উত্তর : এ বিষয়ে বিদ্বানদের মতভেদ রয়েছে। আধুনিক যুগের বিদ্বানদের মধ্যে যারা এ ব্যাপারে আপত্তি করেছেন তাদের মধ্যে শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, একদল বিদ্বান মরণোত্তর দেহদান জায়েয বললেও আমার নিকট তা হাদীছে নিষিদ্ধ অঙ্গহানি মনে হয়। সেজন্য অঙ্গদান থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/৪১৬-১৭)। ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘আমার নিকট যেটা প্রনিধানযোগ্য মনে হয়েছে তা হচ্ছে-শরীর কোন অঙ্গ কাউকে দান করা জায়েয নয়’ (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/০২)

তবে সার্বিক পর্যালোচনায় এবং মানবতার বৃহত্তর কল্যাণার্থে কিছু শর্ত সাপেক্ষে জীবদ্দশায় বা মরণোত্তর অঙ্গদান করা যেতে পারে। যেমন- ১. অঙ্গগুলি অবশ্যই এমন হ’তে হবে যেগুলি বংশ, উত্তরাধিকার বা সাধারণ ব্যক্তিত্বের উপর কোন প্রভাব না ফেলে। যেমন অন্ডকোষ, ডিম্বাশয় এবং স্নায়ুতন্ত্রের কোষ ইত্যাদি। ২. দাতাকে অবশ্যই জ্ঞানসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক হ’তে হবে। ৩. গ্রহীতা হত্যাযোগ্য অপরাধী হবে না, ৪. স্থানান্তর এমনভাবে হওয়া যাবে না, যা মানুষের মর্যাদা লঙ্ঘন করে; যেমন বিক্রি করা। বরং তা অনুমতি ও দানের মাধ্যমে হ’তে পারে। ৫. যে ব্যক্তির কাছে অঙ্গ স্থানান্তর করা হয় তাকে অবশ্যই মুসলিম বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না এমন অমুসলিম হ’তে হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৪২/১২২, ৪৩/২৩৪)

এক্ষেত্রে আরো কিছু শর্ত লক্ষ্যণীয়। যেমন- (১) দাতার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া। (২) দাতার স্বতঃস্ফূর্ত অঙ্গদানের অছিয়ত থাকা। (৩) ওয়ারিছগণের পূর্ণ সমর্থন থাকা। (৪) অঙ্গ ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্বাচিত অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে হওয়া। (৫) কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন না হওয়া। (৬) যদি কোন মৃত বেওয়ারিছ হয়, তাহ’লে তার অঙ্গ কিছুতেই ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যাবে না ইত্যাদি (ক্বারারু মাজমা‘ইল ফিক্বহিল ইসলামী; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/১১২)

প্রশ্নকারী :হেলালুদ্দীন, ঢাকা।






প্রশ্ন (৩৯/১৫৯) : আমার পিতা আমার তেমন কোন দায়িত্ব পালন করেন না। অন্যদিকে বহুদিন যাবৎ মায়ের মাথায় সমস্যা। আমি বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে। উপযুক্ত পাত্র নিজে খুঁজে নিয়ে বিবাহ করা আমার জন্য বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (৩/৩৬৩) : মসজিদের ইমাম ছাহেব ছাত্রীরা বেপর্দায় চলে এরূপ সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। এটা জায়েয হবে কি? এছাড়া যেসব এলাকায় প্রতিবেশী বেপর্দা নারীরা চলাফেরা করে, সেসব এলাকায় বাস করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : স্বামী থাকার পরও পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ করে। সে প্রথম স্বামীর বাসাতেই থাকে। যদি সে প্রথম স্বামীর কাছেই থাকতে চায় তাহলে কি করতে হবে? - -আব্দুল মালেক আকন্দ, বাসাইল, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৩৪/২৩৪) : কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত করা যায়? - -ইহসানুল হক, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৯/৪৩৯) : কুরবানীর পশু ক্রয়ের কয়েকদিন পর কোন ত্রুটি প্রকাশ পেলে তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে কি? - - আওলাদ মিয়াঁ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৭/৩৮৭) : পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য কি কি?
প্রশ্ন (১১/৯১) : জনৈক ব্যক্তির অনেক জমিজমা আছে। কিন্তু নগদ অর্থ অল্পই আছে। তার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে কি?
প্রশ্ন (৩/৪০৩): লায়লাতুল ক্বদরের লক্ষণ কি কি? ছহীহ হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৮/২৭৮) : কোন মেয়ের পাঁচ কিংবা ছয়বার মাসিক হ’লে তাকে বিবাহ দেওয়া ফরয হয়ে যায়। এই বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : আমার নিকট কিছু পুরনো মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকা আছে। আমি এগুলো কি করতে পারি? এই পত্রিকাগুলো যারা পেপার, বই-খাতা, ভাঙ্গাচুরা ইত্যাদি ক্রয় করে তাদের নিকট বিক্রি করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : আমাদের এখানে কোন আহলেহাদীছ মসজিদ নেই। খতীব ছাহেব সঠিকভাবে খুৎবা দিতে পারেন না। এমতাবস্থায় মোবাইল লাইভে আহলেহাদীছ আলেমগণের খুৎবা শুনে মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করলে জুম‘আর পূর্ণ ছওয়াব অর্জিত হবে কি?
প্রশ্ন (৪/৮৪) :পারিবারিকভাবে ছেলে-মেয়ের বিবাহ ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু আকদ হবে ৮ মাস পর। এমতাবস্থায় ছেলে-মেয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ বা ফোনে কথা বলতে পারবে কি?
আরও
আরও
.