উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং এর অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি বল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে (ইবাদতে) প্রবেশ করাও যথার্থভাবে এবং সেখান থেকে বের কর যথার্থভাবে। আর আমাকে তোমার পক্ষ হ’তে সাহায্যকারী শক্তি দাও’ (ইসরা ১৭/৮০)। এটি সর্বাবস্থায় দো‘আ হিসাবে পাঠ করা যায়। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) মক্কায় ছিলেন। অতঃপর তাকে মদীনায় হিজরতের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং উক্ত আয়াতটি নাযিল হয় (ইবনু কাছীর, ঐ আয়াতের তাফসীর)। তবে এর সনদ যঈফ (যঈফ তিরমিযী হা/৬১১, তিরমিযী হা/৩১৩৯)

উক্ত আয়াত দ্বারা ক্ষমতা লাভের জন্য রাসূল (ছাঃ)-কে হিজরত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলাটা ভুল। কারণ হিজরতের চারমাস পূর্ব থেকেই রাসূল (ছাঃ) সকলকে জানিয়েছিলেন যে, আমাকে তোমাদের হিজরতের স্থান স্বপ্নে দেখানো হয়েছে, যা কালো পাথুরে মাটির মাঝে খেজুর বাগিচা সমৃদ্ধ এলাকা। তখন থেকেই মুসলমানগণ ইয়াছরিবে হিজরত করতে থাকেন। ...এক পর্যায়ে আবুবকরও ইয়াছরিবে চলে যেতে চান। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বলেন, ‘থেমে যাও! আশা করছি যে, আমাকেও অনুমতি দেওয়া হবে’ (বুখারী হা/২২৯৭; ৩৯০৫)

অতঃপর হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় তিনি হাজূনে দাঁড়িয়ে মক্কাবাসী ও বায়তুল্লাহকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জনপদ ও আল্লাহর নিকট আল্লাহর মাটিসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় মাটি। যদি আমাকে তোমার থেকে বের করে না দেওয়া হ’ত, তাহ’লে আমি বেরিয়ে যেতাম না’ (তিরমিযী হা/৩৯২৫; ইবনু মাজাহ হা/৩১০৮; মিশকাত হা/২৭২৫)। এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, মক্কাবাসীদের যুলুমের কারণে এবং আল্লাহর হুকুমে তিনি হিজরত করেছিলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্যে নয়। যদিও তিনি আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তীতে মদীনায় রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। কারণ তিনি ছিলেন শেষনবী এবং ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন তার মাধ্যমে করাটা ছিল আল্লাহর একান্ত ইচ্ছা। আর রাষ্ট্রক্ষমতা ইসলামী বিধান সমূহ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিঃসন্দেহে সহায়ক শক্তি। কিন্তু সেটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত নয়।






প্রশ্ন (১৮/৫৮) : মৃত ব্যক্তির সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করার যে রীতি সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তা শরী‘আতসম্মত কি? - -ফারূক হোসাইন, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৩/৪৫৩) : ছোট বাচ্চা, গরু বা অন্য কিছু হারিয়ে গেলে তা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৪০/৪০) : হযরত আদম (আঃ) শ্রীলংকায় অবতরণ করেছিলেন মর্মে যে জনশ্রুতি রয়েছে তা কতটুকু নির্ভরযোগ্য? অথচ এর উপর ভিত্তি করে ‘আদম্স পিক’ নামে সেখানে একটি পাহাড়কে অবতরণস্থল হিসাবে গণ্য করে মাযার বানিয়ে লোকেরা পূজা করছে।
প্রশ্ন (২৪/১৪৪) : বড় ভাই হারিয়ে যাওয়ায় তার সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ছোট ভাই তার স্ত্রীকে বিবাহ করে। কিন্তু পরবর্তীতে বড় ভাই ফিরে এসেছে। এক্ষণে করণীয় কী?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : অতি বৃষ্টির কারণে অনেক পুকুর ভেসে যায়। ফলে চাষ করা মাছ পুকুরের ঘের থেকে বেরিয়ে যায়। অনেকে সেই মাছ ধরে। সেই মাছের মালিক পাওয়া যায় না। এমতাবস্থায় ঐ মাছ ধরা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : আমি ওয়ারিছ সূত্রে কোন সম্পদ পাইনি। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর ১টি বাড়ী ও সামান্য জমি ক্রয় করেছি। আমার তিনটি মেয়ে রয়েছে। কোন পুত্র সন্তান নেই। এক্ষণে আমার মৃত্যুর পর আমার ভাই বা তার ছেলেরা এতে কোন অংশ পাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : ইতিহাসে পাওয়া যায় যে, ওমর (রাঃ) শিফা নাম্নী জনৈকা মহিলা ছাহাবীকে বাযারের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্বশীল নিয়োগ করেছিলেন। এই ঘটনা কি সত্য? - -মাহমূদুর রহমান, তালা, সাতক্ষীরা
প্রশ্ন (৩১/১১১) : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হলে কারেন্ট চালিত হিটার বা চুলা দিয়ে রান্না করা নিষিদ্ধ। উক্ত নিষেধ অমান্য করে রান্না করে খাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৫/৪০৫) : আমার মা তার পিতার সম্পত্তি হ’তে বেশ কিছু জমি পেয়েছিলেন। কিন্তু আমার পিতা তা বিক্রয় করে ভোগ করে ফেলেছেন। কথা দিয়েছিলেন মাকে তার সম্পত্তি হ’তে কিছু লিখে দিবেন। কিন্তু পরে দেননি। বরং আমার মায়ের সম্মতিতে তার প্রাপ্য পুরো সম্পত্তি তিন মেয়ের নামে লিখে দেন। আমার চাচাতো ভাইয়েরা জীবিত আছেন। এক্ষণে আমার পিতার কর্মের বৈধতা জানতে চাই। - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : নফস ও রূহের মধ্যে পার্থক্য কি?
প্রশ্ন (৪০/৪০০) : ছাহাবী মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) কি তাঁর পরিবারের জন্য মহামারীর আক্রমণ প্রার্থনা করেছিলেন?
প্রশ্ন (৫/৩২৫) : আমার স্ত্রীর যাকাত ফরয হওয়ার মত সম্পত্তি আছে। আমি তাকে না জানিয়ে তার সম্পদের যাকাত আদায় করতে পারব কি?
আরও
আরও
.