে ও নেকীর আশায় জনকল্যাণার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়। যেটা আসলে গীবত নয়। বরং সত্য তুলে ধরা। যে
উত্তর : মসজিদে বিবাহ পড়ানো সংক্রান্ত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/১৮৫; ইরওয়া হা/১৯৯৩; মিশকাত হা/৩১৫২’ যঈফাহ হা/৯৭৮; যঈফুল জামে‘ ৯৬৬)। তবে এই হাদীছের উপর ভিত্তি করে জমহূর ফক্বীহগণ বরকত এবং বিবাহের প্রচারের স্বার্থে মসজিদে বিবাহ পড়ানোকে মুস্তাহাব বলেছেন
উত্তর : ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যারা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবন এবং মৃত্যুদাতা বলে বিশ্বাস করে, কিন্তু ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্যকে শরীক করে, উক্ত আয়াতে তাদেরকে মুশরিক বলা হয়েছে (ইবনু কাছীর উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ; বুখারী, ‘তাওহীদ’ অধ্যা
আল্লাহ বলেন,وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ سُلاَلَةٍ مِّنْ طِينٍ- ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ- ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَح
উত্তর : উক্ত বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে নারী অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করল তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল (তিরমিযী হা/১১০২; আবুদাঊদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১)। যেখানে বিয়েই হয়নি সেখানে মৌখিক বা লিখিত সম্মতিতে বৈধতার কোন প্রশ্নই আসে ন
উত্তর : মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে ইন্নালিল্লাহি...বলতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৫৬)। কিন্তু অমুসলিমদের মৃত্যুতে ‘ফী নারে জাহান্নাম’ বলতে হবে এটা নিতান্তই বানোয়াট কথা। তবে অমুসলিমরা নিশ্চিতভাবেই জাহান্নামে যাবে। আল্লাহ বলেন, আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে
ইসলামে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। এ গুরুত্বের কারণেই আল্লাহ তা‘আলা প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সর্বপ্রথম শিক্ষাদান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُوْنِي
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে অথবা জুম‘আর রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হতে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭)। ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, কেননা জুম‘আর দিন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় না। এর দরজা বন্ধ থাকে।
উত্তর : খাওয়ার সময় ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘বিসমিল্লাহ’ বললেই যথেষ্ট হবে। কারণ খাওয়ার সময়ের ব্যাপারে স্পষ্ট হাদীছ এসেছে (আবুদাউদ হা/৩৭৬৭; মিশকাত হা/৪২০২; ছহীহুত তারগীব হা/২১০৭)। অতএব কেউ কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই
(২) পিতার নিকট থেকে প্রাপ্ত অধিকারসমূহ :সন্তানের প্রতি পিতার দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং দীর্ঘমেয়াদী। মাতৃগর্ভে সন্তানের সঞ্চারণ শুরু হবার সময় হ’তে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দায়িত্ব অব্যাহত থাকে। এজন্য ইসলাম দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহ
উত্তর : কুরবানী করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি ওয়াজিব নয় যে, যেকোন মূল্যে প্রত্যেককে কুরবানী করতেই হবে। লোকেরা যাতে এটাকে ওয়াজিব মনে না করে, সেজন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব, ওমর ফারূক্ব, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর, আব্দুল্লাহ ইবন
[আলহামদুলিল্লাহ। ওয়াছ ছালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদ। গত ৮-১০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে দুবাইয়ে অবস্থিত মসজিদে খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদে ঊর্দূভাষী ভাইদের উদ্দেশ্যে তিন দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ওলামায়ে কেরাম ঊ
উত্তর : প্রচলিত নিয়মে জমি বন্ধক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামী শরী‘আতে হারাম। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত উভয় পদ্ধতির লেনদেন করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; আল-মুদাওয়ান্নাহ ৪/১৪৯; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।৫. শত্রুতা ও বিদ্বেষ (العداوة والبغضاء) : শয়তান মানুষের মাঝে শত্রুতা ও ঘৃণা সৃষ্টি করে। মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاء
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।হায়েয ও নিফাস সম্পর্কিত মাসআলামহিলাদের লজ্জাস্থান হ’তে নির্গত রক্ত তিন প্রকার। যথা-(ক) دم الحيض (হায়েযের রক্ত) : এটা
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে বা সালাম ফিরানোর পর ‘ইসমে আ‘যম’ সহ নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করতে হয়। ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নাকা আনতাল্লা-হুল আহাদুছ ছামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে প্
পর্ব ১। শেষ পর্ব। বিতর্ক ও ঝগড়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মুমিনের ইসলামী জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান অন্বেষণ ও গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করে এবং বিতর্ক ও ঝগড়া করতে নিষেধ করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে, ছাহাবী-তাবেঈগণের যুগ
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত প
সম্প্রতি একটি বিতর্ক স্বয়ং সালাফী আক্বীদার কিছু অনুসারীর মধ্যে মাথা চাড়া দিয়েছে। তারা মনে করে থাকেন যে, সালাফী বা আহলেহাদীছ নামকরণ করা বিদ‘আত। কেননা রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ নামের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আর আল্লাহ তা‘আলা সূরা হজ্জের
উত্তর : না। বরং নারীরা টাখনুর নীচে কাপড় পরবে। উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, মহিলারা তাদের কাপড়ের আঁচলের ক্ষেত্রে কি করবে? তিনি বললেন, তারা (মধ্যহাঁটু থেকে) এক বিঘত ঝুলিয়ে রাখবে। তিনি বললেন, এতে তো তাদের পা প্রকাশ হয়ে যা
উত্তর : দিবস পালন শিরক নয়। তবে নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। যেমন- ঈদে মীলাদুন্নবী, শবেবরাত, শবেমি‘রাজ ইত্যাদি। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যামানায় এসব দিবসের কোন অস্তিত্ব ছিল না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্ট
উত্তর : মান্নান (অধিক দাতা) আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে অন্যতম, যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (আবুদাউদ হা/১৪৯৫; তিরমিযী হা/৩৫৪৪; মিশকাত হা/২২৯০, সনদ ছহীহ)। তবে হান্নান (অধিক স্নেহশীল) আল্লাহর ছিফাতী নাম মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (আহমাদ
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সে একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। নানা কারণে তাকে অন্যের সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে হয়। সমাজের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক আচার-ব্যবহার সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্যের সাথে চলাফেরা ও আচার-আচরণে তার শিষ্টাচার কেমন হবে, সে বিষয়ে ইসলা
তালাক শব্দের অর্থ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বন্ধন মুক্ত হওয়া ইত্যাদি। পরিভাষায় তালাক অর্থ ‘বিবাহের বাঁধন খুলে দেওয়া’ বা বিবাহের শক্ত বন্ধন খুলে দেওয়া। অর্থাৎ স্বামী কর্তৃক তার স্ত্রীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া। জীবনে বিপর্যয় থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে রক্
উত্তর : পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় পশু কুরবাণী করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এছাড়া উক্ত পশুর গোশত খাওয়া যাবে। এমনকি রুচি হ’লে পেটের বাচ্চাও খেতে পারে। আবু সাঈদ খুদরী বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমরা উটনী, গাভী ও ছাগী যবেহ করি এবং কখনো কখনো আ
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-কে হত্যা করা হয়নি; বরং তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ছয় মাস পরে মারা যান (বুখারী হা/৩০৯৩; মুসলিম হা/১৭৫৯)। ১১ হিজরীর ৩রা রামাযান মঙ্গলবার রাতে ৩০ অথবা ৩৫ বছর বয়সে ফাতেমা (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন (আল-ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, আর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর বংশধর ও তাঁর ছাহাবীদের সকলের উপর। অতঃপর খেয়াল-খুশির অনুসরণ ভাল
ইসলাম আত্মার কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ না করতে উৎসাহিত করেছে। নাফসকে ইলাহী ফরমানের দিকে নিবিষ্ট করার লক্ষ্যে নাফসের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে বলা হয় ‘জিহাদুন নাফস’ বা অন্তরের সংগ্রাম। মূলতঃ এ জিহাদই হ’ল সর্বোত্তম জিহাদ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, اَفْضَلُ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৬০৯)। বরং ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ হ’ল জান্নাতের চাবি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যার শেষ কালেমা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (আবুদাঊদ হা/৩১১৬; মিশকাত
আল্লাহ বলেন, وُجُوهٌ يَّوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ- إِلٰى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ- ‘সেদিন অনেক চেহারা উজ্জ্বল হবে’। ‘তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে’ (ক্বিয়ামাহ ৭৫/২২-২৩)।আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি জীবন ও মৃত্যুদাতা। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর
বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষসম্পদ উন্নয়নের আবশ্যকতামানব জীবনে বৃক্ষের গুরুত্ব ও অবদান : জীবজগতের জন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার হ’ল বৃক্ষ। পরিবেশ ও জীবজগতের পরম বন্ধু এই বৃক্ষ। বাস্তবে আমরা দেখি, বৃক্ষ আমাদের ফল-ফসল দেয়, ফুল দেয়, ছায়া দেয় ও কাঠ দেয়। আর বিজ্ঞানের কল
উত্তর : গোসল করে পবিত্র হওয়ার পূর্বে হায়েযা স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সিদ্ধ নয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না (বাক্বারাহ ২/২৮৫)। মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা রাসূলদের মাঝে কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না। তিনি আরো বলেন, যে বলে আমি ইউনুস বিন মাত্তা চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সে মিথ্যুক- ইত্যাদি
উত্তর : পুরুষের সতর হচ্ছে নাভী হ’তে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত (ছহীহ জামে‘উছ ছাগীর হা/৫৫৮৩; ইরওয়াউল গালীল হা/২৭১)। তাই নাভী ও হাঁটু সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং নাভীর নিচ থেকে হাঁটুর উপর সতর (আল-মুগনী ১/৪১৪; নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১৭৩)। এ অংশ সর্বদা ঢেকে রাখা ওয়াজিব
উত্তর : কুকুরে কামড়ানো প্রাণী বেঁচে থাকলে যবেহ করে খাওয়া যাবে (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৯/৩২২; তাফসীরে ইবনু কাছীর, মায়েদাহ ৩ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আল্লাহ হালাল প্রাণীর বর্ণনা দিয়ে বলেন, হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু, তবে যা তোমরা যবেহ দ্বারা হালাল করে
উত্তর : ইমাম আবু হানীফা (৮০-১৫০ হিঃ), জন্মস্থান- কূফা, মৃত্যু- বাগদাদ। ইমাম মালেক (৯৩-১৭৯ হিঃ), জন্মস্থান- মদীনার উত্তরে ‘যুলমারওয়া’ নামক স্থানে, মৃত্যু- মদীনা। ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হিঃ), জন্মস্থান- সিরিয়ার গাযা এলাকায়, মৃত্যু- মিসর। ইমাম আহমা
ভূমিকা :খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল প্রদান করা হারাম। ১৯৬০ সালে উপমহাদেশের প্রাচীনতম দৈনিক ‘আজাদ’-এর ‘হুশিয়ারী’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, ‘খাদ্যে ভেজাল মিশান শুধু অপরাধই নহে, ইহা পাপ বলিয়াও আমাদের মনে হয়। বাহিরের দুশমন অপ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । বৃদ্ধ ও আশ্রম শব্দ দু’টি মিলে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। শব্দগতভাবে অর্থ দাঁড়ায় বৃদ্ধনিবাস বা বৃদ্ধের আশ্রয়স্থল। অন্য অর্থে জীবনের শেষ সময়ের আবাসস্থল, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে বৃদ্ধাবস্
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব । তাওয়াক্কুল : মনোবিদ্যা ও মনের কাজআল্লাহর উপর ভরসা মন সংক্রান্ত বিদ্যা ও মনোবৃত্তি সংক্রান্ত কাজের সমষ্টি। মনসংক্রান্ত বিদ্যা এজন্য যে, বান্দার জানা আছে যে, আল্লাহই সকল কাজের পরিকল্পনাকারী ও নিয়ন্ত্রক .
ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা পরবর্তীতে বিধান হিসাবে গণ্য হয়েছে। তন্মধ্যে নি‘আন অন্যতম। এখানে লি‘আন প্রবর্তনের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।- সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির (রাঃ) আছিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তি
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।উপক্রমণিকা :দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষবাষ্পের ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ ও জাতির উন্নতি-অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার প্রধান অন্তরায় হ’ল দুর্নীতি। এমন কোন সেক্টর নেই যা দুর্নীতির হিংস্র থাবায় আক্রান্ত হয়নি। এক কথায় বলতে
১. ইমাম মালেক রাহেমাহুল্লাহ (৯৩-১৭৯ হি.)-এর নিকটে বিশ বছর অধ্যয়নকারী ছাত্র আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াহাব (১২৫-১৯৬ হি./৭৪৩-৮১২ খৃ.) বলেন,نَذَرتُ أَنِّي كُلَّمَا اغْتَبْتُ إِنْسَاناً أَنْ أَصُوْمَ يَوْماً فَأَجْهَدَنِي فَكُنْتُ أَغْتَابُ وَأَصُوْمُ،
[বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) ইলমে হাদীছে অপরিসীম অবদান রাখার পাশাপাশি বিশুদ্ধ ইসলামের আলোকে মুসলিম জাতিকে সঠিক পথের দিশা দানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর প্রদান করেছেন। এলাহী জ্
উত্তর : স্ত্রীর নিকট স্বামী হ’লেন সম্মানের পাত্র। অতএব যেভাবে ডাকলে স্বামী খুশী হবেন সেভাবে ডাকা উচিৎ। তবে স্বামী অসন্তুষ্ট না হ’লে স্ত্রী স্বামীর নাম ধরে ডাকতে পারে। মূলতঃ এগুলো সামাজিক প্রচলনের বিষয়। আরবীয় সমাজে নাম ধরে ডাকাকে অপমানজনক মনে
মানুষের মুখের কথা একটি গুরুত্বপূর্ণ নে‘মত। সঠিকভাবে এ নে‘মতের ব্যবহার করা যরূরী। অন্যথা এটা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। কেননা মানুষের মুখে উচ্চারিত প্রতিটি কথা মহান আল্লাহর দরবারে সংরক্ষিত হয়। আল্লাহ বলেন, مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَ
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীলের দেওয়া কুরবানী থেকেই কুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে। তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপর এটা জারী ছিল। আমাদের উপর যে কুরবানীর নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা মূলতঃ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে আল
উত্তর : প্রথমতঃ এটা রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ। সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) টিকটিকি মারার আদেশ দিয়েছেন এবং একে ছোট ফাসিক বলে নামকরণ করেছেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১২০)। দ্বিতীয়তঃ ইবরাহীম (আঃ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হ’লে আগুনকে প্রজ্বলি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদে গমনের আদবসমূহ :ইতিপূর্বে আমরা মসজিদে গমনের অনেক ফযীলত উল্লেখ করেছি। উক্ত ফযীলতগুলো লাভের জন্য মসজিদে গমনের আ
সংজ্ঞা :‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নাবী সালামু আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলা
উত্তর : হায়েযা নারী বা জুনুবী ব্যক্তি লাশকে গোসল করাতে পারে। কারণ তারা মৌলিকভাবে পবিত্র (ইবনু হাজার হায়তামী, তুহফাতুল মুহতাজ ৩/১৮৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৩৬৯)। যেমন হজ্জের সময় নাপাক হ’লে রাসূল (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশাকে বলেন তুমি তাওয়াফ ও ছালাত ব্যতীত সব
উত্তর : সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় বা প্রসবের সময় এমনকি নিফাস চলাকালীন অবস্থায় মুমিন নারী মারা গেলে তিনি শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়া আরও সাত জন ‘শহীদ’ রয়েছে। তারা হ’ল : (১) ম
উত্তর : জান্নাতী নারী হৌক বা পুরুষ হৌক সকলের পোষাক সবুজ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতীদের পোষাক হবে মিহি সবুজ ও মোটা রেশমী কাপড়’ (দাহার ৭৬/২১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তারা ঠেস দিয়ে বসবে সবুজ বালিশে ও নকশাদার গালিচার উপরে’ (আর-রহমান ৫৫/৭৬)। অন্যত্র তিনি ব
উপক্রমণিকা :আল্লাহর নৈকট্য, আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতির সুমহান মহিমায় ভাস্বর কুরবানী। কুরবানী আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) ও তদীয় পুত্র হাবিল-কাবীল এবং মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) ও তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা পাঁচটি জিনিস নিজের হাতে রেখেছেন, যা অন্যকে অবহিত করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই রয়েছে (১) ক্বিয়ামতের জ্ঞান। (২) আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং (৩) তিনিই জানেন মায়ের গর্ভাশয়ে কি আছে। (৪) কেউ জানে না আগামীকাল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার, যিনি সৃষ্টিকুলের পালনকর্তা। ছালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর, যিনি নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠ। সেই সঙ্গে ছালাত ও সালাম তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহা
১৯৯৬ সালের শেয়ার বাজার কেলেংকারির পর ২০১০-১১ সালে পুনরায় কেলেংকারি ঘটল। সেবারের কেলেংকারিতে ২০০ কোটি টাকার মত লোপাট হলেও এবার হয়েছে ১৫ হাযার কোটি টাকার উপর। যার রেশ এখনো চলছে। সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। চলছে হাযার
উত্তর : অধ্যয়নে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য নিম্নের দো‘আসমূহ পাঠ করা যায়। (ক) رَبِّ زِدْنِىْ عِلْمًا- (রবিব ঝিদনী ‘ইল্মা)। ‘হে প্রভু! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর’ (ত্বোয়াহা ২০/১১৪)। এছাড়াও পড়া যায় (খ)َاللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَ
উত্তর : ইমাম ও মুক্তাদী উভয়েই ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ ও ‘আল্লা-হুম্মা রববানা লাকাল হামদ...’ বলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ছালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমাম নির্ধারণ করা
আল্লাহ তা‘আলা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই বারো মাসে বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন (তওবা ৯/৩৬)। এই মাস সমূহের মধ্যে প্রথম মাস হ’ল মুহাররম মাস। মুহাররম মাসের সাথে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে। এই মাসে রয়েছে কিছু সুন্নাত ইবাদত। আবার এই মাসকে কেন্দ্র
ইসলাম শব্দের মূল ধাতু হচ্ছে ‘সিলম’, যার অর্থ শান্তি। অতএব ইসলাম-এর পারিভাষিক অর্থ হবে নবী (ছাঃ)-এর ত্বরীক্বা মোতাবেক আল্লাহর বিধান পালন করতঃ জীবন গঠন করে শান্তি লাভ করা।পৃথিবীতে অনেক ধর্ম বিদ্যমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইসলামই হ’ল সঠিক ও সত্য ধর্ম। বাকী
উত্তর : আছে। ‘মাকরূহ’ অর্থ- অপসন্দনীয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এশার ছালাতের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার পরে কথা বলাকে অপসন্দ করতেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৭ ‘জলদী ছালাত আদায়’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, অনেক বিদ্বান মাকরূহকে তানযীহী ও তাহরীমী দু’ভাগে ভ
ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে, ‘কাট ইওর কোট অ্যাকোরডিং টু ইওর ক্লোথ’। অর্থাৎ আয় বুঝে ব্যয় কর। যারা আয় বুঝে ব্যয় করে না তাদের বিপদ আসন্ন। যেমন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা ঠিক নয়, তেমন কৃপণতাও কাম্য নয়। আয় বুঝে ব্যয় না করলে নিস্ব হ’তে হয়, এরূপ একটা
উত্তর : ৩৬ হিজরীতে সংঘটিত উষ্ট্রের যুদ্ধের ন্যায় ৩৭ হিজরীর ছিফফীন যুদ্ধেরও মূল কারণ ছিল ওছমান (রাঃ)-এর হত্যাকারী বিদ্রোহীদের গভীর ষড়যন্ত্র। ৩৫ হিজরীর যিলহাজ্জ মাসে ওছমান (রাঃ) শাহাদত বরণ করলে লোকেরা আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করে। বিদ্রোহ
উত্তর : নাহরাওয়ানের যুদ্ধে পরাজিত খারেজী শক্তি হযরত আলী (রাঃ)-কে হত্যার নিকৃষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে। খারেজী নেতা আব্দুর রহমান ইবনু মুলজাম, হাজ্জাজ ও আমর ইবনু বকর মক্কায় মিলিত হয়ে যুদ্ধে নিহত খারেজীদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করে বলে যে, আমরা বেঁচে
বিশ্ব মানবতার মুক্তি ও কল্যাণে ইসলাম সর্বজনস্বীকৃত আল্লাহ মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। সেকারণ ইসলাম শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ধর্ম। অপরদিকে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হ’তে অবতীর্ণ সর্বশেষ ওহী আল-কুরআনে সকল সমস্যার সমাধান বর্ণিত হয়েছে। সমাজে শা
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-এর অসুবিধার জন্য নয় বরং প্রস্তাবিত নারীরা আবু জাহলের বংশধর ছিল বলে রাসূল (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বিবাহের অনুমতি দেননি। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, বনু হিশাম ইবনু মুগীরা আলীর কাছে তাদের মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছ
উত্তর : উক্ত বাক্য দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সামগ্রিক জীবনাদর্শকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসকে কামনা করে ও অধিকহারে আল্লাহকে স্মরণ করে’ (আহযাব ৩৩/২১)
উত্তর: দুনিয়াতে পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় ফেতনা হ’ল (দুষ্টু) নারী (বুখারী হা/৫০৯৬, মুসলিম হা/২৭৪১; মিশকাত হা/৩০৮৫)।
وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللهِ فَإِنْ فَاءَتْ فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا بِالْعَدْلِ وَأَقْس
ভূমিকা :দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পদতলে জনজীবন পিষ্ট। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে তো ছুটছেই। এর মুখে লাগাম দেয়া যাচ্ছে না। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে দৈনন্দিন পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পরিবার প্রধানদের উঠছে নাভিশ্বাস। ‘কনজ্যুমা
উত্তর : মৃত সুন্নাত জীবিত কারী নয় বরং উম্মতের পতন অবস্থায় কোন সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণকারী ব্যক্তি পঞ্চাশ জন শহীদের সমান নেকী পাবে বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের পরে এমন একটা কঠিন সময় আসছে, যখন কোন সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধা
উত্তর : শনিবারসহ সপ্তাহের প্রতিদিন মাছ ধরা বা শিকার করা জায়েয। এ ব্যাপারে ইসলামী শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে দাঊদ (আঃ)-এর যুগে বনু ইস্রাঈলদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ শনিবারে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল (আ‘রাফ ১৬৩)। তারা তা অমান্য করায় আল্লাহর হুকু
মজুদদারী হারাম হওয়ার শর্ত সমূহ :মজুদদারী হারাম হওয়ার জন্য ফকীহগণ কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করেছেন। যথাঃ-১. মজুদকৃত বস্ত্ত মজুদকারী ও তার পরিবারের এক বছরের প্রয়োজন পূরণের অতিরিক্ত হতে হবে। কারণ এক বছরের জন্য কোন ব্যক্তি তার ও তার পরিবারের প্রয়োজন পূরণে
[সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট একজন আলেম পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে একটি বিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি ইমাম মাহদীর সম্ভাব্য আগমনকাল আগামী ২০১৯/২০২০ সাল বলে মন্তব্য করায় অনেকের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। ১৯৯৬ সালে জনৈক মিসরীয় লেখক আমীন মুহাম্মাদ জামালুদ্দীন একই
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :সুবিশাল সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হ’ল মানুষ। পৃথিবীর সকল মানুষ এক আদমের সন্তান। মহান আল্লাহ বলেন,يَا أََيُّهَا النَّاسُ اتَّقُواْ رَبَّكُمُ ا
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব ।ভূমিকা :সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালনকারী। ছালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর, যিনি নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠ। সেই সঙ্গে ছালাত ও সালাম তাঁর পরিবার ও ছাহাবীগণের উপর।অতঃপ
উত্তর : যাবে না। রাসূল (ছাঃ) মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে নেককার হ’লে হয়তো অধিক নেকী অর্জন করবে এবং বদকার হ’লে সম্ভবত তওবা করে আল্লাহর সন্তোষ লাভে সমর্থ হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৫৯৮
উত্তরঃ খাসী করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাসী করা ছাগল কুরবানী করেছেন (ছহীহ্ ইবনু মাজাহ্ হা/৩১২২; মিশকাত হা/১৪৬১)। যে হাদীছে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে (বায়হাক্বী, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৬০) সে সম্পর্কে ইমাম নববী বলেন, সেগুলি হারাম পশুর বেলায় প্রযোজ্য (দ্র
উত্তর : প্রতি শেষ রাতে আল্লাহ প্রথম আকাশে নেমে আসেন, যা বহু ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/১১৪৫, মুসলিম হা/৭৫৮ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১২২৩)। কিন্ত তিনি কিভাবে নেমে আসেন তা অজ্ঞাত। এগুলি অদৃশ্য বিষয়ক জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। যা স্রেফ আল্লাহর ইলমে র
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাদের আযাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং ক্ষমা প্রার্থীদের অঢেল নেকী প্রদান করতে ক্ষমার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন। পেন্সিলের ভুল লেখা মুছে ফেলার জন্য যেমন রাবার ব্যবহার করা হয় তেমনই বান্দার ভুলগুলো আমলনামা থেকে মুছে ফেলার জন্য
উত্তর : কবর খনন করা নিঃসন্দেহে নেকীর কাজ। এজন্য ঐ ব্যক্তি অশেষ ছওয়াবের অধিকারী হবেন। কেননা মহান আল্লাহ বলেন, ‘নেকীর কাজে তোমরা পরস্পরে সহযোগিতা কর...’ (মায়েদাহ ২)।কবর প্রশস্ত, গভীর ও সুন্দর হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কবর খনন ক
ভূমিকা :জিহাদ ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া। এটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে ইবাদতকে শয়তান সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। চূড়া বা ছাদ না থাকলে যেমন কোন ঘরে আশ্রয় নেওয়া যায় না। তেমনি জিহাদ বিহীন ইসলামের মাধ্যমেও সফলতার আশা করা যায় না। কেননা দ্বীনের বিজ
মানুষের মধ্যে যেসব লোক অদৃশ্য ও ভবিষ্যত সম্বন্ধে জ্ঞানের অধিকারী বলে দাবী করে তারা বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন- গণক, ভবিষ্যদ্বক্তা, যাদুকর, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, জ্যোতিষী, হস্তরেখা বিশারদ প্রভৃতি। এসব ভবিষ্যদ্বক্তা নানা পদ্ধতি ও মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্যাবলী উ
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
মানুষের প্রতি আল্লাহর সর্বশেষ আহবান ‘তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিন তোমরা সকলে ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রত্যেকে পাবে তার স্ব স্ব কর্মফল। আর তারা কেউ সেদিন অত্যাচারিত হবে না (বাক্বারাহ ২৮১)। বস্ত্ততঃ এটাই ছিল কুরআনের সর্বশেষ আয়াত, যা রাসূ
(৮) মোহরানা নির্ধারণ : বিবাহের আগে মোহরানা নির্ধারণ করা এবং বিবাহের পর তা স্ত্রীকে দিয়ে দেওয়া ফরয। আল্লাহ বলেন, وَآتُوا النَّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা খুশী মনে প্রদান কর’ (নিসা ৪/৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, فَآتُوْهُنّ
উত্তর : বিবাহ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। মানব বংশ রক্ষার জন্য এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি চিরন্তন ব্যবস্থা। এটি নবীগণের সুন্নাত। বিবাহ করার জন্য পবিত্র কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন (নিসা ৩; নূর ৩২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদ
ভূমিকা : ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) একটি নাম, একটি ইতিহাস। যুগে যুগে হক্ব প্রচারে যারা রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) অন্যতম। তিনি পরম ধৈর্যের সাথে সকল নির্যাতন সহ্য করেছিলেন। তার নির্যাতন-নিপীড়নের
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে যিহার করতে পারে না, বরং স্বামী স্ত্রীকে যিহার করে থাকে। ফলে এটি যিহারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং একটি সাধারণ কথা মাত্র। এতে কোন কাফফারা দিতে হবে না। মূলতঃ ‘যিহার’ হ’ল, স্বামী যদি তার স্ত্রীকে অথবা তার কোন অঙ্গকে নিজের ‘মা’
উত্তর : ডিএক্সএন মূলতঃ অসাধু এমএলএম ব্যবসা চালাচ্ছে। নানা আকর্ষণীয় প্যাকেজ দেখিয়ে তারা সদস্য ভর্তি করে এবং প্রায় বিনা পরিশ্রমে মোটা অংক লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়। এদের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া মোটেই বৈধ হবে না। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের জিজিএন, ডেসটিনি,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : সাহায্যপ্রাপ্ত দল, নাজাতপ্রাপ্ত ফিরক্বা এবং হক্বের অনুসারীদের বৈশিষ্ট্যগত নাম ‘আহলেহাদীছ’। এরা ঐ সমস্ত মহান ব্যক্তি
উত্তর : ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শ্রেষ্ঠ দো‘আ হ’ল ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (তিরমিযী হা/৩৩৮৩; মিশকাত হা/২৩০৬)। এরপর নবাগত সন্তান ও তার ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন দো‘আ করা যায়। যেমন মু‘আবিয়া বিন কুররা (রাঃ) বলেন, ‘আমার সন্তান ইয়াস জন্মগ্র
উত্তর : প্রত্যেক ছালাতের মোট সময়ের প্রথম অর্ধাংশকে আউয়াল ওয়াক্ত বলা হয়। মি‘রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয হওয়ার পরের দিন যোহরের সময় জিবরীল (আঃ) এসে প্রথম দিন আউয়াল ওয়াক্তে ও পরের দিন আখেরী ওয়াক্তে নিজ ইমামতিতে পবিত্র কা‘বা চত্বরে মাক্বামে ইবরা
মানবজাতিকে আল্লাহ তা‘আলা আশরাফুল মাখলূক্বাত হিসাবে স্বাধীন চিন্তাশক্তি দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। ফলে তার মাঝে তিনপ্রকার নফসের সম্মিলন ঘটেছে। নাফসে আম্মারাহ, নফসে লাউওয়ামাহ এবং নাফসে মুতমাইন্নাহ। এর মধ্যে নফসে আম্মারাহ বা কুপ্রবৃত্তি মানুষকে জৈবিক
(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্
মাসিক আত-তাহরীক ১ম বর্ষ ক্র. বর্ষ
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা সাত আসমান ও সাত যমীন সৃষ্টি করেছেন (তালাক ১২), তা বিদ্যমান রয়েছে এবং ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা সাতটি যমীন চাপিয়ে দিয়ে জমি জবর দখলকারীদেরকে শাস্তি দিবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯৩৮)। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, এর দ্বারা য
উত্তর : ব্যাঙের পেশাব নাপাক। কারণ যেসব প্রাণীর গোশত হারাম তার পেশাবও হারাম। অতএব ব্যাঙের পেশাব কাপড়ে লাগলে তা ধুয়ে ছাফ করতে হবে (ইবনু হাজার হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ১/৩১৭)।প্রশ্নকারী : ডা. আলফায আলী, নওগাঁ।
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইভটিজিং বা নারী উত্ত্যক্তের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আশংকাজনকহারে বেড়ে চলেছে ইভটিজিং ও ছাত্রী লাঞ্ছিত করার ঘটনা। Eve শব্দটির অর্থ নারী এবং Tea
ভূমিকা :ই‘তিকাফ মানুষকে দুনিয়াবী ব্যস্ততা পরিহার করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হওয়া শিক্ষা দেয় এবং আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক জুড়ে দেয়। এতে আল্লাহর প্রতি মহববত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার গোনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু সুযোগ দি
ভূমিকা :সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক। আর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হৌক নবী-রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠজন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল ছাহাবীর উপর।অতঃপর আমাদের জানা কর্তব্য যে, ঈমান দু’ভাগে বিভক্ত : অ
উত্তর : জুতা পায়ে দিয়ে কবরস্থানে যাওয়া নাজায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৭৪, মুসলিম হা/২৮৭০, মিশকাত হা/১২৬)। তবে জমহূর বিদ্বানগণ বিনা প্রয়োজনে কবরস্থানে জুতা পরিধান করাকে সুন্নাতের খেলাফ বলেছেন এবং ময়লা-আবর্জনা না থাকলে পারতপক্ষে জুতা খুলে প্রবেশ করাই উত
আকাশমন্ডলী মহান আল্লাহর অনবদ্য সৃষ্টিসমূহের এক অনন্য নিদর্শন। তিনি দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের ভাসমান মেঘমালা থেকে ঊষর যমীনে সঞ্জীবনী বৃষ্টি বর্ষণ করেন। পূর্ব গগণে উদিত সূর্যের সোনালী রোদের পরশে মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং সৃষ্টিকুলের আহারের
উত্তর : জন্মদিবস, মৃত্যুদিবস, শোক দিবস সহ যত দিবস পালিত হয়, তার সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। এগুলি স্রেফ জাহেলিয়াত এবং বিজাতীয় অপসংস্কৃতি মাত্র। অতএব এগুলি পালন করা, এর জন্য শুভেচ্ছা জানানো, কার্ড পাঠানো ইত্যাদি সবই নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছা
১১ নং দলীল :বিশুদ্ধ দৃষ্টিকোণ ও প্রচলিত যুক্তি, এই পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত যাকে নিয়ে এসেছে। আর সেটা হ’ল কল্যাণময় কর্মসমূহ ও তার মাধ্যমগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তার প্রতি উৎসাহিত করা। অপরদিকে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি ও তার মাধ্যমগুলোকে অস্বীকার করা এবং পরিহার করা।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস ধ্বংস হওয়ার পূর্বে সেটি দুর্বল হওয়ার আলামতগুলো প্রকাশ পায়। আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীকে ধ্বংস করার পূর্বে কিছু আলামত প্রকাশ করবেন। যাতে পৃথিবীতে বসবাসরত মানুষগুলো সতর্ক হয় এবং পরকালের স্থায়ী জী
ভূমিকা :দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুকে রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে হয়। মানুষের এই চলার পথ নিরাপদ, নিষ্কণ্টক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া যরূরী। সেই সাথে পথচারীকেও সজাগ ও সচেতন হ’তে হয়। পথে বা রাস্তায় চলাফেরার সময় বিভিন্ন নিয়ম-কানূন মেনে চলার জন্য ইসলামে দ
ইসুবগুলের ভুষি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাংলাদেশ, ভারত সহ অনেক দেশেই এটি বেশ পরিচিত। এর অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে : ইসবগুলে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো
উত্তর : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আদম সন্তানকে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ দু’টি উপত্যকাও যদি দেওয়া হয়, সে তৃতীয়টির আকাংখা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত অন্য কিছু পূর্ণ করতে পারবে না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা
সুষম খাদ্য না খাওয়ার কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। কোন খাবারে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে তা না জানার কারণে আমরা পুষ্টির অভাবে ভুগি এবং শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। যেমন- এনিমিয়া, বেরিবেরি, স্কার্ভি, রিকেট ও অষ্টিওম্যারেশিয়া, গলগন্ড ইত্য
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক। দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠজন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহাবীদের সকলের প্রতি।অতঃপর মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমার পক্ষ
উত্তর : চুমু খাওয়া বা কদমবূসী করা ইসলামী রীতি নয়। একদা আনাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যখন তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি তার জন্য মাথা ঝুঁকাবে? তিনি বললেন, না। আনাস (রাঃ) বললেন, তবে কি তাকে জড়িয়
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিন জন ব্যক্তির উপর আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করেছেন। (১) নিয়মিত মদ্যপায়ী (২) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (৩) দাইয়ূছ। যে তার পরিবারে ফাহেশা কাজ স্থায়ী রাখে’ (নাসাঈ হা/২৫৬২; আহমাদ হা/৫৩৭২; মিশকাত হা/৩৬৫৫; ছহীহাহ হা/৬৭৪)। উক্ত হাদী
মহান আল্লাহ মানুষের জন্য যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করে থাকেন। তাই আল্লাহর কাছেই মানুষকে চাইতে হবে। জুতার ফিতার প্রয়োজন হ’লেও রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর কাছে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি খুশী হন এবং তিনি বান্দার দো‘আ বা প্রার্থনা কবুল করেন। তিনি ব
উত্তর : নিজের অজান্তে কেউ শিরক করে ফেললে এবং তওবা না করলে আল্লাহ তাকে মাফ করতেও পারেন, নাও করতে পারেন। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমরা জেনে-শুনে কাউকে আল্লাহর সাথে সমকক্ষ নির্ধারণ করো না (বাক্বারাহ ২/২২)। সুতরাং যখনই সে শিরকের বিষয় জানবে তখনই সে তওবা ক
উত্তর : কেবল অপবিত্র স্থানটুকু পরিষ্কার করলেই যথেষ্ট হবে। পুরো পোশাক বা পুরো বিছানা ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই। একবার এক ব্যক্তি আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হ’ল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও, তব
ভূমিকা : মানব জীবনের শুরুটা যেমন অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, তেমনি তার বার্ধক্যেও নেমে আসে চরম অসহায়ত্ব। বুদ্ধি-বিবেকে যেমন ঘটে চরম পরিবর্তন, তেমনি ঘটে দৈহিক গঠনেও। এক সময় সে দাড়িবিহীন ও স্বল্প চুলের অধিকারী থাকলেও সময়ের ব্যবধানে সে হয়ে যায় সাদা চু
উত্তম চরিত্র মানব জীবনের অতি মূল্যবান সম্পদ, যাকে মানব জীবনের ভূষণ বলেও অভিহিত করা যায়। আর উত্তম চরিত্রের ভূষণ হচ্ছে লজ্জাশীলতা বা লাজুকতা। যে কাজ করলে জনসমক্ষে মস্তক অবনত হ’তে পারে ঐ ভয়ে তা পরিহার করা বা তা থেকে বিরত থাকার নাম ‘হায়া’ বা লজ্জা। এই লজ
উত্তর : খাসীকৃত প্রাণী ত্রুটিপূর্ণ নয়। কারণ এটি ছাগলের কোন রোগ নয়। বরং খাসীর গোশত তুলনামূলক পবিত্র, দুর্গন্ধমুক্ত ও সুস্বাদু হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে সর্বদা দু’টি করে ‘খাসী’ (خَصِيَّيْنِ- مَوْجُوْئَيْنِ) কুরবানী দিতেন (হাকেম হা/৭৫৪৭; আহ
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন বিশ্বনবী মুহাম্মদ (ছাঃ)-এর অবমাননা করে ছবি নির্মাতা হল্যান্ডের অধিবাসী আরনুডো ফাওয়ান্ডার। আরনুডো বলেছেন, ইসরাঈল ও আমেরিকান লবি আমাকে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অবমাননা করে ফিল্ম নির্মাণের জন্য প্ররোচিত করেছিল। আজ আমি সে কাজের জ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ঋণ গ্রহণকারীর আদব ১. সূদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ না করা : সূদের উপর ঋণ গ্রহণ করা এবং সেই সূদী অর্থ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারা
আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করাকে পসন্দ করেন। তিনি বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (যুমার ৩৯/৫৩)।
উত্তর : পিয়াজ ও রসুন হালাল এবং অনেক উপকারী খাদ্যবস্ত্ত হওয়া সত্ত্বেও এর তীব্র গন্ধ অন্যের জন্য কষ্টকর হওয়ায় রাসূল (ছাঃ) কাঁচা পিয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং এই নিষেধাজ্ঞা কেবল মসজিদে জামা‘আতের সাথে সম্পৃক্ত। অবশ্য রান্না ক
