উত্তর : এরূপ মুমিন ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা পাবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ যারা পুড়ে মারা যান, তারা শহীদ হিসাবে গণ্য হন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী ছাড়াও আরও সাত শ্রেণীর মানুষ শাহাদতের মর্যাদা লাভ করবে। তারা হ’ল : (১) মহামারীতে মৃত (মুমিন) ব্যক্তি (২) পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি (৩) ‘যাতুল জাম্ব’ নামক কঠিন রোগে মৃত ব্যক্তি। যেসব গর্ভবতী মেয়ের পেটে বাচ্চা মারা যায় এবং সেকারণে মাও মারা যায়, ঐ মেয়েকে যাতুল জাম্ব-এর রোগিনী বলা হয়। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, এটিই প্রসিদ্ধ (ফাৎহুল বারী হা/২৮২৯-এর ব্যাখ্যা, ৬/৫১ পৃঃ)। (৪) (কলেরা বা অনুরূপ) পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি (৫) আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি (৬) ধ্বসে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি ও (৭) গর্ভাবস্থায় মৃত মহিলা’ (আবুদাউদ হা/৩১১১; মিশকাত হা/১৫৬১; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৩৯৮)। ঐ সকল মুমিন আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবেন। যদিও দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা করা হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে নিহত শহীদের গোসল নেই। তিনি ঐ অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উঠবেন’ (বুখারী হা/৪০৭৯; মিশকাত হা/১৬৬৫; মির‘আত হা/১৬৭৯, ৫/৪০০ পৃঃ)।
কবর পাকা করা নিষিদ্ধ (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৭০৯)। এক্ষণে লাশ চুরি ঠেকানোর জন্য মাটির নীচে মযবূত ঢালাই করে কবর মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায়, কিংবা অন্য যেকোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে উপরে দেওয়াল দিয়ে উঁচু করা বা পাকা করা যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) কবর উঁচু করতে, পাকা করতে, তার উপর সৌধ নির্মাণ করতে ও বসতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/৯৬৯-৭২; মিশকাত হা/১৬৯৬-৯৭)।