উত্তর : যার ক্ষতি করা হয়, সে ক্ষতিকারীর অনুরূপ ক্ষতি করতে পারে (বাক্বারাহ ১৯৪)। তবে ক্ষতি না করে ক্ষমা করে দিয়ে ভাল আচরণ করাই উত্তম (হামীম সাজদাহ ৩৪)।
এমনি এক প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তুমি ফিৎনা কালে আদমের
উত্তম পুত্রের ন্যায় (হাবীলের ন্যায়) আচরণ কর (প্রতিশোধ নিয়ো না) (আবু দাঊদ হা/৪২৫৭, ৫৯; মিশকাত হা/৫৩৯৯ ‘ফিৎনা’ অধ্যায়)।
আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) শত্রুদের বিরুদ্ধে লা‘নত করেছেন। তিনি ৭০ জন ছাহাবীকে
প্রতারণার মাধ্যমে হত্যাকারী রা‘ল ও যাকওয়ান কওমের বিরুদ্ধে লা‘নত করে
একমাস যাবৎ কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করেছেন (মুত্তাফাকব আলাইহ, আবু দাঊদ, মিশকাত হা/১২৮৯-৯০)। তিনি ব্যক্তি স্বার্থে কখনো প্রতিশোধ নিতেন না। তবে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠায় কোন ছাড় দিতেন না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮১৭)। তিনি বলেন, আমি লা‘নতকারী হিসাবে প্রেরিত হইনি। বরং রহমত হিসাবে প্রেরিত হয়েছি’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮১২)।
অবাধ্য দাওস কওমের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করতে বলা হ’লে তিনি তাদের জন্য দো‘আ
করে বলেন, হে আল্লাহ! তুমি দাওস কওমকে হেদায়াত কর এবং তাদেরকে আমার কাছে
নিয়ে এসো’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৯৯৬)।