উত্তর: ইবাদতের
প্রকৃত স্বাদ আস্বাদনের প্রধান উপায় হ’ল হৃদয়ে খুশূ-খুযূ সৃষ্টি করা।
অর্থাৎ ইবাদত সমূহ এই বিশ্বাস নিয়ে করা যে, বান্দা যেন আল্লাহকে দেখছে।
অথবা আল্লাহ বান্দাকে দেখছেন (বুখারী হা/৫০; মুসলিম হা/১০২; মিশকাত হা/২)।
এছাড়া আরো কিছু পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন (১) স্বীয় আত্মাকে
নিয়মিত ইবাদতে অভ্যস্ত করে তোলা (২) অধিক পরিমাণে নফল ইবাদত করা (বুখারী হা/৬৫০২)
(৩) সালাফে ছালেহীনের সৎকর্মের ঘটনাবলী পাঠ করা (৪) অধিকহারে কুরআন
তেলাওয়াত করা এবং তা গভীরভাবে অনুধাবন করা (৫) বেশী বেশী মৃত্যুকে স্মরণ
করা (তিরমিযী হা/২৩০৭, মিশকাত হা/১৬০৭) (৬) গুনাহ থেকে দূরে থাকার
সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, সেই ব্যক্তি
ঈমানের স্বাদ পেয়েছে, (১) যে ব্যক্তির নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অন্য
সবকিছুর চাইতে প্রিয় (২) যে ব্যক্তি স্রেফ আল্লাহর জন্য কাউকে ভালবাসে এবং
(৩) যে ব্যক্তি কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে ঐরূপ অপসন্দ করে, যেরূপ আগুনে
নিক্ষিপ্ত হওয়াকে সে অপসন্দ করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮)।
আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পেয়েছে যে
ব্যক্তি প্রতিপালক হিসাবে আল্লাহর উপর, দ্বীন হিসাবে ইসলামের উপর এবং রাসূল
হিসাবে মুহাম্মাদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৯)। এগুলি যে কেউ নিজের মধ্যে উপলব্ধি করবে, সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পেয়েছে।