উত্তর : শী‘আদের মধ্যে ২২টি দল রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আক্বীদাসম্পন্ন হ’ল রাফেযী সম্প্রদায়। এদের আবির্ভাব হয়েছিল ইহূদী নেতা আব্দুল্লাহ বিন সাবার মাধ্যমে। রাফেযী শব্দের অর্থ প্রত্যাখ্যানকারী। একদা একদল শী‘আ যায়েদ বিন আলী যায়নুল আবেদীন (রহঃ)-এর নিকট এসে আবুবকর ও ওমর (রাঃ) থেকে মুক্তি চাইল। তখন তিনি বললেন, তারা তো আমার দাদার (আলী রাঃ-এর) সহযোগী ছিলেন। তখন তারা বলল, তাহ’লে আমরা আপনাকে পরিত্যাগ করলাম। জওয়াবে তিনি বললেন, তাহ’লে তোমরা প্রত্যাখ্যানকারী। সেই থেকে এই চরমপন্থী শী‘আদেরকে রাফেযী বা প্রত্যাখ্যানকারী বলা হয় (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৫/৩৯০)। এছাড়া আবুবকর, ওমর ও ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফতকে প্রত্যাখ্যান করার কারণেও তাদেরকে রাফেযী বলা হয়ে থাকে (ইবনু তায়মিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ ১/৩৫, ২/৯৬, ৩/৪৭০)

এর বিপরীতে যে সকল শী‘আ যায়েদ বিন আলী (রহঃ)-এর অনুসারী হিসাবে তুলনামূলক উদারপন্থী ছিল তাদেরকে যায়েদী বলা হয়। রাফেযীরা আলী, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) ব্যতীত প্রথম তিন খলীফা আবুবকর, ওমর, ওছমান ও উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ)-সহ প্রায় সকল ছাহাবীকে ‘মুরতাদ’ বা ধর্মত্যাগী বলে এবং নিকৃষ্টভাবে গালি-গালাজ করে (ইবনুল জাওযী, মানাক্বিবে ইমাম আহমাদ ১৬৫ পৃঃ; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ৪/৪৩৫, ইহসান ইলাহী যহীর, আশ-শী‘আহ ওয়াস সুন্নাহ, ৩২-৫০ পৃঃ)। সেজন্য ইমাম বুখারী (রহঃ) রাফেযী ও জাহমীদেরকে ইহূদী ও খৃষ্টানদের সাথে তুলনা করে তাদের পিছনে ছালাত আদায়ের ব্যাপারে চরম আপত্তি করেছেন (খালকু আফ‘আলিল ইবাদ, পৃঃ ৩৩)

বর্তমান যুগে জা‘ফরিয়াহ, ইমামিয়া, ইছনা ‘আশারিয়া বা খুমায়নীয়াহ নামে পরিচিত শী‘আ দলগুলি সাধারণভাবে রাফেযী হিসাবে প্রসিদ্ধ। এছাড়াও এদের মধ্যে রয়েছে নুছায়রিয়া ও ইসমাঈলিয়া সম্প্রদায়, যাদের আক্বীদা মূর্তি পূজারীদের ন্যায় ভ্রান্ত (বিন বায, ফাতাওয়া আল-জামিউল কাবীর)। এতে বুঝা যায় যে, পুরা শী‘আ সম্প্রদায়টিই রাফেযীদের ন্যায় ভ্রান্ত।






প্রশ্ন (৩৬/৩১৬) : যদি পিতা ও পুত্র একই সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়, তাহ’লে কে কার ওয়ারিছ হবে? - -মুবীনুল ইসলাম, রহনপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৪/২১৪) : হায়েয অবস্থায় সহবাস করলে তার কাফফারা কি? যদি কাফফারা আদায় করতে না পারে তাহ’লে কি করতে হবে? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
প্রশ্ন (২১/৩৪১) : আযানের হাদীছগুলো থেকে কি এটা প্রমাণিত হয় না যে ওলী-আউলিয়াদের কাছে স্বপ্নের মাধ্যমে অহী আসতে পারে? - -মুহাম্মাদ রনি হুসাইন, শফীপুর, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৬/৮৬) : জেহরী ছালাত সমূহ বাড়িতে বা মসজিদে একাকী পড়ার ক্ষেত্রে ক্বিরাআত সরবে না নীরবে পাঠ করতে হবে? এসময় ইক্বামত দিতে হবে কি? - -মুহাম্মাদ হারূনুর রশীদ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৩/৮৩) : রাবেয়া বছরী (রাঃ) সম্পর্কে একটি বইয়ে লেখা হয়েছে, তিনি চির কুমারী ছিলেন। হজ্জ পালন করতে গেলে কা‘বা ঘর তাকে সম্মান জানানোর জন্য এগিয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে আলোর জন্য শাহাদাত আঙ্গুলে ফুঁক দিলে ঘর আলোকিত হ’ত ইত্যাদি। লেখকের উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (২২/৩৪২) : সফর অবস্থায় জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব কি? ছালাত জমা করার পরে পুনরায় উক্ত ছালাত জামা‘আতে আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩১৮) : রাসূল (ছাঃ) কি কোন ছাহাবীকে শা‘বান মাসের ছুটে যাওয়া ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে বলেছিলেন?
প্রশ্ন (২৯/১০৯) : মসজিদে ছালাতের পর অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কৌটা ছাড়া হয়। এটা জায়েয কি? নববী যুগে মসজিদে এরূপ প্রথা চালু ছিল কি?
প্রশ্ন (১৬/৫৬) : ইয়াজূজ-মাজূজ কারা? এদের উৎপত্তি কোথায়? কিয়ামতের কতদিন পূর্বে এরা বের হবে এবং কি কি করবে? কিভাবে এরা ধ্বংস হবে? - -ছালাহুদ্দীন তুহীনইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : ছালাত শেষ করার পর যদি বুঝা যায় বা সন্দেহ হয় যে কাপড়ে নাপাকী লেগে আছে, উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/২৩৯) : মসজিদে ইমাম না থাকায় এক ব্যক্তি এশার ছালাতে ইমামতি করেন। তিনি একটি ৭/৮ বছরের ছেলেকে তার ডান পার্শ্বে নিয়ে ছালাত আদায় করেন। এতে মসজিদে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এমনকি কেউ কেউ ছালাত পুনরায় পড়ে। উক্ত ছালাত সঠিক হয়েছে কি?
প্রশ্ন (৪০/২৪০) : বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা নেওয়া হয়। তারপর কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হয়। অন্যেরা বঞ্চিত হয়। এটা কি জুয়া হিসাবে গণ্য হবে না?
আরও
আরও
.