উত্তর : ইয়াজূজ ও মাজূজ মানব জাতিরই অংশ। তারা নূহ (আঃ)-এর ছেলে ইয়াফেছের বংশধর। তারা মানুষ হিসাবে জন্ম নিলেও মুসলিম নয়। কারণ তারা বিশ্বের অন্যান্য মানুষের মত ঈসা (আঃ)-এর অনুসারীদেরও ধ্বংসের চেষ্টায় থাকবে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৬/১০৪; আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী, ফায়যুল বারী ৪/৩৫৪; বিন বায, মাজমূ ফাতাওয়া ৫/৩৫৭)। কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন যে, যুলক্বারনাইন প্রাচীর নির্মাণের সময় কিছু ইয়াজূজ ও মাজূজ ইসলাম গ্রহণ করেছিল। আর তিনি তাদের আর্মেনিয়া অঞ্চলে ছেড়ে দেন। তারাই হ’ল তুর্কী (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৬/৩৮৬; বিন বায, মাজমূ ফাতাওয়া ৯/৩১২)। ইয়াজূজ-মাজূজের নিকট বিশেষ কোন নবী-রাসূল প্রেরণের বিষয়টি জানা যায় না। তবে তাদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর পরেও তারা যে ইসলাম গ্রহণ করেনি তা প্রমাণ করে কিছু হাদীছ। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন ডাক দিয়ে বলবেন হে আদম! নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেন যে, আপনি আপনার সন্তানদের মধ্য হ’তে জাহান্নামীদের বের করে দেন। আদম বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! কতজন জাহান্নামী? আল্লাহ বলবেন প্রতি হাযারে ৯৯৯ জন।... এ বক্তব্য লোকদের জন্য খুবই কঠিন হ’ল। এমনকি তাদের চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, দেখ ইয়াজূজ-মাজূজ সম্প্রদায় থেকে হবে ৯৯৯ জন। আর তোমাদের মধ্য থেকে হবে ১ জন। (বুখারী হা/৪৭৪১; মিশকাত হা/৫৫৪১ হাশর অনুচ্ছেদ)

এ হাদীছের ব্যাখ্যায় উছায়মীন (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ স্পষ্ট করে দেয় যে, ইয়াজূজ মাজূজ আদমের বংশধর আর তারা জাহান্নামী (লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৬০/২৬)

প্রশ্নকারী : রাশেদ, ঢাকা।








বিষয়সমূহ: সৃষ্টিজগৎ
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : ‘কথার পূর্বেই সালাম’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৯/২৪৯) : রাসূল (ছাঃ) উট বা ঘোড়ায় সওয়ার অবস্থায় নিয়মিতভাবে পবিত্র কুরআন খতম করতেন কি? এ ব্যাপারে তাঁর নিয়মিত কোন আমল ছিল কি? - ইদ্রীস মোল্লা শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৩/৪২৩) : ক্বিয়ামতের দিন মানুষে আত্মার সাথে দেহ জুড়ে দেওয়া হবে, না স্বপ্নের মত দেহ ছাড়া কেবল আত্মা পুনর্জীবিত হবে? - যাকারিয়া খন্দকার, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (২৯/১৮৯) : আমাদের এখানে অনেক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা জান্নাতী। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কবর থেকে উঠিয়ে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করিয়েছেন। এর সত্যতা আছে কি? - -আবু তাহের, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৯/৪০৯) : একটি অনলাইন শপ থেকে ১০ হাযার টাকায় একটা দ্রব্য ৫০% ডিসকাউন্টে তথা ৫ হাযার টাকায় ক্রয় করার পর কোম্পানী স্টক না থাকায় তাদের কোম্পানীর নীতি অনুযায়ী পুরো ১০ হাযার টাকা ফেরৎ দিয়েছে। এক্ষণে অতিরিক্ত পাওয়া অর্থ গ্রহণ করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১১/৫১) : আমাদের এখানে প্রতিদিনের কাজ শুরু করার পূর্বে সকলে একত্রে নারায়ে তাকবীর বা লিল্ল­াহে তাকবীর বলতে হয়। এক্ষণে এসময় কোন দো‘আটি পাঠ করা শরী‘আত সম্মত হবে? - -ফরহাদ আলম, বাগদাদ, ইরাক।
প্রশ্ন (৩/৪৩) : অনেক ব্যক্তি বলেন, রাসূল (ছাঃ) যেহেতু হিজামা করিয়ে দীনার বা দিরহাম না দিয়ে ২ ছা‘ খাদ্য দিয়েছেন, সুতরাং হিজামা করিয়ে খাদ্যই দেওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে তারা হিজামার খাদ্যের পারিশ্রমিককে ছাদাক্বাতুল ফিৎরের সাথে ক্বিয়াস করেছেন। এ ব্যাপারে কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফদের বক্তব্য কি?
প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : আমার ব্যাংকে জমানো টাকা থেকে যে সূদ আসে তা আমি গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করি। এক্ষণে নতুন বাড়ি করার সময় হিজড়া এবং চাঁদাবাজরা যে টাকা দাবী করে, তাদেরকে সূদের টাকা প্রদান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : রাতে আক্বীক্বার পশু যবেহ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৩/৫৩) : কোন মৃত ব্যক্তির জন্য জান্নাতের উচু মাকাম কামনা করা যাবে কি? কেননা জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম তো রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খাছ?
প্রশ্ন (১৪/৩৭৪) : রাসূল (ছাঃ) জীবনে কতবার ইতেকাফ করেছিলেন? শেষ বছরে কেন তিনি ২০ দিন ইতেকাফ করেন? - -আল-আমীন, মধ্য নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৭/৪৭৭) : হজ্জ করতে গিয়ে বরকত লাভের উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে কাফনের কাপড় ক্রয় করা যাবে কি?
আরও
আরও
.