উত্তর : শারঈ কারণের প্রেক্ষিতে পিতা-মাতা যদি অনুরূপ নির্দেশ দেন, তবে তা মান্য করতে হবে। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা ওমর তাকে ঘৃণা করতেন এবং আমাকে তালাক দিতে বললেন। আমি তালাক দিতে অস্বীকার করি। আমার পিতা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে ঘটনা বর্ণনা করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিলেন’ (আবুদাঊদ হা/৫১৩৮; মিশকাত হা/৪৯৪০, সনদ ছহীহ)। ছাহাবী আবুদ্দারদার নিকটে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমার মা আমাকে আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (আমি কি করব?) আবুদ্দারদা (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, পিতা-মাতা হচ্ছেন জান্নাতের দরজাসমূহের মধ্যম দরজা। তুমি যদি চাও, তাহ’লে দরজাটিকে বিনষ্ট কর অথবা সেটিকে সংরক্ষণ কর (তিরমিযী হা/১৯০০; মিশকাত হা/৪৯২৮; সনদ ছহীহ)।
তবে স্ত্রী যদি দ্বীনদার ও ন্যায়পরায়ণ হয় এবং কোন মারাত্মক অপরাধে অপরাধী না হয়, তাহ’লে পিতা-মাতাকে অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রেখে তালাক দেওয়ার নির্দেশ না দেওয়া উচিত। কেননা ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ পসন্দ করে না। বরং সংসার অক্ষুণ্ণ রাখাই ইসলামী শরী‘আতের একান্ত লক্ষ্য।