উত্তর : বিদ‘আত
যদি এমন বিদ‘আত হয় যা মানুষকে দ্বীন থেকে বের করে দেয়, তাহ’লে তাকে সালাম
দেওয়া যাবে না। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, জমহূর বিদ্বানগণের মতে, বিদ‘আতী ও
ফাসেক তথা পাপাচারীদের সালাম দেওয়া যাবে না। ইমাম নববী বলেন, বিদ‘আতী যারা
বড় পাপের সাথে জড়িত তাদের সালাম দেওয়া ও উত্তর প্রদান করা যাবে না। তবে এতে
ফিৎনা তথা দুনিয়াবী বিপদাপদের আশংকা থাকলে সালাম দিবে (ফাৎহুল বারী ১১/৪১)।
ইবনুল ‘আরাবী বলেন, এই সকল লোককে সালাম দেওয়ার সময় নিয়ত করবে যে, ‘সালাম’
আল্লাহর অন্যতম ছিফাত। এ সময় তার অর্থ হবে আল্লাহ রাক্বীব তথা আল্লাহ
রক্ষাকারী। মুহাল্লাব বলেন, বিদ‘আতীদের সালাম প্রদান না করা সালাফদের
সুন্নাত (ফাৎহুল বারী ১১/৪০)। ছাহাবী কা‘ব বিন মালেক অলসতা বশতঃ
যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করায় রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম তার সাথে সব ধরনের
সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন (বুখারী হা/৪৪১৮; মুসলিম হা/২৭৬৯)।
তবে সাধারণভাবে তাদের হেদায়াতের উদ্দেশ্যে সালাম প্রদান করা যায়। যেমন আবু
উমামা (রাঃ) মুসলিম, ইহূদী-নাছারা সবাইকে সালাম প্রদান করতেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৬২৬৫-৬৮; ফাৎহুল বারী ১১/৪১)।