উত্তর : ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করা সুন্নাত এবং এটা ছহীহ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত। অতএব সবাইকে এই প্রতিষ্ঠিত সুন্নাতটি পালন করার চেষ্টা করতে হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৭/৯৫; বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১০৮ পৃষ্ঠা)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, বিদ্বানগণ এ ব্যাপারে একমত যে, যার নিকট রাসূল (ছাঃ)-এর কোন সুন্নাত স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, কারু কথায় তা পরিত্যাগ করা আদৌ বৈধ নয় (ইবনু ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালেকীন ২/৩১৯)। যদি কেউ রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের মহববতে একটি নেকীর কাজ করেন, আল্লাহ বলেন, আমি তার নেকী ১০ থেকে ৭০০ গুণে বর্ধিত করি (বুখারী হা/৪২; মুসলিম হা/১২৯; মিশকাত হা/৪৪)। তবে ‘রাফঊল ইয়াদায়েন’-এর উপর ছালাতের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল নয়। এজন্য পরিস্থিতি বুঝে সাময়িক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অপরদিকে ইমাম ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের উচিত হবে, রাসূলের সুন্নাত পালনে কাউকে বাধা না দিয়ে বরং সহায়তা করা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আমার নাফরমানী করল, সে আল্লাহরই নাফরমানী করল’ (বুখারী হা/৭১৩৭; মিশকাত হা/৩৬৬১)। আল্লাহ বলেন, ‘তার চাইতে বড় যালেম আর কে আছে যে আল্লাহর মসজিদ সমূহে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয়...। তাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে লাঞ্ছনা এবং আখেরাতে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি’ (বাক্বারাহ ২/১১৪)।
প্রশ্নকারী : নাঈম, ময়মনসিংহ।