উত্তর : হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম আর আমার কিছু সাথীও আমার সাথে খেলা করত। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রবেশ করতেন তখন তারা আত্মগোপন করত। কিন্তু তিনি তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন, অতঃপর তারা আমার সাথে খেলত (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৩২৪৩)। নববী বলেন, মেয়েদের খেলনার বিষয়টি স্বতন্ত্র। কারণ এ ব্যাপারে ছাড় রয়েছে। খেলনাটি মানবাকৃতির হৌক বা প্রাণীর আকৃতির হৌক, দেহধারী হৌক বা দেহহীন হৌক, প্রাণীকুলের মধ্যে তার সাদৃশ্য থাক বা না থাক যেমন দু’ডানা ওয়ালা ঘোড়া (ফাৎহুল বারী ১০/৫২৭; তোহফা ৫/৩৫০)।
হাদীছ অনুযায়ী আয়েশা (রাঃ) মাটি দিয়ে নিজ হাতে এই পুতুলগুলো বানিয়েছিলেন। অতএব এভাবে মাটির পুতুল তৈরি করে তাকে কাপড় পরানো ও সেবাযত্ন করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সন্তান প্রতিপালনের প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এতে দোষ নেই। কিন্তু এই অজুহাতে বাজার থেকে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রাণীর খেলনা পুতুল কিনে আনা জায়েয নয় (মুহাম্মাদ বিন জামীল যায়নু, তাওজীহাত ইসলামিয়্যাহ, পৃঃ ১১২, বিস্তারিত দ্রঃ ‘ছবি ও মূর্তি’ বই)।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্লাস্টিক দ্বারা বা এর চেয়ে উন্নত কোন পদার্থ দ্বারা কুকুর, বানর, বিড়াল, হাতি, ঘোড়া, মাছ, সাপ ইত্যাদির মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে এবং তা আলমারিতে, ঘরে বা গাড়িতে রেখে দেওয়া হচ্ছে বা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে এগুলো পুতুলের নামে মূর্তি পূজার শামিল। অতএব খেলনা পুতুল এমনকি প্রাণীর মূর্তি বিশিষ্ট মিষ্টান্ন বানানো ও তা ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।