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধানের নাম, যা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্ব মানবতার জন্য পথ নির্দেশিকা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এটি নীরেট কোন জীবন ব্যবস্থার নাম নয়, বরং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে গাম্ভীর্যপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ উপহার দিতেও ইসলামের জুড়ি নেই। ম
ভূমিকা : কোন কোন মুসলিম ভাই বিভিন্ন অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা দ্বারা নারী-পুরুষের ছালাতের মাঝে পদ্ধতিগত পার্থক্য নিরূপণের চেষ্টা করেন। তারা ১৮টি পার্থক্য তুলে ধরে থাকেন। বঙ্গানুবাদ ‘বেহেশতী জেওর’ বইয়ে ১১টি পার্থক্য উল্লেখ করা হয়েছে।[1] তারা মারফূ‘, মাওকূফ
উত্তর : জান্নাত একটি আর জাহান্নামও একটি। তবে জান্নাত এবং জাহান্নামের অনেকগুলি স্তর রয়েছে। জান্নাত শব্দটি কুরআনে এবং হাদীছে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে ঐসব স্তরগুলির দৃষ্টিকোণ থেকে। যেমন বলা হয়েছে, জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্
হিন্দুস্থানের প্রাচীন ধর্মীয় ইতিহাস ও সাহিত্যে ‘হিন্দুত্ব’ বা হিন্দুধর্ম-এর সমার্থবোধক কোন শব্দ পাওয়া যায় না। সেখানে ‘সনাতন ধর্ম’ ও ‘বৈদিক ধর্ম’ শব্দগুলোর ব্যবহার পাওয়া যায়। বেদ ও উপনিষদসমূহে বর্ণিত সেই ‘সনাতন ধর্ম’ এবং ‘বৈদিক ধর্ম’-এর স্থলে
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ প্রচুর। তরমুজের পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় সকলের কাছে প্রিয় ফল। তরমুজে শতকরা প্রায় ৯২ ভাগ পানি রয়েছে। যা আমাদের দেহের পানির চাহিদা মিটিয়ে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে। এতে ভিটামিন এ, সি, বি ও বি-২ থাকায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন এখা
উত্তর : হাদীছটির পটভূমিতে বলা হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি এক বালকের গালে চপেটাঘাত করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে এভাবে গালে চপেটাঘাত করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, خَلَقَ اللهُ آدَمَ عَلَى صُوْرَتِهِ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আদমকে স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন
উত্তর : এ বিষয়ে শরী‘আতের বিধান হ’ল গোফ ছাঁটা। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দশটি বিষয় হ’ল স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে গোঁফ ছাঁটা অন্যতম’ (মুসলিম হা/২৬১; মিশকাত হা/৩৭৯ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়)। আর চল্লিশ দিনের অধিক গোঁফ না ছেঁটে রাখা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার উম্মতের সত্তুর হাযার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের কোন শাস্তি হবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, তারা কারা? তিনি বললেন, যারা শরীরের ক্ষতস্থানে লোহা পুড়িয়ে দাগা দেয় না এবং (জাহেলী যুগের ন্যায়) ঝাড়-ফুঁক বা মন্ত্
আল্লাহ বলেন, 'হে বিশ্বাসীগণ। তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হ'ল, যেমন তা ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হ'তে পার' (বাকারাহ ২/১৮৩)।রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে’ (বুখারী হা/১৯৫৪; মুসলিম হা/১১০০; ম
ছালাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত। এ ইবাদত কবুল হওয়ার উপরেই অন্যান্য ইবাদত নির্ভর করে। অথচ মানুষ ছালাতের যথার্থ গুরুত্ব অনুধাবন না করে যেনতেনভাবে ছালাত আদায় করে। এ ধরনের ছালাত আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না; বরং এসব ছালাত আদায়কারীর জন্য পরকালে কঠিন
عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرْبَعٌ مِنَ السَّعَادَةِ: الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ، وَالْمَسْكَنُ الْوَاسِعُ، وَالْجَارُ الصَّالِحُ، وَالْمَرْكَبُ الْهَنِيءُ، وَأَرْبَعٌ مِنَ الشَّقَا
পিতা-মাতা হ’লেন মানুষের পৃথিবীতে আসার একমাত্র মাধ্যম। একজন সন্তানকে সৎ ও আদর্শবান হিসাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পিতা-মাতার। সন্তান আদর্শবান না হ’লে সারাজীবন পিতা-মাতাকে কষ্ট ভোগ করতে হয়। কেবল আদর্শবান সন্তান তার পিতা-মাতাকে প্রাপ্য অধিকার প্রদান ক
বর্তমান বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় মাধ্যম Facebook (ফেসবুক)। এ ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কে এখন যুক্ত রয়েছে বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ। Facebook এখন বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওয়েবসাইট। যে Google ব্যতীত ইন্টারনেট কল্পনা করা য
সফলতা মানব জীবনে উত্তরণের একটি অন্যতম হাতিয়ার। ইহলৌকিক জীবনের নানা স্তরে প্রতিষ্ঠা অর্জন করার জন্য আমরা অবিরত সংগ্রাম করি। সংগ্রামী চেতনা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অতুলনীয় সাহায্য করে। দীর্ঘ অধ্যবসায় বা নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে সফলতা লাভ করা য
উপক্রমণিকা :পার্থিব জীবনে মানুষ নানা রকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়। শরী‘আতে এসব অসুখের চিকিৎসার নির্দেশও রয়েছে। ঔষধ সেবনের পাশাপাশি ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমেও আরোগ্য লাভ হয়। কিন্তু সেসব ঝাড়-ফুঁক শিরকমুক্ত ও কুরআন-হাদীছ সম্মত হওয়া আবশ্যক। আর কুরআন মাজী
উত্তর : এধরনের বর্ণনা মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। এগুলোর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব, অডিও টেপ নং ৪৭৩)।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।জামা‘আতকে অাঁকড়ে ধরার উপকারিতা এবং তা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অপকারিতা :আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে মুমিনের কোন ন
ভূমিকা :বর্তমান ইরাক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এখানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পশ্চিমা হায়েনারা বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে চলেছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। ধ্বংস করে যাচ্ছে হাযার হাযার বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা। কেউ বলছে না মানবতার কথা। সাম্রাজ্যবাদীদের স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করে জান্নাতে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে দুনিয়াতে নামিয়ে দিলেন। আর শয়তানকে মানুষের শত্রু হিসাবে পাঠিয়ে দিলেন। শয়তান আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ
উত্তর : যেকোন হালাল প্রাণীর প্রবহমান রক্ত ব্যতীত দেহের সকল অংশ খাওয়া হালাল (আত-তাজ ওয়াল ইকলীল ১/১২৪)। সেটি গোশত, চামড়া, হাড়, নাড়ি বা গিলা হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলে দাও, আমার নিকট যেসব বিধান অহি করা হয়েছে, সেখানে ভক্ষণকারীর জন্য আমি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : তাতারদের ইতিহাসে আমাদের জন্য বহু শিক্ষা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তাদের কাহিনীতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ রয়েছে’ (ইউসূফ ১২/১১১)। তিনি আরো
উত্তর : জীবিত অবস্থায় যাদের দেখা জায়েয মৃত্যুর পরেও তাদের দেখা জাযেয। মূলত মানুষ মারা গেলে একজন মুসলমানের জন্য যরূরী হ’ল তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা, তাকে দেখা নয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৪৩০)। প্রচলিত আছে যে, স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রীর
মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে আগত নবী-রাসূলগণের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। যিনি এসে মানুষকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছেন। জীবনের করণীয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যেকার সম্পর্ক জানিয়েছেন। স্রষ্টার প্রতি দা
উত্তর : স্বামীর চাচা বা মামা তথা চাচা শ্বশুর বা মামা শ্বশুর স্ত্রীর মাহরাম নয়। সেজন্য স্ত্রীকে তাদের থেকে যথাযথভাবে শারঈ পর্দা করতে হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৫৫০/০৩)। কারণ কুরআনে যে মাহরামদের কথা বলা হয়েছে এরা তাদের মধ্যে নয় (নিসা ৪/২৪)
ভূমিকা :বিংশ শতাব্দীতে যে সকল মুহাদ্দিছ ইলমে হাদীছের ময়দানে অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)। যাঁর অনন্য সাধারণ অবদানের ফলে সারা বিশ্বে ছহীহ হাদীছ অনুসরণের গুরুত্ব এবং হাদীছ যাচাই-বাছাইয়ের প্র
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড় তিনটিই যথেষ্ট (বুখারী হা/১২৬৪; মুসলিম হা/৯৪১; মিশকাত হা/১৬৩৫; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতি‘ ৫/২২৪; দ্র. ছালাতুর রাসূল ২২৭ পৃ.)। মহিলাদের পাঁচ কাপড়ে কাফন দেওয়ার হাদীছ যঈফ (যঈফাহ হা/৫৮৪৪)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অন
ভূমিকা : ইমাম নাসাঈ (রহঃ) ইলমে হাদীছের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি সুনানে নাসাঈ সহ অনেক মূল্যবান গ্রন্থ প্রণয়ন করে মুসলিম বিশ্বে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন। সততা, বিশ্বস্ততা, আমানতদারিতা, ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহভীরুতায় তিনি ছিলেন অনন্য। হাদীছ চর্চা
উত্তর : আক্বীক্বার সুন্নাতী নিয়ম হ’ল ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল বা দুম্বা আক্বীক্বা দেওয়া (আবূদাঊদ হা/২৮৩৪; মিশকাত হা/৪১৫২; ছহীহাহ হা/১৬৫৫)। গরু ও উট দিয়ে আক্বীক্বা করার প্রমাণে বর্ণিত হাদীছটি জাল। আয়েশা (রাঃ)-এর ভাতিজা জন্
উত্তর : এই কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই। কুরআন, হাদীছ এমনকি কোন ইতিহাস গ্রন্থেও এমন ঘটনা পাওয়া যায় না। হাদীছে এসেছে যে, পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন আমাদের প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) (মুসলিম হা/১৯৭; আহমাদ হা/১২৪৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/
আল্লাহ বলেন,تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ- الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً وَّهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ- ‘বরকতময় তিনি, যাঁর হাতেই সকল রাজত্ব। আর তিনি সকল কিছুর
উত্তর : কোন ব্যক্তির জানাযা না হয়ে থাকলে তার গায়েবানা জানাযা পড়া জায়েয। অমুসলিম দেশে জানাযা ছাড়াই দাফন হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাদশাহ নাজাশীর গায়েবানা জানাযা পড়েছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫২)। কারণ তিনি মুসলমান হয়েছিলেন। কিন্
উত্তর : পোতা যাবে না। যারা এরূপ করে থাকেন তারা একটি হাদীছের অনুসরণে এরূপ করে থাকেন। যেমন নবী করীম (ছাঃ) একদিন দু‘টি কবরের শাস্তি জানতে পেরে একখানা খেজুরের ডাল দুই টুকরা করে দু’টি কবরে গেড়ে দেন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এরূপ করলেন কেন? তিন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে মানুষের ভিতরে-বাইরে, শয়নে-স্বপনে, দিবা-নিশি সর্বাবস্থায় পথভ্রষ্ট করার সকল প্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আদম (আঃ)-কে জান্নাত থেকে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে সফলতা অর্জন কর
জান্নাত লাভের কতিপয় উপায় ভূমিকা : ইহকালীন জীবনে মানুষের কৃতকর্মের মাধ্যমে অর্জিত নেকী পরকালীন জীবনে পরিত্রাণ লাভের অসীলা হবে। তাই দুনিয়াতে অধিক নেক আমলের দ্বারা বেশী বেশী ছওয়াব লাভের চেষ্টা করা মুমিনের কর্তব্য। কিন্তু পার্থিব জীবনের মায়াময়তায় জড়িয়ে আ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । কাদিয়ানী মতবাদের বিরুদ্ধে মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর ঐতিহাসিক সংগ্র
ইবাদতের স্তরসমূহ :ইবাদতের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যথা- ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব। এর মধ্যে কিছু উম্মতের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আর কিছু দলীলের ভিত্তিতে নির্ণীত। এভাবে স্তরের ভিন্নতা শরী‘আত প্রণেতার সম্বোধন, নির্দেশিত বিষয় কাজে বাস্তবায়ন এবং বর্জনীয় বিষয়
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীমনাহ্মাদুহু ওয়া নুছাল্লী ‘আলা রাসূলিহিল কারীমيَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَآءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللهَ لاَ
পর্ব ১।(মার্চ’২০ সংখ্যার পর)৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাওয়াত :কোন জাতি বা গোষ্ঠীকে সুষ্ঠু-সুন্দর ও ন্যায়নিষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ফরাসী দার্শনিক ভলতেয়ার (Voltaire)-এর ভাষায় Education is the backbone of a nation ‘শিক্ষা জাতির
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আদল বা সুবিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদল হ’ল মানবীয় সর্বোত্তম গুণের অন্যতম। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও যুলুম- নিপীড়নমুক্ত সমাজ গঠনে আদল বা সুবিচারের কোন বিকল্প নেই। দ্বীন ইসলামকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ক
ভূমিকা : সত্যবাদিতার বিপরীত হচ্ছে মিথ্যাচার। যে মিথ্যা বলে সে মিথ্যাবাদী। মিথ্যাবাদীকে কেউ বিশ্বাস করে না। মিথ্যার ফলে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মিথ্যা মানুষকে ইহকালে ঘৃণিত ও নিন্দিত করে এবং পাপের পথে পরিচালিত করে। আর পাপ তাদের জাহান
উত্তর : কেবল সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ)-এর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশে কম্পন সৃষ্টি হয় বলে ছহীহ হাদীছে পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল (বুখারী হা/৩৮০৩; মুসলিম হা/২৪৬৪; মিশকাত হা/৬১৯৭)। তিনি আরো বলেন, সা‘দ
উত্তর : এভাবে মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয নয়। কবরের উপর নির্মিত মসজিদের নীচ তলায় যেমন ছালাত জায়েয নয়, তেমনি দোতলায়ও জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কবরের উপর বসো না এবং কবরের দিকে ফিরে ও কবরের উপরে ছালাত আদায় করো না’ (মুসলিম হা/৯৭২; মিশকাত হা/১৬৯৮)।
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায়কালে মুছল্লীদের পরস্পরে পায়ে পা মিলানো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। আনাস (রাঃ) বলেন, আমাদের মধ্য থেকে একজন একে অপরের কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে দিতেন। আজকের দিনে তোমরা এরূপ করতে গেলে, তোমাদের কেউ কেউ অবশ্যই খরতাপে উদ
উত্তর : জিন জাতি বিবাহ করে এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তবে তারা কিভাবে বিবাহ করে ও সন্তান-সন্ততি হয় তা অজ্ঞাত। আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে (শয়তান) ও তার বংশধরগণকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু (কাহফ ১৬/৫০
উত্তর : আপন ভাতিজীকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আপন ভাইয়ের মেয়ে (আপন ভাতিজী)-কে বিবাহ করা হারাম করেছেন (নিসা ২৩)। তবে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্বীয় কন্যা ফাতেমা (রাঃ)-কে
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’। শৈশব ও কৈশোর শিশুর মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার সময়। এ সময়ে শিশুকে প্রশিক্ষণ দিতে ইসলাম অভিভাবককে আদেশ দেয় ও উদ্বুদ্ধ করে। সন্তান মানুষের উৎকৃষ্টতম সম্পদ, অমূল্য ধন এ
উত্তর : বাউল একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। তাদের নিজস্ব তত্ত্ব- দর্শন ও সাধন-পদ্ধতি রয়েছে। এই লোকধর্মের সাধকদের তত্ত্ব ও দর্শন সম্বলিত গানকে ‘বাউল গান’ বলে। বাউলরা সঙ্গীতাশ্রয়ী, মৈথুন ও দেহভিত্তিক গুপ্ত সাধনার অনুসারী। এই সাধনায় সহজিয়া ও ছূফী ভাবধার
উত্তর : শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অস্বীকার করায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। চৌদ্দশ’ হিজরীর প্রথম দিকে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর (১৮৩৫-১৯০৮) মাধ্যমে মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ সম্প্রদায় জন্মলাভ করে (পৃঃ ১১৮-২২)। গোলাম আহমাদ প্রথ
উত্তর : মায়ের চাচাতো বোন মাহরাম নয়। সেজন্য তাকে বিবাহ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আল্লাহ তা‘আলা যে সকল নারীকে মাহরাম হিসাবে বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে মায়ের চাচাতো বোন নেই (নিসা ৪/২৩)। এর পরই আল্লাহ বলেন, এদের ব্যতীত তোমাদের জন্য সকল নারী হালাল
সত্য অর্থ খাঁটি, সঠিক, নির্ভুল, বাস্তব, যথার্থ, প্রকৃত, আসল ইত্যাদি। অপরদিকে মিথ্যা অর্থ অসত্য, ভুল, অবাস্তব, অযথার্থ, অমুলক, কল্পিত, নিষ্ফল, অনর্থক ইত্যাদি। অর্থাৎ সত্যের বিপরীত রূপ হ’ল মিথ্যা। সুতরাং সত্য ও মিথ্যার কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন বা পৃথ
আসসালা-মু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা-তুহসম্মানিত পাঠক! সম্মানিত পাঠক! কলমী জিহাদের অগ্রসৈনিক আপনাদের প্রিয় মাসিক আত-তাহরীক চলতি অক্টোবর’২২ সংখ্যায় ২৬তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ফালিল্লা-হিল হাম্দ। এই দীর্ঘ পথচলায় আপনাদের আন্তরিক ভালবাসা ও
ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজনীয়তা কেন?জান্নাতের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এই পথ বড়ই দুর্গম ও কণ্টকাকীর্ণ। এ পথে চলতে গেলে বাধা আসে। কষ্ট পেতে হয়, বিষময় কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হয়। নবী-রাসূল, ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের আলোকিত জীবনের দিকে তাকালে এটা সহজেই উপ
উত্তর: শুক্রবারে হজ্জ হ’লে তার জন্য বিশেষ কোন ফযীলত নেই। বরং যে বর্ণনার আলোকে এ কথা বলা হয়, সেটি জাল ও ভিত্তিহীন। সেখানে বলা হয়েছে, আরাফার দিন জুম‘আর দিনের সাথে মিলে গেলে তা ৭০টি হজ্জের চেয়েও উত্তম (সিলসিলা যঈফাহ হা/১১৯৩)।ছাহেবে তুহফা হুঁশিয়ার
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের জন্ম হ’তে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরী‘আত তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দিক নির্দেশনা দিয়েছে। মুমিনের সার্বিক জীবন গড়ে উঠবে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি মানব শিশুর জন্মই
উত্তর : চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের সময় বিভিন্ন কাজে নিষেধ করা সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, চন্দ্র, সূর্য গ্রহণ আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন, এগুলি কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণগ্রস্ত হয় না। যখন তোমরা গ্রহণ দ
অমেলর (Acid) সঙ্গে ক্ষারের একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় Affinity (আসক্তি)। গবেষণায় জানা যায়, নারীর শরীর অম্লীয় বা এসিড ধর্মী। ফলে তারা অম্ল তথা টক খেতে বেশী পসন্দ করে। তাদের শরীরের কোমলত্ব, সৌন্দর্য ও লাবণ্যের মূল কারণ এই অ
উত্তরঃ ইদ্দতের সময়কাল চার মাস দশ দিন। তবে গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২২৯-৩১; সূরা তালাক ৪; ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘ইদ্দত’ অনুচ্ছেদ)। এ সময় স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করবে। একান্ত যরূরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবে
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাতে অংশগ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। এর মাধ্যমে তাদের বাতিল ধর্মবিশ্বাসকে সমর্থন করা হয়, যা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তার নিকট থেকে তা
ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে ‘ঈমান’। প্রত্যেক নবী-রাসূলের প্রথম দাওয়াত ছিল ঈমানের দাওয়াত। ঈমান ব্যতীত বান্দার কোন আমল আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। ঈমানের উপর নির্ভর করেই বান্দার জান্নাত-জাহান্নাম ও পরকালীন মুক্তি। আলোচ্য প্রবন্ধে ঈমানের সংক্ষিপ্ত পরিচ
সর্বাগ্রে মুছাফাহার অর্থ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে। যাতে মাসআলাটি বুঝতে সহজ হয়। মুছাফাহা-এর অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, هِيَ مُفَاعَلَةٌ مِنَ الصَّفْحَةِ وَالْمُرَادُ بِهَا الْإِفْضَاءُ بِصَ
আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহর যমীনে প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াত অপরিহার্য। কারণ দাওয়াত ব্যতীত দ্বীন প্রতিষ্ঠা আদৌ সম্ভব নয়। সমাজ সংস্কারে এবং মানুষের আক্বীদা-আমল সংশোধনে দাওয়াতের কোন বিকল্প নেই। নবী-রাসূলগণ স্বীয় উম্মতকে দ্বীনে হকের দিকে ফিরিয়ে আনতে এবং হকের উপ
উত্তর : ঈদ মোবারক (আপনার ঈদ বরকতপূর্ণ হৌক) বলা বিদ‘আত নয়। কেননা এটি ইবাদত পালন বা বিশেষ ছওয়াবের উদ্দেশ্যে করা হয় না। তাছাড়া ঈদের সময় অনেক ছাহাবী ও তাবেঈ এরূপ অভিনন্দনসূচক বাক্য ব্যবহার করেছেন। যেমন তাঁরা পরস্পর সাক্ষাৎকালে বলতেন, ‘তাকাববাল্লা
ভূমিকা :নিশ্চয়ই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজনে ও রাত-দিনের পালাক্রমে আগমন ও প্রস্থানে বহু নিদর্শন আছে ঐসব বুদ্ধিমানের জন্য যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে (সর্বাবস্থায়) আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে (এবং তা লক্ষ্য ক
উত্তর : সাধারণভাবে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে এটা পাঠ করার বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/১৮৩, মিশকাত হা/১১৯৫, ১২০৯)। তবে ‘শেষ রাতে সূরা আলে ইমরানের শেষাংশ পাঠ করলে তাহাজ্জুদ ছালাতের নেকী অর্জিত হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (দারেমী, মিশকাত
উত্তর : এর কোন নিষিদ্ধ বা নির্ধারিত সময় নেই। বরং আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। সুতরাং তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর’ (বাক্বারাহ ২২৩)। এছাড়া শুক্রবারে মিলিত হওয়ার ব্যাপারে আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি ‘মুনকার’ ত
ভূমিকা : ক্বিয়ামতের আলামত সমূহের অন্যতম হ’ল দাজ্জালের আবির্ভাব। সে ক্বিয়ামতের পূর্বে বের হয়ে আসবে। হাদীছে তার সম্পর্কে সবিস্তার বিবরণ উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কেউ কেউ দাজ্জালের আবির্ভাবের কথা ফলাও করে প্রচার করছে। আবার তাদের দাবীর পক্ষে
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’(ليلة البراءة) বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফারসী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভ
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।পরস্পরের মাঝে ভালবাসা বৃদ্ধির উপায়বর্তমানে মানুষ স্বীয় স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। নিঃস্বার্থভাবে একমাত্র আল্লাহর জন্য অন্যকে ভালবাসার বিষয়টি অনেকেই ভুলে গেছে। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করা দরকার। তাহ’ল
উত্তরঃ সিজদায় যাওয়ার সময় মাটিতে আগে হাত রাখতে হবে এবং পরে হাঁটু রাখতে হবে। এটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ সিজদা করে, তখন সে যেন উটের মত না বসে। বরং সে যেন তার
মানুষ আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় এবং সেরা সৃষ্টি (ইসরা ১৭/৭০)। মানুষকে আল্লাহ ‘নিজের দু’হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন’ (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। অতএব জীবন দানের মালিক যিনি, তিনিই কেবল জীবন নিতে পারেন। কেউ তাতে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করলে সে মহাপাপী হবে এবং জাহান্নামী
উত্তর : দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন, যা সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যিক। সেগুলি হ’ল- ঈমান ও তা বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ, বিশুদ্ধ ও বাতিল আক্বীদা, তাওহীদ-শিরক, হালাল-হারাম, ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ফরয ইবাদত পালনের নিয়ম-পদ্ধতি স
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি গণক ও জাদুকরদের মধ্যে প্রচলিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা শিরকী কালেমা বা মন্ত্র পাঠ করে। অতএব এসব পদ্ধতি অবলম্বনকারীদের উপর বিশ্বাস করা বা তাদের নিকট গমন করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে
উত্তর : এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন বা হাদীছ থেকে কিছু জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরগণ বিচ্ছিন্ন সনদে উল্লেখ করেছেন যে, যুলায়খার স্বামী ক্বিৎফীরের মৃত্যুর পর এবং সে তওবাহ করার পর ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল এবং দু’টি ছেলে সন্তান হয়েছিল
উত্তর : কোন মুসলিমকে গালি দেওয়া কাবীরা গুনাহ (নববী, শরহ মুসলিম হা/৬৪-এর ব্যাখ্যা)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে যুদ্ধ করা কুফরী (বুখারী হা/৪৮; মুসলিম হা/৬৪; মিশকাত হা/৪৮১৪)।লাক্বীত্ব বিন ছাবেরাহ (রাঃ) বলেন, ‘একদিন আম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।(ঙ) পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান : মুসলমানরা পরস্পরের মান-ইয্যতের নিরাপত্তা বিধান, দুঃখ-কষ্টে অংশগ্রহণ, গঠনমূলক সম
উত্তর : ইফতারের বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল- সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বু. মু. মিশকাত হা/১৯৮৫)। তিনি ইশারা দিয়ে বলেন, যখন এদিক হ’তে রাত্রি আগমন করবে এবং এদিক হ’তে দিন প্রস্থান করবে এবং সূর্য অস্ত যাবে, তখনই ছায়েম ইফতার করবে’
ভূমিকা :অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অন্তঃসারশূন্য ও বরবাদ করার জন্য যত প্রকার অর্থনৈতিক দুর্নীতি আছে তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল মজুদদারী। মজুদদারির প্রভাবে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়। এতে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় এবং জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ন
উত্তর : যে সকল প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সেগুলোর পেশাব-পায়খানা নাপাক নয়। সুতরাং কাপড়ে এ সব প্রাণীর মলমূত্র লাগলেও তা পরিধান করে ছালাত আদায় করা বৈধ। আনাস (রাঃ) বলেন, উরায়না গোত্রের কিছু নওমুসলিম মদীনায় অবস্থানকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তা
টমেটো এক মূল্যবান সবজি। গ্রীষ্মকালীন টমেটো শীতের চেয়ে অন্তত চার-পাঁচ গুণ বেশী দামে বিক্রি হয়। শীতেও চাষ করে ভালো লাভ করা যেতে পারে যদি আগাম চাষ করা যায়। সেজন্য যেসব জাত আগাম ভালো ফল দেয় সেসব জাত চাষ করতে হবে। গরমকালে ফল ধরে এমন জাতও আগাম লাগানো যেতে
উত্তর : যাকাতের অর্থ থেকে কোন অমুসলিমকে দেওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনে প্রেরণের সময় বলেছিলেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে এই মর্মে যে, আল্লাহ তাদের উপরে ছাদাক্বা ফরয করেছেন। যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে নেওয়া হবে ও তাদের
উত্তর : শিশুদের খেলার জন্য অস্থায়ী ভাবে ব্যবহার্য খেলনা পুতুল ব্যবহার করা নাজায়েয নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৪১৫; ইবনু হাযম, মুহাল্লা মাসআলা নং ১৯১০; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১২/১২১)। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।১৪. ব্যাপক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়া : ক্বিয়ামতের একটি আলামত হ’ল হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাওয়া। হত্যাযজ্ঞ এত বেড়ে যাবে যে, পিতা ছেলেকে, ছেলে তার পিতাকে, চাচাকে ও প্রতিবেশীকে হত্যা করবে। এমনকি হত্যাকারী ও
উত্তর : পৃথিবী ও সূর্য উভয়ই ঘোরে। শুধু তা-ই নয়, আসমানে যত গ্রহ-উপগ্রহ ও নক্ষত্ররাজি আছে সবই নিজ নিজ কক্ষ পথে পরিভ্রমণ করে। আল্লাহ বলেন, বস্ত্ততঃ প্রত্যেকটিই স্ব স্ব নিরক্ষবৃত্তে সাঁতার কাটছে (ইয়াসীন ৩৬/৪০)। শায়খ আলবানী উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায়
উত্তর : সপ্তম দিনের পূর্বে সন্তান মারা গেলেও তার আক্বীক্বা দিবে। কারণ আক্বীক্বা দেওয়ার জন্য বাচ্চা সপ্তম দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা শর্ত নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/৪৪৫)। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে’ (আবুদাউদ হা
মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়। বাক্যটির অর্থ খুব কঠিন নয়, তাই বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় বাক্যটির অর্থ মোটেও সহজ নয়, বরং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। ভুল অর্থে আমরা সাধারণত ভ্রম, ভ্রান্তি, বিস্মৃতি, মনে না থাকা প
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে একশ’ বার বলবে, ‘সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহ’লে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মত মর্যাদা ও ছওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا لِي وَلِلدُّنْيَا؟ وَمَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا-হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হ
উত্তর : এটি কোন দো‘আ নয়, বরং কবিতা। বাক্যটি পারস্য কবি শেখ সা‘দী (৫৮৫ অথবা ৬০৬-৬৯১ হিঃ) স্বীয় গুলিস্তাঁ গ্রন্থে আরবীতে লিখিত তার অল্প সংখ্যক কবিতা সমূহের মধ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রশংসায় লিখিত কবিতার একটি অংশ। এটি দরূদ হিসাবে পাঠ করা যাবে না। কা
উত্তর : ‘বৈশাখ’ উদযাপন ‘বর্ষবরণ’ প্রভৃতি অনৈসলামী প্রথা। যা থেকে মুসলিমকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। হযরত আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন মদীনাবাসীদের দু’টি উৎসব পালন করতে দেখে তিনি তাদের বলেন, তোমাদের এ দু’টি দিন কেমন? ত
মানুষের ইহকালীন জীবনের আমল সমূহ পরকালে মীযানে (পাল্লায়) ওযন করা হবে। ঐসব আমলের মধ্যে কিছু পাল্লাকে ভারী করবে এবং কিছু হালকা করবে। এগুলো জেনে মুমিন আমল করতে পারলে অল্প আমলই তার নাজাতের কারণ হ’তে পারে। আবার যেসব আমল পাল্লাকে হালকা করবে সেগুলো জেন
উত্তর : ওযরবশতঃ যমযম পানি দাঁড়িয়ে পান করা জায়েয। আর উক্ত পানি সহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত। হাদীছে দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে কঠোর ধমকি এসেছে (মুসলিম হা/২০২৪; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পানকারী ব্যক্তি যদি জানতো এতে
কুরআন তেলাওয়াত অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদাত। এটি যেমন পাঠকারীর জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে, তেমনি তেলাওয়াতকারীর পিতা-মাতাও সেই কল্যাণধারায় সিক্ত হন। যদি কোন সন্তান কুরআন পড়া শেখে, কুরআন তেলাওয়াত করে, কুরআন মুখস্থ করে এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচ
উত্তর : নারীদেরকে পুরুষের পাঁজরের উপরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে (নিসা ৪/১; বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদের সাথে উত্তম আচরণ কর। কারণ তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে সর্বাপ
পর্ব ১। শেষ পর্ব। ভূমিকা : মধ্যযুগ অবধি রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কন্সটান্টিনোপলকে বলা হ’ত পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত নগরী। শত শত বছর ধরে একের পর এক আক্রমণের পরেও এই নগরী টিকে ছিল সগৌরবে। রাসূল (ছাঃ) এই নগরীর ব্যাপারে খুব কৌতুহলী ছিলেন। এই শহর বিজয়
ভূমিকা : ইহকালীন জীবনের সৎ আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ লাভ করা এবং পরকালীন জীবনে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান লক্ষ্য। আর জান্নাত লাভ করতে হ’লে রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতি অনুযায়ী শিরক ও বিদ‘আত মুক্ত আমল করা যরূর
উত্তর : সুন্নাতে খাৎনা করার নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে সাবালক হওয়ার পূর্বে করাই উত্তম (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৩০৩)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, খাৎনা যখন ইচ্ছা করা যায়। তবে সাবালক হওয়ার পূর্বেই করা উচিৎ যেমনটি আরবরা করে থাকে... (আল-ফাতাওয়াল কুব
উত্তর : উক্ত ঘটনা নাজমুদ্দীন গীত্বী (মৃ. ৯৮১ হিঃ) নামক জনৈক ছূফী সনদবিহীনভাবে উল্লেখ করেছেন, যার কোন ভিত্তি নেই (ইবনু আবেদীন, রাদ্দুল মুহতার ১/৫১)। উল্লেখ্য যে, স্বপ্নে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। স্বপ্নে যদি কেউ আল্লাহকে দেখেছে বলে কল্পনা করে, তা কখ
উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে যেগুলো ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। উক্ত হাদীছগুলোতে দিন-রাতের কোন পার্থক্য করা হয়নি।১. সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার ও লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহ
উত্তর : পাঠা ছাগল কুরবানী দেওয়া যায়। তবে খাসী ছাগল কুরবানী দেওয়া উত্তম। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাসী কুরবানী দিয়েছিলেন। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট দু’টি মোটা-তাযা সাদা-কালো শিংওয়ালা খাসী ছাগল নিয়ে আসা হ’ল। তিনি
উত্তরঃ ইসলামে মুমিন ব্যক্তির মৃত দেহকে অতীব সম্মান দান করা হয়েছে (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭০৩)। তার মৃত দেহকে সযত্নে সাবান-পানি দিয়ে গোসল করিয়ে সুগন্ধি মাখিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে কাফন পরিয়ে তার পরকালীন মুক্তির জন্য সমবেত ভাবে জানাযার ছালাতের মাধ্
উত্তর : এর জওয়াবে একই উত্তর দেওয়া যায়। একদা উসাইদ বিন হুযায়ের (রাঃ) কোন এক প্রেক্ষিতে শুকরিয়া স্বরূপ রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ বা ‘জাযাকাল্লাহু আত্বইয়াবাল জাযা’। উত্তরে তিনি বললেন, ‘ফা জাযাকুমুল্লাহু খায়রান’ (হাকেম হা/৬৯৭৪;
ভূমিকা :আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য এবং পৃথিবীতে তাঁর বিধান কায়েম করার জন্য। এ লক্ষ্যে মানবতার সঠিক পথের দিশারী হিসাবে এক লক্ষ চবিবশ হাযার নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন।[1] তাঁরা যুগে যুগে মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ, হেদায়াতের
উত্তর: এটি অমুসলিমদের অনুকরণে একটি সামাজিক কুপ্রথা মাত্র। মক্কার কাফেররা শিস দেওয়া ও তালি বাজানোর মাধ্যমে কা‘বাগৃহের পাশে তাদের উপাসনা করত (আনফাল ৩৫)। অতএব হাততালি বা বাঁশি বাজানো জাহেলী আরবদের রীতি, যা বর্জনীয়। খুশী বা আনন্দঘন মুহূর্তে আলহাম
আধুনিককালে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন। তারবিহীন এ ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, পড়ালেখাসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের মত মোবাইল এক যুগান্তক
প্রত্যেক জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার পূর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি। অতএব তোমার মৃত্যু হ’লে তারা কি চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে? জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর আমরা তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থা
উত্তর : সূদী ব্যাংকের বিষয়টি স্পষ্ট। ইসলামী ব্যাংকগুলিও সূদমুক্ত নয়। তাই উভয়টি থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন এবং সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, সূদগ্রহীতা, সূদ দা
আমাদের মাটি ও জলবায়ু আঙ্গুর চাষের জন্য উপযোগী, এটা সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দু’চারটি আঙ্গুর গাছ থাকলেও সেটা পরিবারের আওতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আঙ্গুর চাষের চেষ্টা চালানো হয় ১৯৯০ সালে গাযীপুরের কাশিমপুরস্থ বিএডি
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে উদ্দেশ্যবিহীন সৃষ্টি করেননি। তিনি বলেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُوْنِ ‘আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)।ইবাদত এমন একটি ব্যাপক শব্দ যা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে প
উত্তর : মক্কায় অবস্থানকারীগণ হজ্জের ইহরাম স্ব স্ব অবস্থান থেকে বাঁধবেন। কিন্তু ওমরাহর ইহরাম বাঁধার জন্য তাঁরা হারাম এলাকার বাইরে যাবেন ও সেখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বেঁধে আসবেন। এজন্য সবচেয়ে নিকটবর্তী হ’ল ৬ কিঃমিঃ উত্তরে ‘তান‘ঈম’ এলাকা। বিদায় হজ্
উত্তর : যবহকৃত হালাল পশুর প্রবাহিত রক্ত ব্যতীত সবই হালাল (আন‘আম ১৪৫)। হানাফী কিতাব সমূহে আরো ছয়টি বস্ত্ত হারাম বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু সেগুলি সব ক্বিয়াসী বা অনুমান নির্ভর। সুতরাং হালাল পশুর চামড়া যদি কেউ খেতে চায়, খেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য
উত্তর : শরী‘আত দু’টি বস্ত্ত খাওয়া নিষিদ্ধ। (১) যা মাদকতা আনে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪২৯১)। (২) যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর (ইবনু মাজাহ, ছহীহাহ হা/২৫০)। কফির উৎস একপ্রকার ফলের বীজ থেকে। এটি পানে ঝিমুনি ভাব কেটে গিয়ে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে মাদকত
তাতারদের ইসলাম গ্রহণ :তাতাররা ইসলাম ও মুসলমানদের বিনাশে যেমন অগ্রগামী ছিল তেমনি ইসলাম গ্রহণ ও ইসলাম প্রচারেও তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। বাগদাদ ধ্বংস হওয়ার পূর্বেই চেঙ্গীস খানের আরেক নাতি বারাকাত খান ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হালাকু কর্তৃক বা
উত্তর : কোন অমুসলিমের মৃত্যুতে প্রয়োজনে তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নিকট শোক প্রকাশ করা যাবে বা তাদেরকে ধৈর্যের উপদেশ দেয়া যাবে। তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে ‘ইন্নালিল্লাহ..’ বলাতেও কোন বাধা নেই। কেননা এগুলি স্বাভাবিক মানবীয় সদাচরণের মধ্যে অন্
আখ আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় অর্থকারি ফসল। এটি চিনি উৎপাদনের মূল ফসল। কিন্তু চাহিদার তুলনায় আখ উৎপাদন অনেক কম। এর কারণও অনেক। যেমন- সঠিক পরিচর্যা বা চাষাবাদের অভাব, ফসলের বৈচিত্র্য, বিভিন্ন মেয়াদী সবজি ফসলের আবাদ বৃদ্ধি ফলের বাগান তৈরী ইত্যাদি
মানুষের সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্য সভায় বা বৈঠকে বসতে হয়। আবার বিভিন্ন সময়ে দ্বীনী আলোচনা শ্রবণ করা বা পার্থিব বিষয়ে কারো বক্তব্য শুনতে সভা-সেমিনারে উপস্থিত থাকতে হয়। সেখানে কিছু আদব-কায়েদা ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হয়। এতে সভা-সমাবেশের পরি
ইসলামে নারী শিক্ষা অপরিহার্য। যেমন পুরুষের জন্য অপরিহার্য। তবে উভয়ের জন্য শিক্ষার পরিবেশ হবে ভিন্ন এবং উভয়ের উপযোগী শিক্ষা সিলেবাস হবে ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন। তবে উভয়ের শিক্ষার ভিত্তি হবে একই। আর তা হ’ল তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত। দুনিয়াতে ভূমিষ্ট
উত্তর : সাধারণভাবে রাতে গাছের ফল নামানো সমীচীন নয়। হুসাইন (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাতে গাছ থেকে খেজুর আহরণ করতে এবং রাতে ক্ষেত থেকে ফসল কাটতে নিষেধ করেছেন’। জা‘ফর ইবনু মুহাম্মাদ বলেন, আমার মনে হয় ফক্বীর-মিসকীনদের দেওয়ার ভয়ে (বায়হাক্বী,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ- অনুবাদ : ‘এটি এক কল্যাণময় কিতাব, যা আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি। যাতে তারা এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং
শিক্ষক-ছাত্র ও অভিভাবক মিলেই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের ইমারত কথা বলে না। কথা বলেন শিক্ষক। অতএব যোগ্য শিক্ষক ব্যতীত যোগ্য শিক্ষার্থী গড়ে উঠতে পারে না। নরম মাটি যেভাবে কারিগরের হাতে সুন্দর হাড়ি-পাতিলে পরিণত হয়, নরম শিশুগুলি তেমনি সুন্দর ও চরিত্রবান শিক্
এ বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাধ্যতামূলকভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বর্ষবরণের জন্য রয়েছে সরকারী ছুটি এবং গত বছর থেকে চালু হয়েছে বৈশাখী ভাতা। প্রশ্ন জাগে, মুসলমানের দেশে হঠাৎ এসব হিন্দুয়ানী প্রথা নিয়ে এত মাতামাতি
উত্তর : বীর্য পবিত্র। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁকে সেটা অবহিত করেন। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, স
