উত্তর : এটি শরী‘আতসম্মত। ঝড়-তুফান বা মহামারীর সময় আযানে ‘হাইয়া ‘আলাছ-ছালাহ’-এর পরিবর্তে ‘ছাল্লূ ফী বুয়ূতিকুম’ বা ‘ফী রেহালিকুম’ (তোমরা বাড়িতে বা স্ব স্ব আবাসস্থলে ছালাত আদায় কর) বলা যাবে (বুখারী হা/৯০১, ৬৩২; মুসলিম হা/৬৯৯, ৬৯৭; মিশকাত হা/১০৫৫)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুওয়াযযিনকে আযান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ আবাসস্থলে ছালাত আদায় কর (বুখারী হা/৬৩২; মুসলিম হা/৬৯৭; মিশকাত হা/১০৫৫)। এছাড়া ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি তাঁর মুওয়াযযিনকে এক প্রবল বর্ষণের দিনে বললেন, যখন তুমি (আযানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ বলবে, তখন ‘হাইয়া ‘আলাছ-ছালাহ’ বলবে না; বরং বলবে, ‘ছাল্লু ফী বুয়ূতিকুম’। এটা শুনে লোকেরা যেন অপসন্দ করল। তখন তিনি বললেন, আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিই (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা করেছেন। জুম‘আ ওয়াজিব বিষয়। কিন্তু আমি তোমাদেরকে মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াতের অসুবিধায় ফেলতে অপসন্দ করি (বুখারী হা/৯০১; মুসলিম হা/৬৯৯)

উল্লেখ্য যে, ‘ছাল্লূ ফী রেহালিকুম’ বাক্যটি আযানের মধ্যে বা আযান শেষে দু’ভাবেই বলা জায়েয। তবে আযানকে স্বস্থানে রেখে আযানের শেষে ‘ছাল্লু ফী রেহালিকুম’ বলাই উত্তম। কারণ যাদের ওযর নেই তারা জামা‘আতে হাযির হওয়ার জন্য আদিষ্ট (নববী হা/৬৯৯-এর ব্যাখ্যা; ফাৎহুল বারী হা/৬৩২-এর ব্যাখ্যা)। আর আযানের মধ্যে উক্ত বাক্য বললেও ‘হাইয়া ‘আলাল ফালাহ’ বলবে। কারণ এমতাবস্থায় ছালাত বাড়িতে আদায় করলেও কল্যাণের মধ্যে থাকবে (ইবনু কুদামা, আল-কাফী ২/৩৬, তা‘লীক্ব উছায়মীন)। মোটকথা ‘হাইয়া ‘আলাছ-ছালাহ’ ব্যতীত বাকী সব শব্দ ঠিক থাকবে। অথবা আযানের পরে মুছল্লীদের ভাষায় ‘তোমরা তোমাদের বাড়ীতে বা আবাসস্থলে ছালাত আদায় কর’ বলা যাবে। এতদসত্ত্বেও কেউ মসজিদে এসে জামা‘আতে যোগদান করলে তিনি অবশ্যই পূর্ণ নেকী পাবেন। 







প্রশ্ন (২১/৪৬১) : ঈদের ছালাত আদায়ের পর একাধিক ব্যক্তি খুৎবা দিতে পারবেন কি? - -ফেরদৌস মিয়াঁ, কৃষ্ণপুর, কুচবিহার, ভারত।
প্রশ্ন (৩৪/১৯৪) : ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো শরী‘আতসম্মত কি? এটা করায় ছালাত বাতিল হয়ে যাবে কি?
প্রশ্ন (২৮/১৪৮) : দুই সিজদার মধ্যে দো‘আ পাঠ করার সময় অনেকে শাহাদাত অঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করেন। এ ব্যাপারে কোন দলীল আছে কি? - -মুহাম্মাদ আহসানুল হক, মুজীবনগর, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (৭/২০৭) : আমার স্বামী আমার শশুরের পালক পুত্র। যদি সে তার মূল পিতার বদলে পালক পিতার নামে আমাকে বিবাহ করে, তাহ’লে উক্ত বিবাহ সঠিক হবে কি?
প্রশ্ন (১০/৪১০) : রাসূল (ছাঃ) মি‘রাজের রাত্রিতে জাহান্নামীদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রশ্ন হ’ল- এখনও তো ক্বিয়ামত শুরু হয়নি। তাহ’লে রাসূল (ছাঃ)-কে এসব দৃশ্য কিভাবে দেখানো হ’ল?
প্রশ্ন (২৮/৪৬৮) : জনৈক পীর ছাহেব ছালাতে একাগ্রতার জন্য চোখ বন্ধ করে কলবের দিকে খেয়াল রেখে ছালাত আদায় করতে বলেছেন। এ পন্থা অবলম্বন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৮/৩৬৮) : মসজিদের সামনে বা মেহরাবের সামনে কালেমায়ে ত্বাইয়েবা বা কালেমায়ে শাহাদাত লেখা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : পরিবারসহ বিদেশে অবস্থানকারী কোন প্রবাসী অধিক মূল্যের কারণে সেখানে কুরবানী না করে দেশে ভাই-বোনের পরিবারে কুরবানী করতে পারবে কি? - -ফয়ছাল মাহমূদ, নিউজার্সি, আমেরিকা।
প্রশ্ন (৮/২৮৮) : নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ছিয়ামের সমতুল্য কোন ইবাদত নেই। এক্ষণে এটা কি ছালাতের থেকেও উত্তম। - -মুহাম্মাদ মামূন, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৭/৩৩৭) : আমার আপন ভাইয়ের মেয়েকে জনৈকা মহিলা দুধ পান করিয়েছে। এক্ষণে আমি কি ঐ মহিলার মেয়েকে বিয়ে করতে পারব?
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : জনৈক ইমাম জুম‘আর খুৎবায় বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা রাতে পেশাব করে হাড়িতে রেখে সকালে একজন ছাহাবী আসলে তাকে প্রস্রাবগুলি ফেলে দিতে বললেন। ছাহাবী পেশাবের হাড়িটাকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে রাসূলের প্রতি মহববতের কারণে তা খেয়ে নেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে আসলে তিনি বলেন, কি ফেলে দিয়েছ? তখন ছাহাবী চুপ থাকেন। বারবার জিজ্ঞেস করার পর লোকটি বলেন আমি তা খেয়ে ফেলেছি। ফলে উক্ত ছাহাবী মারা গেলে তার শরীর থেকে সুগন্ধি বের হয়। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৭/৪৭৭) : মা আমার কাছে ঢাকায় থাকেন। ছোটবেলা থেকেই আমি মায়ের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার। আমার বিয়ের পর দ্বন্দ্ব আরো বেড়ে গেছে। তার কারণে আমার দাম্পত্য জীবনেও কিছু সমস্যা হয়। কিন্তু মা আমার বাসা ছাড়া কোথাও যেতে চান না। এই অবস্থায় আমার করণীয় কি? - -কামরুন নাহার, মীরপুর, ঢাকা।
আরও
আরও
.