উত্তর : সমালোচনার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করা কর্তব্য। যেমন- (১) নিয়ত বিশুদ্ধ থাকা : অর্থাৎ সমালোচনা হবে স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার জন্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়নাস্বরূপ। সে তার কোন ধরনের ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৩৭; ছহীহাহ হা/৯২৬)। (২) কল্যাণকামী হওয়া : সমালোচনা হ’তে হবে মানুষের প্রতি নছীহত হিসাবে। বিরাগ বা বিদ্বেষবশত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দ্বীন হ’ল নছীহত (মুসলিম হা/৫৫; মিশকাত হা/৪৯৬৬)। (৩) নম্র ভাষা ব্যবহার করা : সমালোচিত ব্যক্তির ব্যাপারে শালীন ও ভদ্র ভাষা ব্যবহার করতে হবে। ফেরাঊনের ব্যাপারে আল্লাহ মূসা ও হারূণ (আঃ)-কে বলেন, ‘অতঃপর তোমরা তার সাথে নম্রভাবে কথা বল। হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে’ (ত্বোয়াহা, ২০/৪৪)। (৪) উত্তমভাবে বলা : আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের সাথে উত্তম কথা বলবে’ (বাক্বারাহ ২/৮৩)। (৫) অর্থহীন তর্ক এড়িয়ে যাওয়া : অর্থহীন তর্ক ও সমালোচনায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাঁর নবীকে বলেন, ‘আর যদি তারা তোমার সাথে ঝগড়া করে, তবে বলে দাও যে, তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ সম্যক অবহিত। যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছ, সে বিষয়ে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে ফায়ছালা করে দিবেন’ (হজ্জ ২২/৬৮-৬৯)। (৬) সম্ভব হ’লে পরিচয় গোপন করা : সমালোচিত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় গোপন রেখে তাঁর ভুলগুলো আলোচনা করা ভাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে যখন তাঁর কোন ছাহাবীর ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসত, তখন তিনি বলতেন না যে, অমুকের কি হ’ল? বরং তিনি বলতেন, মানুষের কি হ’ল যে তারা এমন কাজ করে! (নাসাঈ হা/৩২১৭আবুদাউদ হা/৪৭৮৮; ছহীহাহ হা/২০৬৪)। (৭) গোপনে সংশোধনের চেষ্টা করা : একান্তে ও গোপনে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করা ইসলামের শিষ্টাচার। তবে যখন মুসলমান ও সমাজের বৃহত্তর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন প্রকাশ্যে সমালোচনা করা যাবে। ফুযাইল ইবনে ইয়ায (রহঃ) বলেন, ‘মুমিন (মুমিনের দোষ) গোপন করে এবং তাকে উপদেশ দেয়। পাপিষ্ঠ তা প্রকাশ করে এবং লজ্জিত করে (ইবনু রজব, জামিউল উলূম ওয়াল হিকাম ১/৮২)। (৮) মূর্খদের প্রতিপক্ষ না বানানো : বিপরীত পক্ষের লোক অজ্ঞ বা মূর্খ হ’লে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সমালোচনা পরিহার করা উচিৎ (ফুরক্বান ২৫/৬৩; বিস্তারিত দ্র. রায়েদ আমীর আব্দুল্লাহ রাশেদ, আন-নাকদু বাইনাল বিনা ওয়াল হাদম পৃ. ৪৯)

প্রশ্নকারী : আবু হুরায়রা ছিফাতমান্দানওগাঁ






বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
প্রশ্ন (২০/২২০) : পিতা জীবদ্দশায় ছেলেদের বিবাহের পর পৃথক করে দেওয়ার সময় প্রত্যেককে ২-৪ বিঘা করে জমি দিয়েছেন। কিন্তু সেসময় মেয়েদের কিছু দেননি। এটা শরী‘আতসম্মত হয়েছে কি? এক্ষণে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২২/৩৪২) : লাইভে প্রচারিত জামা‘আতের ইক্তিদা করা যাবে কি না?
প্রশ্ন (৬/৩৬৬) : ঘুমানোর সকল দো‘আ পাঠ করি। তারপরেও রাতে একাকী ঘুমালে আমার উপর জিন ভর করে চেপে ধরে। এদিকে আমার বিবাহের জন্য বহু প্রচেষ্টা চললেও বারবার তা ভেঙ্গে যায়। এজন্য কেউ কেউ জিন লাগার কথা বলছে। এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
প্রশ্ন (১/২০১) : জানাযার ছালাতের বিধান কত হিজরীতে জারি হয়? খাদীজা (রাঃ)-এর জানাযা না হওয়ার কারণ কি? - .
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : আয়না দেখে কোন হারানো বস্ত্ত বের করার বিষয়টি সমাজে প্রচলিত রয়েছে এবং তার বাস্তবতাও রয়েছে। এক্ষণে এতে বিশ্বাস করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/২৫২) : ছালাতের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে আযান দিলে সেই আযানে ছালাত আদায় করা যাবে কী?
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : ছয় বছরের শিশু সাথে নিয়ে মসজিদে ছালাত আদায় করলে ইমাম ছাহেব ‘শিশুরা ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে’-এই কারণ দেখিয়ে সাথে আনতে নিষেধ করেছেন। এ নিষেধাজ্ঞা শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (১/৩২১) :এশার ছালাতের পর বিতর আদায় করলে বিতরের পর বসে নির্ধারিত সূরা দিয়ে দুই রাক‘আত ছালাত আদায়ের কথা হাদীছে এসেছে। এক্ষণে রামাযানে এশার পর তারাবীহ পড়ে উক্ত ছালাত পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৫/৮৫) : নারী-পুুরুষের রূপচর্চার ক্ষেত্রে শরী‘আতের সীমারেখা কি? তারা কি পরিমাণ রূপচর্চা করতে পারবে?
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : বিবাহ সম্পাদন করার সুন্নাতী পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (১/১) : কোন পাপাচারী ব্যক্তি সুন্দর স্বপ্ন দেখতে পারে কি?
প্রশ্ন (১৬/৫৬) : বয়স ও অসুস্থতার কারণে যদি কাতারের মধ্যখানে চেয়ার নিয়ে দাঁড়ান তবে চেয়ারটি পিছনের কাতারে চলে যাওয়ায় পিছনের মুছল্লীদের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে তাদের জন্য করণীয় কি হবে? তারা কি কাতার সোজা রাখতে বসেই ছালাত আদায় করবেন, যাতে চেয়ার পিছনের কাতারে না ঠেলে দিতে হয়? - -আব্দুর রহমান, সোনাবাড়িয়া, সাতক্ষীরা।
আরও
আরও
.