তওবার পদ্ধতি :কোন গুনাহগার ব্যক্তি তওবা করতে চাইলে, প্রথমে যে পাপে লিপ্ত ছিল সেটা ছাড়তে হবে এবং আল্লাহর আযাবের ভয়ে ও পরকালে জান্নাত পাওয়ার আশায় তওবার নিয়ত করতে হবে। আর মনে মনে ঐ পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে তাতে আর ফিরে না আসার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। সেই সাথে
উত্তর : মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী (৫৫৮-৬৩৮ হিঃ) একজন প্রসিদ্ধ ছূফী সাধক ও দার্শনিক ছিলেন। যিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং দামেশকে মৃত্যুবরণ করেন। ছূফীদের নিকট তিনি ‘আশ-শায়খুল আকবার’ নামে খ্যাত। ইয়ামনের বিখ্যাত দানবীর হাতেম তাঈ তাঁর পূর্বপুরুষ হওয়
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর জানাযা এককভাবে হয়েছিল। জায়গার সংকীর্ণতার কারণে জামা‘আত করা সম্ভব হয়নি (আহমাদ হা/২০৭৮৫; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১৪২৭৩)। ঘরের মধ্যে খননকৃত কবরের পাশেই তাঁর লাশ রাখা হয়। অতঃপর আবুবকর (রাঃ)-এর নির্দেশক্রমে দশ দশজন করে ভিতরে গিয়ে জা
গীবত একটি ভয়াবহ কবীরা গুনাহ। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য গীবত বা পরিন্দা হারাম করেছেন। কারণ গীবতের মাধ্যমে অপর ভাইয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। তবে কতিপয় ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়। ইমাম হায়তামী (রহঃ) বলেন, নিরুপায় হয়ে গেলে বেঁচে থাকার তাকীদে যেমন সাময়িকভা
উত্তর : সকাল-সন্ধ্যা বা যেকোন সময় যতবার ইচ্ছা ততবার পড়তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উক্ত দো‘আ বলবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে (আবুদাঊদ হা/১৫২৯)। উল্লেখ্য যে, উক্ত দো‘আ সন্ধ্যায় পড়বে মর্মে যে হাদীছ তিরমিযীতে এসেছে তা যঈফ (যঈফ তিরমিযী হা/৩৩৮৯)
উত্তর : নাপাক অবস্থা দু’প্রকারের (ক) পেশাব-পায়খানা করার কারণে নাপাক হওয়া (খ) স্ত্রী সহবাসে বা অন্য কোন উপায়ে বীর্যপাত হওয়ার কারণে নাপাক হওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় অবস্থায় কুরআন মাজীদ স্পর্শ ছাড়া পড়া যায় (তিরমিযী ১/১৪৬; আহমাদ হা/৬৩৯, ৮৭২; বুখারী,
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব ।তাওয়াক্কুলের আলোচিত ক্ষেত্র সমূহ :যেসব ক্ষেত্রে তাওয়াক্কুল আবশ্যক তা আলোচনার দাবী রাখে। এরূপ ক্ষেত্র অনেক রয়েছে। নিম্নে তার কিছু তুলে ধরা হ’ল :১. ইবাদতে তাওয়াক্কুলের আদেশ : আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
উত্তর : এগুলো সবই ভ্রষ্টতার যুগে সৃষ্ট। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় এসবের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আর এটাই বাস্তব কথা, যেমন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় যা দ্বীন হিসাবে গণ্য ছিল না, আজকের দিনেও তা দ্বীন হ
উত্তর : আয়াতটির অনুবাদ : ‘হে নবী! আমরা তোমার জন্য হালাল করেছি ঐসব স্ত্রীদের, যাদেরকে তুমি মোহর দিয়েছ এবং ঐসব দাসীদের, যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য গণীমত হিসাবে প্রদান করেছেন। আর তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন ও খালাতো বোনকে, যারা তোমার
উত্তর : উক্ত আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল, কোন সৎকর্মশীল পুরুষের জন্য কোন ব্যভিচারিণী নারীকে বিবাহ করা বৈধ নয়, যতক্ষণ না সে তওবা করে। অনুরূপ এর বিপরীত। অর্থাৎ তওবা করলে বিবাহ করা জায়েয। ইমাম আহমাদ বলেছেন, কোন সৎকর্মশীল পুরুষের সাথে কোন ব্যভিচারিণ
উত্তর : শয়তান (ইবলীস) জিনদের অন্তর্ভুক্ত। পুরুষ-নারী উভয় প্রকার জিন আছে (নিসা ১১৭; আহমাদ হা/২১২৬৯)। আর তাদের সন্তানও রয়েছে (কাহফ ৫০)। সন্তান থাকলে অবশ্যই তার স্ত্রীও আছে। অতএব তারাও বিয়ে করে থাকে, সন্তান হয়, বংশও বৃদ্ধি হয়। তবে সঠিক বিষয় আল্লাহ জানেন
উত্তর : স্বামী যে ভাষায় সম্মানবোধ করেন স্ত্রী তাকে সে ভাষাতেই সম্বোধন করবে। নিঃসন্দেহে আপনি অধিক সম্মানবোধক শব্দ। সে হিসাবে স্ত্রী স্বামীকে আপনি বলে সম্বোধন করতে পারে। যদি তুমি বলাতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং বেশী হৃদ্যতা প্রকাশ পায়, তাতেও ক
‘এপ্রিল ফুল’ শব্দটা ইংরেজী। এর অর্থ ‘এপ্রিলের বোকা’। এপ্রিল ফুল ইতিহাসের এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। অথচ প্রতি বছরের এপ্রিল মাসের পহেলা তারিখে আমাদের মাঝে যেন উৎসবের আমেজ পড়ে যায়। পহেলা এপ্রিল এলেই একে অপরকে বোকা বানানো এবং নিজেকে চালাক প্রতিপন্ন কর
উত্তরঃ এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তাছাড়া সব সত্য কথাই তিতা এমন কথাও সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সত্য কথা বল যদিও তা তিতা হয়’ (আহমাদ, মিশকাত হা/৫২৫৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৬৬)।প্রশ্নকারী : অহীদুযযামান, পাঁচদোনা, নরসিংদী।
গীবত দুরারোগ্য ব্যাধির ন্যায়। গীবতের রোগ মরণ ব্যাধি ক্যান্সার অপেক্ষাও ভয়াবহ। ক্যান্সার মানুষের শরীর নিঃশে^ষ করে দেয়, আর গীবত কর্মফল ধ্বংস করে দেয়। দুনিয়াতে তাকে অপদস্থ করে এবং পরকালে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। অথচ আমরা নিত্যদিন গীবত করার মাধ্যমে আমাদের
উত্তর : এ বিষয়ে সঊদী আরবের সাবেক প্রধান মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোক হজ্জের পর অধিক সংখ্যক উমরাহ করার আগ্রহে ‘তানঈম’ বা জি‘ইর্রানাহ নামক স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসেন। শরী‘আতে এর কোনই প্রমাণ নেই’ (দলীলুল হাজ্জ ওয়
উত্তর : যে সকল পাখির গোশত খাওয়া হালাল সে সকল পাখির পায়খানা কাপড়ে লেগে থাকলে সে পোষাকে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে সম্ভবপর তা মুছে ফেলবে কিংবা ধুয়ে ফেলবে। আর যে সকল পাখির গোশত হারাম সে সকল পাখি বা প্রাণীর পেশাব বা পায়খানাও নাপাক। এ সকল প্রাণীর পায়খা
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ নোবেল বিজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮-২০১৩ ইং) গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে নিজ বাড়িতে মৃত
উত্তর : লোকমান অত্যন্ত উঁচুদরের একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। সুফিয়ান ছওরী ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে, ক্বাতাদাহ জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে এবং সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব সহ অধিকাংশ সালাফের মতে তিনি নবী নন; বরং তিনি একজন সৎ বান্দা ছিলেন। যে আছার দ্বারা তাঁর নবী
উত্তর : মহিলাদের ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে সঠিক কথা হ’ল, নারীদের ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয। যেমন (১) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী যয়নব বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের
ভূমিকা :ইসলামে সূদ হারাম। কুরআন ও হাদীছ দ্বারা এটা প্রমাণিত। এই বিষয়টি জানার পরেও মানুষ সূদ খায়। সূদী লেনদেন করে। দুনিয়া ও আখিরাতে এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এ সম্পর্কেই আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা করা হ’ল।-সূদের পরিচয় ও প্রকার :‘রিবা’ অর্থ সূদ। ‘রিব
[বদরুদ্দীন উমরের পিতা আবুল হাশেম (১৯০৫-১৯৭৪ খৃ.) ছিলেন দার্শনিক পন্ডিত ও পাকিস্তান আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা। ১৯৩৬ সালে তিনি বর্ধমান থেকে নির্দলীয় পার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বঙ্গীয় আইন সভায় সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালের মুসলিম লীগে
উত্তর : কবর দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় মাইয়েত যেমন তার স্বজনদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায় (বুখারী হা/১৩৩৮; মুসলিম হা/২৮৭০; মিশকাত হা/১২৬), তেমনি কবরবাসীর উদ্দেশ্যে সালাম দিলে ফেরেশতাগণ তাদের রূহে সালাম পৌঁছে দেন এবং তারাও সালামের জবাব দেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তর : মোহর বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ (নিসা ৪/৪)। আর বিবাহের মোহর স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ প্রদান করাই উত্তম। তবে কারো নগদ অর্থ না থাকলে পরে দিতে পারে। এমনকি বিবাহের পূর্বে মোহর নির্ধারণ না করেই বিবাহ সম্পন্ন করতে পারে। যেমন রাসূ
উত্তর : সিজদায় যাওয়ার সময় মাটিতে প্রথমে কপাল রাখবে এরপর নাক রাখবে। আর উঠানোর সময় সুবিধামত উঠাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৩৭০ পৃ.)।প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেয, হড়গ্রাম, রাজশাহী।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :ইমাম কুরতুবী (রহঃ) হিজরী ৭ম শতকের একজন প্রখ্যাত স্প্যানিশ মুফাস্সির, ফকীহ ও ধর্মতাত্ত্বিক। কর্ডোভার পতনের পর এই অনন্য ইলমী প্রতিভার দ্যুতি নীলনদ বিধেŠত মিসরে বিচ্ছুরিত হয়। নিরলস জ্ঞানস
উত্তর : প্রসিদ্ধ কিতাব ৪ খানা। তওরাত, যবূর, ইনজীল ও কুরআন। এছাড়া ইবরাহীম (আঃ) ও অন্যান্য কতিপয় নবীর উপরও ছহীফাহসমূহ অবতীর্ণ হয়েছে (আ‘লা ১৯)। কিন্তু সেগুলির বিষয়ে কিছু জানা যায় না।
১. কঙ্গো : এটা বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ। এ দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র অনাহারে মারা যায়। ৪০ শতাংশ মানুষ আধপেটা খেয়ে বাঁচে। গৃহযুদ্ধের পর দেশের অর্থনীতি একেবারে জরাজীর্ণ। ভ্রূক্ষেপ নেই সরকার ও প্রশাসনের। দেশে কর্মসংস্থানের
উত্তর : সালমান ফারেসী (রাঃ)-এর জন্ম সাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন বর্ণনা নেই। তিনি পারস্যে এক অগ্নিপূজকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ফলে প্রথম জীবনে তিনি অগ্নিপূজক ছিলেন। পরে খৃষ্টধর্ম এবং সবশেষে মদীনায় এসে ইসলাম কবুল করেন। তিনি হযরত ওছমান (রাঃ)-এর খেলা
উত্তর : ফেরেশতা নূরের তৈরী অত্যন্ত শক্তিশালী আল্লাহর এক মহা সৃষ্টির নাম। যা মানুষ স্থূল দৃষ্টিতে দেখতে পায় না। তবে মানুষ তার অস্তিত্বের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি অনুভব করে। আল্লাহর হুকুমে তারা সর্বক্ষণ সৃষ্টজীবের সেবায় নিয়োজিত। কা‘ব আল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদের ফযীলত :ইসলামী শরী‘আতে মসজিদের অনেক ফযীলত রয়েছে। এসব ফযীলতেও রয়েছে ভিন্নতা। কোন কোন মসজিদকে ফযীলতের দিক
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, আরবরা সফরে গেলে একে অপরের খিদমত করত। আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর সাথে একজন লোক ছিল যে তাদের খিদমত করত। তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর জাগ্রত হলে লক্ষ করলেন যে, সে তাদের জন্য খাবার প্রস্ত্তত করেনি (বরং ঘুমিয়ে আছে)। ফলে একজন তার
ভূমিকা : ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে আজকের সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ারমূকের ময়দানে মুসলিম ও খ্রিষ্টান বাহিনীর মধ্যে ছয়দিনের এক সিদ্ধান্তকারী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। যাতে মুসলিম বাহিনী ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করে। যার ফলে এতদঞ্চল থেকে রোমক শাসনের প
প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যায় নারী-পুরুষ ও ছোট-বড় সবাই ভোগেন। আবার অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় এই সংক্রমণের বিষয় টের পান না। ফলে এর মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব পড়ে শরীরে। দীর্ঘ দিনের প্রস্রাব সংক্রমণে বাড়তে পারে লিভার ও কিডনির নানা রোগ। সারাদিন যত পানি পা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উপরে ভালো ও মন্দ দু’ধরনের শাসক আসবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে। যে ব্যক্তি তাকে অপসন্দ করবে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার উপর রাযী থাকবে ও তার অনুসারী হবে। তখ
ক্ষমা, রহমত ও মুক্তির অনন্য বার্তা নিয়ে শ্রেষ্ঠ মাস রামাযান আমাদের নিকটে প্রায় সমাগত। প্রত্যেক মুমিনের হৃদয় এই মহা সম্মানিত মাসের অপেক্ষায় সদা উদগ্রিব থাকে। রামাযানে আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও নাজাতের জন্য আমাদের উচিত এই মাসকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন ক
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,ثَلاَثٌ مُنْجِيَاتٌ وَثَلاَثٌ مُهْلِكَاتٌ- فَأَمَّا الْمُنْجِيَاتُ : فَتَقْوَى اللهِ فِي السِّرِّ وَالْعَلاَنِيَةِ، وَالْقَوْلُ بِالْحَقِّ فِي الرِضَا وَالسَّخَطِ، وَالْقَصْدُ فِي الْغِنَى وَا
‘পুনরুত্থান’ অর্থ পুনরায় উত্থান, পুনরায় উঠা, পুনঃপ্রাপ্ত জীবন, মৃত্যুর পর পুনঃপ্রাপ্ত জীবন, কবর হ’তে মৃতের উত্থান, পুনরায় জন্ম, নতুন জীবন, শাশ্বত জীবন লাভ ইত্যাদি। মূলতঃ পুনরুত্থানের প্রাথমিক স্তর জন্ম। অর্থাৎ জন্মের পর মৃত্যু আর মৃত্যুর পরে
উত্তর: উক্ত বাক্যটি রাসূল (ছাঃ) কেবল অমুসলিম শাসক ও নেতাদের নিকট পত্র লেখার সময় ব্যবহার করতেন (বুখারী হা/৭, মিশকাত হা/৩৯২৬)।
খাদ্যসহ ব্যবহার্য সব সামগ্রীতে হালাল-হারাম যাচাই করে কর্তব্য ঠিক করা মুসলমান মাত্রেরই দায়িত্ব। অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধু অজ্ঞতার কারণে আমরা হারাম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকি অথচ এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা এবং এসব থেকে বিরত থাকা আ
উত্তর : স্বামীর জন্য ফরয কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মোহরানা পরিশোধ করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ফরয মোহরানা পরিশোধ কর’ (নিসা ৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সবচেয়ে বড় শর্ত হ’ল মোহর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত
সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে গেলে চরিত্রবান মানুষ আবশ্যক। চরিত্রবান মানুষ ও নেতা ব্যতীত সুষ্ঠু সমাজ গড়া সম্ভব নয়। সেকারণ যুগে যুগে আল্লাহ যত নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন, তাদেরকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী করে পাঠিয়েছেন। কারণ কেবল কথা শুনে নয়, বরং সুন
উত্তর : ইমাম বুখারী (রহঃ) কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন না। বরং তিনি একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মুহাদ্দিছ ও মুজতাহিদ ছিলেন। তিনি ইমাম শাফেঈ, মালেক ও আহমাদ (রহঃ)-এর ন্যায় হাদীছের অনুসরণ করতেন বলেই অধিকাংশ মাসআলায় তাঁদের সাথে ঐক্যমত পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে ইম
উত্তর : কেবল ভোগের সামগ্রী নয়। বরং তাদের সামাজিক নিরাপত্তাই এখানে প্রধান। আর যুদ্ধবন্দীদের এই বিধান ইসলামপূর্ব যামানা থেকেই চালু ছিল। ইসলাম সেটা বাতিল করেনি। আল্লাহ বলেন, তবে তাদের স্ত্রীগণ ও মালিকানাধীন দাসীরা ব্যতীত। কেননা এতে তারা নিন্দিত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।দাড়ির ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর আমল :রাসূল (ছাঃ)-এর মুখভরা ও লম্বা দাড়ি ছিল। তিনি মাঝে-মধ্যে দাড়ি আঁচড়াতেন। وَكَانَ كَثِيرَ شَعْرِ اللِّحْيَة ‘তিনি অধিক ঘন দাড়ির অধিকারী ছিলেন।[1] অন্য বর্ণনায় এসেছে, عَظِيمَ اللِّح
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
উত্তর : পদ্ধতিগত সামান্য পার্থক্য থাকলেও প্রত্যেকেই উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষদের মাধ্যমেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার সার-সংক্ষেপ নিম্নে বর্ণিত হ’ল।-১ম খলীফা হযরত আবুবকর (রাঃ) : রাসূলে করীম (ছাঃ) স্বীয় অনুপস্থিতিতে আবুবকর (রাঃ)-কে দায়িত্ব প্রদানের মা
উত্তর : সাদা দাড়ি বা চুল রং করা সুন্নাত। তবে কালো রং করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই ইহূদী, নাছারারা (চুল-দাড়ি) রং করে না। সুতরাং তোমরা তাদের বিপরীত কর’ (বুখারী হা/৫৮৯৯; মুসলিম হা/২১০৩; মিশকাত হা/৪৪২৩)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘তোমরা সাদা
উত্তর : হাদীছ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দরিদ্র মুসলমানগণ জান্নাতে যাবে সম্পদশালীদের চেয়ে অর্ধদিন পূর্বে। এই অর্ধদিন হ’ল পাঁচ শত বছরের সমান’ (তিরমিযী হা/২৩৫৪; মুসলিম হা/২৭৩৬)। ঈমানদারীর দিক থেকে সমান
পর্ব ১ । শেষ পর্ব । মুমিনের দুনিয়াবী জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বরং তা কণ্টকাকীর্ণ। তার সামনে থাকে শত বাধার দুর্ভেদ্য প্রাচীর। তা জয় করে তাকে জান্নাতের পথে এগিয়ে যেতে হয়, বাঁচার চেষ্টা করতে হয় জাহান্নাম থেকে। তাই দুনিয়াবী জীবনের শত বাধা বিঘ্নকে
পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। মূলতঃ সম্পদের মালিক আল্লাহ। মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দিয়ে আবার কাউকে না দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষ ধনীদের সম্পদের মুখাপেক্ষী। তাদে
পর্ব ১। পর্ব ২।ভূমিকা : পৃথিবীতে আল্লাহর কালেমাকে সমুন্বত করার জন্য দাওয়াতের কোন বিকল্প নেই। নবী-রাসূলগণ সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্ব স্ব কওমের নিকটে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জাহেলী যুগে যুল-মাজায বাযারে গিয়ে
উত্তর : স্বামী তার মৃত স্ত্রীকে বা স্ত্রী তার মৃত স্বামীকে গোসল দিতে পারেন যদি তাদের ধৈর্য থাকে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১১৪ ও ১২২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১০৯)। রাসূল (ছাঃ) স্বীয় স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘যদি আমার পূর্বে তুমি মারা যাও,
যেসব আমল সম্পাদনকালে আকাশের দরজাগুলো খোলা হয় :কিছু কিছুু আমল রয়েছে, যা সম্পাদনের সময় আল্লাহ আকাশের দরজাগুলো খুলে দেন। সৎকর্মশীল বান্দার আমলের নেকী গ্রহণের জন্যই মূলতঃ আসমানী দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ জাতীয় কিছু আমলের বর্ণনা দেওয়া নিম্নে
দেহ ও আত্মার সমন্বিত চাহিদার নিয়ন্ত্রিত স্ফুরণকে মূল্যবোধ (Value) বলা হয়। মানুষ ও জীব জগতের কল্যাণ সাধনের মধ্যেই তা প্রতিফলিত হয়। এই কল্যাণ সাধনের মাত্রার উপর মূল্যবোধের মাত্রা নির্ভর করে। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রেরিত হয়েছিলেন সর্বোত্তম চ
উত্তর : শিয়ালের গোশত খাওয়া হারাম। কেননা তা তীক্ষ্ণ দন্তধারী ও হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভুক্ত। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দন্তধারী হিংস্র জন্তু এবং নখ ও থাবা দ্বারা শিকারী পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম হা/১৯৩৪; মিশকাত
উত্তর : এগুলি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) এবং তাঁর দু’সাথী আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর লাশ চুরি করার জন্য পাঁচবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারেই আল্লাহ তা‘আলার অসীম রহমতে তা ব্যর্থ হয়ে গেছে। প্রথম এবং দ্বিতীয়বার চেষ্টা চালিয়েছিল মিসরের
১. হাসান বাছরী (রহঃ) যুবকদেরকে প্রায়ই বলতেন,يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، عَلَيْكُمْ بِالْآخِرَةِ فَاطْلُبُوْهَا؛ فَكَثِيرًا رَأَيْنَا مَنْ طَلَبَ الْآخِرَةَ فَأَدْرَكَهَا مَعَ الدُّنْيَا، وَمَا رَأَيْنَا أَحَدًا طَلَبَ الدُّنْيَا فَأَدْرَكَ الْآخِرَةَ مَ
ভূমিকা :মানুষের দৈহিক ইবাদত তিন ভাগে বিভক্ত। অন্তরের ইবাদত, মৌখিক ইবাদত এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইবাদত। অনেকে ইবাদত বলতে শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মৌখিক ইবাদতকেই বুঝে থাকেন। কিন্তু অন্তরের ইবাদত সম্পর্কে তারা উদাসীন থাকেন। অথচ অন্তরের ইবাদতের উপর ভি
উত্তর : গোপন শিরক হ’ল যা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যা অন্ধকার রাতে কালো পাথরের উপর কালো পিঁপড়ার বিচরণের চেয়েও গোপন’ (ইবনু কাছীর)। উক্ত শিরক সাধারণতঃ নিয়ত বা সংকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর তা হ’ল, রিয়া বা লোক দেখানো আমল কর
উত্তর : পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সিজদা করে এবং ফেরেশতাগণ। আর তারা অহংকার করে না’ (নাহল ১৪/৪৯)। তিনি বলেন, সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছ
উত্তর : প্রথমতঃ এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৫)। অতএব এরূপ কোন নির্দেশের ক্ষেত্রে মুমিন নারী-পুরুষের প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই (আহযাব ৩৬)। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, উট শয়তান থেকে সৃষ্টি হয়েছে (ইবনু মাজা
