উত্তর : উক্ত আয়াত থেকে অনেকে বুঝেছেন যে, জাহান্নামে কাফেরদের শাস্তি স্থায়ী হবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাস্তি হবে। অর্থাৎ যতদিন আসমান ও যমীন বিদ্যমান থাকবে ততদিন তাদের শাস্তি হবে। উক্ত ধারণা সঠিক নয়। কারণ আরবদের রীতি ছিল, কোন জিনিসের স্থায়িত্ব বুঝানোর জন্য তারা বলত هذا دائم دوام السماوات والارض ‘আসমান ও যমীনের ন্যায় এটা চিরস্থায়ী’। আরবদের এই ভাষারীতিই কুরআন মাজীদে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ কাফের-মুশরিকরা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। এ বিষয়ে কুরআনের বহু আয়াতে বর্ণিত রয়েছে। যেমন বাক্বারাহ ১৬১-৬২, আলে ইমরান ৮৮; তওবা ৬৮; আহযাব ৬৪-৬৫; যুমার ৭২ প্রভৃতি। এছাড়া অনেক ছহীহ হাদীছে জাহান্নামীদের চিরস্থায়ী শাস্তির কথা বলা হয়েছে। যেমন- ‘মৃত্যুকে সাদা-কালো মিশ্রিত রংয়ের একটি দুম্বার আকৃতিতে হাযির করে জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে যবেহ করা হবে। অতঃপর বলা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ! মৃত্যুহীন স্থায়ী জীবন যাপন করো। হে জাহান্নামীরা! মৃত্যুহীন স্থায়ী জীবন যাপন করো (বুখারী হা/৪৭৩০ ‘তাফসীর’ অধ্যায়; মুসলিম হা/২৮৪৯)। দ্বিতীয়তঃ আসমান ও যমীন থেকে জিনস উদ্দেশ্য। অর্থাৎ দুনিয়ার আসমান ও যমীনের ধ্বংসের পর পরকালে আল্লাহ যে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করবেন তা হবে চিরস্থায়ী। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশসমূহকে’ (ইবরাহীম ৪৮)

উক্ত আয়াতের শেষাংশে ‘আল্লাহ যদি অন্য কিছু চান’ দ্বারা পাপী মুমিনদের বুঝানো হয়েছে। যারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জাহান্নামে শাস্তি ভোগের পর জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে (তাফসীর ইবনু কাছীর হূদ ১০৭ ও ১০৮ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)

উল্লেখ্য যে, একটি জাল হাদীছে এসেছে যে, ‘একদিন জাহান্নামের অবস্থা এমন হবে যে, সেখানে একজন আদম সন্তানও আর অবশিষ্ট থাকবে না’ (ইবনুল জাওযী, কিতাবুল মাওযূ‘আত ৩/২৬৮ ‘জাহান্নাম খালি হয়ে যাওয়া’ অনুচ্ছেদ)। উক্ত জাল হাদীছ দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। মোটকথা, কাফের-মুশরিকরা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। তবে ঈমানদার পাপীরা তাদের পাপের শাস্তি ভোগের পর রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আতক্রমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে।






প্রশ্ন (৩৮/৩১৮) : আমি বিবাহের সময় কনের পক্ষের লোকজনের চাপে ৫ লক্ষ টাকা মোহর ধার্য করে বিবাহ করি, যার সম্পূর্ণটা বাকী। কিন্তু স্ত্রীর সম্মতিতে ও কাযীর পরামর্শে কাবিন নামায় গহনা বাবদ ২ লক্ষ টাকা নগদ ও ৩ লক্ষ টাকা বাকী উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এসব টাকার কিছুই পরিশোধ করা হয়নি। উক্ত বিবাহ কি বৈধ হয়েছে? এখন আমাকে কি ঐ সমুদয় টাকা পরিশোধ করতে হবে? বর্তমানে পুনরায় মোহর নির্ধারণের কোন সুযোগ আছে কি?
প্রশ্ন (২৫/২৬৫) : ফরয গোসল না করে সাহারী খাওয়ায় কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৪/২৩৪) : অমুসলিম দেশে অবস্থান কালে সেদেশের আইন মেনে চলা কি যরূরী?
প্রশ্ন (১২/৩৭২) : বাদুড় বা অন্য কোন পাখি পোষাকে পায়খানা করে দিলে উক্ত পোষাকে ছালাত আদায় করা যাবে কি? তথা পাখির পেশাব-পায়খানা পবিত্র কি?
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : তাবলীগ জামা‘আতের সাথে ৪০ দিনের চিল্লায় গিয়ে জানতে পারলাম যে, দাওয়াতের কাজে বের হয়ে নিজের প্রয়োজনে ১ টাকা খরচ করলে ৭ লক্ষ টাকা ছাদাক্বা করার সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। একবার সুবহানাল্লাহ বললে ৪৯ কোটি ছওয়াব আমলনামায় লেখা হয়। এসব কথা কি সঠিক? দাওয়াতী কাজের সঠিক পদ্ধতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩২/৪৩২) : বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তির লাশ চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে সম্পূর্ণ কবর পাকা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : বিড়াল কিছু অংশ ভক্ষণ করলে বাকী খাবার খাওয়া জায়েয হবে কি? - -আবু জা‘ফরবড়াইগ্রাম, নাটোর।
প্রশ্ন (১৯/১৩৯) : কারো বিরুদ্ধে বদদো‘আ করা জায়েয কি? - -মোতালেব হোসেন,কুলাঘাট, লালমণিরহাট।
প্রশ্ন (৩০/৩০) : গার্মেন্টসগুলোতে বিদেশী কাপড়ের অর্ডার নেওয়া হয়। সেখানে মহিলাদের শরী‘আত বিরোধী পর্দা বিনষ্টকারী ছোট ছোট কাপড় তৈরী করতে হয়। এসব কাজ করা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : ফরয ছালাতে মাসবূক হিসাবে বাকী ছালাত আদায় করার সময় আমার দু’পাশে দু’জন মুছল্লী এসে আমার সাথে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করলে আমার জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : সম্প্রতি ইরানী মেয়েরা বাংলাদেশে এসে হিজাব পরে ফুটবল খেলে গেল। মেয়েদের জন্য এই খেলা কি বৈধ?
প্রশ্ন (৪/২৮৪) : রাসূল (ছাঃ) তিনটি খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। তিনি আগুনে পোড়ানো কোন খাবার দ্বারা ইফতার করতেন না। কথাটির সত্যতা আছে কি? - -শামসুদ্দীন, ইসলামপুর, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
আরও
আরও
.