উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের রিযিক লিখে রেখেছেন। প্রতিটি মানুষের রিযিক নির্দিষ্ট। সেগুলো সে পাবেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের রিযিক আসতে বিলম্ব হচ্ছে এমন মনে করো না। কারণ কোন বান্দাহ ততক্ষণ পর্যন্ত মারা যাবে না যতক্ষণ না তার শেষ রিযিকটুকু তার নিকট পৌঁছে (ছহীহাহ হা/২৬০৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৩২৩)। তিনি আরো বলেন, যদি কোন লোক তার রিযিক থেকে পলায়ন করে যেমন মৃত্যু থেকে পলায়ন করে থাকে, তাহ’লে রিযিক তাকে অবশ্যই ধরবে, যেভাবে মৃত্যু তাকে অবশ্যই ধরবে (ছহীহাহ হা/৯৫২; ছহীহুল জামে‘ হা/৫২৪০)

তবে সেগুলো পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আর নির্দিষ্ট রিযিক পাওয়ার জন্য কিছু আমল আছে। যেমন- (১) রিযিক অন্বেষণের জন্য চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই তো পৃথিবীকে তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা তার দিকে দিকে বিচরণ কর এবং আল্লাহর দেওয়া রিযিক ভক্ষণ করে থাক। আর তাঁর দিকেই হবে তোমাদের পুনরুত্থান’ (মুলক ৬৭/১৫)। (২) আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা (বুখারী হা/৫৯৮৫; মিশকাত হা/৪৯১৮)। (৩) সর্বক্ষেত্রে আল্লাহভীতি অবলম্বন করা। আল্লাহ বলেন, বস্ত্ততঃ যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন। আর তিনি তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক প্রদান করে থাকেন (তালাক ৬৫/০২)। (৪) আল্লাহর প্রতি ভরসা করা (তিরমিযী হা/২৩৪৪; মিশকাত হা/৫২৯৯)। (৫) ধৈর্য ধারণ করা (তিরমিযী হা/২৩২৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৬৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেকটি জিনিসই আল্লাহর ক্বদর (তাক্বদীর) অনুযায়ী রয়েছে, এমনকি নির্বুদ্ধিতা ও বিচক্ষণতাও (মুসলিম হা/২৬৫৫; মিশকাত হা/৮০)। সর্বোপরি তাক্বদীর নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তাক্বদীরের বিষয় আসবে তখন তোমরা থেমে যাবে’ (ছহীহাহ হা/৩৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪৫)। 

প্রশ্নকারী : গোলাম রাববী, বরিশাল।








বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
প্রশ্ন (১/২৮১) : মুসলিম সরকারের শরী‘আত বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সেদেশের মুসলিম নাগরিকদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২০/১৪০): অনেকে রুকূ থেকে উঠে দো‘আ শেষ হওয়া পর্যন্ত হাত উঠিয়ে রাখে। এটা কি সঠিক? কতক্ষণ পর্যন্ত হাত উঠিয়ে রাখতে হবে?
প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : সব পশু-পাখি বা জিনিসপত্র কি আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে?
প্রশ্ন (১৪/৩৩৪) : মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জায়গায় মাদ্রাসা নির্মাণ করা বা মসজিদের জন্য দানকৃত টাকা মাদ্রাসায় দেওয়া যাবে কী?
প্রশ্ন (৩/৪০৩) : কুরআন খতমের বিশেষ কোন দো‘আ পাঠ বা দলবদ্ধ মুনাজাতের নিয়ম আছে কি? কুরআনের মুছহাফে যে সকল দো‘আ লেখা থাকে, সেগুলোর কোন ভিত্তি আছে কি? - -বদীউয্যামান, নাচোল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : সুখে-দুখে সর্বদা আল্লাহর প্রশংসাকারীরা জান্নাতে সবার আগে প্রবেশ করবে- কথাটির সত্যতা আছে কি? - -মহীদুল ইসলামগাংনী, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন অনুযায়ী কুরআন শেখা এবং সে চিহ্ন অনুযায়ী কুরআন পড়া জায়েয হবে কি? - -তামীম হোসাইন, গাংনী, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (২১/১৮১) : বাসার আশেপাশে বিদ‘আতী মসজিদ হওয়ায় বাড়িতে নির্দিষ্ট মুছাল্লায় একাকী বা দুই একজন নিয়ে নিয়মিতভাবে ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/১৬৩) : মুওয়াযযিনের আযান ও ইক্বামতের জবাব দেওয়া ও পরবর্তী দো‘আসমূহ পাঠ করার ফযীলত কি? - -শওকত ইসলাম, শেরপুর।
প্রশ্ন (৬/৮৬) : তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা যাবে না। কিন্তু অনেকে বাগের হাটের ‘ষাট গম্বুজ’ মসজিদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জের ‘সোনা মসজিদ’ সহ অনেক মসজিদ দেখতে যান। এটা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৩৩/৪৭৩) : জনৈক ইমাম ছাহেব প্রত্যেক জুম‘আর ছালাতের দ্বিতীয় রাক‘আতে রুকূর পর দো‘আ কুনূত পাঠ করেন। এরূপ আমল কি শরী‘আতসম্মত?
প্রশ্ন (৬/৬) : সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ ক্লাসের সময় মেয়েদের দ্বারা কুরআন তেলাওয়াত করানো যাবে কি? - -রবীউল ইসলাম, পুঠিয়া, রাজশাহী।
আরও
আরও
.