উত্তর : শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর প্রতি জামাইয়ের অবশ্য পালনীয় শারঈ কোন কর্তব্য নেই, যেমনটি তার স্বীয় পিতা-মাতার প্রতি রয়েছে। তবে নিকটাত্মীয় হিসাবে তাদের প্রতি সদাচরণ করবে এবং প্রয়োজনে তাদের জন্য খরচ করবে। আল্লাহ বলেন, তিনিই মানুষকে পানি হ’তে সৃষ্টি কর
ইমাম গাযালী একজন রক্ষণশীল, যুক্তিবাদী, খিলাফতপন্থী ছিলেন এবং বাস্তবতামুখী জীবনধারা ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন। তাঁর ‘মা‘আরিজুল কুদস’ নামক গ্রন্থে ইমাম গাযালী বলেন, ‘পারস্পরিক সহানুভূতি ও সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের বেঁচে থ
কাশ্ফ অর্থ উন্মুক্ত করা। আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট অহী মারফত এমন কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা, যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি কেবল নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (জুরজানী, কিতাবুত তা‘রিফাত ৩৪ পৃঃ)। তবে কখনও কখনও রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য কার
উত্তর : দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীদের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে ১- ১০ জন ‘আশারায়ে মুবাশশারাহ’ নামে খ্যাত। তাঁরা হ’লেন, (১) আবুবকর ছিদ্দীক (২) ওমর (৩) ওছমান (৪) আলী (৫) ত্বালহা (৬) যুবায়ের (৭) আব্দুর রহমান বিন ‘আওফ (৮) সা‘দ বিন আবু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।জমিতে উৎপাদিত ফল ও ফসলের যাকাতআল্লাহ তা‘আলা মানুষকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর পৃথিবীকে
দেশে এলোপ্যাথিক গবেষণার পাশাপাশি হোমিও গবেষণাতেও ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এমনকি গাড়ীতে মাছ পরিবহনের সময় যে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তারও সমাধান হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়েছে।বর্তমানে হঠাৎ করে গরুর নতুন রোগ দেখা দিয়েছে যা ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস’
ডালিমের উন্নত জাতই হ’ল আনার বা বেদানা। আনার বা বেদানা খুবই মিষ্টি, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। বাংলাদেশের মাটি বেদানা চাষের উপযোগী। এটি দেশের বসতবাটির আঙ্গিনায় চাষ করা যায়। নিয়মিত যত্ন নিলে আনার গাছ থেকে সারা বছর ফল পাওয়া যায়। ছাদে টবে বা ড্
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফায়ছালা করেন, তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয়ই এতে চিন্তা
পলিপাস নাসারন্ধ্রের রোগ। এটি একটি অতি পরিচিত সমস্যা। এ রোগে সাধারণত সর্দি লেগে থাকে ও প্রচুর হাঁচি হয়। বিভিন্ন কারণে এ রোগ হ’তে পারে। নিম্নে এ রোগের কারণ ও চিকিৎসা উল্লেখ করা হ’ল।-পলিপাস কি : মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই’র পরিমাণ বে
প্রতিকার :যুবসমাজই আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার। তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় হ’লে দেশ ও জাতি নিমজ্জিত হবে অধঃপতনের অতল তলে। তাই তাদের অধঃপতন প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে প্রয়োজন যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে কতিপয় প্রস্তাবনা পেশ কর
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এর সনদ অত্যন্ত যঈফ (মিশকাত হা/৫২১২; যঈফাহ হা/২০৫৯)। বরং এটি একটি আরবী প্রবাদ মাত্র। এতে দুশ্চরিত্রা নারীদের থেকে সাবধান করা হয়েছে, সকল নারী উদ্দেশ্য নয়।
পর্ব ১ ।হক খুঁজে পাওয়া যেমন সহজ নয়, তেমনি হকের উপরে টিকে থাকাও সহজ নয়। হকের উপরে টিকে থাকার জন্য কতিপয় করণীয় রয়েছে। যেগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-১. শারঈ ইলম অর্জন করা :শারঈ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে একজন মানুষ যথার্থ মুত্তাক্বী হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন,إِن
উত্তর : ছালাতে শিশুদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে শিশুকাল থেকেই মসজিদে ছালাত আদায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেকারণ নববী যুগে শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়ার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিশুর ক্রন্দন শ্রবণের কারণে ছালাত সংক্ষিপ্ত করেছেন (বুখারী হা/৭০
উত্তর: কোন তওবাকারীকে তার পূর্বের গোনাহ নিয়ে খোটা দেওয়া যাবেনা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গোনাহ থেকে তওবা করে, সে নির্দোষ ব্যক্তির ন্যায়’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন শ্রেণীর ল
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (বায়হাক্বী শো‘আব হা/৬১৪৬; মিশকাত হা/৩০৯৭; যঈফাহ হা/১১১৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে যে নারীর বিবাহের মোহর কম, সে বিবাহ বরকতপূর্ণ মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আহমাদ হা/২৪৫২২; ইরওয়া হা/১৯২৮, সনদ হাসান)। ত
উত্তর : ইমোজি শব্দটির উৎপত্তি জাপানী শব্দ ইমোডজি থেকে, যার অর্থ স্মাইলি অর্থাৎ হাসিমুখ। এটি এক ধরনের আইকন, যা মানুষের বিভিন্ন আবেগ-অনুভূতি প্রকাশার্থে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহে ব্যবহৃত হয়। ইমোজি বা ইমোকটিন প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করে ২০১২ সাল
উত্তর : সরকার কর্তৃক এরূপ সূদ গ্রহণ যুলুমের নামান্তর। এরপরেও তা পরিশোধ না করা সঠিক হয়নি। কারণ যালেম সরকারের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট নির্দেশ- ‘তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭২)। এক্ষে
‘মি‘রাজ’ সংঘটিত হয়েছিল রজব মাসে। মি‘রাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) ছাড়া অন্য কোন নবী এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বশ্রেষ্
ভূমিকা :নবী-রাসূলগণের পরে আল্লাহর নিকটে ছাহাবীদের মর্যাদা সর্বাধিক। বিশেষ করে ইসলামের প্রথম যুগের আনছার ও মুহাজির ছাহাবীগণ, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে যারা অগ্রবর্তী
উত্তর : মসজিদে সাময়িকভাবে ঘুমানো ও খাওয়া-দাওয়া করা জায়েয। আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমর (রাঃ) অবিবাহিত যুবক ছিলেন, যিনি রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে ঘুমাতেন (নাসাঈ হা/৭২২)। তিনি বলেন, আমরা যুবকরা রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে ঘুমাতাম (তিরমিযী হা/৩২১; ইবনু মাজা
এমবিবিএস; এম.এস (কলোরেক্টাল সার্জারী)বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জনব্রেস্ট টিউমার এবং ক্যান্সারসহ মহিলাদের সব ধরণের সার্জিক্যাল সমস্যার অপারেশন মহিলা টীমের মাধ্যমে করা হয়।বিশেষ সেবাসমূহ :জটিল ফিস্টুলার আধুনিক চিকিৎসারাবার ব্যান্ড লাইগেশন ও
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ঘুষ ও দুর্নীতির কারণ ও প্রতিকার :একক কোন কারণে দুর্নীতি হয় না। দুর্নীতির বহুবিদ কারণ রয়েছে এবং এর প্রতিকারেরও বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন-১. জবাবদিহিতার অনুভূতির অভাব : ঘুষ ও দুর্নীতির প্রধান ও মুখ্য কারণ হ’ল জবাবদিহিতা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, জিব্রীলের পায়ের গোড়ালি বা ডানার আঘাতে যমযম কূপের সৃষ্টি হয়েছে (বুখারী হা/৩৩৬৪-৬৫, ‘নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়, ৯ অনুচ্ছেদ)।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে।সংস্থাটি বলছে, মাস্ক পর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।সুন্নাতের পরিচয়সুন্নাতের আভিধানিক অর্থ : السنة (সুন্নাত) শব্দটি আরবী, একবচন। বহুবচনে السنن (সুনান)
ভূমিকা :মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদই হচ্ছে মীরাছ, যা মৃতের নিকটাত্মীয়রা লাভ করে। প্রাচীনকাল থেকে মৃতের সন্তানাদি ও আত্মীয়দের মাঝে সম্পত্তি বণ্টনের নিয়ম চলে আসছে। সম্পদ বণ্টনে অনিয়ম হ’লে উত্তরাধিকারীদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে
উত্তর : সমকামিতা অত্যন্ত ঘৃণ্য পাপ এবং কবীরা গুনাহ। এই পাপের কারণেই বর্তমান পৃথিবীতে এইড্স-এর মত মরণ ব্যধি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অপরাধের কারণে বিগত যুগে আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন (আ‘রাফ ৭/৮০-৮৪; হিজর ১৫/৭২-৭৬)। এর শাস্তি হ’ল সমকাম
মিথ্যা ও প্রতারণার গাঢ় তমিশ্রায় নিমজ্জিত এ পৃথিবীতে সত্যের আলো নিয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ কদাচিৎ খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও সত্য কোনটা মিথ্যা কোনটা তা বাছাই করার যোগ্যতা বা তার আগ্রহ কারু মধ্যে তেমন একটা দেখা যায় না। যে যেটা করেন সেটাই সত্য অথবা অধিকা
উত্তর : পিতা-মাতার ন্যায় শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর ব্যয়ভার বহন করা জামাইয়ের জন্য আবশ্যিক নয়। তবে হকদার হ’লে জামাই তাদেরকে যাকাতের টাকা দিতে পারবে এবং তাদের জন্য এ টাকা গ্রহণ করাও জায়েয হবে (বুখারী হা/১৪৬২; ইরওয়া হা/৮৭৮; ফাৎহুল বারী ৩/৩২৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি আল্লাহর বাণী দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন, তোমার যে কল্যাণ হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর যে অকল্যাণ হয়, তা তোমার (আমলের) কারণে হয় (নিসা ৪/৭৯)। অর্থাৎ আল্লাহ সব সময় বান্দার মঙ্গল করেন। কিন্তু বান্দা ভুলক্রমে বা ইচ্ছাকৃ
প্রশ্ন : ছহীহ হাদীছের মাপকাঠি বা বৈশিষ্ট্য কি?উত্তর : ছহীহ হাদীছের সংজ্ঞা থেকেই ছহীহ হাদীছের মাপকাঠি ও বৈশিষ্ট্য জানা যায়।ছহীহ হাদীছের সংজ্ঞা :مَا اِتَّصَلَ سَنَدُهُ بِنَقلِ العَدلِ الضَّابِطِ عَن مثله إِلَى مُنتَهَاهُ مِن غَيرِ شُذُوذٍ وَلاَ عِلَّةٍ
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : মানুষ এমন অনেক কাজ করে থাকে যেগুলি কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এই কবীরা গুনাহগুলির মধ্যে কিছু আছে যা করলে মানুষের উপর অভিশাপ নেমে আসে। অভিশাপকে আরবীতে বলা হয় ‘লা‘নত’। লা‘নতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বলা হয় ‘মাল‘ঊন’। নিম্নে এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । আল্লাহ বলেন, يَآ أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُولُوا قَوْلاً سَدِيدًا- يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا- ‘হে মুমিনগণ! তোম
উত্তর : কোন মুসলিম ব্যক্তি শিরক থেকে তওবা করার পর নতুনভাবে কালিমা পাঠ করতে হবে না কিংবা বিবাহ নবায়নেরও কোন প্রয়োজন নেই। কেননা শিরকের মত মহাপাপে জড়িত থাকলেও সে ব্যক্তি ইসলাম অস্বীকারকারী নয়। অতএব তার জন্য তওবাই যথেষ্ট। আল্লাহ
উত্তর : অমুসলিমের মৃত্যুতেও ‘ইন্নালিল্লাহ’ বলা যাবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৩৭৫ পৃ:, ১৪/৩৬৪-৬৫)। কারণ প্রতিটি মানুষই আল্লাহর নিকট ফিরে যাবে। তবে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবে না (তওবা ১১৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৫/১১৯; আল-মাওস
عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِىِّ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : الدِّينُ النَّصِيحَةُ، قُلْنَا لِمَنْ قَالَ : لِلَّهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ-১. অনুবাদ : হযরত তামীম আদ-দারী (রাঃ) হ’তে ব
দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু ৭১.২ বছর। নারীর গড় আয়ু ৭৪.৫ বছর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর ২০২০ সালের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৬ বছর। তার আগের বছর ছিল ৭২.৩
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।পরিবারে স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য :স্বামী পরিবারের দায়িত্বশীল। তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন।
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, সেখানকার অধিবাসীরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও জনপদ সমূহকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দিবেন’ (হূদ ১১/১১৭)। পৃথিবীর প্রাচীন ছয়টি জাতি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের যুলুমের কারণে। উক্ত ৬টি জাতি হ’
উত্তর : সহো সিজদার নিয়ম হ’ল- (১) যদি ইমাম ছালাতরত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তবে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি সিজদা দিবেন। অতঃপর সালাম ফির
সাহসিকতা প্রত্যেক মানুষের একটি মৌলিক গুণ। এ সাহসিকতা ভাল কাজে ব্যবহার করলে সুনাম হয়। আর খারাপ কাজে ব্যবহার করলে বদনাম হয়। অন্যায়কারীর সামনে সত্য কথা বলে তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রশংসনীয় কাজ। রাসূলুলাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সর্বোত্তম জিহাদ হ’ল অত
ছাদে বাগান : পদ্ধতি ও পরিচর্যাবর্তমানে বাড়ির ছাদে বাগান করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ বাড়ির ছাদেই বিভিন্ন ধরনের বাগান রয়েছে। তবে এসব বাগানের অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হ’লে বাড়ির ছাদে ফলমুল ও শাক-সবজি উৎপাদন ক
মানব জীবনে অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল জবাবদিহিতার অনুভূতির দুর্বলতা। যা দু’প্রকার : মানুষের নিকট জবাবদিহিতা এবং আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতা। মানুষের নিকট জবাবদিহিতার অনুভূতি কমে গেলে বা বিলুপ্ত হ’লে মানুষ যত না বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার চাইতে
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৬১৩, ৬৩১৩)।
উত্তর : উক্ত কবরস্থানের জন্য আলাদা প্রাচীর থাকা আবশ্যক। এছাড়া যদি মসজিদের দেয়াল ও কবরস্থানের মাঝে রাস্তা থাকে, তাহ’লে সে মসজিদে ছালাত আদায় করতে কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/৯৭২; নাসাঈ হ
আবু উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, এক তরুণ যুবক রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে যেনা করার অনুমতি দিন। একথা শুনে উপস্থিত লোকজন তার নিকটে এসে তাকে ধমক দিয়ে বলল, থাম! থাম! রাসূল (ছাঃ) বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ بِالْقِسْطِ شُهَدَآءَ لِلَّهِ وَلَوْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ أَوِ الْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ إِنْ يَكُنْ غَنِيًّا أَوْ فَقِيرًا فَاللهُ أَوْلَى بِهِمَا فَلاَ تَتَّبِعُوا الْهَوَى أَنْ تَعْدِلُوا وَإِن
উত্তর : সাতটি অঙ্গের উপর ভর করে সিজদা করাই নিয়ম। এ বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) নিজে আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে ছাহাবায়ে কেরামকে আদেশ করেছেন। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি হাড় (অঙ্গ) দ্বারা
উত্তরঃ স্বামী-স্ত্রী উভয়ে জান্নাতী হ’লে আল্লাহ তাদেরকে একত্রে জান্নাতে প্রবেশের নির্দেশ দিবেন’ (যুখরুফ ৪৩/৭০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, তুমি কি সন্তুষ্ট নও যে, তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে আমার স্ত্রী হয়ে থাকবে? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। তখন ন
বছর ঘুরে আবার এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ (International Workers Day) হিসাবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক,
ভূমিকা :জীবনের প্রকৃত সুখ-শান্তির ষোল আনাই নির্ভর করে মানসিক প্রশান্তির ওপর। আত্মিক প্রশান্তি না থাকলে পৃথিবীর কোন কিছুই মানুষকে সুখী করতে পারে না। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি যতই থাকুক, মনের শান্তি না থাকলে সুখ পাওয়া কখনোই সম্ভব হয় না। এসি
প্রশ্ন : মাযহাবগুলো সম্পর্কে মন্তব্য কি? তারা কিمَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِى এবংعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ হাদীছদ্বয় অনুযায়ী ঠিক আছে?উত্তর : ‘মাযহাব’ (مذهب) শব্দের অর্থ মত, পথ, মতবাদ, আদর্শ, বিশ্বা
উত্তর : হিসাব হবে। হিসাব হবে না মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে, দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৩১১১; ছহীহ নাসাঈ হা/১৮৪৬)। বিনা হিসাবে জান্নাতে যা
উত্তর : বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল গান-বাজনা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সত্বর আমার উম্মতের মধ্যেকার কিছু লোক রেশমী কাতান, রেশমী কাপড়, মদ ও গান-বাদ্যকে হালাল মনে করবে (বুখারী তা‘লীক্ব, হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লো
মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর তিনটি আমল ব্যতীত কোন আমল কাজে আসে না। ছাদাক্বায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম ও নেক সন্তানের দো‘আ।[1] ওছমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর নবী করীম (ছাঃ) যখন অবসর গ্রহণ করতেন তখন তিনি সেখানে দাঁড়াতেন এবং উপস্থি
আঙ্গুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল। যা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ব্যাপকভাবে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দরকারি খনিজ ও ভিটামিন। সুস্বাদু এ ফলের আছে নানা খাদ্য ও ভেষজ গুণ। আঙ্গুরে রয়েছে ভিটামিন
দেখতে দেখতে করোনাকালের ছয় মাস চলে গেল। মৃত্যুর মিছিলে ইতিমধ্যে যোগদান করেছে পাঁচ লক্ষাধিক বনু আদম। আক্রান্ত হয়েছে এক কোটিরও বেশী। আক্রান্তের হার এক দেশে কমছে তো অন্য দেশে বাড়ছে। প্রথমে কিছুটা কম প্রাদুর্ভাব থাকা দক্ষিণ এশিয়ায় হঠাৎ করেই পরিস্থ
نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ نَبَأَهُمْ بِالْحَقِّ إِنَّهُمْ فِتْيَةٌ آمَنُوا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنَاهُمْ هُدًى (13) وَرَبَطْنَا عَلَى قُلُوبِهِمْ إِذْ قَامُوا فَقَالُوا رَبُّنَا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَنْ نَدْعُوَ مِنْ دُونِهِ إِلَهًا لَقَد
উত্তর : এমতাবস্থায় পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবে। সামনের কাতার থেকে টেনে নেওয়া মর্মে বর্ণিত হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ (ত্বাবরাণী আওসাত্ব হা/৭৭৬৪; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২৫৩৭; যঈফাহ হা/৯২১-৯২২)। তাছাড়া সামনের কাতার থেকে মুছল্লীকে পিছনে টেনে আনলে কাতারে
উত্তর : চার আলিফ বা তিন আলিফ মাদ্দের স্থানে এক আলিফ দীর্ঘস্বরে টানলে অর্থ পরিবর্তন হয় না। সেজন্য এতে গুনাহ হবে না, যদিও তাতে তেলাওয়াতের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। তবে মাখরাজের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। কেননা এতে অর্থ পরিবর্তনের আশংকা থাকে (ই
মানব জাতির ঐতিহ্যগত একটি পেশা হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। পেশার বিচারে ব্যবসার গুরুত্ব সর্বাধিক। এটি একটি ইবাদতও বটে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে ব্যবসা করতেন এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সদস্য সহ অনেক ছাহাবী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে মূলত মুসলিম বণ
উত্তর : সাধারণভাবে জীবিকার জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া উচিৎ নয়। কেননা এতে তাদের দ্বারা দ্বীন প্রভাবিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হ’তে মুক্ত...’ (আবুদাঊদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭; ছহীহা
উত্তর : ফক্বীহদের নিকট জায়েয ও হালাল এবং নাজায়েয ও হারামের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বরং উভয়ই সমার্থক হিসাবে ব্যবহৃত হয় (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১/১০; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১১২/০২)।
عَنْ أَبِى مُوسَى عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا. وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ- متفق عليه-অনুবাদ : হযরত আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,
অসুস্থ ব্যক্তির চেয়ারে বসে ছালাত আদায়ের ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ফৎওয়া বোর্ড অসুস্থ ব্যক্তির জন্য চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। অথচ
