উত্তর : আগের বিবাহ হয়নি। কারণ বিবাহের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে মেয়ের অভিভাবকের অনুমতি থাকা। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে, ‘ওলী ব্যতীত বিবাহ হয় না’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩১৩০, হাদীছ ছহীহ)। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিরেকে বিবাহ করেছে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল... (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩১৩১, হাদীছ ছহীহ)। তাছাড়া দুই জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী থাকা আবশ্যক। কোন বিবাহে সাক্ষী না থাকলে বিবাহ হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ওলী ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ হবে না এবং দুই জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া বিবাহ সম্পন্ন হবে না’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪০৭৫; ইরওয়া হা/১৮৬০)। অতএব যেহেতু পূর্বের বিবাহ হয়নি সেজন্য খালেছভাবে তওবা করতে হবে। কিন্তু উক্ত ঘটনার কারণে বর্তমান বিবাহে কোন প্রভাব পড়বে না।
প্রশ্নকারী : উম্মে সাহির, ঢাকা।