
উত্তর : এটা খোলা‘ হিসাবে গণ্য হবে এবং বিবাহ বিচ্ছিন্ন হবে। উক্ত নারী এক ঋতু ইদ্দত পালন শেষে শারঈ পদ্ধতিতে অন্যত্র বিয়ে করতে পারে। কারণ স্বামী তালাক দিতে টাল-বাহানা করলে স্ত্রী জনপ্রতিনিধি বা আদালতের মাধ্যমে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হ’তে পারে। উল্লেখ্য যে, স্ত্রী দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকার রাখে। যাকে শরী‘আতে ‘খোলা’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ৩২/৩০৩)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাবেত ইবনু ক্বায়েসের স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট আসল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি ছাবেত ইবনে কায়েসের দ্বীনদারী এবং চাল-চলনের নিন্দা করি না, তবে আমি মুসলিম নারী হয়ে (তার অসুন্দর হবার কারণে) তার নাফরমানী করব, এটা চাই না। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, তুমি কি তার মোহর বাবদ বাগান ফেরত দিবে? মহিলা বলল, হ্যাঁ দিব। নবী করীম (ছাঃ) ছাবেতকে বললেন, বাগান গ্রহণ কর এবং তাকে ‘খোলা’ হিসাবে এক তালাক প্রদান কর’ (বুখারী, মিশকাত হা/৩২৭৪)। স্মর্তব্য যে, শারঈ ওযর ব্যতীত স্ত্রী স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারে না। কোন কারণ ছাড়াই যদি কেউ স্বামীর কাছে তালাক চায়, তাহ’লে সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবূদাঊদ হা/২২২৬; মিশকাত হা/৩২৭৯; ছহীহুত তারগীব হা/২০১৮)। অন্য বর্ণনায় বিনা কারণে তালাকপ্রার্থী নারীকে মুনাফিক বলা হয়েছে (তিরমিযী হা/১১৮৬; মিশকাত হা/৩২৯০; ছহীহাহ হা/৬৩২)।
প্রশ্নকারী : নাঈম, বগুড়া।