মানুষ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করলেও সামাজিক অবস্থান সবার একই রূপ নয়। কেউ ধনী, কেউ গরীব, কেউ উঁচু বংশের, কেউ নীচু বংশের, কেউ দক্ষ, কেউ অদক্ষ। আবার এক একজন এক এক বিষয়ে পারদর্শী। ফলে বিভিন্ন পেশায় তারা নিয়োজিত। ইসলাম সকল বৈধ
আমি মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম। বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানার কোধলা গ্রামে আমার বাড়ী। ছোটবেলা থেকেই আমি মদীনাকে ভালবাসতাম। মসজিদে নববীর ছবি যেখানেই দেখতাম পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকতাম। আর মনে মনে ভাবতাম বাস্তবে কি কখনও মদীনা দেখতে পাব? আলিয়া মাদরাসা হ’
ঢেঁড়স একটি জনপ্রিয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি এবং পর্যাপ্ত আয়োডিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফলে ঢেঁড়স চাষ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। নিম্নে ঢেঁড়স চাষের পদ্ধতি উল্লেখ করা হ’ল-মাটি : দো-অাঁশ ও
উত্তর : রিজাল শাস্ত্র হ’ল হাদীছের সনদ সম্পর্কে জ্ঞান। অর্থাৎ সনদে যে সকল বর্ণনাকারী রয়েছেন তারা নির্ভরযোগ্য কি-না, সে সম্পর্কিত বিশেষায়িত জ্ঞান। ইসলামী শরী‘আতের বিধি-বিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমদের জন্য রিজালশাস্ত্র জানা আবশ্যক। দক্ষতা ও অভিজ্ঞ
উত্তর : উক্ত ঘটনা সত্য। ছহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, ওয়াহশী তায়েফবাসী একদল প্রতিনিধির সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে দেখে তিনি বলেন, তুমি কি ওয়াহ্শী? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমিই কি হামযাকে হত্যা করেছিলে? ওয়াহশী
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ فِى بَيْعَةٍ، رَوَاهُ مَالِكٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاؤُدَ وَالنَّسَائِيُّ- আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক বিক্রয়ের মধ্যে দুই ব
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত (مَنْ صَمَتَ نَجَا) হাদীছটি ছহীহ (তিরমিযী হা/২৫০১; ছহীহাহ হা/৫৫৫; মিশকাত হা/৪৮৩৬)। উক্ত হাদীছে মন্দ কথা থেকে বিরত থাকার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ ভালো কথা বলা ছেড়ে দিবে। বরং যেন সে সর্বদা উত্তম কথা বল
উত্তর : ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে আগমন করে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার ও তাঁর অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর মাঝে কোন নবী নেই। ...তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। অতঃপর মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুসলিমর
উত্তর : ইসলামী পরিভাষায় ‘জিহাদ’ অর্থ- আল্লাহ্র পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো’ এবং ‘ক্বিতাল’ অর্থ- আল্লাহ্র পথে কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করা’। দু’টি শব্দ অনেক সময় একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে ক্বিতাল শব্দটি নির্দিষ্ট অর্থবোধক এবং জিহা
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অষ্টধাতুর আংটি বা উপকার করতে পারে এমন কোন আংটি পরিধান করেননি। কোন উপকার করবে অথবা অপকার প্রতিরোধ করতে পারবে এই বিশ্বাস করে ধাতুর আংটি, বালা বা অন্য কিছু ব্যবহার করা শিরক (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহ তিরমিযী হা/২০৭২)।
উত্তর : বীর্য কাপড় থেকে তুলে ফেলবে বা ধুয়ে ফেলবে। চিহ্ন দেখা না গেলে পানি ছিটিয়ে দিবে। এটাই যথেষ্ট হবে। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁ
কোথায় গেলে মিলবে ডাক্তার? কোথায় পাওয়া যাবে চিকিৎসা? দেশের মানুষের কাছে বর্তমানে এটি একটি জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা। রোগ যাই হোক, রোগী যে বয়সেরই হোক, দুর্দশা চরমে। কোভিড-১৯ রোগী নন, অথচ তারাও সুচিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন বলে তাদের স্বজনরা গণমাধ্যমের
উত্তর : পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে আংটি পরিধান করা অপসন্দনীয় কাজ। ৬ষ্ঠ হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসে হোদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদনের পর ৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানের নিকটে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে রাসূল (ছাঃ) পত্র প্রেরণ করেন। তখন সেযুগের ন
উত্তর : যাবে। কেননা পিতা-মাতার অন্যায়ের দায় জারজ সন্তানের উপর পড়ে না (বাক্বারাহ ২৮৬; আন‘আম ১৬৪)। উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَلَدُ الزِّنَا شَرُّ الثَّلاَثَةِ ‘জারজ সন্তান হ’ল তিনজন নিকৃষ্ট ব্যক্তির একজন’ (আবুদাঊদ হা/৩৯৬৩)। এ বিষয়ে ইমাম
ভূমিকা :আল্লাহ তাঁর ইবাদতের জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মুসলিম জীবনের আবশ্যিক কর্তব্য হ’ল আল্লাহর দাসত্ব করা। ইবাদতের প্রসঙ্গ এলে আমাদের কল্পনার দেয়ালে ভেসে ওঠে ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ, কুরআন তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ ছালাত প্রভৃতি ইবাদতের কথা। নিঃসন্দেহ
আযান :আযান অর্থ আহবান করা, ঘোষণা করা। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে শরী‘আত সম্মত উপায়ে উচ্চৈঃস্বরে ছালাতের ঘোষণা প্রদানকে আযান বলা হয়। মুওয়াযযিনের বহু ফযীলত রয়েছে। যেমন মুওয়াযযিনের আযানের আওয়ায যত দূর যাবে তত দূর পর্যন্ত সকল মানুষ, জি
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে সাত পরিবারের পক্ষ থেকে সাত ভাগে কুরবানী করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে জনগণ! নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের উপরে প্রতি বছর এক
উত্তর : বিবাহের শর্ত হ’ল চারটি। (১) পরস্পর বিবাহ বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন (২) উভয়ের সম্মতি (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩১২৬)। (৩) মেয়ের ওলী থাকা (আহমাদ, তিরমিযী; মিশকাত হা/৩১৩০), (৪) দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫৮)
উত্তর : জিনদের স্বতন্ত্র কোন ধর্মগ্রন্থ নেই বা তাদের নিকট তাদের মধ্য থেকে কোন নবী-রাসূল প্রেরণ করা হয়নি। বরং মানব জাতির নিকট যে নবী-রাসূল বা কিতাব প্রেরণ করা হয়েছিল, তাদের জন্যও একই নবী-রাসূল বা ধর্মগ্রন্থ প্রযোজ্য। আল্লাহ বলেন, ‘(স্মরণ কর) য
হজ্জের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূল : আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বাযঅনুবাদ : ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলামসমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য এবং আখেরাতের শুভ পরিণতি মুত্তাক্বীদের জন্য। আর দরূদ ও সালাম (রহমত ও শান্তি) বর্ষিত হউক আল্লাহর বান্দা, তাঁর
উত্তর : কবর পাকা করা ও সুসজ্জিত করা নিষেধ। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন, কবরে চুনকাম করতে, এর উপর লিখতে এবং একে পায়ে পদদলিত করতে (তিরমিযী হা/১০৫২ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৭০৯)। আর এই নির্দেশের কারণে রাসূল (ছাঃ)-এর মূল কবর পাকা কর
উত্তর : শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হ’লে সেখানে হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বলে নিম্নের দো‘আটি সাতবার পাঠ করবেন- আ‘ঊযু বি‘ইযযাতিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহি মিন শার্রি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু’ (আমি যে ব্যথা ভোগ করছি ও যে ভয়ের আশংকা করছি, তার অনিষ্ট হ’তে আমি
উত্তর : স্ত্রী সহবাসে কেবল গোসল করা ফরয। কাপড় ধোয়া ফরয নয়। পোষাক পরিধান করে সহবাস করলে পোষাক নাপাক হয় না। এমনকি কাপড়ে বীর্য লেগে গেলেও কাপড় নাপাক হয় না। বরং কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে উক্ত স্থান ধুয়ে বা ঘষে বীর্য তুলে ফেলবে এবং তাতে ছালাত আদায় করব
উত্তর : উক্ত বস্ত্তগুলি নেশা জাতীয় দ্রব্য। নেশাদার দ্রব্য মাত্রই হারাম। হারাম বস্ত্ত খাওয়া যেমন হারাম, তার ব্যবসাও তেমন হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন সম্প্রদায়ের উপর কোন কিছু খাওয়া হারাম করেন, তখন তিনি তার ব্যবসাও হারাম করেন
কালোজিরা মাঝারী জাতীয় নরম মৌসুমী গাছ। একবার ফুল ও ফল হয়ে মরে যায়। উচ্চতায় ২০-৩০ সেমি (৮-১২ ইঞ্চি), পাতা সরু ও চিকন, সবুজের মধ্যে ছাই রং মেশানো। জোড়া ধরে সোজা হয়ে পাতা জন্মায়। কালোজিরার গাছে স্ত্রী, পুরুষ দুই ধরনের ফুল হয়। নীলচে সাদা (জাত বিশে
আমি মুহাম্মাদ ইবরাহীম। ফেনী যেলার দাগনভূঞা থানার এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্ম। একজন সাধারণ ছেলে যেভাবে বেড়ে উঠে আমারও সেভাবে বেড়ে উঠা। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন ছিল না আমার মধ্যে। পরিবারেও তেমন আমল ছিল না। ছিল না কুরআন-হাদীছের সঠিক জ্ঞান। এভ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মসজিদে অবস্থানের ফযীলত :মসজিদ পবিত্র স্থান, যেখানে আল্লাহর ইবাদত করা হয়। মসজিদে ইবাদতের আগে ও পরে অবস্থান করার মধ্যেও বান
প্রশ্ন নং ১০ : বুখারী ও মুসলিম কি বিশুদ্ধ কিতাব?উত্তর : আলেম সমাজ একমত যে বুখারী ও মুসলিম বিশুদ্ধ কিতাব। এ দু’টি কিতাবকে একত্রে ‘ছহীহায়ন’ তথা বিশুদ্ধ দু’খানা কিতাব বলা হয়। বুখারী ও মুসলিমের বিশুদ্ধতার বিষয়ে মনীষীদের সুচিন্তিত অভিমত নিম্নে প্রদত্ত হ’ল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।কোত্থেকে মুহাসাবা শুরু করব?আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, প্রথমেই ফরয আমল দিয়ে নিজের হিসাব শুরু করবে। তাতে কোন ত্রুটি বুঝতে পারলে কাযা অথবা সংশোধনের মাধ্যমে তার প্রতিবিধান করবে। তারপর নিষিদ
‘সালাফী’ অর্থ পূর্বসূরীদের অনুসারী। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীকার অনুসারী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ইহূদীরা ৭১ ফের্কায়, নাছারারা ৭২ ফের্কায় এবং আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। তার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ- মারইয়াম বিনতে ইমরান, খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মাদ ও ফেরাঊনের স্ত্রী আসিয়া (তিরমিযী হা/৩৮৭৮; ঐ, মিশকাত হা/৬১৮১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, উক্ত চারজন হ’লেন জান্নাতী মহি
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।দাড়ি রাখা সুন্নাত বলার পক্ষে দলীলসমূহ ও তার জওয়াব :‘ইসলামে হালাল ও হারামের বিধান’ গ্রন্থ প্রণেতা ড. ইউসুফ আব্দুল্লাহ কারযাভীসহ কতিপয় শৈথিল্যবাদী বিদ্বান মনে করেন দাড়ি মুন্ডন করা মাকরূহ। এমনকি কেউ কেউ মনে করেন এটি জায়েয। যারা মাক
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।মুসলিম উম্মাহ আজ সোজা-সরল পথ পরিহার করে বাঁকা পথে চলছে। ফলে তারা বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক হ্রাস পেয়েছে। শৌর্য-বীর্য হারিয়ে বাতিলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বাতিলরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করছে। পরস্পরের মযবূত ঈ
ভূমিকা :হিজরী তৃতীয় শতক ছিল হাদীছ সংকলনের স্বর্ণযুগ। কুতুবুস সিত্তার সবগুলো গ্রন্থই এ শতকে সংকলিত হয়েছে। আর এ কুতুবুস সিত্তার অন্যতম একটি গ্রন্থ হ’ল ‘সুনানু ইবনি মাজাহ’। শুধু ইবনু মাজাহ নয়, বরং তিনি মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সুবিখ্যাত তাফসীর গ্রন্
উত্তর : ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দু’টিই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। তাই ঘুষ দিয়ে চাকরী নেওয়া জায়েয নয়। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়, অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হ’
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সারা জাহানের মালিকের জন্য সকল প্রশংসা। দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক নবী আল-আমীনের উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও ছাহাবীদের সকলের উপর। অতঃপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মোহ আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে মানুষের আন্তরিকতা
উত্তর : হাদীছটি যঈফ (আলবানী, যঈফাহ হা/৩৪০২; যঈফুল জামে‘ হা/২৪৩৪)। তবে ব্যবসার গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সবচেয়ে পবিত্র উপার্জন হ’ল, যা মানুষ নিজ হাতে করে এবং সৎ (প্রতারণা ও খেয়ানতমুক্ত) ব্যবসার মাধ্যমে করা হয়’ (আহমাদ হা/১৭৩০৪; মিশকাত হ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহুসম্মানিত সুধী!সম্মানিত সুধী! ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়া রাজশাহীর বালিকা শাখায় তিন হাযার শিক্ষার্থীর আবাসন ও পাঠদান সুবিধা সম্ব
উত্তর : না। এতে কোন বাধা নেই এবং এটাকে বেআদবী গণ্য করাও ঠিক নয়। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘আমি হাফছার বাড়ীর ছাদে কোন কারণে উঠেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ক্বিবলাকে পিঠ করে হাজত সারতে দেখলাম’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৩৫)। জাবের (রাঃ) থেকেও
মুসলমানদের জন্য বছরে শরী‘আত সম্মত দু’টি ঈদ রয়েছে। তা হ’ল ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা। অনেক মানুষ অজ্ঞতা, অলসতা বা অবহেলা ও উদাসীনতা বশতঃ ঈদে নানা রকম ভুল-ভ্রান্তি করে থাকে। আলোচ্য নিবন্ধে এসব ভুল-ত্রুটি উল্লেখ করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।-১. গোসল না
উত্তর : এক্ষেত্রে সুন্নাত হ’ল- (১) আঙ্গুলের মাধ্যমে গণনা করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলবে’ (আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩১৬)। (২) ডান হাতে গণনা করা। রাস
উত্তর : মানত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা মানত করো না। মানত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেনা। এটি কৃপণের সম্পদ থেকে কিছু অংশ বের করে আনে মাত্র’ (বুখারী হা/৬৬০৮, মুসলিম হা/১৮৩৯; মিশকাত হা/৩৪২৬)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নাফর
উত্তর : শিরকের গুনাহ আল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু বান্দার হক বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট, যা বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তার নিজস্ব তওবা এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না (বিস
তাবলীগী ইজতেমা ২০২৪ এর সকল প্রচারপত্রের ডিজাইন ও মিডিয়া সম্প্রচারের সকল তথ্য একত্রেপোষ্টার, ব্যানার, গেট ব্যানার, ফেস্টুন লিংক :https://drive.google.comফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে ইজতেমার ফ্রেম যুক্ত করতে ব্রাউজ করুন :https://twb.nz/ahlehadeethijtama23ht
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি প্রসিদ্ধ সামাজিক গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’। গত বছর এপ্রিলে ২২৬ পৃষ্ঠার একটি দীর্ঘ সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে।[1] দু’দফায় ২০০৮-০৯ এবং ২০১১-১২ মোট চার বছর ধরে ৩৯টি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আশিরও অধিক
আল্লাহ তা‘আলা শরী‘আতে এমন কতিপয় আমল বাতলে দিয়েছেন যা সম্পাদন করলে গোনাহ সমূহ মাফ হয়। গোনাহ এমন একটি বিষয়, যা একের পর এক করতে থাকলে মুমিন নারী-পুরুষের ঈমানী নূর নিভে যেতে থাকে। যা এক সময় তাকে জাহান্নামের পথে পরিচালিত করে। আর শয়তান সেটাই চায়। স
উত্তর : ফরয এবং ওয়াজিব অর্থ ও হুকুমের দিক থেকে কাছাকাছি পরিভাষা। শরীআ‘তের দৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিধানগুলিকে ফরয ও ওয়াজিব দ্বারা নির্দেশ করা হয়। অর্থাৎ এমন বিধান যা পালনে ছওয়াব পাওয়া যায় এবং পরিত্যাগে শাস্তি পেতে হয়। তবে উ
‘আমি বৃথা জীবন ধারণ করিনি, সমস্ত কিছুই প্রমাণ করব, যা ভাল তা শক্ত করে ধরব’। বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী
থানকুনি একটি অতি উপকারী ভেষজ। চিকিৎসার অঙ্গণে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এই থানকুনির ভেষজ তেল থেকে। খাদ্য হিসাবে থানকুনি সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে যথার্থ ভূমিকা পালন করে। অঞ্চলভেদে এর বিভিন্ন নাম র
উত্তর : বিশেষ প্রয়োজনে মসজিদ স্থানান্তর করা যায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) কা‘বাগৃহ ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর দেওয়া ভিতের উপর ভিত দিতে চেয়েছিলেন। কারণ কুরায়েশরা কা‘বাগৃহ নির্মাণের সময় ইবরাহীম (আঃ)-এর ভিত থেকে ছোট করে নির্মাণ করেছিল। কিন্
বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ও শব্দ দূষণের চাইতে ভয়াবহ দূষণ হ’ল মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন দূষণ। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টেলিভিশন ও বিদ্যুতের লাইনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। যা আধুনিক প্রযুক্তি
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব । ‘ঈছালে ছওয়াব’ (ايصال ثواب) ফারসী শব্দ। আরবীতে হবে ‘ঈছালুছ ছওয়াব’ (ايصال الثواب)। তবে এক্ষেত্রে আরবীতে অন্য শব্দ বেশী ব্যবহৃত হয়। যেমন ইহ্দাউছ ছওয়াব (إهداء الثواب)। এর আভিধানিক অর্থ হ’ল ছওয়াব পৌঁছানো। পরিভাষায়
উত্তর : উক্ত আয়াত থেকে অনেকে বুঝেছেন যে, জাহান্নামে কাফেরদের শাস্তি স্থায়ী হবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাস্তি হবে। অর্থাৎ যতদিন আসমান ও যমীন বিদ্যমান থাকবে ততদিন তাদের শাস্তি হবে। উক্ত ধারণা সঠিক নয়। কারণ আরবদের রীতি ছিল, কোন জিনিসের স
উত্তর : এমর্মের বর্ণনাটি মওযূ বা জাল। কারণ এর একাধিক বর্ণনা সূত্রে অধিকাংশ যঈফ ও অপরিচিত রাবী রয়েছেন (বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২৯৮; মিশকাত হা/৪৯৪৪)। তবে পিতা-মাতার প্রতি অনুগ্রহ করার জন্য কুরআন ও হাদীছে অসংখ্য নির্দেশ রয়েছে। যেমন
উত্তর : উক্ত পোষাকে ছালাত হবে। অতএব মুছাল্লীর রুচি হ’লে তাতে ছালাত আদায় করবে নতুবা তা পরিবর্তন করবে। কারণ বমি নাপাক হওয়ার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ, আলবানী, শাওকানী, শায়খ বিন বায, উছায়মীন প্রমুখ বিদ্বান বমিকে ওযূ ভঙ
আলো এমন এক উপাদান যার সাহায্যে অন্ধকারে পথ চলা যায়। আলোর যেমন ভিন্নতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা। আলো প্রকাশ্য হ’তে পারে আবার অপ্রকাশ্যও হ’তে পারে। সর্বপ্রকারের আলোই উপকারী। এই আলো মূলতঃ ঈমানের আলো, যে আলোর মাধ্যমে মুমিন সঠিক পথে পরিচালিত
উত্তর : ‘দাদন’ শব্দটি ফার্সী দাদান (প্রদান করা) শব্দ থেকে উদ্ভূত। কোন ব্যক্তি কোন ব্যবসায়িক চুক্তি হিসাবে কোন কিছু অগ্রিম দিলে তাকে দাদনদার বলা হয়। আঠারো শতকে বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ব্যবসা-ব্যবস্থাপনায় দাদন কথাটি একটি বাণিজ্যিক প
উত্তর : ঘুমানোর পূর্বে সূরা মুলক পাঠের বিশেষ ফযীলত আছে। যেমন জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সূরা সাজদা ও মুল্ক না পড়ে রাতে ঘুমাতেন না (তিরমিযী হা/৩০৬৬; মিশকাত হা/২১৫৫)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ৩০ টি আয়াত রয়েছে, পাঠকারীর জন্য এটি
‘তাহাজ্জুদ’ (التّهَجُّدُ) শব্দটির মূলধাতু (هُجُوْدٌ)। তাহাজ্জুদ এমন শ্রেণীভুক্ত শব্দ, যার অর্থ ঘুমানোও হয়, আবার ঘুম থেকে ওঠা বা রাত্রি জাগরণও হয়। এখানে দ্বিতীয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।[1] পারিভাষিক অর্থে :ما يصلى من نافلة الليل بعد الاستيقاظ من ال
বীজ বোনার সময় ও পরিমাণ : এই বীজ বছরের যে কোন সময় বপন করা হয়। তবে অতীব শীতে এই বীজ বপন না করাই উত্তম। একর প্রতি-২০০-৩২৫ গ্রাম। প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ লাগাতে হয়। বীজ একদিন ও একরাত ভিজিয়ে লাগানো ভালো।জমি তৈরী : দো-আঁশ ও এঁটেল দো-আঁশ মাটিতে ভালো হ
উত্তর : মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান বিন আবুবকর (রাঃ)-এর কবর যিয়ারত করার সময় তাকে বলা হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ নিষেধ করেছিলেন। তবে পরে তিনি কবর যিয়ারত করার অনুমতি
যুবকরা যেকোন কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বয়স্ক লোকদের নিকট যে কাজটা কঠিন, সে কাজটা যুবকদের নিকট সহজ। যুবকদের মূল্যবান সময়টা বিভিন্ন খারাপ কাজে অতিবাহিত না করে, কল্যাণকর কাজে অতিবাহিত করতে হবে। যাতে করে ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে জওয়াব দেওয়া সহজ হয়। ক
