উত্তর : উক্ত বিবাহ শরী‘আত সম্মত হয়েছে। সুতরাং পিতা-মাতার কথায় গর্ভবতী স্ত্রীকে তালাক দিবে না। আর স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার আদেশ মান্য করা অপরিহার্য নয়। ইবনু আববাস ও আবুদ্দারদা (রাঃ)-কে পিতা-মাতার আদেশে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হ’লে তারা বলেন, ‘আমি তোমাকে স্ত্রী তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারছি না, আবার পিতা-মাতার অবাধ্যতা করারও আদেশ দিতে পারছিনা। প্রশ্নকারী বললেন, তাহ’লে আমি এই নারীর ব্যাপারে কি করব? ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, (স্ত্রীকে রেখেই) পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ কর’ (ইবনু আবী শায়বাহ হা/১৯০৫৯, ১৯০৬০; হাকেম হা/২৭৯৯; ছহীহুত তারগীব হা/২৪৮৬)। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ‘আমার পিতা আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য আমাকে আদেশ দিচ্ছেন। (আমি কি করব?) তিনি বললেন, তুমি তালাক দিয়ো না। বর্ণনাকারী বলল, ওমর (রাঃ) কি স্বীয় পুত্র আব্দুল্লাহকে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বলেননি? তিনি বললেন, তোমার পিতা কি ওমরের মত’? (মুহাম্মাদ ইবনু মুফলেহ, আল-আদাবুশ শারঈয়া ১/৪৪৭)। অর্থাৎ সব পিতা-মাতার আদেশে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যাবে না। একদিন প্রখ্যাত তাবেঈ আত্বা (রহঃ)-কে একজন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, যার স্ত্রী ও মা রয়েছেন। আর তার মা তার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট। তিনি বললেন, ‘সে যেন তার মায়ের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে এবং মায়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে’। তাকে বলা হ’ল, সে কি স্ত্রীকে তালাক দিবে? তিনি বললেন, না। তাকে বলা হ’ল, মা যে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ব্যতীত খুশি নন। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট না করুন। স্ত্রী তার হাতে রয়েছে, সে যদি তালাক দেয় তাতেও কোন দোষ নেই। আর না দিলেও কোন দোষ নেই’ (মারওয়াযী, আল-বির্রু ওয়াছ ছিলাহ হা/৫৮, সনদ হাসান)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে মায়ের কথায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি বলেন, ‘তার জন্য স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হালাল হবে না। বরং তার জন্য আবশ্যক হ’ল মায়ের সাথে সদাচরণ করা। আর স্ত্রীকে তালাক দেওয়া সদাচরণের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৩/১১২)। অতএব স্পষ্ট শারঈ কারণ ছাড়া পিতা-মাতার আদেশে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য যে, কোন সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা শরী‘আত সম্মত কোন পন্থা নয়।

প্রশ্নকারী : ফায়ছাল, কক্সবাজার।








বিষয়সমূহ: বিবাহ ও তালাক
প্রশ্ন (১২/৫২) : রাসূল (ছাঃ) কি একদিন তাহাজ্জুদের পুরো ছালাতে সূরা মায়েদার ১১৮ নং আয়াতটি বার বার তেলাওয়াত করেছিলেন?
প্রশ্ন (১৪/৯৪) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, এই দুনিয়ায় ওলীগণ আমাদের সাহায্যকারী। তারা আমাদের বিপদে সাহায্য করে থাকেন যেমন আব্দুল ক্বাদের জীলানী (রহঃ)। তারা দলীল হিসাবে সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতটি পেশ করে থাকে। এই বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি? - -নূর জাহান বেগম, কালিয়াকৈর, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : আমাদের মসজিদে লেখা আছে জুম‘আর দিন আছর ছালাতের পর ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদীন নাবিয়িল উম্মী ওয়ালা আলীহী ওয়া ছাল্লাম তাসলীমা’- এ দরুদটি ৮০ বার পাঠ করলে মহান আল্লাহ ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার আমলনামায় ৮০ বছরের নফল ইবাদতের নেকী লেখা হবে। এর সত্যতা জানতে চাই। - .
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : বার্ধক্যের কারণে ছিয়াম পালন করছে না এমন কাউকে ফিদইয়া হিসাবে খাবার দেওয়া যাবে কি? ফিদইয়া কি রামাযান মাসেই দিতে হবে না অন্য মাসেও দেওয়া যাবে?
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : রাসূল (ছাঃ) কৃত ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ৩০ জন ভন্ডনবীর মধ্যে এ পর্যন্ত কতজনের আবির্ভাব ঘটেছে? এটা কি ত্রিশ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ?
প্রশ্ন (৩৩/৩১৩): সহশিক্ষা রয়েছে এরূপ প্রতিষ্ঠান সমূহে পড়াশুনা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : কবরে তিনটি প্রশ্ন করা হবে যার শেষটি নবী সম্পর্কে। এক্ষণে নবীকে শেষ প্রশ্নটি কিভাবে করা হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - -নাঈমা খাতুন, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৬/২৬) : মুসাফির অবস্থায় মুকীম ইমামের সাথে জামা‘আতে শরীক হ’লে পূর্ণ ছালাত না ক্বছর আদায় করতে হবে? - -লতীফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৫/৫) : আমার আশুরার ছিয়াম পালনের খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু হায়েযের কারণে তা পালন করতে পারিনি। এক্ষণে এর কাযা আদায় করতে পারব কী? - -জেসমীন খাতূন, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৮/১৮) : ছালাতের সময় হাত কোথায় বাঁধতে হবে? নাভির নীচে হাত বাঁধা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/৩৯৬) : আমি মাঝে-মধ্যে সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও আছরের ওযূতে মাগরিবের ছালাত আদায় করি। এতে আমার ছালাতের কোন ক্ষতি হবে কিংবা শাস্তি পেতে হবে কি? - -নাজীব আব্দুল্লাহতেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৪/৩৯৪) : আমার খালাতো ভাই আমাদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে শেয়ারবাজারে খাটিয়েছিল। কিন্তু তার অনেক ক্ষতি হওয়ায় এখন সে উক্ত টাকা ফেরত দিতে অক্ষম। এক্ষণে উক্ত অর্থের যাকাত দিতে হবে কি?
আরও
আরও
.