উত্তর : ইসলামে সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোন বিধান নেই। এরূপ করলে পিতা-মাতা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কবীরা গোনাহগার হিসাবে গণ্য হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী হা/৫৯৮৪; মুসলিম হা/ ২৫৫৬; মিশকাত হা/৪৯২২)। পক্ষান্তরে সন্তান পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে সেটি কবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত হবে। যতক্ষণ না পিতা-মাতা তাকে পাপকর্মে বাধ্য করেন (লোকমান ৩১/১৫)

এক্ষণে পিতাকে কসম ভেঙ্গে সন্তান ফিরিয়ে নিতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যদি নিজ পরিবারের ব্যাপারে (সদাচরণ করবে না বলে) কসম করে এবং আল্লাহ কর্তৃক ফরযকৃত কাফফারা আদায় না করে স্বীয় কসমের উপর অটল থাকে, তাহ’লে সে আল্লাহর নিকটে (কসম ভঙ্গের চাইতে) অধিক গুনাহগার হবে (বুখারী হা/৬৬২৫, মুসলিম হা/১৬৫০, মিশকাত হা/৩৪১৪)। কারণ পরিবারের ব্যাপারে এরূপ কসম করা অন্যের ব্যাপারে কসমের তুলনায় অধিকতর পাপ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয় (মুসলিম হা/১৬৫০, মিশকাত হা/৩৪১৩)। আর কসম ভঙ্গের কাফফারা হ’ল দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো অথবা বস্ত্র দান করা অথবা একটি দাস মুক্ত করা। এতে অসমর্থ হ’লে তিন দিন ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)






প্রশ্নঃ (১০/৩৭০): রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে স্বপ্নে কারা দেখতে পারে? তাঁকে স্বপ্নে দেখার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি? হাদীছে বর্ণিত শামায়েলে রাসূলের সাথে স্বপ্নে দেখা ব্যক্তির মিল হ’লে রাসূলকে দেখেছেন বলে সাব্যস্ত হবে কি? শোনা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে স্বপেণ দেখলে সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে এবং জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। এটা কতটুকু সঠিক? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : এক মহিলার ঋতু সাধারণত ৭ দিনে শেষ হয়। তাই সে সাতদিন পর কুরআন তেলাওয়াতসহ অন্যান্য ইবাদত শুরু করে। কিন্তু পরে আবার রক্ত দেখতে পায়। এতে কি তার গোনাহ হবে?
প্রশ্ন (২৪/৪২৪) : স্বামী-স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা সপরিবারে হজ্জে গমনের প্রাক্কালে হঠাৎ স্বামীর মৃত্যু ঘটে। এক্ষণে স্ত্রী কি ইদ্দত পালন করবে না কি সন্তানের সাথে হজ্জে গমন করবে? - -হুমায়ূন কবীর, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দেওয়ার তের দিনের মাথায় অন্যত্র বিবাহ করে। তার দ্বিতীয় বিবাহ বৈধ হয়েছে কি? - -কে. এম. হাসান, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : আমার আত্মীয়-স্বজন ছালাত ছিয়াম আদায় করে না। এ ব্যাপারে কিছু বললে বিরূপ মন্তব্য করে। এমতাবস্থায় তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি? অথবা তাদের বিপদে সাহায্য না করলে গুনাহগার হতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/২৭৮) : রামাযান মাসে সারারাত জেগে ক্বিয়ামুল লায়ল পালন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যাবে না। এক্ষণে কাউকে সালাম দেয়ার পর তিনি অমুসলিম জানতে পারলে করণীয় কি? উক্ত সালাম প্রত্যাহার করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৪৩১) : পিতা হালাল উপার্জন করেন। কিন্তু দাদী কয়েকটা এনজিও থেকে কিস্তি তোলেন। যৌথ পরিবার হওয়ায় আমাদের মধ্যে হালাল-হারাম সংমিশ্রণ হয়ে যাচ্ছে। দাদা-দাদীকে অনেক বুঝানোর পরও তারা বুঝতে চান না। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫) : কুরআন তেলাওয়াতের সময় সূরের প্রয়োজনে ৪ আলিফ টান নেই এমন স্থানে ৪ আলিফ টান দিয়ে পড়া যাবে কি? এছাড়া কোথাও টানতে ভুলে গেলে গুনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (১২/৪৫২) : ইসলামে গণপিটুনীর কোন শাস্তি আছে কি? যদি কোন ব্যক্তিকে হত্যায় অসংখ্য লোক অংশগ্রহণ করে, তবে প্রত্যেকের শাস্তি কি একইরূপ হবে? - -শামীম শাহেদ, সাভার, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : যেকোন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রেই কি নেতার পাপের বোঝা কর্মীকে বহন করতে হবে? বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে মন্দের ভালো হিসাবে নেতা নির্বাচন করতে হয়। কারণ কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কে কি পাপ করবে সেটা বুঝাও যায় না। এরূপ ক্ষেত্রেও কি নেতার পাপের বোঝা ভোটারদের বহন করতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : জনৈক আলেম বললেন, সমস্ত মাখলূক আল্লাহর পরিবারের ন্যায়। অর্থাৎ তার সন্তানতুল্য। উক্ত হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.