উত্তর : পরবর্তীতে এরূপ পদবী না রাখা উচিৎ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে সর্বাধিক নেক আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুসলিম হা/২১৪২; মিশকাত হা/৪৭৫৬)। তবে জন্মের পর পিতা-মাতা যদি এরূপ নাম রাখেন, তাহ’লে তাতে কোন দোষ নেই। আক্বীক্বার সময় শিশু সন্তানের নাম ঐরূপ রাখা তার জন্য আত্মপ্রশংসা নয়। বরং পিতা ও অভিভাবকদের পক্ষ হ’তে তার জন্য শুভ কামনা বা দো‘আ স্বরূপ। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর নাম তাঁর দাদা রেখেছিলেন ‘মুহাম্মাদ’ ও মা রেখেছিলেন ‘আহমাদ’ (প্রশংসিত)। অনুরূপ মুসলিম নেতারা কাউকে তার কাজের কারণে এরূপ পদবী দিলে তাতে কোন বাধা নেই। যেমন রাসূল (ছাঃ) আবুবকর (রাঃ)-কে ‘ছিদ্দীক’ ও ওমর (রাঃ)-কে ‘ফারূক’ উপাধি প্রদান করেছিলেন (হাকেম হা/৪৪০৭; ছহীহাহ হা/৩০৬; তাফসীরে কুরতুবী ৫/২৬৪)। অনুরূপভাবে রাসূল (ছাঃ) মুতার যুদ্ধবিজয়ী সেনাপতি খালেদকে দো‘আ করে অশ্রুসজল নেত্রে বলেছিলেন, এবারে ঝান্ডা হাতে নিয়েছে ‘আল্লাহর তরবারি সমূহের অন্যতম ‘তরবারী’ (বুখারী হা/৪২৬২)। অর্থাৎ খালেদ নিজে ‘সায়ফুল্লাহ’ নাম গ্রহণ করেননি, বরং রাসূল (ছাঃ) তাকে ঐ লকব দিয়েছিলেন। রাসূল (ছাঃ)-এর নিজের ছেলে আব্দুল্লাহর লকব ছিল ত্বাইয়িব ও ত্বাহির (পবিত্র)। অতএব পিতা-মাতা তার সন্তানের জন্য দো‘আ হিসাবে উক্ত গুণবাচক নাম সমূহ রাখতে পারেন। তবে তা যেন অহংকার প্রকাশক না হয়।