উত্তর : মুসলিম মাইয়েত জীবিত ব্যক্তির ন্যায় সম্মানিত। তাই বাধ্যগত অবস্থায় ও রাষ্ট্রীয় নির্দেশে লাশের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করতঃ কবরস্থ লাশ উত্তোলন করা যাবে। জাবের (রাঃ) বলেন, আমার পিতাকে একজন লোকের পাশে দাফন করা হয়েছিল। এটা আমার কাছে পসন্দনীয় ছিল না। ফলে দাফনের ছয়মাস পর লাশ কবর থেকে বের করলাম। অতঃপর আমি তার কিছুই অপসন্দনীয় পেলাম না, মাটির সাথে লাগা কয়েকটা দাড়ি ব্যতীত। অন্য বর্ণনায় আছে, তার কান ব্যতীত কিছুই নষ্ট হয়নি (বুখারী হা/১৩৫১; আবুদাঊদ হা/৩২৩২, হাদীছ ছহীহ; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৩০৩; ফাৎহুল বারী ৩/২৭৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১-২)। কিন্তু বর্তমানে ময়না তদন্তের নামে মৃতদেহ যেভাবে কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে তা নিতান্তই অন্যায়। তাই গুরুতর অপরাধমূলক কাজ তদন্তের প্রয়োজন ব্যতীত কর্তৃপক্ষের জন্য পোস্টমর্টেম করা এবং মৃতের আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক অনুমতি দেওয়া জায়েয হবে না। কারণ এর মাধ্যমে লাশের প্রতি অসম্মান এবং মৃত ব্যক্তিকে কষ্ট দেওয়া হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার ন্যায় (আবুদাউদ হা/৩২০৭; মিশকাত হা/১৭১৪)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘মৃত মুমিনকে কষ্ট দেওয়া তাকে জীবিত অবস্থায় কষ্ট দেওয়ার ন্যায়’ (আওনুল মা‘বূদ হা/৩১৯১, ৯/২৪ পৃঃ)।