উত্তর :
ইসলামে জালালী খতম বলে কিছু নেই। এর জন্য আলেমদেরকে ডাকা ও অনুষ্ঠান করা
বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু আবিষ্কার করল যা তার
মধ্যে নেই তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০, ‘কুরআন-সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ)। এরূপ খতম পড়ানোর মানত করে থাকলে তা পূরণ করতে হবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন পাপের কাজে মানত পূর্ণ করা বৈধ নয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৪২৮, ‘নযর’ অনুচ্ছেদ)। সুতরাং এ ধরনের গর্হিত কর্ম হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক।
মুমিনের কোন বৈধ চাহিদা পূরণের জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে যে দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করা আবশ্যক, যাকে ‘ছালাতুল হাজত’ বলা হয় (ইবনু মাজাহ হা/১৩৮৫)। এজন্য শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর সালাম ফিরানোর পূর্বে আশু প্রয়োজনীয় বিষয়টির কথা নিয়তের মধ্যে এনে নিম্নোক্ত সারগর্ভ দো‘আটি পাঠ করবে : আল্লা-হুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খেরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র (‘হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দুনিয়াতে মঙ্গল দিন ও আখেরাতে মঙ্গল দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হ’তে রক্ষা করুন’)। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় এ দো‘আটি পড়তেন’ (বুখারী হা/৪৫২২, মিশকাত হা/২৪৮৭)। দো‘আটি সিজদায় পড়লে বলবে, আল্লা-হুম্মা আ-তিনা...। কেননা রুকূ-সিজদায় কুরআনী দো‘আ পড়া জায়েয নয় (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৭৩, নায়ল ৩/১০৯)।