
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাঝের ব্যবধান বর্ণিত হয়নি। সেজন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না যে, এত বছর পূর্বে মানব সৃষ্টির সূচনা হয়েছে। তবে কোন কোন নবী-রাসূলের আগমনের ব্যবধান সম্পর্কে কিছু হাদীছ পাওয়া যায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আদম ও নূহ (আঃ)-এর মাঝে দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল (হাকেম হা/৩৬৫৪; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৬১৯০; ছহীহাহ হা/২৬৬৮)। নূহ (আঃ) ও ইব্রাহীম (আঃ)-এর মাঝে দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল (হাকেম হা/৪০১৬; ছহীহাহ হা/৩২৮৯)। মূসা (আঃ) ও ঈসা (আঃ)-এর মাঝে ব্যবধান এক হাযার সাতশত বছর (তাফসীরে কুরতুবী ৬/১৬)। আবার মুহাম্মাদ (ছা্ঃ) ও ঈসা (আঃ)-এর মাঝে ছয়শ’ বছরের ব্যবধান (বুখারী হা/৩৯৪৮)। এক্ষণে এই সময়ের ব্যবধান সুনির্দিষ্টভাবে বলা সমীচীন হবে না। যা আল্লাহ তা‘আলা গোপন রেখেছেন তার মধ্যে রয়েছে বিশেষ হিকমত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘এবং ‘আদ, ছামূদ, কূয়াবাসীগণ এবং তাদের মধ্যবর্তী বহু যুগ সমাজকে (ফুরক্বান ২৫/৩৮)। এভাবে এক লক্ষ চবিবশ হাযার নবী-রাসূলের ধারা শেষ হয়েছে এবং হাযার হাযার বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। সুতরাং ৩ লাখ বছর পূর্বেও মানুষ ছিল বিজ্ঞানীদের এমন ধারণা সত্যও হ’তে পারে, আবার মিথ্যাও হ’তে পারে। এটি তাদের নিকটও কেবল ধারণা; কোন সুনিশ্চিত বা প্রামাণ্য তথ্য নয়। ফলে এতে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন নেই।
প্রশ্নকারী : তাহসীন হোসাইন, রাজারবাগ, ঢাকা।