উত্তর : এরূপ ক্ষেত্রে বিছানা পৃথক না করে ধৈর্যধারণ করতে হবে। কারণ ধৈর্যের দ্বারা যে ফলাফল পাওয়া যায়, অন্য কিছু দ্বারা তা পাওয়া যায় না (বুখারী হা/১৪৬৯, মুসলিম হা/১০৫৩)। এভাবে স্বামীকে অন্যায় পথ থেকে ফিরিয়ে আনার সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। এতে একসময় স্বামী অন্যায় সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে পারে। তবে এতেও পরিবর্তন না আসলে ঘর পৃথক করা বা একবারেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার স্ত্রীর রয়েছে। কারণ স্ত্রীর যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব স্বামীর। এ দায়িত্ব পালন না করলে স্বামী কঠিন গুনাহের ভাগিদার হবেন (নিসা ৪/৩৪)। মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের উপর স্ত্রীদের হক কি? তিনি বললেন, ‘যখন তুমি খাবে, তখন তোমার স্ত্রীকে খাওয়াবে। যখন কাপড় ক্রয় করবে, তখন তার জন্যও ক্রয় করবে। আর তার মুখে প্রহার করবে না ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করবে না। নিজ বাড়ী ব্যতিরেকে স্ত্রীকে কোথাও একাকী ছাড়বে না’ (আবুদাঊদ হা/২১৪২; মিশকাত হা/৩২৫৯)।