উত্তর : মাথায় হাত রেখে দো‘আ পাঠের কোন দলীল নেই। তবে দু’টি সময়ে সূরা পাঠ করে মাথাসহ শরীরে হাত বুলানোর কথা হাদীছে এসেছে- (১) ঘুমানোর সময়। (২) ঝাড়-ফুঁক করার সময়। এছাড়া সকাল-সন্ধ্যা বা অন্য সময়গুলোতে কেবল সূরা বা দো‘আ পাঠের কথা এসেছে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) প্রতি রাতে বিছানায় যাবার সময় দু’হাতের তালু একত্র করতেন। তারপর এতে সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দু’হাত দিয়ে তিনি তাঁর শরীরের যতটুকু সম্ভব মাসাহ করতেন। এভাবে তিনি তিনবার করতেন (বুখারী হা/৫০১৭; মিশকাত হা/২১৩২)। আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন তিনি আশ্রয় প্রার্থনার তিন সূরা (নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ) পাঠ করে নিজ দেহে ফুঁক দিতেন এবং স্বীয় হাত দ্বারা শরীর মাসাহ করতেন। এরপর যখন মৃত্যুর পূর্বে অসুস্থ হয়ে গেলেন, তখন আমি আশ্রয় প্রার্থনার সূরা তিনটি দিয়ে তাঁর শরীরে ফুঁক দিতাম, যা দিয়ে তিনি ফুঁক দিতেন। আর আমি তাঁর হাত দ্বারা তাঁর শরীর মাসাহ করিয়ে দিতাম (বুখারী হা/৪৪৩৯; মিশকাত হা/১৫৩২)। অতএব ফরয ছালাতের পর নিয়মিত সূরা পড়ে শরীরে হাত বুলানো কিংবা মাথায় হাত দিয়ে দো‘আ পাঠ সুন্নাত সম্মত নয়।

প্রশ্নকারী : মেহদী হাসান, বুয়েট, ঢাকা।








বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (১৬/৪১৬) : জনৈক আলেম বলেন, একজন আলেমকে সম্মান করলে ২৫ জন নবী-রাসূলকে সম্মান করা হয়। একথা সত্য কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) : হযরত আদম (আঃ)-কে মোহর ব্যতীত বিবি হাওয়াকে স্পর্শ করতে দেওয়া হয়নি। নবী (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠই ছিল তাঁর জন্য মোহরস্বরূপ। এ বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (২০/৬০) : কোন প্রসূতি বা ঋতুবতী মহিলা যদি ফজরের পূর্বেই পবিত্র হয় কিন্তু গোসল করতে না পারে, বরং ফজরের পরে গোসল করে, তাহ’লে তার ছিয়াম সিদ্ধ হবে কি?
প্রশ্নঃ (১০/২৯০) : জনৈক আলেম বলেন, তিনটি নিষিদ্ধ সময়ে ক্বাযা ছালাত আদায় করা যাবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? কোন্ কোন্ ছালাত আদায় করা নিষিদ্ধ?
প্রশ্ন (১৯/২৯৯) : অনেককে ফজরের ছালাতের পর ‘হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম’ ও ‘হুওয়ার রাহমানুর রাহীম’ ১০০ বার করে পাঠ করতে দেখা যায়। এ সম্পর্কে শরী‘আতের দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (৪০/৮০) : ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) লিখিত কিতাবুর রূহ -এ মৃত ব্যক্তিদের সাথে জীবিতদের কথপোকথনের অদ্ভুত বিবরণ পেশ করা হয়েছে। এসব বিবরণের সত্যতা আছে কি? - -আব্দুর রহমানফরাযীকান্দা, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : আমরা নিঃসন্তান দম্পতি। আমাদের একজন পালক সন্তান আছে। যার পিতা-মাতা সম্পর্কে আমরা জানি না। জন্মসনদে পিতা হিসাবে আমার নাম আছে। তার নামে আমি জমি কিনেছি। কিন্তু রেজিস্ট্রি করতে গেলে পিতার নাম লিখতে হবে। যেহেতু আসল পিতার নাম জানি না সেক্ষেত্রে আমার নাম লেখা জায়েয হবে কি? এছাড়া আমি ওয়ারিছ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের কতটুকু তার নামে লিখে দিতে পারব?
প্রশ্ন (২১/২২১) : ছগীরা গুনাহ কাকে বলে? কয়েকটি ছগীরা গুনাহের উদাহরণ দিলে উপকৃত হব। - -নাসীম, বখশী বাযার, ঢাকা।
প্রশ্ন (২০/৬০) : জনৈক ব্যক্তি বাক্বী‘ গোরস্থান থেকে পাথর এনে নেকীর আশায় মসজিদের দেয়ালে স্থাপন করেছে। উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/৭০) : ‘আল্লাহ তা‘আলা পানিতে ৬০০ ও স্থলভাগে ৪০০ মোট এক হাযার উম্মত সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে সর্বপ্রথম মৃত্যুবরণ করবে ফড়িং’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি সত্যতা আছে কি? - -ছাদরুল হক, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৫/১৯৫) : ছালাত শেষে সালাম ফিরানোর সময় কি বলে সালাম ফিরাতে হবে? - -ডা. মুহসিন আলী, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৯/২০৯) : আমি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে দ্বীন বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে থাকি। শ্রোতাদের মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয়ই থাকে। এটা কি জায়েয হবে? - -নাজমা বেগম, কানাডা।
আরও
আরও
.