উত্তর : এগুলির ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে। মুহাক্কিক ইবরাহীম যায়বাক্ব বলেন, ইলমী নীতিমালা অনুযায়ী এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় না। ঘটনাটি সর্বপ্রথম মসজিদুল হারামের মুওয়াযযিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-মাতরী স্বীয় ‘আত-তা‘রীফ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন, যিনি ৭৪১ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। আর নূরুদ্দীন যঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে ৫৬৯ হিজরীতে। ফলে তাদের উভয়ের মাঝে ব্যবধান ১৭২ বছর। আর ঘটনাটির সনদও অপরিচিত রাবী দ্বারা পূর্ণ। ফলে মাতারীও ঘটনাটি সত্যতার ব্যাপারে দৃঢ়তা প্রকাশ করেননি এবং পরবর্তী নকলকারীগণ স্ব স্ব গ্রন্থসমূহে সনদবিহীনভাবেই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। উপরন্তু ঘটনাটি বাদশাহ নূরুদ্দীন যঙ্গীর সমসাময়িক ইবনু আসাকির, ইবনুল আছীর, ইবনু মুনকিয, ইমাদ ইস্ফাহানী প্রমুখ বিখ্যাত ঐতিহাসিকগণের কেউ-ই আলোচনা করেননি। এমনকি তাঁর জীবনী বিষয়ে সূক্ষ্ম অনুসন্ধানকারী ইবনুল আছীর ও আবু শামা-র মত বিদ্বানগণ তাদের ব্যাপক আগ্রহ ও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এরূপ ঘটনার সন্ধান পাননি। হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) ‘আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ’ গ্রন্থে নূরুদ্দীন যঙ্গীর বিস্তারিত জীবনী লিখলেও এ সম্পর্কে কিছু লিখেননি। মাতারী উল্লেখ করেন যে, এ ঘটনা ৫৫৭ হিজরী সালে সংঘঠিত হয়। অথচ একজন ব্যতীত কোন ঐতিহাসিকই ৫৫৭ হিজরীতে তাঁর মদীনায় যাওয়া তো দূরের কথা, কখনো হজ্জে গিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেননি। কারণ খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদের ব্যস্ততাতেই তার সারাটা জীবন কেটেছিল।

বিস্তারিত আলোচনা শেষে সম্মানিত মুহাক্কিক বলেন, এই কাহিনী ছড়িয়ে পড়ার কারণ কি? সে বিষয়ে আমি বলতে চাই যে, নূরুদ্দীন যঙ্গী মদীনার চতুস্পার্শ্বকে মযবুত দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দিতে চেয়েছিলেন এবং সেখানে নিজের নাম খোদাই করতে চেয়েছিলেন (যা তিনি পারেননি)। পরে ৫৭৮ হিজরীতে ক্রুসেডাররা মদীনা দখল করে রাসূল (ছাঃ)-এর লাশ উঠিয়ে ফিলিস্তীনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল (যেটা তারাও পারেনি)। বিষয়টি ইবনু জুবায়ের স্বীয় রিহলাহ-এর মধ্যে এবং মাকরেযী স্বীয় খুত্বাত্ব-এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন। পরে দু’টি কাহিনী মিশ্রিত হয়ে একটি কাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত’ (দ্রঃ ড. আলী মুহাম্মাদ ছাল্লাবী, আল-কাএদুল মুজাহিদ নূরুদ্দীন মাহমূদ যঙ্গী, পৃঃ ২৬০-২৬১)। এছাড়া এ ঘটনার মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করার কথা বিবৃত হয়েছে, যা শরী‘আত বিরোধী। অতএব ঘটনাটি বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।






প্রশ্ন (২২/১০২) : একটি বইয়ে পড়েছি ছাহাবায়ে কেরাম ফাসেক ও বিদ‘আতীদের সালাম দিতেন না। এর সত্যতা আছে কি? এরূপ কাজ বর্তমানে অনুসরণযোগ্য কি? - -মুমিনুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : ঈসা (আঃ) ক্বিয়ামতের পূর্বে যখন আসবেন, তখনো কি মৃত্যুকে জীবিত করতে পারবেন? - -ছাদেকুল বাশার, সাতনালা, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : মুমূর্ষু রোগীর নিকটে কী কী কাজ করা শরী‘আতসম্মত? - -হাফীযুল ইসলাম, তালবাড়িয়া, আলীপুর, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : খ্রিষ্টানদের পরিচালিত কলেজ হওয়ায় সব জায়গায় ক্রুশের ছবি রয়েছে। এক্ষণে কলেজে অবস্থানরত সময়ে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -এ.বি.এম রিফাত, নটরডেম কলেজ, ঢাকা।
প্রশ্ন (৭/৭) : মসজিদে অনেক সময় মুছল্লী পাওয়া যায় না। দেখা যায়, মুওয়াযযিন আযান দিয়ে একা ছালাত পড়ে সময়ের পূর্বেই বাসায় চলে গেছেন। সেক্ষেত্রে মসজিদে একাই ছালাত আদায় করতে হয়। এভাবে একাকী ছালাত আদায় করলে জামা’আতের নেকী পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : কৃত্রিম দাঁতের পাটি ওযূ এবং ফরয গোসলের সময় খুলে রাখতে হবে কি? - মঈনুদ্দীন গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৯/৩৩৯) : ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী কে ছিলেন? জনৈক বক্তা বলেন, ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) তাকে কাফের ঘোষণা করেছিলেন। এ কথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২৩/৪৬৩): পেটে বাচ্চা ওয়ালী গাভী অসুস্থ হলে যবেহ করে খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১/৩৬১) : ছহীহ হাদীছ মতে তারাবীহর ছালাত কত রাক‘আত?
প্রশ্ন (৩০/৩৫০) : জেনেশুনে কখনো সন্তান নিতে পারবে না এরূপ নারীকে বিবাহ করা জায়েয হবে কি? - -শিবলী ছাদিক, সাভার, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৪/১৪) : একটি মিথ্যা বললে সাত হাযার বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে’- এ কথার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (১২/৪১২) : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবী, ওয়া ওয়াসসি‘ লী ফী দা-রী, ওয়া বা-রিক্লী ফী রিযক্বী’ দো‘আটি কি ছহীহ?
আরও
আরও
.