একজন পিতা যিনি তার জীবন-যৌবনে অশ্লীলতা পরিহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, সেই কষ্টকর জীবনে কিভাবে তিনি প্রকৃত সুখ পেয়েছিলেন? আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে প্রিয় সন্তানের প্রতি পিতার মূল্যবান নছীহত।প্রিয় সন্তান,আমি সারাটি জীবন সুখ সুখ করে ক
উত্তর : এগুলি দু’টি কারণে তালাক হিসাবে গণ্য হবে না। প্রথমত, বর্ণনা মতে ছেলেটি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত এবং কারণে-অকারণে তার মধ্যে অদ্ভুত সব কার্যকলাপ ও অসংলগ্ন কথাবার্তা প্রকাশ পায়। অতএব এরূপ ব্যক্তির রাগান্বিত অবস্থায় প্রদত্ত তালাক ধর্তব্য হবে না
মানুষ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী বা অন্য কারো নিকটে অতিথি হয় ও আতিথ্য গ্রহণ করে। ইসলাম এক্ষেত্রে কিছু আদব পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলি মেনে চলার মাধ্যমে পাস্পরিক সম্পর্ক সুন্দর করা এবং নেকী অর্জনের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলমানের
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী’১৩ রাজধানী ঢাকায় জনৈক নাস্তিক ব্লগার রাজীব হায়দারের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নাস্তিকতার যে ভয়াল চিত্র উন্মোচিত হয়েছে, তা সমগ্র দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। নাস্তিকতা যে কত নিকৃষ্ট হতে পারে, ধর্মহীনতা যে মানুষকে প
উত্তর : উক্ত কথা সঠিক নয়। বরং সালাম ফিরানোর পরে একবার সরবে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী ফাৎহসহ হা/৮৪১-৪২; মুসলিম হা/৫৮৩; মিশকাত হা/৯৫৯)।-রায়হানখয়রাবাদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
পর্ব ১ [দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ] :৯. পণ্যের স্বল্পতা : অনেক সময় পণ্যের স্বল্পতা বা কতিপয় নাগরিকের পণ্য মজুদের প্রবণতার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। সম্পদশালী ব্যক্তিরা বাজারে আসে এবং পণ্য ক্রয় করে জমা করে রাখে। এদিকে বাজারে পণ্যের স
উত্তর : এভাবে সালাম দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। বরং শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সালাম দিবেন (বুখারী হা/৬২৩১; মিশকাত হা/৪৬৩৩) এবং তারা উত্তর দিবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যদি কেউ এতে আনন্দবোধ করে যে, লোকেরা তাকে দেখে স্থিরভ
উত্তর : স্ত্রীর উপস্থিতিতে তার ভাগ্নী বা বোনের মেয়েকে বিবাহ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন নারীকে তার ফুফু বা খালার সাথে বিবাহে একত্রিত করা যাবে না’ (বুখারী হা/৫১৯০; মুসলিম হা/১৪০৮; মিশকাত হা/৩১৬০)। অন্যত্র তিনি বলেন, ভাতিজীর সাথে তার
শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। লাউ যেমন সবজি হিসাবে অনেক সুস্বাদু তেমনি লাউয়ের পাতাও শাক হিসাবে অনেক উপাদেয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির লাউ রয়েছে। জাত ভেদে এর আকার-আকৃতি ও বর্ণ ভিন্ন হয়। তবে বর্তমানে কিছু উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ চাষ হয়
উত্তর : মসজিদে প্রবেশের দো‘আ নিম্নস্বরে পড়বে। তবে মসজিদে প্রবেশকালে মুছল্লী থাকলে সালাম দেওয়া সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম মতভেদ করেছেন। জমহূর বিদ্বানগণ ছালাতরত মুছল্লীদের উপর সালাম দেওয়াকে মাকরূহ বলেছেন। তবে হাম্বলীরা জায়েয বলেছেন। কেননা ইবনু ওমর
উত্তর : ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও ব্যবহার না জেনে নিজের স্বল্প জ্ঞানের উপর গোঁড়ামী করাকে ধর্মান্ধতা বলে। ‘ধর্মান্ধ’ শব্দটি প্রকৃত মুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা ‘ইসলাম’ হ’ল মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম (আলে ইমরান ৩/১৯)। আর ইস
ছাহাবায়ে কেরাম রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে সরাসরি অনেক কল্যাণকর বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। কোন বিষয়ে তাঁদের ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে রাসূল (ছাঃ) তাদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দিয়ে সঠিক পথ নির্দেশ করতেন, তাদের নিকটে বর্ণনা করতেন আমলের যথার্থ পদ্ধতি। আল্লাহর ভা
আত-তাহরীক : কোন মৌলিক বা অনুবাদ রচনায় কোন বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ নযর দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন?মাওলানা ইসহাক ভাট্টি : কোন মৌলিক রচনার সময় চেষ্টা করতে হবে যেন পাঠককে সঠিক তথ্যটি দেয়া যায় এবং ভাষা শুদ্ধ হয়। এটা একটি ভাল লেখনীর মূল বৈশিষ্ট্য। আর যদি ভাষা
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কার। বরং উক্ত বর্ণনা ছহীহ হাদীছের বিরোধী। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫২০)।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- اسْتَحْيُوا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ. قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَسْتَحْيِى وَالْحَمْدُ لِلَّهِ. قَالَ : لَيْسَ ذَاكَ وَلَكِنَّ الاِسْتِحْ
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিম বা কাফির-মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে না, তাদের সাথে সদাচরণ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না’ (মুমতাহ
আম কাঁঠালের মৌসুম শেষ হ’লেই বাযারে দেখা যায় শরিফা বা আতা ফল। অপ্রধান ও স্বল্পপ্রচলিত এ ফলটি বেশীরভাগ বসতবাড়ির আঙিনায় আবাদ হয়। তবে বর্তমানে ফলের চাহিদা মেটাতে বাগান আকারে শরিফার চাষ শুরু হয়েছে।পর্তুগিজ ভাষায় ফলটিকে ‘আতা’ বলে। পর্তুগিজরা এ ফলটি
মিডিয়া (Media) একটি ইংরেজী শব্দ। কোন কিছু প্রচারে যে মাধ্যম ব্যবহৃত হয় সেটাই মিডিয়া। মিডিয়ার প্রধানত দু’টি স্তর রয়েছে- (১) প্রিনট মিডিয়া অর্থাৎ পত্র-পত্রিকা বা সংবাদপত্র। (২) ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অর্থাৎ স্যাটেলাইট, মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি, রেডিও ইত্যাদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।গীবতের পরিণাম ও ভয়াবহতাগীবত বা পরনিন্দা একটি সর্বনাশা মহাপাপ। এই পাপের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার নষ্ট হয়। কারণ পরনিন্দার মাধ্যমে অন্যের সম্মান হানি করা হয় এবং তার মর্যাদার ওপর চরমভাবে আঘাত করা হয়, যা আল্লাহ প্রত্যেক মুসল
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তুহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিবে। আর ইদ্দত পার হয়ে গেলে উভয়ের সম
উত্তর : সালাম ফিরানোর সময় মুছল্লী স্বাভাবিক ভাবে ডানে বা বামে দৃষ্টিপাত করে সালাম ফিরাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ছালাত আদায়কারী তার ডানে এবং বামে থাকা ভাইদেরকে সালাম প্রদান করবে (মুসলিম হা/৪৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০১৯)। অতএব সালাম ফিরানোর সময়
পৃথিবীতে মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে তাকে অন্যের মুখাপেক্ষী হ’তে হয়। কেউ কারো দ্বারা উপকৃত হ’লে উত্তমভাবে উপকারীর প্রতিদান প্রদান করা উচিত। এ শিক্ষাই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দিয়ে গেছেন। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-ইমরান (রাঃ) হ
উত্তর : ‘মুরশিদ’ শব্দের অর্থ পথ প্রদর্শনকারী। উক্ত আয়াতে মুরশিদ বলতে আল্লাহকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ মানুষের পথ প্রদর্শনকারী। তিনি যাকে পথ দেখান সেই কেবল পথ প্রাপ্ত হয়। পক্ষান্তরে তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ পথ প্রদর্শন করতে পারে না। পীর-ফ
উত্তরঃ অনুমতি নিয়ে খাওয়া যাবে। অনুমতি দেওয়ার মতো কাউকে না পেলে, ক্ষুধা নিবৃত্ত হওয়া পর্যন্ত উক্ত ফল খাওয়া যাবে। কিন্তু বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন কোন ছাগপালের
জলীলুল কদর তাবেঈ, প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ ও ফকীহ উরওয়া ইবনে যুবায়ের (রহঃ) ২৩ হিজরীতে ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফত কালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ ছাহাবী যুবায়ের বিন আওয়াম ও আবুবকর তনয়া আসমা (রাঃ)-এর পুত্র। বহু ছাহাবী তাঁর নিকট থেকে হাদীছ বর্
জাগো জাগো জাগো হে মুসলিম!জাগো আল্লাহর কুরআনেসম্মুখে কঠিন রয়েছে দুর্দিন,থেক না বসে ঘুমের ভানে।ইহুদী-নাছারা জেগেছে তারা,মনগড়া শত মতে...;তুমি কি জাগবে না? ওহে মুসলিম!বিশ্ব নবীর (ছাঃ) তরীকাতে।সৃষ্টি মাঝে শ্রেষ্ঠ তুমিতোমার পাথেয় অহি-র বিধান,এ সুমহান বিধান
বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। তিনি মাত্র ২৩ বছরের প্রচেষ্টায় আরবের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। তৎকালীন পৃথিবীর মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিল সমাজ পরিবর্তনের এই দৃশ্য। বহু দোষে দুষ্ট মানুষগুলিকে মুহূর্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানুষের জীবন কিছু দিন-রাতের সমষ্টি। ইহকালীন জীবনের আমলের বিনিময়ে পরকালীন জীবনে জান্নাত অথবা জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। তাই মানুষের দুনিয়াবী জীবন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় অবহেলায় কাটিয়ে দিলে পরকালে ব
উত্তর : ‘মাযহাব’ শব্দের আভিধানিক অর্থ চলার পথ। পারিভাষিক অর্থ মতবাদ, মতাদর্শ ইত্যাদি। চারজন প্রসিদ্ধ মুজতাহিদ ইমামের ফিক্বহী মতামতকে ইসলামী পরিভাষায় মাযহাব বলা হয়। উক্ত চার ইমামের মৃত্যুর বহু পরে রাজনৈতিক দলাদলির সুবাদে বিভিন্ন মাযহাবের সূত্র
উত্তর : ছালাতে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর বিশেষ ফযীলত আছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রথম কাতারের (মুছল্লীদের) উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ দো‘আ করেন’ (ইবনু মাজাহ হা/৯৯৭)। তিনি বলেন, ‘পুরুষদের জন্য সর্বোত্তম কাতার হ’ল প্রথম কাতার’ (মুসলিম হা/৪
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং ছফর মাসেও কোন অশুভ নেই। একথা শুনে জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তাহ’লে পালের মধ্যে একটা চর্মরোগী উট আসলে বাকীগুলি চর্মরোগী হয়
(১) দ্বীনী ইলম প্রসঙ্গে : (ক) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, لَيْسَ الْعِلْمُ بِكَثْرَةِ الرِّوَايَةِ، إِنَّمَا الْعِلْمُ الْخَشْيَةُ ‘অধিক হাদীছ জানাই প্রকৃত জ্ঞানার্জন নয়। বরং প্রকৃত জ্ঞানার্জন হ’ল আল্লাহভীতি অর্জন করা’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। এর ব্যাখ্যায় ত্বীবী বলেন, এর দ্বারা চেহারায়, চরিত্রে ও পোষাকে সাদৃশ্য বুঝানো হয়েছে। তবে পোষাকে সাদৃশ্যই প্রধান’। ম
উত্তর : কুরআন আল্লাহর কালাম। এর আয়াতসমূহের বিন্যাস ও সূরা সমূহের নামকরণ সবই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, হযরত ওছমান (রাঃ) বলেছেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর কোন আয়াত নাযিল হ’ত, তখন তিনি অহী-লেখক কাউকে
রবার্ট ক্লাইভ (১৭২৫-১৭৭৪ খ্রি.) ১৭৫৭ সালে ২৩শে জুন বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মধ্যে সংঘটিত পলাশী যুদ্ধে বিজয়ী ইংরেজ সেনাপতি। উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম স্থপতি। আয়ারল্যান্ডের একটি মাঝারি জমিদার পরিবারের সন্তান
উত্তর : অন্যায়ভাবে কৃত এরূপ বদদো‘আ কবুল হবে না। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি আল্লাহ মানুষের প্রতি দ্রুত অনিষ্ট করতেন, যেমন তারা দ্রুত কল্যাণ চায়, তাহ’লে তাদের আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যেত’ (ইউনুস ১০/১১)। এর তাফসীরে ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, রাগান্বিত অবস্
উত্তর : ইসলামে ধর্ম ভাই-বোন বা ধর্ম বাপ-মা বলে কিছু নেই। জাহেলী যুগে এরূপ রেওয়াজ ছিল। এমনকি রাসূল (ছাঃ)-এর পালক পুত্র যায়েদকে তাঁর দিকে সম্বন্ধ করে বলা হ’ত যায়েদ বিন মুহাম্মাদ। এর প্রতিবাদে আল্লাহ বলেন, ‘আর তিনি তোমাদের পোষ্যদেরকে তোমাদের পুত্র করেনন
উত্তর : দুধ ভাই ও বোন থেকে ততটুকু পর্দা করবে যতটুকু নিজ ভাই ও বোন থেকে করা আবশ্যক। অর্থাৎ দুধ ভাই দুধ বোনের হাত, পা, মাথা, মুখমন্ডল ও চুল দেখতে পারে যেমন অন্যান্য মাহরামরা দেখতে পারে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে,
দ্বীন সম্পর্কে বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ হ’লেন আলেম। যারা দ্বীনের সংরক্ষণ, দ্বীনী ইলম বিতরণ ও প্রচার-প্রসারের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। ফলে ইহকালে যেমন তারা নন্দিত ও বরিত হন, তেমনি পরকালে জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যমে সম্মানিত ও সফলতা লাভে ধন্য হবেন। কুরআন-
উত্তর : এই আক্বীদাহ যারা পোষণ করে তাদের পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। তবে বিকল্প মসজিদ বা ইমামের পিছনে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকলে সেখানে ছালাত আদায় করাই উত্তম (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৮০-৮১, ৭/৫০৭, ২৩/২৫৬; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরু
উত্তর : সালাম সর্বাবস্থায় আদান-প্রদান করা যায়। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থাতেও হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দিতেন (আবুদাউদ হা/৯২৬, তিরমিযী হা/৩৬৭, মিশকাত হা/৯৯১)। কেবল পেশাব-পায়খানার সময় তিনি সালামের উত্তর দিতেন না, বরং বের হয়ে উত্তর দিতেন (যদি সেই ব্যক্
উত্তর : যদি মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী মিলনের সক্ষমতা নেই, তাহ’লে স্ত্রী স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারে বা ‘খোলা’ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তিযকার ৬/১৯৩; মুগনী ৭/৩২৩; উছায়মীন, আ
উত্তর : আমানতের খেয়ানত করা মুনাফিকের আলামত সমূহের অন্যতম। কারো নিকট কোন কথা আমানত স্বরূপ বললে তা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দিলে তা আমানতের খেয়ানত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি। (১) যখন সে কথা বলে, তখন সে মিথ্যা বলে (২) আর যখ
‘যিকর’ (ذِكْرٌ) শব্দের অর্থ স্মরণ করা, মনে করা। স্মরণ বা মনে করা দ্বারা আল্লাহকে স্মরণ করা বুঝায়। আল্লাহকে স্মরণ হ’তে পারে যিকর-আযকার, তাসবীহ-তাহলীলের মাধ্যমে। হ’তে পারে ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাত প্রভৃতি ইবাদতের মাধ্যমে। অথবা দ্বীনী কোন মজলিসে বসার মাধ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) নবুঅতপ্রাপ্তির পূর্বে রামাযান মাসে হেরাগুহায় বেশী বেশী ইবাদত করতেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কাছে একাকিত্বকে পসন্দনীয় করে দিয়েছিলেন। রাতের বেলা একাকী তিনি হেরাগুহায় ইবাদতে মগ্ন থাকতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৪১)। কিন্তু তিন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।[মূল বই পৃষ্ঠা ৮০ থেকে ৯১]তাক্বলীদ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার জবাবশেষে তাক্বলীদ এবং তাক্বলীদপন্থীদের সম্পর্কে কতিপয় মানুষের কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব পেশ ক
উত্তর : উক্ত জঘন্য কাজের জন্য শ্বশুর কবীরা গুনাহগার হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হাতের যেনা হ’ল স্পর্শ করা (মুসলিম হা/২৬৫৭, মিশকাত হা/৮)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য কোন নারীকে অবৈধভাবে স্পর্শ করার চেয়ে তার মাথায় লৌহ সুচ দ্বারা খোঁচা খাওয়া বরং উত্তম (ত্ব
উত্তর : এটি একটি ফিক্বহী পরিভাষা। অর্থ অধিকাংশ। সাধারণ অর্থে, যখন কোন ফিক্বহী মাসআলায় অধিকাংশ ইমাম বা ফক্বীহ একমত পোষণ করেন, তখন সে মতটিকে ‘জমহূর’-এর মত বলা হয়। বিশেষ অর্থে, জমহূর বলতে বুঝানো হয়, এক ইমামের বিপরীতে তিন ইমামের মতামত। অর্থাৎ যখন কো
উত্তর : করোনা ভাইরাসের সাথে ইমাম মাহদীর কোন সম্পর্ক শরী‘আত দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং এটাই সঠিক যে, আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির আমল সংশোধনের জন্য মাঝে-মধ্যেই মহামারী পাঠিয়ে থাকেন (ছহীহুত তারগীব হা/১৪০৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৩৮৬৯)। উল্লেখ্য যে,
উত্তর : সদ্য ভুমিষ্ট সন্তানের ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত শুনানোর হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (মুসনাদে আবী ইয়া‘লা, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২১)। এক্ষণে ‘কেবল আযান দেওয়া’ সম্পর্কিত হাদীছটি শায়খ আলবানী (রহঃ) ইতিপূর্বে ‘হাসান’ (আবুদাঊদ হা/৫১০৫, ইরওয়া হা/১১৭৩)
উত্তর : একই জাতীয় মুদ্রা যেমন আমেরিকান ডলারের বিনিময়ে আমেরিকান ডলারের ব্যবসা করা যাবেনা। তবে ডলারের বিনিময়ে রিয়াল বা অন্য দেশের মুদ্রা কেনা-বেচার ব্যবসা করা যাবে। সেক্ষেত্রে নগদে কমবেশী করা যাবে; কিন্তু বাকীতে কমবেশী করে করা যাবে না (বুখারী হ
উত্তর : স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী যদি তাকে তালাক দেয় এবং স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় তাহলে তালাক হয়ে যাবে। আমর ইবনু হাফছ তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ফাতিমা বিনতে ক্বায়েসকে তালাক দেন এবং কিছু যবসহ তার নিকট একজন প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু তার স্ত্রী তা নিত
উত্তর : যাবে। সামুদ্রিক প্রাণী যা পানিতে থাকে, তা কাঁকড়া হোক বা অন্য প্রাণী হোক তা হালাল (আল-মুকনে‘ ২৭/২৮২ মাসআলা নং ৪৬২৬)। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল’ (আবুদাঊদ, বুলূগুল মারাম,
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহীআসসালা-মু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহসম্মানিত সুধী! পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পন্ন একদল দ্বীনদার আলেম ও তাক্বওয়াশীল যোগ্য নাগরিক তৈরীর উদ্দেশ্যে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন
ভূমিকা :তা‘লীমী বৈঠক দ্বীন চর্চার অন্যতম একটি মাধ্যম। এটি হ’তে পারে কোন মাহফিল-জালসা বা দ্বীন শিক্ষার কোন প্রশিক্ষণ সমাবেশ অথবা ঘরোয়া পরিবেশে পারিবারিক বৈঠক কিংবা মহিলা সমাবেশ। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ ও সময়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে হ’লেও সবগুলোই মূলতঃ দ্
উত্তর : অহী লেখক ছাহাবীগণের মধ্যে আব্দুল্লাহ বিন সা‘দ বিন আবী সারাহ নামে একজন ছাহাবী মুরতাদ হয়েছিলেন। তিনি ওছমান (রাঃ)-এর দুধ ভাই ছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ওছমান (রাঃ) তাঁর জন্য নিরাপত্তা প্র
মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইহুদীবাদী ইসরাঈল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৩ই আগস্ট বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের ফলে তৃতীয় আরব দেশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাঈলের সঙ্গে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্ক স
উত্তর : রুকূ না পাওয়ার কারণে সে রাক‘আত পায়নি। এক্ষণে ঐ ব্যক্তিকে উক্ত ওয়াক্তের ফরয ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ সে ওয়াক্তের মধ্যে সেই ছালাতের বাকী অংশ আদায় করেনি। কারো যদি এক রাক‘আত ছালাত ছুটে যায় এবং সালাম ফিরিয়ে নেয় আর ওয়াক্তের মধ্যে মন
উত্তর : مِلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا অনুবাদ : ‘তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত (অনুসরণ কর)। (আল্লাহ) তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বের কিতাবসমূহে এবং এই কিতাবে (কুরআনে) (হাজ্জ ২২/৭৮)। আ
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সাধারণভাবে শয়তান মানব দেহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে তাকে ধোঁকা দিয়ে থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে, সে যেন নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কেননা শয়তান তার নাকের ভ
উত্তর : নারীর ন্যায় পুরুষেরও পর্দা আছে (নূর ৩০)। লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ (বুখারী হা/৯)। তাই লজ্জাশীলতার খেলাফ করা যাবে না। তবে প্রয়োজনে খালি গায়ে থাকা যাবে। ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি মাদুরের উপর চিৎ হয়ে শুয়েছি