উত্তর : ‘বড় শয়তানগুলি শৃঙ্খলিত হয়’ এবং ‘প্রতি রাতে আহবানকারী ফেরেশতা মানুষকে আহবান করে’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করা হয়’। যার ফলাফল হিসাবে দেখা যায় যে, এ মাসে পৃথিবীতে দুষ্কৃতি কমে যায় এবং নেকীর কাজ সবচেয়ে বেশী হয়। যার ছওয়াব সর্বদা আকাশে উত্থিত হ’তে থাকে। আর রহমতের দরজা সমূহ খোলা থাকার কারণে রামাযানে পৃথিবীতে শান্তি ও সৌহার্দ্যের শান্ত পরিবেশ বজায় থাকে।
বড় বিষয় হ’ল, এগুলি অদৃশ্য জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। জিন ও ফেরেশতা মানুষের চর্মচক্ষুতে দেখা যায় না। অনুভব করা যায়। তাদের ব্যাপারে বর্ণিত উপরোক্ত গায়েবী বিষয় সমূহ আমাদের কেবল বিশ্বাস করে যেতে হবে। কেউ অস্বীকার করলে তাকে প্রমাণ পেশ করতে হবে। এ ব্যাপারে যুক্তিবাদী ভ্রান্ত ফের্কা সমূহের সন্দেহবাদ ও অহেতুক কল্পনা বিলাস থেকে মুমিনকে সাবধান থাকতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজের যবানের দিকে ইশারা করে বলেন, মনে রেখ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম করে বলছি, এই যবান থেকে ‘হক’ ব্যতীত কিছুই বের হয় না’ (হাকেম হা/৩৫৯; আহমাদ হা/৬৮০২, সনদ ছহীহ)। আর আল্লাহ বলেন, ‘তিনি নিজ খেয়াল-খুশীমত কোন কথা বলেন না’। ‘সেটি অহী ব্যতীত নয়, যা তার নিকট প্রত্যাদেশ করা হয়’ (নাজম ৫৩/৩-৪)।
প্রশ্নকারী : ফেরদাঊস
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।