উত্তর : ইস্রাঈলী বর্ণনা সম্পর্কে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়। ১. কিছু বর্ণনা আছে যেগুলোকে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমর্থন করে, সেগুলো বিশ্বাস করা ওয়াজিব। ২. যেসব বর্ণনা ইসলামী আক্বীদা বিরোধী বা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়, সেগুলো মিথ্যা হিসাবে জানা ওয়াজিব। ৩. আর কিছু বর্ণনা রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে কিছুই বর্ণিত হয়নি, সেগুলোকে সত্য বা মিথ্যা হিসাবে নির্ধারণ না করে চুপ থাকতে হবে (শানক্বীতী, আযওয়াউল বায়ান ৩/৩৪৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বনী-ইস্রাঈল থেকে যা বর্ণনা কর, তাতে কোন দোষ নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করল অর্থাৎ জাল হাদীছ বর্ণনা করল, সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে করে নিল (বুখারী হা/৩৪৬১; মিশকাত হা/১৯৮)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা আহলে কিতাবদের (বর্ণনা ও ব্যাখ্যাকে) সমর্থনও করো না, মিথ্যাও বলো না। বরং তোমরা তাদের বলবে, ‘আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি এবং যা আমাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে তার উপর’ (বাক্বারাহ ২/৩৬; বুখারী হা/৪৪৮৫; মিশকাত হা/১৫৫)।
প্রশ্নকারী : রবীউল ইসলাম, রসুলপুর, নওগাঁ।