উত্তর : আযান দেওয়ার জন্য মসজিদে উঁচু মিনার তৈরি করা যাবে। কারণ এতে দূরবর্তী লোকদের আযান শোনানো সহজ হয়। আর আযানের স্বর যত উচ্চ হয়, ততই উত্তম (আবুদাঊদ হা/৪৯৯, সনদ ছহীহ; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ১/৩০৮)। আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব বলেন, সুন্নাত হ’ল আযান মিনারে হবে এবং ইক্বামত মসজিদে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এভাবেই আমল করতেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩৪৫; তামামুল মিন্নাহ ১/১৪৬, সনদ ছহীহ)

আর মিনারে চাঁদের প্রতীক স্থাপন নির্ভর করবে কর্তৃপক্ষের নিয়তের উপরে। যদি সেটিকে মসজিদ বুঝানোর জন্য স্থাপন করা হয় তাহ’লে জায়েয। আর অন্যকোন উদ্দেশ্য হ’লে জায়েয হবে না। সাধারণভাবে চাঁদ-তারা কোন ইসলামী নিশানা হওয়ার ব্যাপারে শারঈ কোন দলীল নেই। রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম এমনকি পরবর্তী যুগেও এর কোন অস্তিত্ব ছিল না। তবে মধ্যযুগে তুর্কী শাসকগণ খৃষ্টানদের ক্রুসের বিপরীতে ইসলামী নিদর্শন হিসাবে চাঁদ-তারা নির্বাচন করেছিলেন এবং এটি তুর্কী সাম্রাজ্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আধুনিক যুগে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র ও ইসলামী সংস্থাসমূহ তাদের পতাকায় ক্রুসের বিপরীতে ইসলামী নিদর্শন হিসাবে চিহ্নটি ব্যবহার করে থাকে (উইকিপিডিয়া)। এতে ওলামায়ে কেরাম বিশেষ কোন আপত্তি তোলেননি। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ইহূদী ও নাছারাদের বিপরীত কর’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/২১৮৬)। তবে কতিপয় বিদ্বান কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বনের সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকতে এমন চিহ্ন ব্যবহার না করাই উত্তম বলে মত প্রকাশ করেছেন (উছায়মীন, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৬/১৭৮)

একইভাবে মিনারের উপরে ‘আল্লাহু আকবার’ লেখার বিষয়টি নির্ভর করবে কর্তৃপক্ষের নিয়তের উপর। এর দ্বারা যদি অমুসলিমদের উপাসনালয় সমূহের বিপরীতে মুসলিমদের মসজিদ বুঝানো হয়, সেক্ষেত্রে এটি জায়েয হ’তে পারে। তবে সাধারণভাবে কোন মসজিদের মিনারে এরূপ লেখার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। বিশেষতঃ মিনারের উপরে শুধুমাত্র ‘আল্লাহ’ লেখা আদৌ জায়েয নয়। একইভাবে তা গাড়ীতে বা বাড়ীতে লেখা বা ঝুলানো জায়েয নয়। কারণ আল্লাহ কোন সাইনবোর্ড নয়, বরং তিনি হ’লেন মা‘বূদ। যাঁকে বান্দা হৃদয়ে স্মরণ করবে ও তাঁর ইবাদত করবে।






প্রশ্ন (২৮/৪৬৮) : মৃত পিতা-মাতার নামে সন্তান দান-ছাদাক্বা করলে তাদের পাশাপাশি সন্তানও কি ছওয়াবের অধিকারী হবে? - -আব্দুল লতীফ, সিঙ্গাপুর।
প্রশ্ন (১৭/৫৭) : ছোট ভাই একাই পিতা-মাতার যাবতীয় দেখা-শোনার দায়িত্ব পালন করে। এক্ষণে পিতা-মাতার মৃত্যুর পর ছোট ভাইকে বড় ভাইদের তুলনায় অধিক সম্পদ দেওয়া যাবে কি? - -ছাদ্দাম হোসেন, রংপুর।
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : একজন আল্লাহর অলী পঞ্চাশ হাযার ফেরেশতা হ’তে উত্তম। উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : যেসব বিদ‘আতীদের সালাম প্রদান করা যাবে না তাদের কোন পর্যায় রয়েছে কি? না কি সাধারণভাবে সকল প্রকার বিদ‘আতীকেই সালাম প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে?
প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : জনৈক ব্যক্তি একদিন চাহিদা পূরণের জন্য স্ত্রীকে আহবান জানালে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও অবহেলাবশত সে তা উপেক্ষা করে। তারপর স্বামী অভিমান করে আর কখনো মিলিত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তারা এভাবেই জীবন-যাপন করছে। এক্ষণে স্বামীর করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৫/২৬৫) : পুরুষরা নারীদের মাঝে অফলাইন বা অনলাইনে দাওয়াতী কাজ করতে পারবে কি? এক্ষেত্রে কি কি আদব রক্ষা করা যরূরী?
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : বিবাহযোগ্য ছেলে পাত্রীকে দেখে আসার পর মেয়েকে পসন্দ করেছে। কিন্তু পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন বিবাহ দিতে রাযী নয়। এক্ষণে উক্ত ছেলের করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : কুরআনে বলা হয়েছে স্বজাতীয় মহিলা ব্যতীত অন্যদের সামনে পর্দা করতে হবে। এক্ষণে অমুসলিম মহিলাদের সামনে পর্দা করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩২/১৯২) : পীরদের মুরীদ হয়ে কত মানুষ নামাযী হচ্ছে, পাপ কাজ ছেড়ে দিচ্ছে। অথচ এইসব পীরদের সমালোচনা করায় বহু মানুষ এদের থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে। অতএব পীর থেকে সাধারণ মানুষকে বিমুখ করা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (২৮/৩০৮) : গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী যবহের ক্ষেত্রে কি কি বিধান অনুসরণ করা যরূরী?
প্রশ্ন (১০/২৯০) : অর্থ সংকটের কারণে পিতা অর্থ উপার্জন করতে বলেন। কিন্তু আমি পড়াশুনা করতে চাই। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : আমার ৫০ দিনের ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ১৫ দিন যাবত রক্তপাত হচ্ছে। এক্ষণে উক্ত রক্ত নিফাসের রক্ত হিসাবে গণ্য হবে কি? - -হেলেনা আখতার,পদ্মা আবাসিক এলাকা, রাজশাহী।
আরও
আরও
.