উত্তর : জালালুদ্দীন রূমী (৬০৪-৬৭২ হি.) ভ্রান্ত ছূফী মতবাদে বিশ্বাসী আধ্যাত্মিক সাধক ও কবি ছিলেন। ‘মসনবী’ তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। বর্তমান আফগানিস্তানের বল্খ শহরে জন্মগ্রহণকারী এই ফার্সী কবি আক্বীদাগতভাবে ইবনু আরাবীর ন্যায় হুলূল ও ইত্তেহাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। অর্থাৎ তার বিশ্বাস ছিল, বান্দার আত্মা আল্লাহর পরমাত্মার মধ্যে প্রবেশ করে সেটি আল্লাহর অংশ হয়ে যায়। আর এই আক্বীদা থেকেই চালু হয়েছে ‘যত কল্লা তত আল্লাহ’ দর্শন (নাঊযুবিল্লাহ)। একে ‘ওয়াহদাতুল উজূদ’ বা অদ্বৈতবাদী দর্শন বলে। ‘হুলূল’-এর পরবর্তী ধাপ হ’ল ‘ইত্তেহাদ’। যার অর্থ হ’ল আল্লাহর অস্তিত্বের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়া। অতঃপর স্রষ্টা ও সৃষ্টি এক হয়ে যাওয়া। এই দর্শনমতে অস্তিত্ব জগতে যা কিছু দৃশ্যমান, তার সবই এক ও অভিন্ন এলাহী সত্তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। ফলে এই আক্বীদার অনুসারী ছূফীরা স্রষ্টা ও সৃষ্টিতে কোন পার্থক্য করে না। রূমীর কথা, কর্ম ও জীবন সবই শিরক ও বিদ‘আতে ভরা। তার শিষ্য আফলাকী বলেন, মাওলানাকে (রূমীকে) কেউ সিজদা করলে তিনিও তাকে সিজদা করতেন এমনকি কাফের হ’লেও। একদিন এক ব্যক্তি তাকে সাতবার সিজদা করলে তিনিও তাকে সিজদা করলেন (মানকিবুল আরেফীন ১/৩৩০)। তার বন্ধু তাবরীযী বলেন, কেউ যদি রাসূল (ছাঃ)-কে দেখতে চায় সে যেন আমাদের মাওলানাকে দেখে...কারণ তার সস্ত্তষ্টিতে জান্নাত রয়েছে এবং তার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। আমাদের মাওলানাই জান্নাতের চাবি (মানকিবুল আরেফীন ১/৪২২)। আফলাকী বলেন, জনৈক মুরীদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের মাওলানাকে (রূমীকে) জানানো হ’লে তিনি বলেন, আমাকে মৃত্যুর পূর্বে জানাওনি কেন? যাতে আমি মৃত্যুকে ঠেকাতে পারতাম! (মানাকিবুল আরেফীন ১/৪৯৫)। তার রচিত মসনবী হাযারো মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে। তিনি গান-বাজনার তালে তালে নৃত্য সহকারে যিকির করাকে স্রষ্টার কাছে নিবেদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম মনে করতেন। তার নিগূঢ় অধ্যাত্মবাদী রচনা বহু মানুষের প্রশংসা পেলেও বিশুদ্ধ ইসলামী আক্বীদার বিচারে তা নিরেট শিরক ও বিদ‘আতে পরিপূর্ণ। অতএব একজন সচেতন মুসলমানের জন্য তার কাব্য ও দর্শন থেকে বিরত থাকা আবশ্যক (দ্র. সা‘দুদ্দীন তাফতাযানী, ‘রিসালাতুন ফির রাদ্দি ‘আলা আহলে ওয়াহদাতিল উজূদ’)

প্রশ্নকারী : শিশির* আহমাদ, তেজগাঁও, ঢাকা।

*[স্রেফ ‘আহমাদ’ নাম রাখুন (স.স.)]








প্রশ্ন (১৯/১৯) : বিবাহের ৪ মাস পর স্বামী বিদেশে চলে যায়। কিছুদিন পর আমি জৈবিক চাহিদার কষ্টে অন্যত্র বিবাহ করার জন্য স্বামীর নিকটে তালাক চাই। কিন্তু স্বামী তাতে রাযী হয় না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২১/৩৪১) : ওযূ করার সময় কানের কতটুকু পরিমাণ মাসাহ করতে হবে?
প্রশ্ন (৩০/৩১০) : গরমে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে আরব আমিরাতের তৈরী ‘ফা’ নামক ডিউডোরেন্ট কিনেছি। এতে অন্যান্য উপাদানের সাথে এ্যালকোহলও আছে। এটা ব্যবহার করা যাবে কি? - -মুহাম্মাদ মুরশিদুল ইসলাম, সাপাহার, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১/২৮১) : মানুষকে সূদমুক্ত করযে হাসানাহ দেওয়ার ফযীলত কি? - আব্দুস সালাম, চাপাতলী বাজার, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৪০/১২০) : ছহীহ বুখারীতে সংকলিত বিভিন্ন হাদীছ, অধ্যায় বা বাবের সাথে সংযুক্ত তা‘লীক্বগুলির হুকুম কি? অন্য হাদীছগুলির ন্যায় এগুলিও কি ছহীহ? - -আব্দুল মালেক, কানসাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৩/৩০৩) : ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদ তৈরী করা হয়েছে। এখন ওয়াফকারী অন্য জমিতে মসজিদ করে দিতে চায় এবং পূর্বের মসজিদ নিজ কাজে ব্যবহার করতে চায়। এভাবে পরিবর্তন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : গ্রামের দু’পাশে দু’টি মসজিদ রয়েছে। গ্রামের মধ্যস্থলে বাজারের নিকটে জুম‘আ মসজিদের সম্পত্তি রয়েছে। সেখানে আরেকটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণ করা যাবে কি? তাছাড়া একটি মসজিদের অর্থ দিয়ে অন্য মসজিদ নির্মাণে অর্থ ব্যয় করা যাবে কি? - -মুহাম্মাদ নাজমুল হুদা, নাচোল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : কুরআন-হাদীছ বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থাবলীর উপরে কিছু রাখা বা একটি অপরটির উপর রাখায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি? - -রাকীবুল হাসান, নাটোর।
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : যে ব্যক্তি রামাযান মাসে একটি নফল আমল করল সে অন্য মাসে একটি ফরয কাজ করার নেকী পেল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আমল করল সে অন্য মাসের সত্তরটি ফরয আমল করার নেকী পেল। উক্ত হাদীছটি কোন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে এবং এর সনদ ছহীহ কি-না জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : অশালীন গান-বাজনা শ্রবণের পরিণতি কি? ‘এদের কানে উত্তপ্ত সীসা ঢেলে দেওয়া হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? মিউজিক যুক্ত ইসলামী গান শ্রবণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : একজন পুরুষ কি তার মা, খালা, ফুফুর সাথে কোলাকুলি করতে পারবে? অন্যদিকে একজন নারী কি তার পিতা, চাচা বা মামার সাথে কোলাকুলি করতে পারবে? আমার জানামতে নারীদের জন্যও পরস্পর বুক মিলিয়ে কোলাকুলি করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে শারঈ বিধান কি?
প্রশ্ন (১৩/৫৩) : আমার স্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত সহ দ্বীনের বিধানসমূহ পালনের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। বারবার তাকীদ দিলেও কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। এক্ষণে স্বামী হিসাবে আমার করণীয় কি? সংসার করা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.