উত্তর : প্রতিটি সুন্নাত পালনে নেকী রয়েছে। ছোট হোক বা বড় হোক সুন্নাত পালনের মধ্যে রয়েছে দুনিয়াবী কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন লোকদের আমল সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম জিজ্ঞাসা করা হবে তাদের ছালাত সম্পর্কে। যদি তাতে কোন ক্রটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়, তবে আল্লাহ ফেরেশতাদের বলবেন, দেখ আমার বান্দার কোন নফল ছালাত আছে কি? যদি থাকে তবে তিনি বলবেন, তোমরা তার নফল ছালাত দ্বারা তার ফরয ছালাতের ত্রুটি দূর কর। অতঃপর এইরূপে সমস্ত ফরয আমলের ত্রুটি নফল দ্বারা দূরীভূত করা হবে (আবুদাউদ হা/৮৬৪; মিশকাত হা/১৩৩০; ছহীহুত তারগীব হা/৫৪০)। তবে সুন্নাতকে অবজ্ঞা না করে কেউ অলসতা বশত তা পালন না করলে সে গুনাহগার হবে না। যেমন বিভিন্ন কাজের সময় পালনীয় সুন্নাতসমূহ, সুন্নাতে রাওয়াতেবাহ, ক্বিয়ামুল লায়েল বা অন্যান্য নফল ছালাতসমূহ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/১১২; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)

তবে কেউ যদি স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ জানা সত্ত্বেও কেবল মাযহাবী গোঁড়ামির কারণে কোন সুন্নাত ছেড়ে দেয় বা অবজ্ঞা করে, সে ব্যক্তি অবশ্যই গোনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমার পালনকর্তার শপথ! তারা কখনো (পূর্ণ) মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের বিবাদীয় বিষয়ে তোমাকে ফায়ছালাদানকারী হিসাবে মেনে নিবে। অতঃপর তোমার দেওয়া ফায়ছালার ব্যাপারে তাদের অন্তরে কোনরূপ দ্বিধা-সংকোচ না রাখবে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নিবে (নিসা ৪/৬৫)। ইসহাক বিন রাহওয়াইহ বলেন, যার নিকট রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ হাদীছ পৌঁছল অথচ অবজ্ঞা করে তা প্রত্যাখ্যান করল, সে কাফের (ইবনু হায্ম, আল-ইহকাম ১/৯৯)। ইমাম সুয়ূত্বী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তির নিকট উছূলের মানদন্ডে রাসূলের কওলী বা ফে‘লী ছহীহ হাদীছ পৌঁছল অথচ সে অস্বীকার করল, এটিই তার কুফরীর দলীল (মিফতাহুল জান্নাত ১৪ পৃ.)। সুতরাং ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সুন্নাতকে মাযহাবী কারণে কোনভাবেই পরিত্যাগ করা যাবে না।

প্রশ্নকারী : মতীউর রহমানমিঠাপুকুররংপুর







বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (৪০/২৪০) : ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকের উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক অধ্যাপক মীলাদুন্নবীর উপর লিখতে গিয়ে সূরা আহযাব ৫৬ আয়াতের বরাতে নবীর উপর দরূদ পাঠকে ঐরূপ ফরয বলেছেন যেরূপ ছালাত ও যাকাত ফরয। (২) অনুরূপভাবে তিনি বলেছেন, মি‘রাজের রাতে সিদরাতুল মুনতাহার উপরে যেতে জিব্রীল অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ ওটা ছিল নূরের জগত। তাই নূরুম মিন নূরিল্লাহ হিসাবে রাসূল একাই রফরফ যোগে সেখানে যান। অতঃপর তিনি আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে জাগতিক সময়ের হিসাবে ২৭ বছর কাল যাবৎ বাক্যালাপ করেন। কথাগুলি কি ঠিক?
প্রশ্ন (২৯/৩৮৯) : বর-কনে বাসর ঘরে জামা‘আতে ২ রাক‘আত ছালাত আদায় করবে কি? করতে হ’লে এর নিয়ম কি?
প্রশ্ন (৩৮/১৯৮) : পুত্র সন্তান লাভের জন্য কোন ঝাড়-ফুঁক বা তেল পড়া, পানি পড়া খাওয়া যাবে কি? - -আবুল কালাম, মাকলাহাট, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৫/৩৫) : আক্দ হয়েছে মিলন হয়নি এমন স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার মাকে বিবাহ করা যাবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকনীলফামারী।
প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : কেউ কেউ বলে থাকেন, যারা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না তাদের জন্য তাক্বলীদ করা বৈধ? এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : কোন কারণ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা করা যাবে কি? কারণগুলো বিস্তারিত জানাবেন।
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : মৃত্যুর পূর্বে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টন করা জায়েয কি? কোন পিতা বাধ্যগত অবস্থায় সন্তানদের মাঝে এরূপ করলে গোনাহগার হবেন কি?
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : আমরা জানি কবরে মৃত ব্যক্তির প্রশ্নোত্তর হয়। কিন্তু যারা পানিতে ডুবে মরে, আগুনে পুড়ে মরে কিংবা বাঘে খেয়ে নেয় তাদের হিসাব কোথায় হবে?
প্রশ্ন (২৬/৪৬৬) : সাগরের পানি দোকানে ছিটিয়ে দিলে ব্যবসায় বরকত হয়, বেচাকেনা বেশী হয়। একথার কোন ভিত্তি আছে কি? এরূপ বিশ্বাস করা শিরক হবে কি?
প্রশ্ন (২৪/৩৮৪) : আল্লাহ বলেন, তিনি সব কিছুই মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করেছেন। এক্ষণে পৃথিবীতে নানাবিধ ক্ষতিকর প্রাণী যেমন ইদুর, ছুঁচো, মশা ইত্যাদি প্রাণী সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর কি হিকমত রয়েছে? - আব্দুর রশীদ সরোজগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : আমি পিতার একমাত্র সন্তান। আমার নিজেরও একটি সন্তান রয়েছে। এক্ষণে আমি যদি আমার পিতা-মাতার পূর্বে মারা যাই তাহ’লে সম্পত্তি কিভাবে বণ্টিত হবে? আমার সন্তান কি এতে অংশ পাবে? - -ওয়ালিউল্লাহ, কাটাখালী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : এনটিভির প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে মাসিক অবস্থায় মেয়েরা মুখস্থ কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে না। তবে দো‘আ-দরূদ পড়তে পারবে। উক্ত ফায়ছালা কি সঠিক হয়েছে?
আরও
আরও
.