উত্তর : ওযায়ের একজন আল্লাহভীরু ও সৎকর্মশীল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি নবী ছিলেন কি-না তা জানা যায় না। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমি জানি না ওযায়ের নবী ছিলেন কি না’ (আবুদাউদ হা/৪৬৭৪)। ইহূদীরা ওযায়ের-কে ‘আল্লাহর পুত্র’ (ابن الله) বলে থাকে (তওবা ৯/৩০)। তাই কিয়ামতের দিন আল্লাহ ইহূদীদের ডেকে বলবেন, তোমরা কার ইবাদত করতে। তারা জওয়াবে বলবে আল্লাহর পুত্র ওযায়েরের। তখন বলা হবে তোমরা মিথ্যা বলছ। কারণ আল্লাহ কাউকে সাথী বা সন্তান হিসাবে গ্রহণ করেন নি (বুখারী হা/৪৫৮১; মুসলিম হা/৪৭২)। আল্লাহ তা‘আলা ওযায়ের সম্পর্কে বলেন, তুমি কি শোনোনি ঐ ব্যক্তির কথা, যে এমন একটি জনপদ দিয়ে অতিক্রম করছিল, যার ঘরবাড়ির ছাদ সমূহ ভিতের উপর মুখ থুবড়ে পড়েছিল। লোকটি বলল, আল্লাহ কিভাবে এই জনপদকে মৃত্যুর পরে জীবিত করবেন? অতঃপর আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে একশ’ বছরের জন্য মৃত্যু দান করলেন। অতঃপর তাকে পুনর্জীবিত করলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কতদিন কাটালে? সে বলল, একদিন বা তার কিছু কম সময়। তিনি বললেন, বরং তুমি একশ’ বছর অতিবাহিত করেছ। এবার তাকিয়ে দেখ তোমার খাদ্য ও পানীয়ের দিকে, সেগুলো বিনষ্ট হয়নি এবং দেখ তোমার গাধাটির দিকে। আর যেহেতু আমরা তোমাকে মানুষের জন্য নিদর্শন করতে চাই, তাই আরও দেখ হাড়গুলির দিকে, কিভাবে আমরা ওগুলিকে জীবন্ত করে পরস্পরে জুড়ে দেই। অতঃপর সেগুলিতে গোশতের আবরণ পরিয়ে দেই। অতঃপর যখন সবকিছু তার নিকট স্পষ্ট হয়ে গেল, তখন সে বলল, আমি জানি, আল্লাহ সকল বিষয়ে ক্ষমতাশালী (বাক্বারাহ ২/২৫৯)। ইবনু কাছীর বলেন, প্রসিদ্ধ মতে, উক্ত ব্যক্তি ছিলেন ‘ওযায়ের’ (عزير)। যিনি বনু ইস্রাঈলের একজন বিখ্যাত আলেম ছিলেন (কুরতুবী)। আর ঐ জনপদটি ছিল বায়তুল মুক্বাদ্দাস। বাবেল সম্রাট বুখতানাছর যা ধ্বংস করেছিল।