উত্তর : সরকারী
শর্ত মেনে কোন দেশে বসবাসের অনুমতি নেওয়ার পর শর্ত ভেঙ্গে এরূপ প্রতারণার
আশ্রয় গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে শর্ত ও চুক্তি
হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা ব্যতীত মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে
যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করতে হবে (আবুদাউদ হা/৩৫৯৪; মিশকাত হা/২৯২৩; ছহীহাহ হা/২৯১৫)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘যে বিধান দারুল ইসলামে হারাম, সেই বিধান দারুল কুফরেও হারাম (কিতাবুল উম্ম, আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ৩৩/১২-১৩)।
শাওকানী বলেন, মুসলমানগণ যেখানেই অবস্থান করুক না কেন শরী‘আতের আহকাম পালন
করা তাদের উপর আবশ্যক। এমনকি তারা দারুল হারবে অবস্থান করলেও শরী‘আতের কোন
বিধান রহিত হবে না (আস-সায়লুল জার্রার, ৯৬৩ পৃ.)। আর মাত্রাতিরিক্ত যুলুমের ক্ষেত্রে তা সমাধান করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। নইলে ব্যবসা পরিত্যাগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নকল্পে সরকার জনগণের উপর ট্যাক্স নির্ধারণ করতে পারে (গাযালী, আল মুসতাছফা ১/৩০৩; শাত্বেবী, ২/১২১)। তবে এটা যেন যুলুমের পর্যায়ে না চলে যায়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা আবশ্যক। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে জনগণের উপর অযৌক্তিকভাবে লাগামহীন ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে, যা রীতিমত যুলুম। রাসূল (ছাঃ) হাক্কুল ইবাদ বা জনগণের অধিকার বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে কঠিন সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন (মুসলিম হা/১৬৯৫; আহমাদ হা/১৭৩৩৩, ১৭৩৯১; মিশকাত হা/৩৭০৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সাবধান! কোন ব্যক্তির মাল অন্য কারো জন্য হালাল নয়, যতক্ষণ না সে তা স্বেচ্ছায় প্রদান করে’ (আহমাদ হা/২০৭১৪; মিশকাত হা/২৯৪৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬৬২)।
প্রশ্নকারী : মাহতাবুদ্দীন, ফ্রান্স।