উত্তর : অধিকাংশ মুহাদ্দিছের মতে ছায়া দ্বারা উদ্দেশ্য আরশের ছায়া। কারণ হাদীছে স্পষ্ট ‘তার আরশের ছায়াতলের’ কথা উল্লেখ আছে (আলবানী, ইরওয়া হা/৮৮৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অর্থাৎ সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের ছায়াতলে অবস্থান করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৪৮৭)। তবে কোন কোন বিদ্বান মনে করেন, ঐটা আল্লাহর আরশের ছায়া নয় বরং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৎ বান্দাদের জন্য বিশেষ ছায়ার ব্যবস্থা করবেন। যদি আরশের ছায়া ধরা হয় তাহ’লে আল্লাহর আরশ অপেক্ষা সূর্যকে বড় বলে মনে করা হবে। নিম্নের হাদীছগুলোও প্রমাণ করে যে, সৎ বান্দাদের জন্য বিশেষ ছায়ার ব্যবস্থা করা হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, (ক্বিয়ামতের মাঠে রৌদ্রতপ্ত দিনে) সমস্ত লোকেদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষ নিজ ছাদাকার ছায়াতলে অবস্থান করবে (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/২৪৩১; ছহীহুত তারগীব হা/৮৭২)। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঋণ-পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিকে সময় দেবে, অথবা তার ঋণ মওকূফ করে দেবে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ সেই দিন তাঁর আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর সেই ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না (মুসলিম হা/৩০০৬; মিশকাত হা/২৯০৪)। উল্লেখ্য যে, ছায়াকে আল্লাহর দিকে সম্বন্ধ করাটা ইযাফতে তাশরীফী বা সম্মানের দিকে লক্ষ্য করে সম্পৃক্ততা। যেমন বায়তুল্লাহ বা নাকাতুল্লাহ ইত্যাদি (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/৪৯৭)। তবে আল্লাহর আরশের ছায়াতলের অবস্থানের ব্যাপারে হাদীছের প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণ করাই নিরাপদ। আর আল্লাহর আরশের ছায়াতলে অবস্থানের ধরণ কেমন, তা আল্লাহর ইল্মের অন্তর্ভুক্ত (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৮/৪০২)।
প্রশ্নকারী : মাহদী হাসান, হালসা, নাটোর।