
উত্তর : উক্ত বিবাহ বাতিল করে দিতে হবে এবং পুনরায় বিবাহ করতে চাইলে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা গর্ভবতী অবস্থায় বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত বিবাহ সংঘটিত হয় না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/১০৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২১/৪৬)। জনৈক ব্যক্তি বিয়ের পর বুঝতে পারে যে, তার স্ত্রী পূর্ব থেকে গর্ভবতী। তখন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট বিচার দেওয়া হ’লে তিনি তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেন (বায়হাক্বী ৭/৮৯, হা/১৩৮৯৪)। রাসূল (ছাঃ) আওত্বাস যুদ্ধে লব্ধ বন্দীনীদের ব্যাপারে ঘোষণা করেন যে, সন্তান প্রসব না করা পর্যন্ত গর্ভবতীর সাথে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত ঋতুবতীর সাথে যেন কেউ সহবাস না করে (আবুদাউদ হা/২১৫৭; মিশকাত হা/৩৩৩৮, সনদ ছহীহ)। হুনায়েন যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে, তার জন্য অপরের শস্যক্ষেত্রে নিজের পানি সিঞ্চন করা বৈধ নয়। বর্ণনাকারী বলেন, অন্যের ক্ষেতে পানি সিঞ্চন দ্বারা তিনি গর্ভবতীর সাথে সহবাস করা বুঝিয়েছেন (আবুদাউদ হা/২১৫৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬৫৪)। আর গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করা যাবে না। সে তার মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হবে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৩১২)। আর মা দায়িত্ব গ্রহণে অপারগ হ’লে সমাজ বা সরকার তার দায়িত্ব নিবে।
প্রশ্নকারী :হাতেম, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।