উত্তর : কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত দায়িত্বশীল। সুতরাং প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ব্যতীত কৌশলে অতিরিক্ত লাভ করা ঘুষ গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিযুক্ত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করলে তা হবে খেয়ানত বা আত্মসাৎ’ (আবুদাঊদ হা/২৯৪৩; মিশকাত হা/৩৭৪৮)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করলে সে এসে বলল যে, এগুলি যাকাতের মাল এবং এগুলি আমাকে দেওয়া হাদিয়া। এ ঘটনা শুনে ক্রুদ্ধ হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, কর্মকর্তাদের কি হ’ল যে তারা এরূপ বলছে! সে তার পিতা-মাতার বাড়ীতে বসে থেকে দেখুক কে তাকে হাদিয়া দেয়? যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম! যা কিছুই সে গ্রহণ করবে ক্বিয়ামতের দিন তা কাঁধে নিয়ে সে হাযির হবে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৭৭৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন,هَدَايَا الْعُمَّالِ غُلُولٌ ‘কর্মচারীর হাদিয়া গ্রহণ আত্মসাৎ স্বরূপ’ (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৭০২১)। তবে প্রতিষ্ঠান বা মালিকের সম্মতি থাকলে তা গ্রহণ করায় দোষ নেই।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন, দেবীনগর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।