উত্তরঃ
কারো উপরে জিন আছর করলে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আয়াত ও দো‘আ
পাঠের মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা যায়। বিছানায় শয়নকালে নিয়মিত ‘আয়াতুল কুরসী’
পাঠ করলে আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতার মাধ্যমে তার হেফাযত করেন এবং সকাল হওয়া
পর্যন্ত শয়তান তার কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারে না’ (বুখারী, মিশকাত হা/২১২৩ ‘কুরআনের মাহাত্ম্য’ অধ্যায়)। এতদ্ব্যতীত সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করলে প্রত্যেক বস্ত্তর (বিপদাপদের) মোকাবিলায় যথেষ্ট হবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/২১৬৩)।
উল্লেখ্য, কোন কবিরাজ যদি কুরআনের কোন আয়াত বা সূরা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করে এবং তাতে যদি উপকার হয়, তাহ’লে তা গ্রহণ করা জায়েয (বুখারী, বুলূগুল মারাম, হা/৯০২)। তবে কোন অবস্থায়ই শিরকী কালাম পড়ে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না বা তাবীয লটকানো যাবে না, কেননা এটা শিরক (আহমাদ ৪/১৫৬; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৯৪)। সুতরাং কোন ভূয়া কবিরাজের নিকটে গিয়ে তাবীয, মাদুলী, গাছড়া-সূতা ইত্যাদির আশ্রয় না নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশ মতে বৈধ চিকিৎসা গ্রহণ করাই শরী‘আত সম্মত।